শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

বৃষ্টি ও তুই

মেয়েটি দেখছে রোদ রোদটা হৃদয় ছুই ছুই, বৃষ্টি নিবে প্রতিশোধ মেঘটা বলছে তুই তুই। মেয়েটি দেখছে মেঘ মেঘটা আকাশ ছুই ছুই, ঘুড়িটা উড়ছে তবু বেশ পাখিটা বলছে তুই তুই। মেয়েটি দেখছে পাখি পাখিটা দুঃক্ষ ছুই ছুই, লোনা জলে ডোবে আঁখি বৃষ্টিটা বলছে তুই তুই।

বৃষ্টির প্রতিশোধ

বলেছে সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসে দুহাত মেলে, নাজুক কলমি লতার মতো মেঘের সরবোরে। আমি তো মেঘের গোপন খবর আগাম জানতে পারি, হিংসায় জ্বলে পুরে মরি; কতো দীর্ঘ হবে এবার আষাঢ় মাস? কি জানি কতো যুগ আগের প্রেমিক তার বৃষ্টি হয়ে আসে, ষড়যন্ত্রের মতো সুবিন্যস্ত অভিসন্ধি নিয়ে তির্যক তীরের মতো , চুলের গোঁড়া থেকে নাভির গভীরে ছুড়ে দেয়া সুদীর্ঘ চুম্বন চোখের পাতা ও ঠোঁটের ডগা বেয়ে বাতাবী লেবুর মতো বুকে! হিমালয়ের শীত পেটে নিয়ে সরসর সাপের মতো একেবেকে, কোথায় না ছুঁয়ে যায় তার চঞ্চল প্রেমিকের গোপন অসভ্য আঙ্গুল ! শরীরের তাহার প্রশ্রয়ের আলিঙ্গন, আহ্লাদে গলে বৃষ্টির ফোঁটা, ষড়যন্ত্রের মতো সুবিন্যস্ত অভিসন্ধি, সে কি বুঝেও বোঝেনা তা! আবেশে তাহার চোখ কাঁপে তির তির, তৃপ্তির শিহরণ ভেজা সারা গায়ে। আমি হিংসায় দাউ দাউ করি আগুনের মতো, জিঘাংসার ব্রত বুকে নিয়ে। হয়তো সহস্র জনম পরে পবিত্র বৃষ্টি হয়ে জন্ম নেবো এই ঘোর আষাঢ়ে: শত তপস্যার ফলে, ভালবাসার চাবুক চালাবো তার সমস্ত শরীরে, প্রতিশোধের মতো নির্দয়ে, ভিজাবো সে জলে। অধর নিংড়ে তাহার নিতম্ব ছুঁয়ে দেবো নিশ্চয়, অবাধে নির্ভয়ে; আমাকে নিও চিনে, আষাঢ়ের সুবিন্যস্ত বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায়, কামুক বর্ষা ঋতুর বৃষ্টিময় প্রতিটি দীর্ঘ দিনে।

কবি মরুক