শনিবার, ২৮ মে, ২০২২

প্রহেলিকার নস্টালজিক এস্রাজ

 #প্রহেলিকার_নস্টালজিক_এস্রাজ

@A R Shippn


ভাবি ভেবে কেটে যায় অনেক কাল।।


পড়ন্ত বিকেলের শেষ রোদ গায়ে মেখে


হৃদয়ের সবটুকু হৃদ্যতাকে উপড়ে ফেলেও


স্মৃতিরা মুক্তি দেয় না আমাকে।


আমি জানি এই নস্টালজিয়ার কোন মূল্য নেই


এই বোধহীন বাস্তবতার অসীম প্রবাহে।


মুক্তি তোমার পথে বাধা জেনেও চলি মুক্তির আবেশে


এ কোন বিকেলের কর্মক্লান্ততা মেখে আয়েসী পাখির নীড়ে ফেরা নয়,


তবু কেন জানি ভুলো মনে ভুল করে আবার সেই পথেই হাঁটি।


সামনের পথ যেখানে মৃত্যুর মতো সেখানে পরপারে কি হবে


সেটি ভেবে দিন যাবে এমনি তো কথা ছিল।


কিন্তু সময়ের চলমান স্রোতে আমি কেন হঠাৎ নস্টালজিক..?


স্মৃতিরা বারবার কালো আধারের মতো গ্রাস করে আমাকে কেন.?


পেছনটা ফেলে আসায় তো স্বাভাবিক, তাই নয় কি..?


ভবিষ্যৎ যেখানে হাওয়ার মেঘ কিংবা ভুলে মিথ্য পুষ্প পাপড়ি


অথবা সেটিই চির সত্য, তবে কেন তার এতে নির্মমতা?


আাম বুঝতে চাই না বা পারি না, তবুও সেটিকে ধোয়াসা জেনে


সত্য মিথ্যে দুটিকেই সাথী করে, কেন আমার এই আমরণ


চলার ছন্দ? চলি পথ ভুলে কিংবা সঠিকতা দেখে


অথচ ক্লান্তি শব্দটা কতই না দূরে ফেলে।


আমার এই চলার ছন্দ, ইচ্ছা,প্রাপ্তি মোহনা জগৎ সংসারে


কতটা গুরুত্ব বয়ে আনে, আমি জানি না, জানতে ইচ্ছে হয় না,


অথচ জানার ব্যাকুলতা নেই, তবুও জানতে ইচ্ছে হয় ভাবি পথ ভেবে।


আমি চাই না হঠাৎ বৃষ্টি আমাকে স্নান করিয়ে দিক, আমার গন্ধভরা তনু দেখে


পুষ্প সুবাস ছড়াক, কাল বৈশাখী আমাকে উড়িয়ে নিক ভেসে বেড়ানোর আনন্দ দেখাতে


আমি তো আমি, যেখানে প্রাপ্তির লোভ নেই,


তবুও কেন এমন ভ্রান্তি চারদিকে যা আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়


আমার স্মৃতি মুছে ফেলে নূতন ভালবাসার গান শোনায়?


আমকে আমার নিজস্বতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয়ে


হারিয়ে যেতে হয় মুক্ত আকাশের অজানা ব্যাথার সমুদ্রে,


চৌকষতার কঠিন মায়াজালে, অথবা ক্ষীণ সুখ মেখে।


মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২

মন খোলা চিঠি

 প্রিয়া..

বেশকিছুদিন থেকেই ভাবছি, তোমাকে নিয়ে লিখবো, কিন্তু সময়ের স্রোতের সাথে আমার মনের চাওয়ার মিল নেই বলেই হয়ে উঠেনি। মন তো অনেক কিছুই চায়, কিন্তু মনের হাতি-ঘোড়ার সাথে বাস্তবের দূরত্ব অনেক বেশি বলেই, তোমার সাথে আমার এতো বেশি দূরত্ব। এই দূরত্ব কখনো ঘুচবে না জেনেও বিশ্বাস করার মতো মনের অবস্থা আমার নেই, তা তুমি ভাল করে জানো। তুমি অবশ্য অনেক কিছুই জানো, তবুও তোমার কিছু করার নেই,সেটি আমি আবার ভাল করে জানি।আমরা সবই জানি, কিন্তু জানার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকে, তুমি একরকম করে জানো, অথচ সত্যিটা ঠিক তোমার জানার মতো করে নয়, এরকম মাঝে মাঝে হয়। আমার ক্ষেত্রেও সেরকম। তোমার প্রতি আমার এক অমোঘ টান আছে, সেটার কথা তোমাকে বলেছি, কিন্তু তার সত্যি কোন ব্যাখ্যা আমি খুঁজে পাইনি। অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমি পারিনিই। মাঝখানে ভেবেছিলাম, ব্যস্ততা মানুষকে অনেক কিছু ভুলিয়ে রাখতে পারে, সেই চেষ্টা করেছিলাম, তা তুমি ভাল করে জানো, কিন্তু কিছুই হলো না। মন থেকে একদম মুছে ফেলতে পারলাম কই। মানুষের অবচেতন মন বলে একটা ব্যপার থাকে, সেই মনটি যা সত্যি মনে করে তা তোমাকে দিয়ে করিয়ে নিবে, এটি চরম সত্য ব্যপার। মাঝে মাঝে ভাবি, এই আমার আমি এর উপর আমার কর্তৃত্ত এতো কম কেন।আমি মানুষটা সত্যিই কি খুব খারাপ? প্রশ্ন! উত্তর জানা নেই।

মাঝে মাঝে আমি ভাবি, আমি আসলে কি চাই। সত্যি বলতে কি আমি আসলে তোমার কাছে কিছুই চাই না। কিছুই চাওয়া নেই আমার কাছে। তোমাকে এক সময় বলেছি, আমি তোমাকে অধিকার করতে চাই, ব্যপারটি সত্যি নয়, আমি আসলে তোমার কাছে নিজেকে সপে দিতে চেয়েছিলাম। আমি জানি না, তোমার মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারিনিই সত্যি, তবে বুঝতে যে চাইনি, এটি এমন কিন্তু নয়। আমি তোমার মনের উঠোন দিয়ে সত্যিই হেঁটে আসতে চেয়েছি, কিন্তু তুমি যদি কপাট বন্ধ করে রাখো, তাহলে কিভাবে আমি যাই। কপাট খোলার মতো সাহস যে আমার ছিল না। তুমি হয়তো চেয়েছিলে, আমি নিজেই তোমার কপাট খোলে ঢুকে পরি, কিন্তু আমি যে ভেবেছিলাম অন্যভাবে। আমর ভাবনায় ভুল ছিল হয়তো। কি আর করবো, যা হয়েছে তা তো হয়ে গেছে, এখন নতুন করে কিছু হওয়ার নেই, তোমার মনের উঠোনের কর্তৃত্ত আমার নেওয়া হলো না। অন্য কোন রাজকুমার এসে যখন এই স্থান দখল করে নিবে, তা দেখে আমার খুব খারাপ লাগবে, এর চেয়ে বেশি কিছু আর হবে না। তবে নিশ্চয় তোমার খুশি দেখে আমিও খুশি হবো।

তবে এখনো মাঝে মাঝে মনের মাঝে স্বপ্ন বুনি। জানি এসব মিথ্যে স্বপ্ন। তবুও, অন্তত্য স্বপ্নের সময়টুকুতো ভাল লাগে।

সত্যি আমি তোমাকে কখনো ভুলতে পারবো না। কখনো না। তবে তুমি প্রশ্ন করতে পারো, কেন আমি তোমাকে মনের মধ্যে এমন করে বসিয়েছি। এর উত্তর খুব কঠিন। আমি দিতে পারবো না। মানুষের মন খুব জটিল। তুমি তো তুমি। তুমি তোমার তুমিতে তুমিময় হয়ে থাকো। তুমি কখনো আমার তুমি হয়ো না।আমি স্বপ্ন নিয়ে থাকবো। স্বপ্ন যদি কখনো বাস্তব হয়ে যায়, তখন তো সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয়। আমি আমার স্বপ্নের মৃত্যু চাই না।

তুমি বরং আমার স্বপ্নেই থাকো। স্বপ্নের মাঝেই আমি তোমার মনের উঠোন দিয়ে হেটে আসবো। স্বপ্নে তোমার সাথে কথা বলবো। স্বপ্নে তোমার সাথে ঘুরে আসবো রোদেলা দুপুরে আকাশে সূর্য মাথায় নিয়ে। জোছনা রাতের সাথী হবে তুমি। বিশাল দিগন্তের উন্মুক্ত মাঠে আমি আমার স্বপ্নের ঘুড়ি উড়াবো....আমার একাকী কল্পনার দিগন্ত রেখার ধূলোময় মেঠো পথ ধরে হেটে যাবো, পাশে তুমি রবে, কল্পনায়, আমার অস্তিত্বে....

ভালো থেকো তুমি, তোমার তুমি হয়ে।

ইতি,
ভোরের শিশির কিংবা শরতের মেঘ।

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২

নষ্ট জাতী

 এই হলো আমরা বাঙালী জাতী। বাজারে সয়াবিন তেল নাই। তেল গেলো কোথায়? ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেট দের হাত থেকে তেলের খনি বের করে৷ জরিমানা করে। তারপরেও তেল নাই। 

আচ্ছা আপনি কি মনে করেন এর জন্য সরকার দায়ী? 

সরকার তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়েছে যাতে এই অতিরিক্ত লাভটা পেয়ে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা তেল বাজারে ছাড়ে। কিন্তু কতখানি লোভি হলে এরপরেও বাজারে তেল পাওয়া যায় না। কতটা অমানবিক জাতীতে পরিনত হয়েছি আমরা। অথচ আমরা সবাই দাবী করি মুসলমান। ৯০%+ মুসলমানদের দেশ আমাদের। নিশ্চয় এই সিন্ডিকেট কারিদের ৯০% মুসলমান হবে৷ আচ্ছা আমাদের মুসলমান গিরিত্ব কি শুধু মূর‍্যাল বানানোর সময়, ব্লগারদের বাজে কথার সময়, নাস্তিকদের বাড়াবাড়ির সময়? এই যে খাদ্যে ভেজাল, রোজা আসলে সব কিছুর দাম বাড়ানো, ঘুষ খাওয়া, সুদ খাওয়া, সহ এইসব অন্যায়ের সময় কেনো আমাদের ঈমান কথা বলে না। তারপর রাজনিতির কথায় আসি। অমুক ভাই এর নামে কিছু বললে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেলি, ভোটের সময় খুন তো ডালভাত, ছাত্রনেতা হয়ে ছাত্রদের পক্ষে কথা না বললেও সামান্য ইস্যু নিয়ে কতকিছু করে ফেলি। আসলে রাজনিতি কি এসবের জন্য? এই দুঃসময়ে রাজনিতিবিদ গন কোথায়? সরকারি দল, বিরোধীদল, ডান-বাম এরা কি বাজারে যায় না? আসলে আমরা মুসলমান, বাঙালী, জননেতা নামে আছি, কর্মে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি। আমরা পুরো জাতী শুদ্ধ নষ্ট হয়ে গেছি। হোক সে হিন্দু-মুসলমান, সেরা বাঙালী, জননেতা। সবাই নষ্ট হয়ে গেছি। আমিও।

রবিবার, ৮ মে, ২০২২

অকৃতজ্ঞ ভালাবাসা


অকৃতজ্ঞ ভালাবাসা


মাঝে মাঝে ভাবি তুমি বুঝি বড্ডো বেশি ভালবেসে
ফেলেছিলে আমায়। ভালবেসেছ বলেই তুমি অতদূরে।
তুমি চাওনি তোমার ভালবাসা ফিরিয়ে দেই আমি আরও
বেশি ভালবেসে। তুমি চাওনি কোন বিকেলে অপরিণত মনের গভির আবেশে
মিলন প্রত্যাশী চুম্বন। তুমি চাওনি আমার ভালবাসার হলুদ আলোকছটা
তোমাকে ভিজিয়ে দিক;তোমার অহম ভেঙে যাক আমার
হৃদয়ের কম্পনে। তুমি তাই দূরে বহু দূরে হয়ে আছো সোনালী নক্ষত্র।
এখন আর বুকের মাঝে বেদনার আকাশ ঢেলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলি না,
হা হুতাশ করি না,জমাট বাধা কান্নার নিস্তব্ধ হিমবাহ নিয়ে আর
কথা বলি না ধীরে ধীরে। তুমি তো আমাকে ভালই বেসেছিলে।
ভালবেসেছ বলেই আমাকে এই কোলাহলের সমুদ্রে হঠাৎ নিস্তব্ধ করে চলে গেছো
চুপিসারে দূরে। আমি এখন তাই চুপচাপ বসে থাকি। কোন উল্লাস বা
আনন্দে মেতে উঠি না। অর্থহীন কোন ভেড়াজ্বালে নিজেকে জড়ায় না।
এই আমি বেশ ভাল আছি নিজেকে সকল বাধন মুক্ত করে মুক্ত হয়ে।
আমি এখন মুক্ত, মুক্ত আমার সব কিছু। পৃথিবীর কোন রং আর ধরে না
আমার মাঝে, আকাশের চাঁদকে ঘৃণা হয় বলে নীলকেও মেনে নিতে পারি না।
সূর্যটাকে বড্ডো বিশ্রী দেখায় বলে পৃথিবীর সব ফুল ফল ছাপিয়ে আমি
নিজেকে মানিয়ে নিই আধার ঘেরা কোন ছায়াপথে।
এক বুক শূণ্যতা আর চারদিকে নিকষ কালো আধারের মাঝে
নিজেকে ভালই লাগে তখন। কোন অবোধ রহস্য নেই,চারদিকে
কিছুই নেই,শুধুই শূণ্যতা।
আলো নেই,হাওয়া নেই, শব্দ নেই, দুঃখ নেই, সুখ নেই
ভাবনা নেই, হতাশা নেই, আশাও নেই,ভাবনা নেই,
হতাশা নেই, আশাও নেই, ভালবাসা কিংবা
আর সব নিছক মানবীয় গুনাবলীকে তখন নিচে ঠেলে
উঠে যাই আমি সবকিছুর উর্ধ্বে।

তবুও মাঝে মাঝে কোথাও যেন দূর থেকে চেয়ে
থাকে মগ্ন দৃঢ় দুটি চোখ। আমি খুঁজে ফিরি।
হয়তো তুমিই হবে। দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখো আমাকে।
তোমার ভালবাসা আমাকে মহামান্বিত করেও যেন থেমে
আছে কোথাও। সব কিছু ছাপিয়েও যেন আমি থেমে আছি
কোন অবোধ্য জগতের মাঝে। বার বার ভাবি
আমি বুঝি তোমাকেই খুজি, আমার তোমাকে।
ঘাসপাতার আড়ালে, শূণ্যের মাঝে দূরে বহুদূরে
দৃষ্টির সীমার মাঝে।
জানি তুমি কখনো আমার ভালবাসা দু হাত বাড়িয়ে নেবে না
তুমি সূর্যের মতো শুধু দিতেই জানো। আর আমি হায়
নিছক প্রাণি, সহজে সব কিছু পেয়েও নিতে গিয়ে থমকে
দাড়াই। এর সবই কি আমার? তাই কিছুটা
তোমাকে দিতেও চাই। ভালবাসা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে
তোমার ভালবাসাকে অপমান করে অকৃতজ্ঞ হই।

হায় ভালবাসা তুমি আমাকে পৌছে দিয়েছ
সব কিছুর উর্ধ্বে তবুও মৃত্যুহীন করে, অকৃতজ্ঞ করে।