সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

DARK LORD (2)


 

Bhoot Detective Branch - BDB
(ভূত গোয়েন্দা শাখা)
সিরিজের ধারাবাহিক গল্প
গল্প ঃ #DARK_LORD
পর্ব ঃ ২ (দুই)A

 R Shipon 

লাঞ্চ শেষ করে সামান্য রেস্ট নিয়ে বের হয়েছে সবাই। লোকাল কার রেন্ট থেকে এই কদিনের চুক্তিতে একটা গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সাথে একজন ড্রাইভার। ড্রাইভারের নাম রকি।
রকিঃ স্যার কোথায় যাবো এখন?
দুপুর ঃ স্যার না। ভাই বলবেন। এখন যাবো সানসেট পয়েন্ট এর ঐখানে যে রিসোর্ট আছে সেখানে। সেখানে স্পট ভিজিট করে যাবো হাটহাজারী শিকদার বাড়ি।
রকিঃ ওকে ভাইয়া।
গাড়ি ছুটে চলে। শহরের যানযট পেরিয়ে এগিয়ে চলে গাড়ি। ছোট্ট এই শহরে মারাত্মক জ্যাম। পোর্ট সিটি বলেই হয়তো।
পড়ির মন গতকাল থেকেই কেমন জেনো মনমরা। রাহাত গুনগুন করে গান গাইছে। জয় কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। দুপুরের খাবারের পর ঘুম দেওয়া অর্নবের অভ্যাস, গাড়িতে উঠার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরে সে।
জয়ঃ রাহাত তো ভালো মুডে আছিস দেখছি।
রাহাতঃ আরে না। কি যে বলো।
জয়ঃ মনে মনে দিল্লিকা লাড্ডু খিলা হচ্ছে তাই না?
রাহাতঃ দাদা আমি কখন যাবো?
দুপুরঃ সানসেট পয়েন্ট থেকে ফেরার সময় আমাদের নামিয়ে দিয়ে জয় আর তুই যাবি। জয় তোকে গার্ড দিয়ে নিয়ে যাবে। জয় হব তোর এসিস্ট্যান্ট।
জয়ঃ আমি এসিস্ট্যান্ট?  বাহ
দুপুরঃ শুধু তাই না। রাহাত এমন ভাব করবি যে তুই অনেক বড় অফিসার। সাথে গাড়ি আছে। ভাবতে পারতেছিস তুই,  যে তুই তোর ফার্স্ট ডেট দিতে যাচ্ছিস গাড়ি নিয়ে এবং একজন এসিস্ট্যান্ট। জয় তুই কিন্তু ওকে স্যার স্যার বলে ডাকবি।
রাহাতঃ দাদা মজা নিও না। এমনিতেই আমার ভয় ভয় লাগছে।
জয়ঃ দাদা আমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবো।
গাড়ি এসে সানসেট পয়েন্টের পাসের রিসোর্টে  থামে। সেখানে ঘুরে ঘুরে স্পটটা দেখে। লেক আছে। ছোট ছোট টিলার মাঝে খানে মাঠের মত।
দুপুরঃ এটা হবে আমাদের বেস্ট বিয়ের ইভেন্ট। সুন্দর একটা জায়গা।
পড়িঃ দাদা, এখানে পরিবেশটা ভৌতিক করে সাজালে কেমন হয়?
অর্নবঃ পাগল? একজন বিয়ে করবে, সে কিনা ভয়ে ভয়ে বিয়ে করবে। জীবনেও ক্লাইন্ট মানবে না।
দুপুরঃ পড়ির আইডিয়া টা দারুন। লেক, পাহাড়, জংগল এর মধ্যের রিসোর্টে ভৌতিক আমাজের বিয়ে। ইতিহাস হয়ে থাকবে। তোরা কিভাবে কি করতে হবে প্ল্যান কর। ক্লায়েন্টকে রাজি করানোর দ্বায়িত্ব আমার।
পড়িঃ থ্যাংক ইউ দাদা।
জয়ঃ অসাম হবে অসাম দাদা।
দুপুরঃ চল এখন। রাহাত এর ডেটিং এর দেরি হয়ে যাচ্ছে। জয় আর রাহাত আমাদের হাটহাজারী নামিয়ে দিয়ে তোর নিউমার্কেট যাবি। তোদের জন্য সময় বরাদ্দ এক ঘন্টা।
যথা সময়ে হাটহাজারীতে নামিয়ে দেয় পড়ি, অর্নব আর দুপুরকে। ড্রাইভার রকি রাহাত আর জয়কে নিয়ে রওনা দেয় নিউমার্কেটের দিকে। রাহাত রাহাকে ফোন দেয় যে সে আসছে। রাহাও রেডি হয়ে থাকে, কাছাকাছি আসলে রাহাতকে ফোন দিতে বলে ।
জয়ঃ কি রাহাত, খুব এক্সাইটেড তাই না?
রাহাতঃ কিছুটা ভয় ও আছে। প্রথম ডেটে যাচ্ছি, কিন্তু পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা। দাদার কাছে টাকা চাইতেও ভুলে গেছি।
জয় তার ওয়ালেট থেকে ১০০০ টাকার একটি নোট বের করে রাহাতের হাতে গুজে দেয়। নিউমার্কেটের সামনে এসে রাহাত কল দেয় রাহাকে। রাহা ফুলকলির সামনে দাঁড়াতে বলে। কিছুক্ষন পর রাহা আসে। লাল শাড়িতে।  দুজনে একটা রেস্টুরেন্টে বসে। তাদের প্রথম দেখা, প্রথম স্পর্শ। রাহাতের হাতের নখ বড় হয়ে গিয়েছিলো, রাহা রাহাতের হাতের নখ কেঁটে দেয়। রাহা চামচ দিয়ে রাহাতকে খায়িয়ে দেয়। বাইরে জয় আর ড্রাইভার গাড়িতে বসে আছে। রাহাত রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রাহার ভাগ্নির জন্য চকলেট কেনে। হটাৎ করে একটা লোক পেছন থেকে এসে তাকে ধাক্কা দেয়। কেমন জেনো শীতল স্পর্শ। লোকটির দিকে তাকায় রাহাত। চেনাচেনা, কিন্তু অচেনা।  রাহা পাশে ছিলো, অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছিলো রাহাত এর মধ্যে তাই সে আর এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়নি।
রাহাকে নিয়ে গাড়ির কাছে এসে জয় এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর রাহাকে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে বিদায় নেয়।
চিটাগং এর আলোরন রেস্টুরেন্টে মুরগির গিলা কলিজার মোগলাই খেতে দুপুর, পড়ি, অর্নব হাজির। জয়কে ফোন দিয়ে ওদেরও সেখানে আসতে বলে।
রেস্টুরেন্টের দোতালায় বসে সবাই। ড্রাইভার রকিও আসে।
পড়িঃ জয়দা, ক্লায়েন্ট রাজি হয়েছে।
জয়ঃ সত্যি? তার মানে ভৌতিক আবেশে বিয়ের আয়োজন। আহ কি যে একটা কাজ হবে না।
দুপুরঃ বর কনের দুজনের সাথে কথা বলে তাদের কনভেন্স করেছি। বলেছি প্ল্যান চ্যাটের  মঞ্চে বিয়ের মূল কাজ সম্পাদন হবে। ওয়েটার হিসেবে থাকবে ভূতেরা। খাবারের মেনুতেও থাকবে ভূতদের পছন্দের খাবার। কটেজ গুলোকে ভৌতিক বাড়ির মত সাজানো হবে। যারা গেস্ট আসবে তোদের সকলকে ঘোস্ট বানানো হবে। বড় সাজবে ভূত আর কনে সাজবে পেত্নী। এই ম্যাজিকেই রাজি হয়ে গেছে বড় ইয়াসিন আরাফাত আর কনে তানহা জান্নাত। এরা দুজনেই চিটাগং এর স্থানীয় এবং দুজনের অনেক থ্রিলার, সাসপেন্স মুভি দেখে।
রকিঃ আমি মনে হয় আপনাদের সাথে থেকে কাজ করে ভালোই মজা পাবো। আপনারা কি আমাকে সাথে নেবেন?
অর্নব ঃ কেনো নয়।
রকিঃ ধন্যবাদ।
দুপুরঃ রাহাত তোমার রাহার খবর কি? কখন থেকে আমাদের সাথে জয়েন করছে?
রাহাতঃ সরি দাদা। আমি ভুলে গিয়েছিলাম বলতে। আগামীকাল আমি ওকে নিয়ে আসবো।
পড়িঃ আবার ডেটিং দেবার ধান্দা।
দুপুরঃ কাল দিনে তোমার ছুটি নেই। অনেক কাজ আগামীকাল। কাজ শেষ করে যদি সময় পাও তাহলেই যাবে।
রাহাতঃ ঠিক আছে।
সবাই মিলে মুরগীর গিলা কলিজার মোগলাই খায়। কিন্তু দুপুর খেতে পারছে না। বারবার তার ঐ লোমওয়ালা পিশাচটির কথা মনে পরছে।
সবার খাওয়া শেষে গাড়ি নিয়ে রওনা দেয় গেস্ট হাউজের দিকে। গেস্ট হাউজে পৌছে ১০ টার দিকে। রাস্তা থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে আসে। উপুরে উঠে সবাই ফ্রেস হয় একএক করে। পড়ি একা মাত্র একটি মেয়ে। তাই ও পাসের রুমের ওয়াশরুমে ফ্রেস হতে যায়।
ছেলেদের মধ্যে দুপুর সবার শেষে ফ্রেস হয়ে বের হয়।
রাহাতঃ দাদা খুদা লেগেছে। চল খাই।
দুপুরঃ পড়িকে বল সব গুছিয়ে ঠিক করতে।
অর্নবঃ পড়ি কোথায়?
দুপুরঃ পড়ি কোথায় মানে?  ও না ওয়াশরুমে ফ্রেস হতে গেছে।
জয়ঃ সে তো অনেকক্ষন হয়ে গেলো।
দুপুর দ্রুত পাসের রুমের ওয়াশরুমে কাছে যায়। ভেতর থেকে আটকানো। দুপুর পড়িকে কয়েকবার ডাক দেয়। কিন্তু সারা শব্দ নেই। ফিরে আসতে যাবে এমন সময় ভেতরে গুংগানোর শব্দ শুনতে পায়। দুপুর চিৎকার করে সবাইকে আসতে বলে। এরপর দুপুর আর জয়ের কয়েকটা লাথির পর ওয়াশরুমের দরজা ভেংগে যায়। বাথরুমের ফ্লোরে পড়ি পরে আছে। দুপুর গিয়ে ওকে তুলে।
দুপুর ঃ কি হয়েছে?
পড়িঃ দাদা ঐ পিশাচটা মেরে ফেলতে  চেয়েছিলো আমাকে।
দুপুর পড়িকে নিয়ে তাদের রুমে আসে। সোফায় বসায়। রাহাত পানি এনে দেয়।
দুপুরঃ কি হয়েছিলো?
পড়িঃ আমি ফ্রেস হয়ে বের হতে যাবো তখন দেখি বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা লক করা। আমি চিৎকার করি। কিন্তু কেউ যে আমার চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলো না সেটা বুঝতে পারি। তারপরেও দরজা ধাক্কাচ্ছিলাম আর চিৎকার করছিলাম। কোন কাজ হচ্ছিলো না। খেয়াল করলাম। পেছনে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পেছনে ফিরে দেখি কেউ নেই। আবার ভাবলাম হয়তো হ্যালুসিনেশন। তাই বেসিনে গিয়ে মুখ ধুই। মুখ ধুয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে আমি আবার ভয়ে চিৎকার করি। রক্তাক্ত হয়ে আছে আমার মুখ। বেসিনের কল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। আমি সেই রক্ত দিয়েই মুখ ধুয়েছি। আমি কাঁদছিলাম। তারপর হটাৎ আয়নায় লেখা ওঠে #DARK_LORD। আমি আরো ভয় পেয়ে যাই। তারপরেই পেছন থেকে একটু শীতল লোমওয়ালা অদৃশ্য কেউ আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। আমি ঠান্ডা সহ্য করতে পারছিলাম না। শক্তি হারিয়ে দূর্বল হয়ে গোংগাতে থাকি। তারপর তোমার ডাক শুনতে পাই। এরপর তোমরা ভেতরে ঢুকো।
দুপুরঃ আচ্ছা তুই রেস্ট নে। তারপর খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পর।
সবাই বেশ কিছুখন নির্বাক হয়ে বসে থাকে। রাহাত উঠে সবার জন্য বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে সবার সামনে দেয়। ডিনার শেষ করে। দুপুর পড়িকে একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেতে বলে। যাতে ভয়টা কমে একটু ঘুম দিতে পারে।  সকাল থেকে আবার কাজ।
সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। হটাৎ দুপুরের কানে আসে নুঁপুরের শব্দ। চুপ করে থেকে আরো একটু শিউর হয় সে। হ্যা, সত্যিই নুঁপুরের শব্দ। দুপুর বিছানা থেকে উঠে দেখে পড়ি আছে কিনা। পড়ি পড়ির যায়গায় শুয়ে আছে। তাহলে কে??? হটাৎ মনে পড়ে। কেয়ারটেকার সাগরের কথা। সাগর বলেছিলো। এই বাড়ির ছাদে রাতে একটা মেয়ে হেঁটে বেড়ায়। মাঝে মাঝে ছাদের উপর উদ্ভট শব্দ করে। কান্না করে।  কেউ কেউ সাহস করে ছাঁদে গিয়েছিলো মেয়েটিকে খুজতে। কিন্তু কেউ পায়নি। পরে সবাই ভয়ে এই বাসা ছেরে পালিয়েছে।
দুপুর বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে।
উপরে যাবে নাকি অন্যদের মত আবার ঘুমিয়ে পরবে। তবে ঘুম আর তার আসবে না। এর চেয়ে ভালো সাহস করে উপরে উঠে যাওয়া।
দুপুর ধিরে ধিরে কোন রকম শব্দ না করে রুম থেকে বেরিয়ে ছাদে উঠে যায়। তখনও নুপুরের শব্দ আছে। দুপুর ছাদের মাঝখানে যায়। কিন্তু কোথাও কেউ নেই। ডানে তাকায়, বাঁয়ে তাকায়। সব শুন্য। জোঁসনা আছে, চারিদিকে ধোয়ার মত উড়ে বেরাচ্ছে কুয়াশা। দুপুর একটু সামনে এগিয়ে কার্নিশের কাছে যায়। হটাৎ পেছনের একপাশ থেকে অন্যপাশে নুঁপুরের শব্দ করে কে জেনো দৌড় দেয়। দুপুরও সেই দিকে দৌড় দেয়। কিন্তু কেউ নেই। আবার হটাৎ কার্নিশের দিক থেকে মায়াবী হাসির শব্দ। দুপুর আবার কার্নিসের দিকে ফিরে আসে।
দুপুরঃ কে তুমি? আমি তোমাকে একবার দেখবো। (বারবার বলে দুপুর)
আবার নুঁপুড় পায়ে দৌড়ানোর শব্দ, সাথে মায়াবী হাসি।
দুপুর ঃ প্লীজ বলো তুমি কে?
দুপুর ছাদের একপাশে দাঁড়ানো। খেয়াল করে চিলেকোঠার এক পাশ থেকে একটি মেয়ে বেরিয়ে আসছে। পেছন থেকে দেখতে পাচ্ছে সে। সাদা শাড়ি, কালো ব্লাউজ, বিশাল খোলা লম্বা লম্বা চুল। আঁচল মাটিতে আচরিয়ে যাচ্ছে। দুপুর ধিরে ধিরে মেয়েটির পেছনে আসতে থাকে। মনে হচ্ছে মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরী। খুব করে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে। মেয়েটি পেছন ফিরে তাকাচ্ছে না। সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দুপুরও সামনে দিকে এগুচ্ছে।
দুপুরঃ কে তুমি? কি নাম তোমার? একবার পেছনে তাকাও।
মেয়েটি পেছনে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেয়। অসম্ভব মায়াবী জাদুকরী চাহুনী তার।
দুপুরঃ কি নাম তোমার?
মেয়েটিঃ (অসম্ভব মিষ্টি গলায়) হৃদমোহিনী।
মেয়েটি নাম বলে আবার তার জাদুকরী খিলখিল হাসি দিয়ে, নুপুর পায়ে সামনের দিকে দৌড় দেয়। দুপুর হৃদমোহিনীর অপার সৌন্দর্যের যাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সেও দৌড় দেয় হৃদমোহিনীর পেছনে।

হটাৎ পেছন থেকে এসে অর্নব দুপুরের হাত টেনে ধরে। আর একটু হলে ছাদ থেকে সোজা নিচে পরে যেত দুপুর। ঠিক নিচেই রয়েছে একটু মৃতকূপ। পরলে সরাসরি কূপে, হয়তো মৃত্যুও।
অর্নব ঃ দাদা তুমি কি করছো?
দুপুর স্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অর্নব দুপুরকে ঝাকি দেয়। আর বলে দাদা কি হয়েছে তোমার?
মিনিট তিনেক পর দুপুর ঘোড় কেটে স্বাভাবিক হয়। বুঝতে পারে যে সে মারাত্মক বড় একটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছে।
তারপর অর্নবকে না করে যে এই কথা সে জেনো আর কারো সাথে শেয়ার না করে। বাকিরা ভয় পেতে পারে। এবং সবাইকে ছাদে না আসার জন্য বলতে বলে।
এরপর রুমে এসে সুয়ে পরে। একপাতা সেডিল খেয়ে ঘুম দেয়।।

চলবে..............................  চলবে।

সম্পূর্ণ গল্পটি আমার বিকৃত মস্তিষ্কের কল্পনা। গল্পের সাথে বাস্তবতা মেলানোর চেষ্টা করবেন না। গল্পের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মতামত দিবেন। ভালো লাগলে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য শেয়ার করুন। নেক্সট পর্ব ইনশাআল্লাহ আগামীকাল দেওয়া হবে। আল্লাহ হাফেজ।

রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১

DARK LORD (ডার্ক লর্ড)

 


Bhoot Detective Branch - BDB
(ভূত গোয়েন্দা শাখা)
সিরিজের ধারাবাহিক গল্প
গল্প ঃ #DARK_LORD
পর্ব ঃ ১ (এক)
প্রেতাত্মার লেখা গল্প -  Written by A R Shipon

অদ্ভুতুরে এই শহরে প্রতিনিয়তই আনাগোনা রয়েছে হরেক রকমের ভূত, পেত্নী, প্রেতাত্মা, শাকচুন্নিদের। কেউ বিশ্বাস করে আবার কেউ করে না। কিন্তু দুপুরের দৃর বিশ্বাস ভুত প্রেত মানুষের আসেপাশেই রয়েছে। মানুষজাতী যেমন বিভিন্ন কার্যকর্মে লিপ্ত। ভালো কাজ, মন্দ কাজ, ক্রাইম। ঠিক তেমনি ভুতেরাও।
বারান্দায় বসে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ভাবছে দুপুর। দুপুরের ভুত প্রিতি বেশি। দিনরাত তার জল্পনা কল্পনা এই ভুত প্রেত নিয়েই। যদিও এখনো ভূতের কোন সুনির্দিষ্ট অস্তিত্ব তার সামনে ধরা দেয় নি। তবুও ভুত প্রেত আত্তার উপর রয়েছে তার অটল বিশ্বাস। 
দুপুরের ম্যাসেঞ্জারে রাহাত এর ফোন আসে। রাহাত দুপুরের এডি। দুপুর ওয়েডিং প্ল্যানিং, ইভেন্ট অরগানাইজড করে, সাথে সিনেমাটোগ্রাফি। দারুন ছবি তুলে সে।
রাহাতঃ ভাইয়া আজ আমাদের চিটাগং যাওয়ার কথা। টিকিট ও কাটা আছে। তুমি কি সব গুছিয়েছো?
দুপুরঃ ওহ! ভুলেই তো গিয়েছিলাম। আচ্ছা অর্নব আর পড়িকে কল দিয়ে রেডি হতে বল। ১২ঃ১৫ মিনিটে বাস ছাড়বে সবাইকে ১১ টায় কলাবাগান আসতে বলবি। সেখান থেকে ডিনার করে রওনা দিবো।
রাহাতঃ ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের আলপোনা + মেয়ের সাজুগুজু মেহেদী দেবার জন্য আরেকজন লাগে তো।
দুপুরঃ এখন আবার আরেকজন পাবো কোথায়?
রাহাতঃ চিটাগং এ আমার এক ফ্রেন্ড আছে। নাম রাহা। তুমি বললে ওকে আমাদের সাথে নিতে পারি।
দুপুরঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আসতে বলিস। আর ঠিক সময়ে চলে আসিস।
ফোন কেটে দিয়ে দুপুর কিচেনে আসে। কিচেন একটা মুরগী রাখা ছিলো। বুয়া ঠিক মত কাজ না করে ফেলে রেখে চলে গেছে। দুপুর মুরগীটা নিয়ে ফ্রিজে রাখতে যাচ্ছে। হটাৎ খেয়াল করে মুরগীর ভেতর থেকে অঝড়ে তাজা রক্ত বের হচ্ছে।
১১ টার সময় আনা মুরগীতে এখন তাজা রক্ত। কিভাবে সম্ভব। দুপুর মুরগীটি বেসিনে নিয়ে ভালোমত ধুয়ে আবার ফ্রিজে রেখে আসে। তারপর নিজের রুমে গিয়ে ঘুম দেয়।
ঘুন ভাংগে সন্ধায়। বুয়া আসেনি। তাই নিজেরই রান্না করতে হবে।
একটা কাজ করলে কেমন হয়। রাহাত, অর্নব, পড়িকে বাসায় আসতে বলি। বিরিয়ানি রান্না করি। বিরিয়ানি দিয়ে ডিনার সেরে রওনা দেওয়া যাক। তারপর যথামত সবাইকে এসএমএস দিয়ে রান্নার কাজ শুরু করে দুপুর। মুরগীটা আনা প্রয়োজন। দুপুর কিচেন থেকে ডাইনিং রুমে এসে ফ্রিজ খোলে। মুরগীটি নেই। ফ্রেজের গায়ে লাল তাজা রক্ত রক্তের মাখামাখি। কিছুটা বিচলিত হয় দুপুর। সাধারণত এই সময়ে দুপুরের এই বিষয়টিকে ভৌতিকভাবে বিশ্লেষণ করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু সে নিজেকে শান্ত রাখলো।
হটাৎ  বারান্দায় সে কিছু একটার শব্দ পেলো। দৌড়ে বারান্দায় যায়। একটা লোক বারান্দা থেকে লাফানোর চেষ্টা করছে। দুপুর সজোড়ে দৌড়ে গিয়ে তাকে জাপরিয়ে ধরলো। হ্যাচকা টানে বারান্দা থেকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে জোরাজুরি করছে। লোকটির সারা শরীর গাড় লোমে আবৃত । হাতের নখগুলো বিশাল বড় বড়। লোকটি দুপুরকে তার বড় বড় নখ দিয়ে খামচাচ্ছে। আর বড় বড় দাত দিয়ে দুপুরকে কামড় দিতে চাচ্ছে।  দুপুর বুঝতে পারছে, একবার ধরা দিলে এই লোক তার শরীরের সমস্ত রক্ত খেয়ে ফেলবে। হয়তো এটা পিশাচ। সারাজীবন দুপুর যে ভূত পিশাচ দেখার অপেক্ষায় ছিলো আর আজ সেই পিশাচের আক্রমণের স্বিকার সে। লোকটির শরীর খুব ঠান্ডা। দুপুরকে এমনভাবে জাপড়ে ধরেছে যে দুপুরের শরীর শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছে, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কি করবে দুপুর বুঝছে না, হটাৎ মনে পরলো দুপুরের হাতে মুরগী কাটার ছুড়িটা রয়েছে। দুপুর ছুড়িটা দিয়ে পিশাচটির পিঠে ঢুকিয়ে দিয়ে টান দেয়। পিশাচটি অসম্ভব ভয়ানক চিৎকার দিয়ে দুপুরকে ছেড়ে উঠে বারান্দায় যায়। বারান্দা থেকে লাফ দেবার আগে দুপুরের দিকে ভয়ংকর একটা লুক দেয়। পিশাচের সেই ভয়ংকর মুখ দেখে দুপুর জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে।
রাত প্রায় ৮টা বাজে।
এই সময়ে পড়ি, রাহাত অর্নব আসে। অনেকক্ষন কলিংবেল বাজানোর পরেও ভেতর থেকে দরজা খোলা হচ্ছে না। অর্নব তারাতারি জয়কে ফোন দেয়। জয় মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকে, তাই জয়ের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি আছে।
১০ মিনিটের মধ্যে জয় চলে আসে। সে পাশেই ছিলো। চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে দুপুর ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে জ্ঞ্যান হারিয়ে পরে আছে। সবাই তারাহুরো করে পানি ডেলে জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনে। জ্ঞ্যান ফেরার পর দুপুর বেশ কিছুক্ষন চুপ ছিলো। তারপর সব ঘটনা খুলে বলে৷ খুলে বলে পিশাচটার কথা। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না।
অর্নব ঃ দাদা আমি আগেই তোমাকে বলেছি তুমি এই সব উদ্ভটে ভুতের গল্পের বই পড়া বাদ দাও। তুমি যে মানুষিক সমস্যায় ভুগছো সেটা কি জানো???
দুপুরঃ আমি সত্যি বলছি। আমার স্পষ্ট সব মনে আছে।
জয়ঃ দাদা দুপুরে কি লাঞ্চ করেছিলে?
দুপুরঃ নাহ।
জয়ঃ না খেলে তো এমন অবস্থাই হবে।
পড়িঃ আমি গিয়ে রান্না করছি।
রাহাতঃ আমি দাদার ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছি।
পড়িঃ দাদা আমি আগে তোমাদের জন্য কফি করে দিচ্ছি।
ঘন্টাখানেকের মধ্যে সব রান্নাবান্না শেষ করে ড্রয়িং টেবিলে বসে সবাই। জয় নিজেও চিটাগং যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুপুরঃ তোরা কেউ আমার কথা বিশ্বাস করছিস না তো। যা ফ্রিজে দেখ, রক্ত লেগে আছে।।
পড়ি ঃ আমি দেখেছি, কিচ্ছু নেই।
দুপুরঃ কিচ্ছু নেই।
দুপুর চেয়ার থেকে উঠে ফ্রিজ খুলে দেখে যে সত্যিই ফ্রিজে কোন রক্তের ছাপ নেই। দুপুর চিন্তা করতে থাকে। তাহলে কি জয়ের কথাই সত্যি। আমি ভূত প্রেত নিয়ে ভাবতে ভাবতে কি পাগলে হয়ে যাচ্ছি। আর ঘটনাটি হ্যালুসিনেশন ছিলো।
রাহাত ঃ দাদা খেতে আসো তো। ডিনার সেরে বাস কাউন্টারে যেতে হবে।।
দুপুর ডাইনিং টেবিলে এসে খাবার খায়। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
রাত ১২. ২৫ মিনিটে বাস ছেড়ে দেয়। দুপুর ১০ টা ঘুমের ঔষধ মুখে গুজে দিয়ে পানি খেয়ে কম্বলটা মুড়ি দিয়ে সুয়ে পরে। বাকিরা গল্প গুজব করছে। অর্নব পড়িকে জ্বালাচ্ছে তার জন্য একটা গার্লফ্রেন্ড খুজে দেবার জন্য।
অর্নব ঃ দোস্ত তোর এতোগুলা কিউট বান্ধবী আর তুই আমার জন্য একটাও খুজে দিস না। আর কতদিন আমি এভাবে সিংগেল থাকবো বল?
পড়িঃ তুই মর। আর কয়ডা লাগে তোর? দুইদিন পর পর গার্লফ্রেন্ড চেঞ্জ করিস।
জয়ঃ অর্নব চেঞ্জ করে না, এক্সচেঞ্জ করে। হাহহাহাহা
এভাবে গল্পে গল্পে ছোট হতে থাকে রাস্তা। রাস্তের পাশের দোকান গুলো বন্ধ, অনেক দোকানে বাতি জ্বলছে। রাস্তার মাঝখানে সোডিয়াম আলোর বাতি, কিছুটা জোসনা। রাতের এই ব্যাস্ত শহড়ে একের পর এক দ্রুতগামী গাড়ি ছুটে চলছে। পড়ি আর অর্নব দুজনেই জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। হটাৎ একটা লড়ি পেছন থেকে তাদের সামনের বাসকে ধাক্কা দেয়। বাসটা সরে গিয়ে পাসের ওয়েতে দুমড়ে পরে যায়। আর ঐদিক থেকে মানে চিটাগং থেকে আসা একটা দ্রুতগামী লড়ি বাসটিকে আবার আঘাত করে। সংগে সংগে আসেপাসের সব বাস থেমে যায়। সব যাত্রীরাও নেমে আসে উদ্ধারে । দুপুরের ঘুম ভেংগে যায় চিৎকারে, সেও নিচে নেমে আসে। শুরু হয় বৃষ্টি, বর্জপাত। জোসনা কেটে আসে নিকষ কালো ভূতুড়ে অন্ধকার। অহতদের আহাজারি পুরো পরিবেশটাকে মৃত্যুপুরি বানিয়ে ফেলে।
রাহাতঃ দাদা এম্বুলেন্স কল করা উচিৎ।
দুপুর ৯৯৯ এ কল করে জরুরী সেবা চায়। ১৮/২০ মিনিটের মধ্যে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ চলে আসে। তারপর আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হসপিটালে।
দুপুর নিজেদের বাসের দিকে ফিরে আসছে। হটাৎ মনে হয় পেছন থেকে কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে পেছনে তাকায়। কেউ নেই। আবার সামনের দিকে মুখ নিয়ে আসে। সংজ্ঞে সংজ্ঞে আবার পেছনে ফিরে বিদ্ধস্ত বাসের সামনের আসে। নিচে একটা লাশ। লাশের হাত দেখে বোঝা যাচ্ছে এর সারা শরীরে লোমে আবৃত। লাশটি উপর হয়ে আছে। দুপুর টেনে বাসের নিচ থেকে লাশ বের করে। চিৎ করা লাশ টা উপর করার সংগে সংগে দুপুর চিৎকার দেয়। একি এতো তার নিজের লাশ। এই লাশের অবয়ব একদম তার নিজের মত।
দুপুরের চিৎকার শুনে পড়ি আর জয় কাছে আসে। সামনে গিয়ে লাশের দিকে তাকায়। পড়ি কোন কথা বলে না।
জয়ঃ দাদা লাশ দেখে ভয় পেয়েছো? নাকি তোমার পরিচিত?
দুপুরঃ আরে এতো আমার লাশ।
জয়ঃ যাচ্ছে তাই বলছো দাদা। এ তোমার লাশ হতে যাবে কেনো? এ লাশ তো মনে হচ্ছে এই বাসের ড্রাইভারের।
দুপুর আবার লাশের দিকে তাকায়। চমকে যায়। এখন আর সে তার নিজেকে দেখতে পাচ্ছে না। উঠে আসে সে। তাদের বাস ছাড়বে। বাসে উঠে বসে। জানালার পাশ দিয়ে তাকিয়ে আছে।  আবার চোখ পরে লাশটির দিকে লাশটি মুচকি হাসে। এই লাশটি বর্তমান মুখটিও তার পরিচিত। এইতো আজ বিকেলেই এই পিশাচটার সাথে তার একদফা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে গেছে। আচ্ছা এই পিশাচটি কি মরলো?  নাকি সে তার রক্তখুদা মিটাতে এই রক্তবন্যার আয়োজন করলো? দুপুরের মাথা ঘুরছে। আবার ঘুম দরকার। ব্যাগের মধ্যের বাকি ১০ ঘুমের ঔষধও খেয়ে ফেললো।
ঘুম ভাংলো চিটাগং শহরে এসে। সেখান থেকে গাড়ি করে বিয়ে বাড়ি। বিয়ে বাড়ি থেকে তাদের জন্য একটি বাংলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সেই বাংলোতে উঠলো তারা।
বাংলো ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনিস্টিউটের অধক্ষ্যের বাংলো। বাংলোতে নাকি ভূত আছে সে ভয়ে এখানে কেউ থাকে না। বাংলোর ভেতরে ঢুকেই নানা রকম তাবিজ দেখা গেলো।
অর্নব ঃ দাদা তুমি আর আমি কিন্তু এই বাংলোয় বসে ভূত নিয়ে রিসার্চ করতে পারবো। কি বলো?
জয়ঃ আমরা কাজ করতে আসছি। সারা দিন কাজ শেষে এসেই ঘুম। রিসার্চ করার দরকার হলে তোমরা কইরো।
দুপুরঃ পড়ি তোর কি হয়েছে? কথা বলছিস না যে?
পড়িঃ নাহ দাদা তেমন কিছু না। ভয় ভয় লাগছে। আমাকে কি একা থাকতে হবে?
দুপুরঃ রাহাত তোমার বন্ধু রাহা কোথায়? সে আসবে না?
রাহাতঃ আসলে দাদা রাহা আমার গার্লফ্রেন্ড। তার সাথে আমার আগে কখনো দেখা হয়নি। আজ বিকেলে দেখা করতে যাবো। তারপর বলে দেখি ও কি আমাদের সাথে থাকবে কিনা। এখানে না থাকলেও ও আমাদের সাথে কাজ করবে এটা কনফার্ম।
অর্নব ঃ বাহ বাহ। রাহাতের তাহলে কাজের সাথে ডেটিং ও হয়ে যাচ্ছে। যাও যাও। স্বার্থক হোক তোমার প্রেম।
পড়িঃ তোমরা কোন শব্দ পাচ্ছো? মনে হচ্ছে কোন জানোয়ার পশুর মাংশ টেনে টেনে খাচ্ছে আর খিল খিল করে হাসছে।
পড়ি এরুম সেরুম দৌড়াদৌড়ি করে। কিছুই পায় না।
দুপুরঃ গায়েজ, আমরা সবাই এক রুমে থাকছি। রুমটা অনেক বড়, আশাকরি সমস্যা হবে না। এখন রেস্ট নাও। বিকেলে আবার বিয়ে বাড়ি দেখতে যাবো। স্পট দেখে এসে রাতে প্ল্যান করবো ইভেন্টের। এখন রেস্ট।
রাহাতঃ দাদা আমাকে রাস্তা নামিয়ে দিও। আমি একটু নিউমার্কেটের দিকে যাবো রাহার সাথে দেখা করতে। ফার্স্ট টাইম ডেট। প্লিজ দাদা।
দুপুরঃ ওকে। কিন্তু একঘন্টার বেশি না।  এখন  রেস্ট।

চলবে..............................  চলবে।

সম্পূর্ণ গল্পটি আমার বিকৃত মস্তিষ্কের কল্পনা। গল্পের সাথে বাস্তবতা মেলানোর চেষ্টা করবেন না। গল্পের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মতামত দিবেন। ভালো লাগলে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য শেয়ার করুন। নেক্সট পর্ব ইনশাআল্লাহ আগামীকাল দেওয়া হবে। আল্লাহ হাফেজ।