আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন । https://www.facebook.com/arshipon23
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
একুশে ফেব্রুয়ারী ও শিরক বা পূজা।
একুশে ফেব্রুয়ারী ও শিরক বা পূজা।
প্রথমেই আমি শিরক সম্পর্কে একটু ধারনা নিয়ে নেই।
#শির্ক
ইসলাম ধর্মে, শির্ক (আরবি: شرك širk) পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায় অর্থাৎ শির্ক হল আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করা। শাব্দিকভাবে এর দ্বারা এক বা একাধিক কোন কিছুকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও কর্তৃত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করাকে বুঝায়। এটি তাওহিদের পরিপন্থী একটি বিষয়। ইসলামে শির্ক হল একটি অমার্জনীয় অপরাধ যদি না মৃত্যু নিকটবর্তী হবার পূর্বে আল্লাহ্র নিকট এই অপরাধের জন্যে ক্ষমা চেয়ে না নেয়া হয়। ইসলামের নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ক্ষমা না চাইলেও মৃত্যুর পর নিজের বিচার অনুসারে তার ইবাদতকারীদের যে কোন ভুল ক্ষমা করতে পারেন, কিন্তু শির্কের অপরাধী দুনিয়াতে ক্ষমা না চাইলে কখনোই ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ্ তায়ালা শির্কের বিপরীত তাওহিদের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এভাবে,
বলঃ তিনিই আল্লাহ। একক/অদ্বিতীয়।
আল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী নন। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন,
এবং তাঁর সমতুল্য কেহই নেই। সুরাতুল ইখলাস।
#পূজা
পূজা (সংস্কৃত: पूजा) হিন্দুদের পালনীয় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দুধর্মতে, দেবতাগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা অতিথিদের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। স্থান ও কালভেদে বিভিন্ন প্রকার পূজানুষ্ঠান এই ধর্মে প্রচলিত। যথা, গৃহে বা মন্দিরে নিত্যপূজা, উৎসব উপলক্ষে বিশেষ পূজা অথবা যাত্রা বা কার্যারম্ভের পূর্বে কৃত পূজা ইত্যাদি।[১]
পূজানুষ্ঠানের মূল আচারটি হল দেবতা ও ব্যক্তির আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশেষ উপহার প্রদান। পূজা সাধারণত গৃহে বা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। পূজার বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে।[২]
দুর্গাপূজা বা কালীপূজার মতো উৎসবগুলি প্রকৃতপক্ষে পূজাকেন্দ্রিক উৎসব।
#একুশে_ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস, যা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী [১] প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এটি শহীদ দিবস হিসাবেও পরিচিত। এ দিনটি বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালে এইদিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত উল্লেখযোগ্য এবং এই কারণে এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
১৯৫২ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ঢাকায় একুশে বইমেলার আয়োজন করে।
#সারসংক্ষেপ
৮ ফাল্গুন বা একুশে ফেব্রুয়ারী সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের অধিকাংশ লোক আমরা দ্বিধাদন্দে থাকি যে এই যে একুশে ফেব্রুয়ারী পালিন এটা কি শিরক, পুজা বা বেদাত নাকি। আমি উপরে শিরক ও পূজার ব্যাক্ষা দিয়েছি, এখন আপনিই বলুন এটা কি কোন ভাবে শিরক বা পূজা হয় নাকি? আল্লাহ আমাদের জ্ঞ্যান দিয়েছেন বিবেচনা করার জন্য। এর জন্যই আমরা আশরাফুল মাখলুকাত।
আমার মতে একুশে ফেব্রুয়ারী শিরক বা পূজা না। এটা বাংলা ভাষাভাষীদের একটা আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর এমন একটি জাতী নেই যারা ভাষার জন্য প্রান দিয়েছেন। এখন সেই শহীদদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে তাদের জন্য মিনার স্থাপন (এখানে মিনারের ব্যাক্ষাও দেওয়া উচিৎ ছিলো) করে সেখানে ফুল দিলে সেটা কিভাবে শিরক হয়? আর ফুল দেওয়া মানেই কি পূজা। ফুল তো ভালোবাসার প্রতিক। অনেক সাহাবীগন তাদের স্ত্রীদের ফুল দিয়েছেন। প্রিয় নবী (সঃ) কে হিজরতের সময় ফুল ছিটিয়ে বরন করা হয়েছে।
এখন অনেকে বলে যে শহীদ মিনার হচ্ছে কবর, কবরে ফুল দেওয়া শিরক, গোনাহ বা পূজা। হ্যা, কবরে ফুল দেওয়া গোনাহ। কিন্তু শহীদ মিনার কোন কবর না। যারা এটা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।
এই যে আমি বাংলাভাষায় কথাগুলো লিখছি, আমি পারতাম না লিখতে যদি না তারা আন্দোলন করতো বা শহীদ। এই যে লিখতে পারছি তাদের উছিলায় এর জন্যেও কি তাদের জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবো না?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
প্রেম বিস্মৃতি অথবা প্রস্থানের গল্প প্রেতাত্মার লেখা গল্প - Written by A R Shipon. প্রেম তো সূচির জীবনে এই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার এসে...
-
তুমি কি ডাকনাম পাল্টে ফেলেছ? বাড়ির ঠিকানা, কি একলা সিঁড়ি ঘর – বারান্দায় দাঁড়ানো। তোমার ভেতরকার শহরের পিচঢালা পথ কি গিয়ে মিশেছে অন্ধকারে? যে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you for your participation .