শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ভাবনা

 


তাকিয়ে আমি তোমাকেই ভাবতাম !

তারাদের কেন ভাবিনি,

তোমাকেই কেন ভেবেছি ??

তবু তেমনি আছে সবকিছু,

............................

তারারা আছে, বিষণ্ণ রাত আছে,

হঠাৎ কালো হওয়া আকাশ আছে,

তুমিহীন আমিও আছি,

অদৃশ্য তুমি আরো কাছে এসেছ আমার,

হাত বাড়ালেই চলে যাও দূরে!!

অদৃশ্য তোমাকে কি ছোয়া যায়?

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জীবন

লেখালেখি থেকে প্রায় বিদায়ই নিয়েছি বলা চলে। নাহ, রাইটার ব্লক না। ভালো লাগে না। নিজেকে এখন  একা অন্ধকার খুপড়ী ঘরের মধ্যে বন্দী রাখতেই বেশি ভালো লাগে। কেমন জেনো সবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। কারো সাথে মিশতে ভালো না। ফোনে কথা বলাটা রিতিমত বিরক্ত লাগে। ফেসবুক থেকে সকল আত্তীয়স্বজন, প্রতিবেশিদের আনফ্রেন্ড করে দিয়েছি। ইন্ট্রোভার্ট হয়ে যাচ্ছি। ডিপ্রেশন আর ধোকা আমাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। কবে জানি এই জীবনিকার অবষান ঘটাই।

অথচ একটা সময় ছিলোঃ 

অনেক অনেক বন্ধু। কারো সাথে ৫/১০ মিনিট কথা বললেই খুব ভালো বন্ধু হয়ে যেতাম। অদ্ভত সব গল্প, ধারাবাহিক, কবিতার জন্ম দিতাম। এখন সবই কল্পনা মনে হয়।

ফেসবুক আমার জীবনের অতন্ত গুরত্বপূর্ন অংশ। এই ফেসবুকের উছিলায় জীবনের সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা ঘটে জীবনে। তারপর এই ফেসবুকই আবার বাচতে শেখায়। আবার ধোকা খাই। 

জেল খানায় বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছি বই পড়ে। অনেক বই পড়েছি। বের হবার পর লেখালেখি শুরু করি। ২০১৫ এর কথা Sh Ip On নামের আইডি তে ২৭০০০+ ফলোয়ার ছিলো। অসংখ্য বন্ধু ছিলো। এমনো পাঠক ছিলো যারা মাঝরাতে ফোন দিয়ে স্বামী স্ত্রী কথা বলতো। ঐ সময়টাই হয়তো ফেসবুকের গোল্ডেন টাইম ছিলো আমার জন্য। তারপর আইডিটি নষ্ট হয়ে যায়।

নতুন আইডি। নতুন করে লেখালেখি। কিন্তু আগের গল্প গুলো হারানোর একটা শোক কাজ করছিলো। ব্লগ খুলে নতুন করে লেখালেখি শুরু। ব্লগের দুনিয়ায় এসে দেখলাম আমার অনেক লেখায় এখন অন্যের নামে। আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তারপরে নিজের গ্রুপ খোলা। নতুন কিছু বন্ধু। একসময় বন্ধু থেকে পরিবারের মত হয়ে গেলো। ভালোই চলছিলো। আর চাকরিটাও ছিলো বেশ। ঘোরাঘুরির উপর সারাবছর। 

সবার মতে আমার একটু আবেগ বেশি। আমিও মানি। অনেকের কাছে আমি খুব খারাপ। স্বাভাবিক। তবে আমি জানি আমি কেমন। 

একসময় খারাপ দিন আসা শুরু হয়। পরিবারের মধ্যে ঝামেলা। সবাই দূরে, আমিও ধিরে ধিরে সরে আসি। বুঝতেছিলাম কেউ ষড়যন্ত্র করতেছে। কিন্তু আজ পর্যন্তও তাকে খুজে পাইনি। খুজে পেলে ধন্যবাদ দিতাম। কারন তার কারনেই কাছের মানুষগুলোকে


চিনতে পেরেছিলাম।

এরপর ঘটে সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা। একটা ঘড় বানাচ্ছেন। প্রথমবার ভেংগে গেলে কষ্ট পেলেও আবার বানানো যায়। দ্বিতীয় বার খুব কষ্টে করে বানানো হয়। কিন্তু তৃতীয়বার ? তৃতীয়বার বানানোর পর সেটা ভেংগে গেলে কারিগরের মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই। 

আমি ঠিক সেই সময়টার সাথে যুদ্ধ করে বেচে আছি। লেখা আর মাথায় আসে না, মানে আমি শুন্য, সব হারিয়ে ফেলেছি জীবনের তরে যা ছিলো। সব দিক থেকে কালো থাবা গুলো তেরে আসছে আমার দিকে। আমি আর পারছি না। হয়তো খুব শিঘ্রই হারিয়ে যাবা পৃথিবী নামক নাট্য মঞ্চ থেকে।

যাদের সাথে মনমালিন্য তাদের কাছে অগ্রিম ক্ষমাপার্থী।