মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প

 


#একটি_ভৌতিক_প্রেমের_গল্প
প্রেতাত্মার লেখা গল্প - Written by A R Shipon

মাহাদি ঃ দোস্ত আমার ১টা রিকুয়েষ্ট আছে তোর কাছে । বলবো ?

দুপুর ঃ ওহ তাই তো বলি বাসায় ডেকে এনে গরুর মাংশ দিয়ে জামাই আদর করে খিচুরি। আচ্ছা বল শুনি।

মাহাদিঃ তুই এটা কি বললি ? বাসায় আজ খিচুরি আর গরুর মাংশ রান্না হয়েছে। আর তোর পছন্দের খাবার এটা তাই তোকে নিয়ে আসলাম মিরপুরে।

দুপুরঃ ভনিতা না করে অনুরোধটা কি সেটা বল।

মাহাদিঃ শোন দোস্ত। নিলা আমাকে বলছে তোকে দিয়ে ১টা ভৌতিক প্রেমের গল্প লিখাতে। ভার্সিটির ম্যাগাজিনে ছাঁপাবে । তবে নামটা ওর হবে। দোস্ত করা যাবে কি?

দুপুর ঃ ২০০০টাকা লাগবে। দিবে ?

মাহাদি ঃ দোস্ত ও তরে টাকা দিবে । জানিসই তো ওর অনেক টাকা। বাবার গার্মেন্টস আছে।

দুপুরঃ খাবো না তোর খিচুরি । আমি গেলাম। ( উঠতে চায় কিন্তু মাহাদি ধরে ফেলে )

মাহাদিঃ দোস্ত দোস্ত লাগবে না গল্প। আরে গাধা আমি তো তোর সাথে মজা করলাম টাকা নিয়ে । দোস্ত জানিসই তো মায়াবতি চলে যাবার পর খুব ভেঙ্গে পরেছিলাম । হটাৎ নিলা আসে আমার জীবনে নতুন করে। আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করি । আজ বিকেল ও বলতেছিল যে দুপুর ভাইয়া কে বলো আমাকে ১টা ভুতের গল্প লিখে দিতে আমি ম্যাগাজিনে আমার নামে ছাঁপাবো। ও দোস্ত ফান করে বলছে। আমিই সিরিয়াস হয়ে বলছি। রাগ করিস না দোস্ত । আমিই টাকাটা দিতে চাইছিলাম নিজের হয়ে।

দুপুর ঃ আর একটু খিচুরি আর মাংশ দে। খুব ভালো হইছে রান্নাটা।

খাবারের পর আড্ডা দিয়ে নিজের বাসায় ফিরে আসে দুপুর । পরেরদিন রাত প্রায় ৩টার একটু আগে দুপুর মাহাদিকে ফোন দেয়।

মাহাদিঃ ঐ হালারপুত এতো রাইতে ফোন দিছস কেন ?

দুপুরঃ তোর মেইল চেক কর সালা । তর নিলার গল্প পাঠায়ছি । “” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “”

মাহাদি ঃ দেখতাছি মামা । তুই দাঁড়ায় থাক, নরবি না কিন্তু।

দুপুর ঃ মুরি দিয়া খা হালা । গুড নাইট ।

মাহাদি উঠে মেইলে গিয়ে গল্পটি দেখে। নীলা কে ফরওয়ার্ড করে। গল্পটা নিচে দেওয়া হলো ।

“” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “”

মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পরে শাকিল, নিরব, আর মাহাদি। তিন জনেই ফিন্যান্সে পরে। নিয়মিত ক্লাস করে ওরা। ক্লাসের সবার সাথেই ভালো সর্ম্পক ওদের।
আজ সবাই ক্লাসে এসেছে শুধু শাকিল আসেনি। তবে ও ক্যাম্পাসে এসেছে নিরব ওকে দেখেছে। ক্লাস শেষ করে নিরব আর শাকিলকে খুজতে বের হয় । অবশেষে শাকিলকে শহীদ মিনারের পাশে বসে থাকতে দেখে।

মাহাদিঃ ওই দোস্ত তুই ক্লাস করলি না কেন ?

নিরবঃ অই তুই ঐ মেয়ের দিকে কি দেখস ?

শাকিলঃ দোস্ত আমি ক্র্যাস খাইছি মেয়েটার উপর । ওরে আমি ভালোবেসে ফেলছি ।

নিরব ঃ যা প্রোপসলজ কর। কাছে গিয়ে হাটু গেরে বল, অপসরি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

মাহাদি ঃ দোস্ত মেয়েটা সত্যিই খুব ভংকর সুন্দরাই । যা প্রোপজ কর ।

যেই কথা সেই কাজ। কাছে গিয়ে হাটু গেরে বসে বলে দিল, রৌদূসী আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। I love you। কথা গুলো শুনে মেয়েটি শুধু মুচকি একটু হেসে আপাতত প্রস্থান নেয় ।

দুই দিন পর ক্যাম্পাসে নবীনবরন অনুষ্ঠান । শাকিলের দুচোখ রৌদূসী কে খুজছে। কোথাও রৌদূসী নেই। আজ শাকিল আবার তাকে প্রোপজ করবে। নীল ১টা পাঞ্জাবি পরে এসেছে। রৌদূসী নেই তাই সে চলে যাচ্ছে এমন সময় মাহাদী বলে

মাহাদি ঃ শাকিল তোর রৌদূসী আসছে ।

পিছন ফিরে শাকিল দেখে রৌদূসী তার দিকেই যেন আসছে। আজব তো রৌদূসী ও নীল শাড়ি পরে এসেছে । রৌদূসী আরো অবাক করার মত ১টা কাজ করেছে । বলুনতো আপনারা কি করেছে রৌদূসী ? সত্যি কথা বলতে আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না কি করছে মেয়েটা। ঠিক আছে আমিই বলে দিচ্ছি । রৌদূসী শাকিলের কাছে গিয়ে হাটু গেরে বসে বলে দিল , শাকিল আমিও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । I love you too . শাকিল থ হয়ে দাড়িয়ে রইলো ।

এইভাবেই শুরু হয় তাদের ভালোবাসা। এর ভিতর শিপন নামের ১টা ছেলেও রৌদূসীকে ভালোবেশে ফেলে। কিন্তু রৌদূসী শিপনকে পাত্তা দেয় না। সে সুধু শাকিলকেই ভালোবাসে।

এর কিছুদিন পর হটাৎ একদিন রৌদূসীর মা শাকিলকে ফোন দিয়ে বলে যে রৌদূসী খুব অসুস্থ তুমি একটু আসো বাবা। শাকিল খবর পেয়ে ছুটে যায় রৌদূসীর বাসায় । গিয়ে দেখে রৌদূসী অসুস্থ । তার মায়ের কাছে থেকে শুনে যে ,

রৌদূসীর মা ঃ রৌদূসী নাকি হটাৎ করে কেমন যেন করতেছিল ২দিন ধরে । সবার সাথে আজব আজব বিহ্যাব করতেছিল । খুব রেগে যায় কথায় কথা । আজ সকালে তাকে ঘুম থেকে উঠাতে গেলে তার মাকে সে মারতে আসে , চোখ ২টা ভয়ংকর লাল হয়ে ছিল। সে তার ছোট ভাই রাহিলকে উচু করে ফেলে দেয়। আর কি সব আজেবাজে বকছিল তোমাকে নিয়ে। শাকিল বাবা আমার মনে হয় ওকে বদ জ্বিন আঁছর করছে। হুজুর নিয়ে এসেছিলাম সে ও তাই বলছে।

শাকিলঃ আন্টি।  আমি কি ওর সাথে একটু দেখা করতে পারি ?

রৌদূসীর মা ঃ হ্যা বাবা যাও।

শাকিল রুমে প্রবেশ করে দেখে রৌদূসী খাটের উপর বসে ১টা খাতায় কি যেন লিখছে। শাকিল কে দেখে রৌদূসী ভংকর হাসি দেয়। হাসিটা এতোটাই কুৎসিত ছিল যে শাকিল ভয়ে ২পা পেছনে চলে আসে।

আবার সাহশ করে সামনে এসে ওর পাসে বসে। এবার কিছুটা শান্ত হয়ে আছে রৌদূসী । শাকিল কয়েকবার রৌদূসীর সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু সে কথা বলে না। শাকিল উঠে চালে যায়। যাওয়ার সময় শাকিলে উপর দেওয়ালের উপর ঝুলে থাকা ১টা ফুলের টব পরে আর রৌদূসী হাসতে থাকে । মাথায় কিছুটা কেটে যায় শাকিলের। শাকিল বাসায় চলে আসে ।

রাতে আজ শাকিল বাসায় একা, রুমে বসে ফেসবুকে দুপুরের সাথে চ্যাট করছে । শাকিল দুপুর কে তার বাসায় আসতে বলেছে । দুপুর আসছে , কাছাকাছি বলা যায়।

হটাৎ কলিংবেল বেজে উঠে । হয়তো দুপুর চলে এসেছে। শাকিল গিয়ে দরজা খুলে দেয়। খুলে সে অবাক দাঁড়িয়ে থাকে, রৌদূসী এসেছে । রৌদূসী আবার নীল রঙের শাড়ি পরে এসেছে , হাতে নীল চুরি , কপালে নীল টিপ , ঠোঁটে নীল লিপিষ্টিক । অসম্ভব সুন্দরী লাগছে রৌদূসী কে । রংধনুও হার মানবে আজ ওর কাছে ।

শাকিল ঃ তুমি এতো রাতে ?

রৌদূসী ঃ শাকিল আমাকে বাঁচাও প্লিজ । আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও ।

শাকিল ঃ কি হইছে বাবু তোমার? আমাকে খুলে বলো প্লিজ?

রৌদূসী ঃ হ্যা বলবো, তার আগে চলো ছাঁদে যাই । চাঁদের আলোটা আজ খুব ভালো লাগছে ।

শাকিল ঃ আজ তো অমাবস্যার রাত। আচ্ছা যাই হোক, তোমার ভালো লাগছে তাহলে অবশ্যই ভালো। চলো।

২জন ছাঁদে যায় । রৌদূসী তার কথা বলছে

রৌদূসী ঃ জানো কেউ একজন আমার উপর কালোজাদু করছে । সে চায়না আমি তোমার হই । তোমাকে আমার কাছে থেকে আলাদা করতে চায়। ( এই বলে আফরিন শাকিলকে জরিয়ে ধরে )

শাকিলও জরিয়ে ধরে রৌদূসীকে । তবে সে বুঝতে পারে যে তাকে ছাঁদের একদম শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে এক অদৃশ্য শক্তি।

রৌদূসী শাকিলকে ধাক্কা দিতে যাবে আর ঠিক সেই মুহুর্তে শাকিল রৌদূসী কে ঠেলে সরে আসে ।

রৌদূসী রাগে গরগর করতে থাকে । চোখ ২টা দিয়ে যেন আগুন ঝরবে এমন অবস্থা , চুল গুলো এলোমেলো হয়ে উড়ছে । শরীর দিয়ে ফেটে যেন রক্ত ঝরছে । পুরো পরিবেশ ভয়ানক অবস্থা। রৌদূসী দৌড় দিয়ে এসে শাকিলের উপর ঝাপিয়ে পরে, ওকে মেরে ফেলতে চায় এমন সময় দুপুর ছাক্বদে চিৎকারের শব্দ শুনে চলে আসে । এসে এই অবস্থা দেখে হাতের সিগারেট টা ছুরে মারে। আগুন দেখে পালিয়ে যায় ।

দুপুর ঃ ঐ ছেলেটা কে শাকিল ?

শাকিল ঃ রৌদূসী ।

দুপুর ঃ ঐটা ১টা ছেলে প্রেতাত্মা ছিল । তোকে মারতে আসছিল। বেঁচে গেছিস।

শাকিল ঃ থাংকস রে দোস্ত ।

তারপর শাকিল দুপুরকে সব খুলে বলে । পরেরদিন দুপুর শাকিক কে নিয়ে এক জ্বীন হুজুরের কাছে আসে।
হুজুর বলে রৌদূসীর উপর কেউ একজন প্রেত চালান করেছে । আর ঐ প্রেতাত্মা শাকিল আর রৌদূসী কে এক হতে দিবে না। প্রয়োজনে মারাত্তক কিছুও হতে পারে। আপাতত ১টা তাবিজ দিয়ে দেন হুজুর । ফিরে আসে বাসায় । শাকিল রাতে রৌদূসীর মা কে ফোন দিলে সে বলে রৌদূসী ভালো আছে । পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শাকিল ক্যাম্পাসে যায় । সেখানে শিপনের সাথে দেখা হয় । শিপনকে শাকিল সব খুলে বলে । শিপন শাকিলকে বলে আমার সাথে ১ ওঝার কাছে জেতে পারিস। সে তোর সব সমস্যা দূর করে দিবে । শাকিল কোন কিছু না ভেবেই যেতে রাজি হয়ে যায় । দুপুরের পর তারা রওনা হয় । সন্ধার দিকে গাজিপুরের সিমলা নামের এক গ্রামের এক পোড়া বাড়ীতে নিয়ে যায় । ধিরে ধিরে সন্ধ্যা রাতে পরিনত হয় ।

শাকিলঃ কিরে তোর ওঝা কোথায়?

শিপনঃ আসছে, অপেক্ষা কর।

এই বলে শিপম শাকিলকে রেখে বাইরে যায় ।

শাকিল ১টা ভাঙা চেয়ারে বসে আছে । পিছন থেকে শাকিলের মাথায় প্রচুর আঘাত এসে পরে। এক চিৎকার দিয়ে মাটিতে লটিয়ে পরে শাকিল।
ঐদিনের পর থেকে কেউ আর শাকিলের খোজ-খবর বা দেখা পায় না ।

২দিন পর রৌদূসী সুস্থ হয়ে যায়। এবং সে শাকিলের অতিতের সব স্মৃতি ভুলে যায় ।

কোন এক দিন শিপন রৌদূসীর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় । ২ পরিবারের সম্মতিতেই ওদের বিয়ে হয় । খুব ভালোভাবেই শুরু করে দুজন তাদের নতুন সংসার । বছর প্রায় শেষের দিকে । শিপন আর রৌদূসীর ঘরে কিছুদিন পর নতুন সদস্য আসবে । শিপন চেষ্টা করে সব সময় রৌদূসী কে সময় দেবার । এর মাঝে হটাৎ করে একটা প্রবলেম শুরু হয় । একটা ছেলে রৌদূসীকে খুব ডিস্টার্ব করছে , সে বলে রৌদূসী নাকি তার প্রেমিকা। ছেলেটির নাম শাকিল। কিন্তু রৌদূসী তো শাকিল নামে কাউকে চেনেই না । সে শিপনকে ভালোবাসে, শিপন তার স্বামী। সে শিপজকে সব খুলে বলে। শিপক রৌদূসীকে ১টা তাবিজ এনে দেয় । তারপর থেকে ছেলেটা আর আসে না ।

রৌদূসীর একটু সন্দেহ হয়। তাবিজ আর ছেলেটার মধ্যের সম্পর্ক কি? রৌদূসী তার মা কে জিজ্ঞাস করে । তার মা তাকে তার বিয়ে আগের ঘটনা খুলে বলে । রৌদূসী কথা গুলে শুনে তার আগের কথা মনে পরে । অঝরে কেঁদে উঠে মেয়েটা । তারপর কিছুদিন খুজে ফিরে শাকিলকে । কিন্তু কোথাও পায় না ।

ইদানিং রৌদূসী শিপনের সাথে যেন কেমন খারাপ আচরন করছে ।

শিপম ঃ রৌদূসী কি হয়েছে তোমার ?

রৌদূসী ঃ কিছু না ।

শিপন ঃ কিছু তো একটা হয়েছে । বলো?

রৌদূসী ঃ আমার শাকিল কোথায়? আমার শাকিলকে এনে দাও। (কেঁদে কেঁদে বলে )

শিপন ঃ শাকিল কে?  আমি তাকে চিনি না ।
রৌদূসী ঃ তুমি জানো। তা না হলে আমাকে এই তাবিজ এনে দিছো কেনো ? প্লিজ আমার শাকিলকে এনে দাও আমি শাকিলের কাছে যাব।

শিপন ঃ (রেগে গিয়ে) শাকিলের কাছে যাবি তুই? শাকিলকে আমি মেরে ফেলছি। (বলে থাপ্পর দেয় রৌদূসীকে)

রৌদূসী ঃ কিহ! আমি তোমাকে পুলিশে দিব (।

শিপন ঃ আমাকে পুলিশে দিবি? কি প্রমান আছে তোর কাছে ? আর হ্যা , শাকিলই কি তোকে শুধু ভালোবাসতো ? আমি কি বাসি না?

রৌদূসী ঃ (শিপনের শার্টের কলার ধরে) আমি শাকিলের কাছে যাবো । তুই আমার শাকিলকে এনে দে ।

শিপনঃ হারামজাদি তুই শাকিলের কাছে যাবি ক? যা তাহলে ছাঁদ থেকে লাফ দে। তারপর তোর শাকিল এসে তোকে নিয়ে যাবে।

পরেরদিন সকালে শিপন রৌদূসীকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার সময় গাড়ি ব্রেকফেল করে এক্সিডেন্টে শিপন আর  রৌদূসী দুজনে মারা যায় । মৃতদেহ পরে থাকে রাস্তায়। দেহ থেকে আত্তা বেড়িয়ে আসে শিপনের আত্তাকে কালোজামা পরা ৩জন এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায় । দুরে দাড়িয়ে আছে শাকিলের আত্তা । রৌদূসীর আত্তা দৌড় দিয়ে শাকিলের আত্তার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে

রৌদূসীর আত্তা ঃ জান আমি তোমার কাছে চলে এসেছি ।

শাকিলের আত্তা ঃ কিন্তু কেন তুমি এটা করলে ? গাড়ীর ব্রেক তুমি আগে থেকেই লুস করে দিয়েছিলে ।

রৌদূসীর আত্তা ঃ এটা ছারা তোমার কাছে আসার আমার আর কোন উপায় ছিল না ।

শাকিলের আত্তা ঃ কিন্তু তোমার বাচ্চা ? সে কেন অকালে প্রানটা হাঁরালো ?

রৌদূসীর আত্তা ঃ ঐটা আমার বাচ্চা না । ঐটা শিপনের বাচ্চা , আমি তো ঐটাকে পৃথিবীতে আনতে পারবো না ।

এরপর রৌদূসী আর শাকিলের আত্তা চলে যায় অন্য কোন জগতে । যেখানে হয়তো আর কোন শিপন বা কোন কালোজাদু তাদের ভালোবাসার মাঝে সমস্যা করবে না । এরপর থেকে শুরু হবে তাদের নতুন জীবন । তবে তারা আর মানুষ হয়ে সংসার না করতে পারলেও ভূত হয়ে খারাপ সংসার জীবন কাটাচ্ছে না তারা ।

“”সমাপ্ত””

গল্পটি পরে মাহাদি মনে মনে বলে শালা গল্পটি সত্যিই ফাটাফাটি হয়েছে । মাহদি দুপুর কে ফোন দেয়

দুপুর ঃ এতোরাতে আবার ফোন দিছিস কেন ?

মাহাদি ঃ দোস্ত গল্পটা খুব ভালো হয়েছে থ্যাংকস ।

দুপুর ঃ যা কোল বালিস নিয়ে ঘুমা । গুড নাইট ।

কথা শেষ করে দুপুর ঘুমাতে যায় ।

দরজায় টোকার শব্দ । ঘুম ভেঙ্গে যায় দুপুরের। ধিরে ধিরে গিয়ে দরজা খুলে দেয় । খোলার সাথে সাথে দুইটা ছেলে আর একটা মেয়ে রুমে ঢুকে পরে ।

দুপুর ঃ কে কে , কে তোমরা ?

প্রথম জন ঃ আমাদের চিনতে পারছো না ? হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা ।

দ্বিতীয় জন ঃ আমি শাকিল ।
তৃতীয় জন ঃ আমি রৌদূসী আর ও শিপন।

বুঝলাম কিন্তু আমি তো তোমাদের চিনি না । কেন এতোরাতে একজন ভদ্রলোকের বাসায় এসে ডিস্টার্ব করছো?

শাকিল তুমি ভদ্রলোক? হাহাহাহাহা (ভৌতিক হাসি) তুমি একজন খুনি ।

দুপুর ঃ হোয়াট ? পাগল নাকী তোমারা ল?

রৌদূসী ঃ হাহাহাহা । পাগল না , আমরা আত্তা বা ভূত ও বলতে পারো।

দুপুরবম ঃ কি সব আজে বাজে বলছো ? ভূত বলতে কিছু নাই ।

শিপন ঃ ভুত বলতে কিছু নাই? তাহলে তুমি কেন আমাদের ভুত বানালে আর কেনো রৌদূসী আর শাকিলকে ভূতের সংসার দিলে। কেন রৌদূসীকে আমার বউ রাখলে না?

দুপুর ঃ কি বলছো তোমরা ? আমি কিছু বুঝতেছি না ।

রৌদূসী ঃ আমরা তোমার “” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “” গল্পের শাকিল , শিপন আর রৌদুসী । তোমার সাথে আমাদের কিছু বোঝাপড়া আছে ।

শাকিল ঃ তুমি কেন আমাকে ঐ পোড়াবাড়ী নিয়ে গিয়ে আমার বন্ধু শিপনের হাতেই আমাকে মারলে? তুমি জানো কি পরিমান ব্যথা পেয়েছি আমি? আমি একটা পাথর নিয়ে এসেছি আমিও তোমাকে এখন সেইভাবে আঘাত করে মারবো ।

দুপুর ঃ আজব । কি বলো তোমরা? ঐটা একটা গল্প। (কথা শেষ হতে না হতেই শাকিল দুপুরে মাথায় আঘাত করে, মাটিতে বসে পরে দুপুর ) প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচাও। আমি মরে যাচ্ছি ।

রৌদূসী ঃ না না । মরলে তো হবে না । তুমি আমার অনাগত বাচ্চাকে আমার হাত দিয়ে মারিয়েছো। আগে বলো কিভাবে একটা মা এই কথা বলতে পারে যে এই বাচ্চা এই বাচ্চা সে দুনিয়াতে আনতে পারবে না? সেটা তো শিপনের একার বাচ্চা না আমার ও বাচ্চা । কিন্তু তুমি আমাকে দিয়ে এই কথা বলিয়েছো আর আমাকে দিয়ে আমার বাচ্চাকে মারিয়েছো। (কেঁদে উঠে রৌদূসী)

দুপুর ঃ দুপুর তোমরা বুঝতেছো না কেন এটা শুধু একটা গল্প । প্লিজ তোমরা চলে যাও ।

শিপন ঃ আমাকে আমার বাচ্চা ফিরেয়ে দাও । তা না হলে আমি তোমাকে মেরে ফেলবো । ( বলে গলা টিপে ধরে দুপুরের)

রৌদূসী আর শাকিলও এসে গলাটিপে ধরে আর বলে কেনো তুমি আমাদের সবাই কে মেরে ফেললে? তোমার লেখার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে বলেই কি তুমি যা খুশি তাই করবে ? আজ তোমাকে মরতে হবে আমাদের হাতে ।

ধিরে ধিরে দুপুরের সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসে।

এই দুপুর এই দুপুর কি হইছে তোর ? এমন করছিস কেন বাবা ?

দুপুর ঃ মা আমি কি স্বপ্ন দেখছিলাম এতক্ষন ?

মা ঃ হ্যা বাবা । বাবা তুই মনে হয় খারাপ কিছু দেখছিস। আমি তোর পাশে শুয়ে তোর মাথা বুলিয়ে দেই । তুই এই পানি টা খেয়ে ঘুমা আব্বু ।

মা কে জরিয়ে ধরে কাঁপতে কাঁপতে ঘুমিয়ে পরে দুপুর । পরের দিন থেকে দুপুরের টানা ২২দিন খুব জ্বর ছিল । আর গলায় হাতের দাগ থাকে । যদিও এই কথা সে আজকের আগে কারো সাথে শেয়ার করে নাই । এখনো প্রতি রাতে দুপুরের জ্বর আসে । ভয়ে মাঝে মাঝে এখনো গা শিউরে উঠে ।

................................. সমাপ্ত .................................

বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১

প্রেতাত্মা রহস্য

 #প্রেতাত্মা_রহস্য

প্রেতাত্মার লেখা গল্প - written by A R Shipon 


সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়া শিপনের প্রতিদিনের অভ্যাস । আজও চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়ছে । হটাৎ শিপনের মুখ কালো হয়ে উঠলো । খবরের কাগজে বড় করে ছাপা হয়েছে , বরিশালের সরুপকাঠি গ্রামের জমিদার বাড়ীতে পর পর ৬ দিনে ৬ টি লাশ পাওয়া গেছে । জ়মিদার বাড়ীটি ভৌতিক বাড়ী নামে পরিচিত। লাশের শরীরে নখের আঁচর এর দাগ ছারা আর কোন চিহ্ন নেই । এবং লাশগুলো রক্তশুন্য । গ্রামের লোক জন বলছে , জমিদার বাড়ীর প্রেতাত্মারা কোন কারনে রেগে এই অঘটন ঘটাচ্ছে । এর কিছুদিন আগেও এখানে এই রকম ঘটনা ঘটেছে । অনেকে এখানে রাতে প্রেতাত্মাদের দেখেছে ।

পরেরদিন সকালে পত্রিকা আসতে দেরি হয়েছে । তাই চা খেতে খেতে ট্যাব টা হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে শিপন । নটিফিকেশন চেক করার সময় শিপনের চোখে পড়ল সাদিয়া তাকে ১টা ছবি ট্যাগ করেছে । ১টা লাশের ছবি , সাথে হ্যাস ট্যাগে লেখা সরুপকাঠির জমিদারবাড়ীর প্রেতাত্মাদের হাতে পর পর ৭ দিনে ৭ লাশ । আতংকে কাটছে গ্রাম বাসির দিন কাল। আমারও খুব ভয় লাগছে ।

তারপর ই ফোন দেই সাদিয়াকে শিপন। সাদিয়ার কাছে সব কথা শুনে মিরাজ , নজরুল , জুয়েল এর সাথে কথা বলে । ওরা আজ রাতে বরিশাল যাবে। ও বলাই তো হয়নি শিপন , মিরাজ , সাকিল , জুয়েল , নজরুল, ইউসুফ ১টা ভৌতিক প্রাইভেট ডিটেক্টিভ ফার্ম চালায় । তবে এখন পর্যন্ত কোন সফল অপারেশন তারা চালাতে পারেনি । এবং জীবনে ভূতও দেখিনি তারা।

ফোনে সাদিয়াকে সব বলা ছিল । সাদিয়া শিপনের বন্ধু , সে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পরে । শিপনরা সাদিয়াদের বাসায় উঠবে । 

সকাল ৮টার দিক ওরা সাদিয়াদের বাসায় এসে পৌছে । সাদিয়ার মা ওদের জন্য অনেক খাবারের আয়োজন করেছে। মহিলাটি সত্যি দারুন রান্না করছে , দুপুরের খাওয়া শেষে বলল মিরাজ। রেষ্ট নিয়ে ওরা বিকেলে সাদিয়াকে নিয়ে বের হলো জমিদার বাড়ি দেখতে। 

বাড়িটা দেখতে সত্যি ই খুব ভয়ংকর । অনেক পুরোনো দালান । প্রশাসন বাড়ির ভিতরটা দেখতে দিল না । দূর থেকে দেখে শিপনের দেখে মনে হলো সত্যি খুব ভয়ানক কিছু আছে এই বাড়িতে । আজ রাতে শিপন সহ বন্ধুরা এখানে আসবে এবং সারা রাত এখানে থাকবে । 

রাতের খাবার শেষ করে ১০টার সময় আসলো। বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখলো ওরা। তেমন কিছুই দেখতে পেল না । রাত ৩ টার দিকে সামান্য একটু শব্দ পেয়েছিল। ঘরের টিন এ কিছু ফেলে দিলে যে রকম শব্দ হয় সেই শব্দ। তাছারা আর কিছুই মনে হলো না । এভাবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত ছিল ওরা ঐখানে। তারপর আযানের পর ফিরে এলো । বাসায় এসে ঘুম। ১১টার পর একেক জনের ঘুম ভাঙলো ওদের । সাদিয়া চা দেয় আর বলে কাল কি পেলে তোমরা?

শিপন ঃ কিছুই পাইনি , শুধু একটু লোহা বারি দিলে যে শব্দ হয় সেই শব্দ ।

সাদিয়া ঃ দেখলাতো প্রেতাত্মারা তোমাদের ধোকা দিয়ে ঠিকই আরো একজন মানুষ মেরে রেখে গেল । আবার চিঠিও দিয়ে গেছে ।

শিপন ঃ চিঠি ? কি লেখা চিঠিতে ?

সাদিয়া ঃ চিঠিতে লেখা আগামি এক সপ্তাহ প্রেতাত্মাদের রাজা মানুষের রক্ত শুধু খাবেই না সাথে সাথে সে রক্ত দিয়ে গোসল ও করবে। তাই সে গ্রামের মাদবর কে উদ্দেশ্যে বলেছে তাকে প্রতিদিন ২টা মানুষ দিতে হবে । 

( শিপন , মাহাদি , নজরুল ওরা একসাথে হেসে উঠে )

সাদিয়া ঃ আজকে যার লাশ পাওয়া গেছে সে একজন আফ্রিকান , তার শরীরেও কোন রক্ত ছিল না। আর প্রেতাত্মাদের চিঠি পরে সবাই গ্রাম ছেরে পালাচ্ছে । 

শিপন ঃ আফ্রিকান এখানে আসলো কিভাবে ? তাহলে তো লাশটা দেখে আসতে হয় । 

নাস্তা করার সময় সাকিল পেপাড় পরে বলছে কি নতুন এক মাদকদ্রব্য আসছে যেটা নাকি ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক । অল্পদিনেই ধংস করে দিতে পারে যুব সমাজ কে । এই নিয়ে কথা চলছে ওদের মাঝে ।

নাস্তা সেরে ওরা মর্গে যায় লাশ দেখতে , লাশ দেখে যেন শিপন আকাশ থেকে পরলো । হ্যা শিপন এই লোকটাকে চিনে , সে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ । সে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য আবিস্কার করে যুব সমাজ কে ধংস করছে । কিন্তু সে কিভাবে এখানে আসল । সে কাউকে কিছু বলল না । তারপর তারা চলে গেল সবাই।

বিকেলে নাস্তা করে শিপন আর সাদিয়া নদীর পাসে হাটতে গেছে । ২জন হাটছে আর কথা বলছে। শিপন সাদিয়াকে বলল আমি আজ একা জমিদার বাড়ীতে যাবো, তুমি কাউকে বলবে না । হাটতে হাটতে নদির পাসে একটা নৌকার কাছে গিয়ে আসে তখন নৌকা থেকে এক পাগল এসে কাঁমর দেই সাদিয়াকে। তারপর তারা দৌড়ে চলে আসে । সাদিয়া ব্যাথায় কেঁদেই চলছে। তারপর বলে ওই পাগলটা ঐখানেই থাকে । ওর জন্য ঐ পাসে কেউ যেতেই পারে না , গেলে কামড় দেয় আর দৌড়ানি দেয় । 

রাতে শিপন একা একা যায় ঐখনে । এখন প্রায় রাত ১২ টা। ঘুরতে ঘুরতে হটাৎ জোরে শব্দ শুরু হয় । প্রচন্ড ঝোড়ো হাওয়ার শব্দ । কিন্তু কোথা থেকে আসছে। মাঝে মঝে প্রেতাত্মার হাসি। শিপন এবার জমিদার বাড়ীর আরো কাছে গেল । শব্দ টা বাড়ির নিচ থেকে আসছে । বাড়ির চারপাস ঘুরেও কোন শব্দের উৎস পেল না । হাটতে হাটতে হটাৎ শিপন দেখে ২টা প্রেতাত্মা নদীর পার থেকে আসতেছে , কি যেন টেনে নিয়ে আসতেছে ওরা । শিপন পাসে ১টা ঝোপে লুকিয়ে যায় । 

প্রেতাত্মারা এসে ১টা লাশ রেখে আবার নদীর দিকে যেতে থাকে । শিপনও ওদের পিছু পিছু যায় । প্রেতাত্মা গুলো নৌকাতে গিয়ে বসে । রাত প্রায় ৩ টা বাজে তখন ১টা ছোট লঞ্চ আসে নদীর পারে ওই পাগলের নৌকার কাছে । পাগল দৌড় দিয়ে লঞ্চ থেকে নামা মানুষটার কাছে গিয়ে কথা বলা শুরু করে । আর ওই ২টা প্রেতাত্মা পাগলের নৈকাটা সরিয়ে দেয় । 

শিপন হটাৎ মুচকি হাসলো , কারন সে এখন বেপারটা বুঝে গেছে । সে বিস্তারিত সব সাদিয়াকে এস,এম,এস করলো এবং বলল যে নজরুলদের নিয়ে যেন ওরা তারাতারি এখানে চলে আসে আর পুলিশকে নিয়ে আসে । 

শিপন ধিরে ধিরে নৌকার কাছে এগুতে থাকে। শিপন ভয় পেয়ে যায়, কে যেন ওর পিছনে হাত রেখেছে । পেছনে চেয়ে দেখে সাকিল । 

শাকিল ঃ আমি তোমার পিছে পিছে অনেক আগেই এসেছি। চলো আমরাও ভিতরে গিয়ে দেখি।

শিপন ঃ চলো পাগল টার ব্যবস্থা করি ।

তারপর সাকিল পিছন থেকে গিয়ে পাগল টার মুখ আটকে ফেলে । শিপন এসে পাগল এর শরিরের গামছা আর দড়ি দিয়ে পাগল কে বেঁধে ফেলে । 

এরপর তারা নিচে নামে । একটা অন্ধকার সুরঙ্গ পথ । পা টিপে টিপে ১০ মিনিট হাটার পর আলো দেখতে পায় । এক কোনাতে গিয়ে চুপ করে বসে দেখে। … জমিদার বাড়ির নিচের পাতাল ঘর পুরোটা ১টা ল্যাব এর মত বানিয়ে রেখেছে । 

১টা লাশ থেকে মেশিন দিয়ে রক্ত বের করে নিচ্ছে ……। ওদের কথা বার্তায় যতটুকু বুঝা গেল ওরা মরা মানুষের রক্ত দিয়ে কোন ওষুধ বানায়।

না ওরা ড্রাগস বানাচ্ছে বলে সাকিল। ওই দেখ ওই আফ্রিকান , যে কিনা গত বছর ভারতে ধরা পরেছিল। 

শিপন ঃ সাকিল তুই এখনই বাইরে যা , গিয়ে ওদের ফোন দে। তারাতারি পুলিশ নিয়ে আসতে বল । 

সাকিল তারপর চলে যায় ।

কিছুক্ষন পর পেছন থেকে ২টা প্রেতাত্মা শিপনকে ধরে ফেলে । শিপনকে ল্যাব এর ভিতর নিয়ে আসে । এনে এক আগত্বক এর সামনে ফেলে দেই

লোকটা হাসতে হাসতে বলে …

আগত্বক ঃ স্বাগতম আপনাকে আমাদের এই প্রেতাত্মার রাজ্যে । আপনাকে ধন্যবাদ আপনি যুব সমাজের আমোদের গবেষনার জন্য সেচ্ছায় রক্তদান করতে আসার জন্য । যাই হোক এই মেশিন টা তে ঢোকানোর পরপরই আপনি মারা যাবেন তারপর আপনার রক্ত নিয়ে ফেলে দিয়ে আসা হবে , আর সবাই বুঝবে যে আপনাকে প্রেতাত্মারা। হা হাহাহাহাহাহাহ

আর হ্যা মারা যাওয়ার আগে একবার প্রেতাত্মাদের দেখে নিন 

তারপর প্রেতাত্তারা তাদের মুখোস খুলে ফেল , এরা আফ্রিকা থেকে এসেছে , অনেক লম্বা আর কালো । আফ্রিকান শিপন কে জোর করে ধরে মেশিনে ঢুকাবে আর এই সময় শিপন ঝাটকা দিয়ে ১টা লোহা দিয়ে মেশিনটার কাচ ভেঙ্গে ফেলে আর এক আফ্রিকানের মাথায় আঘাত করে ……

তারপরই একজন পিছন থেকে এসে শিপনের পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় । শিপনের চোখ আবছা হয়ে আসে , লুটিয়ে পরে সে । 

২ দিন পর জ্ঞ্যান ফিরে শিপনের ঢাকার হাসপাতালে। ওর পাসে মাহাদি , নজরুল , ইউসুফ , সাকিল আর সাদিয়াকে দেখতে পায় । সাদিয়া ওদের সাথে ঢাকায় এসেছে । 

শিপন জ্ঞ্যান হারানোর পরপরই সাকিল মাহাদিদের সাথে পুলিশ নিয়ে আসে এবং ওদের ধরিয়ে দেই । আর শিপনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ।

পরে পত্রিকায় আসে ওই লোকগুলো মানুষের রক্ত দিয়ে ড্রাগস বানিয়ে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে দিত তরুনদের মাঝে । আর যে আফ্রিকান টার লাশ পাওয়া গেছিল সে ই এই ড্রাগসের আবিস্কারক । সে যেন আর নতুন কিছু আবিস্কার করে এই ব্যবসা নষ্ট করতে না পারে তাই তাকেও মেরে ফেলে। 

পত্রিকা পড়ে শিপন হাসে । তখন সাদিয়া শিপনে বলে হাসছো কেন ? 

শিপন বলে প্রেতাত্মার রহস্য শুনে হাসলাম। এই প্রেতাত্মা গুলো আমাকে মেরেই ফেলেছিল প্রায় …।।