শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

অভিমান

 

কখনো কখনো ভাবি অভিমান করে

তোমায় ছেড়ে পালিয়ে যাব।

আমিতো হলদে পাখির মতো মুক্ত,

ইচ্ছে করলেই যুগল ডানা মেলে

পাড়ি দিতে পারি সাত সমুদ্দুর।

উধাও হতে পারি সাদা মেঘের রাজ্যে

বিস্তৃত নীলিমার নিঃসীম দিগন্তে।

তবুও আমি হারাতে পারি না।

সহসা টান পড়ে হৃদয় নাটাইয়ের 

অদৃশ্য সুতোয়,

যাতে আমি বাঁধা পরে গেছি।

পথে পথে যেতে যেতে 

হৃদমোহিনী মায়াবিনীর বাঁশির সুরে

থমকে দাঁড়াই, 

সুরলহরী শুনতে শুনতে

কখনোবা ঘুমিয়ে পড়ি ঘাসের কোলে,

ঝরা পাতায়।

প্রবীণ কোন বটের ছায়ায়,

ঘুমের ঘোরে আমার চোখে 

গোলাপি রঙ স্বপ্ন ভাসে,

স্বপ্নে আমি হাঁটতে থাকি

মায়াবিনীর হাতটি ধরে,

প্রীতিবোধের উষ্ণ ছোঁয়ায়

উচ্ছ্বল হাসি ছড়িয়ে পড়ে, 

খোলা হাওয়ার ভেলায় ভেসে

মায়াবিনীর গন্ধ এসে আমার 

প্রাণে জাগিয়ে দেয়।

নতুন রোদ্দুর, মিষ্টি বিকেল, সতেজ আশা,

এরই নাম কি ভালোবাসা ?

ভালোবাসা খুঁজে বেড়াও


আজ বড্ড অবাক হয়ে শুনলাম
তুমি নাকি ভালোবাসা খুঁজে বেড়াও ইদানিং ?
তবে ঐদিন কোথায় ছিলো তোমার আপ্রাণ চেষ্টা !
আমি তো মুঠো ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে
তোমার দ্বারে কড়া নেড়েছিলাম !
কই সেদিন তো অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলে ।
আজই শুনলাম তুমি নাকি এখন
স্বপ্নের পিছনে অবিরাম ছুটে বেড়াও ?
একদিন তো আমি অসংখ্য স্বপ্ন নিয়ে তোমার
দুয়ারে অপেক্ষার প্রহর গুণে গুণে ক্লান্ত হয়ে ফিরে ছিলাম ,
কই সেদিন তো স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখলে না ।
আজই শুনলাম তুমি নাকি এখন বাঁচার জন্য
তীব্র আকুতি নিয়ে কারো বুকে ঝাপটে পরতেও ভয় পাও না ?
আমি তো বুকের পাঁজরে তোমাকে নিয়ে বাঁচার জন্য
বার বার বুকের ভিটায় দ্বার খুলে বসে ছিলাম ।
কই সেদিন তো বুকের রাজ পথে তুমি বিচরণ করতে আসনি ।
আজই শুনলাম তুমি নাকি রাত্রি জেগে একা নির্জনে
দূর থেকে ভেসে যাওয়া জ্যোৎস্নায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে
হঠাৎ করেই কেঁদে উঠো ?
আমি তো লক্ষ্য জোনাকি আর অজস্র জ্যোৎস্না রাত নিয়ে
তোমার মনের আঙ্গিনায় কতবার ছুটে গেছি ।
কই তখন তো তুমি জ্যোৎস্না স্নানে নিজেকে ভাসালে না ।
তবে আজ কেনো অতো কিছুর স্বপ্ন তোমার ?

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

গোল্লা



গল্পের নাম ঃ গোল্লা ।

লেখক ঃ মোঃ আসাদুর রহমান (শিপন)

ক্যারেক্টারঃ

১ . শান্ত ঃ গল্পের প্রধান ক্যারেক্টার । বয়স ১০। ইলেকট্রনিক যন্ত্রের প্রতি আকর্ষন বেশি । কোন বন্ধু নাই।

২ . মিসেস রশিদ ঃ মিসেস রশিদ শান্তর মা । তিনি পেশায় একজন ডাক্তার, কাজের ব্যাস্ততায় শান্তকে বেশি সময় দিতে পারে না।

৩ . গোল্লা ঃ গোল্লা ভিন গ্রহের প্রানী বা এলিয়েন। মহাকাশে নভোযান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সে পৃথিবিতে পরে আটকে যায়।

৪ . সালমা ঃ সালমা শান্তদের বাড়ীর কাজের মহিলা। শান্ত ও বুয়ার সম্পর্কটা অনেকটা টম এন্ড জেরির সম্পর্কের মত ।

১ম দৃশ্যঃ

মহাকাশে একটি নভোযান চলছে । হটাৎ নভোযানে লাল(বিপদজনক) সিগনাল দেয় । দুটো হাত নভোজানের বিভিন্ন বোতাম টিপে সমাধানের চেষ্টা করছে । কিন্তু কিছুতেই কিছুই হচ্ছে না । নভোযানটি মহাকাশ থেকে পৃথিবী তে একটা বাড়ির বাগানে পরে যায় ।

২য় দৃশ্যঃ

শান্ত তার রুমে বসে একটা ইলেকট্রিনিক্স যন্ত্র নিয়ে খুলে খুলে দেখছে । তার আসে পাশে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে আরো অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি (ক্যালকুলেটর, কিবোর্ড, মোবাইল, স্ক্র, ইত্যাদি)। বিছানার উপরে অগোছালো জামাকাপড় আর টেবিলে অগোছালো বই খাতা।

শান্ত মনোযোগ দিয়ে ক্যালকুলেটারটা খোলার চেষ্টা করছে।

৩য় দৃশ্যঃ

মিসেস রসিদ হেটে শান্তর রুমে আসে। শান্তর পিছন থেকে দেখে যে শান্ত ক্যালকুলেটর টা খুলে ফেলছে । তাই দেখে মা শান্তর কাছ থেকে ক্যালকুলেটরটা কেড়ে নিয়ে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বল দেখিয়ে দিয়ে বলে বল দিয়ে খেলো ।

মিসেস রসিদ চলে যায় । শান্ত দারিয়ে লাল বলটির কাছে গিয়ে কিছুখন দাঁড়িয়ে থেকে রেগে গিয়ে একটা লাথি দেয় বলে । বলটা উড়ে গিয়ে রান্নাঘরের দরজায় লেগে বুয়ার মাথায় লেগে জানালা ভেংগে বাইরে চলে যায় । বুয়া মাথাঘুরে পরে যায় ।

মা এসে শান্তকে ঝাড়ি দেয় এবং বল নিয়ে আসতে বলে।

শান্ত বাইরে গিয়ে দেখে বাগানের ভিতর একটা লাল বল । সে বলটি নিয়ে চলে আসে ঘরে ।

৪র্থ দৃশ্যঃ

মিসেস রসিদ টিভি দেখছে আর শান্ত সোফার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে । শান্ত টিভির রিমোর্টটি লুকিয়ে নিতে চাচ্ছে ।

মিসেস রসিদ রিমোর্টটি টেবিলে রেখে পাশের রুমে গেলেই শান্ত সোফার পিছন থেকে সামনে এসে টিবেল থেকে রিমোর্টটি নিয়ে তার রুমের দিকে দৌড় দেয় আর সেই মুহুর্তে মা এসে সামনে দাড়ায়। শান্ত মাথা নিচু করে রিমোর্টটি মায়ের হাতে দিয়ে নিজের রুমের দিকে যায়।

৫ম দৃশ্যঃ

শান্ত তার রুমে ঢুকে তার বিছানার পাশে থাকা বলটি ধরতে যায় । কিন্তু বলটি যখনি ধরতে যায় তখনি বলটি সরে যায় । আবার সে বলের কাছে গিয়ে বলটির দিকে হাত বাড়ানো মাত্রই বলটি সরে যায় । পরক্ষনেই শান্ত দৌড় দিয়ে জোড় করে বলটি ধরে দাঁড়িয়ে যায় ।

শান্তবলটির দিকে তাকায় ।বলটি জ্বলতে থাকে । লালনীল বাতি । হটাত বল থেকে দুইটা চোখ বের হয় । শান্ত ভয়ে বলটি ছুরে ফেলে চিৎকার দেয় ।

বলটি টেম(লাফাতে)পারতে পারতে পরে গিয়ে ঘুরে শান্তর কাছে আসে এবং বল থেকে দুইটা হাত বের হয় । বলটি লাফাতে লাফাতে শান্তকে হাতের ইশারায় থামতে বলে(হাতের আংগুল মুখে চেপে ইশারা দেয় , হাত দিয়ে না না করে বুঝায়)।

শান্তঃ তুমি কে ? কোথায় থেকে এসেছো ?

বলটি জানালার কাছে গিয়ে আকাশের তারার দিকে তাকায় ।

আর ঐ সময় মিসেস রশিদ দরজায় নক করে । শান্ত রুমের এদিক সেদিক তাকিয়ে বলটিকে হাতে নিয়ে একটি বক্সে লুকিয়ে রেখে দরজা খুলে দেয় ।

মিসেস রশিদ রুমে ঢুকে দেখে পুরো রুম অগোছালো ।

মিসেস রশিদঃ শান্ত তুমি এখন বড় হয়েছো । নিজের জিনিসপত্র নিজে গুছিয়ে রাখা শিখো । আর এখন খেতে চলো ।

শান্ত তার মায়ের পিছু পিছু খেতে চলে যায় ।

৬ষ্ঠ দৃশ্যঃ

খাবার খেয়ে এসে রুমে ঢুকে শান্ত অবাক । তার অগোছালো রুমে এখন একদম পরিপাটি। শান্তর মুখে হাসি।

শান্তঃ তুমি করেছো এই সব ?

বলটি মুচকি হাসে । তারপর ফ্ল্যাশব্যাকে দেখাবে যে বলটি এক এক করে সব গোছাচ্ছে ।

শান্ত ঃ কি নাম তোমার ?

বলঃ গোল্লা ।

তুমি এখানে কিভাবে এলে ?

(ফ্ল্যাশ ব্যাকে দেখাবে যে নভোযানে লাল(বিপদজনক) সিগনাল দেয় । দুটো হাত নভোজানের বিভিন্ন বোতাম টিপে সমাধানের চেষ্টা করছে । কিন্তু কিছু কিছুই হচ্ছে না । নভোযানটি মহাকাশ থেকে পৃথিবী তে একটা বাগানে পরে যায় । সেখান থেকে দরজা খুলে সে একটা বাগানের পাশে পরে থাকে । তারপর একসময় তারসামনে দিয়েই একটি বল গড়িয়ে যায়। তারও কিছুখন পর শান্ত এসে তাকে নিয়ে যায়।)

শান্ত গোল্লাকে জড়িয়ে ধরে।

৭ম দৃশ্যঃ

পরেরদিন সকালে শান্তর মা এসে শান্তর রুমের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে তার বিছানায় তাকিয়ে দেখে শান্ত বিছানায় নেই , জানালা দিয়ে বাইরের মাঠে তাকিয়ে দেখে সেখানেও সে নেই । তারপর মিসেস রশিদের চোখ পড়ে পড়ার টেবিলে ।

মিসেস রসিদ কাছে এসে দেখে শান্ত পড়ার টেবিলে তার হোমওয়ার্ক করছে। সে শান্তর মাথায় হাত বুকিয়ে দিয়ে বলে গুড বয় । তারপর সে চলে যায়। আর ক্যামেরা শান্তর পড়ার টেবিল থেকে টেবিলের নিচে আসবে আর সেখানে দেখাবে গোল্লা শান্তর হোমওয়ার্ক করে দিচ্ছে ।

৮ম দৃশ্যঃ

প্রতিদিন সকালে গোল্লা শান্তকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয়। হোমওয়ার্ক করে। শান্ত আর গোল্লা খেলাধুলা করছে । গোল্লা শান্তর রুম গুছিয়ে দিচ্ছে । লুকিয়ে রিমোর্ট চুরি করে এনে শান্তকে দেয় আর শান্ত সেটি খুলে দেয় । গোল্লা ইচ্ছে ইচ্ছে করে বুয়াকে বিভিন্ন ভাবে ডিস্টার্ব করে । তার করা কাজ নষ্ট করে ফেলে । আর এগুলা দেখে শান্ত খুব খুশি।

৯ম দৃশ্যঃ

শান্ত ঘুমিয়ে আছে । তার বিছানার উপরে পাশেই গোল্লা।

শান্তর রুমের দরজা দিয়ে লুকিয়ে তাকায় বুয়া সালমা। দেখে বলটি শান্তর পাশে। ধিরে ধিরে রুমের ভিতর ঢুকে গোল্লাকে চুরি করে এনে বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

১০ম দৃশ্যঃ

সকালে উঠে গোল্লাকে তার পাশে না পেয়ে পুরো রুম খুঁজে। কিন্তু কোথাও পায় না । মন খারাপ করে বিছানায় বসে আর এমন সময় মিসেস রসিদ এর আসার পায়ের শব্দ পায় । আর তখন সে উঠে তার আসে পাশের অগোছালো সব নিজেই গুছিয়ে ফেলে এবং হোমওয়ার্কের খাতা নিয়ে পরতে বসে । মা এসে দেখে শান্ত পরছে । মা মাথায় হাত বুকিয়ে দিয়ে চলে যায় ।

১১তম দৃশ্যঃ

ডাস্টবিনের ঢাকনা আটকানো । গোল্লা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে ঢাকনা খোলার। কোনমতে ঢাকনা খুলে । লুকিয়ে লুকিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে সে শান্তর রুমে যায় । শান্ত গোল্লাকে দেখে খুশি হয়ে গোল্লাকে জড়িয়ে ধরে। শান্ত রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে রুম গোছানো ।

গোল্লাঃ তুমি বড় হয়ে গেছো, নিজের কাজ নিজে করতে শিখে গেছো ।

শান্ত গোল্লাকে জড়িয়ে ধরে ।

মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২

তুমিই একটি স্বপ্ন

 

এ দুচোখে তুমিই একটি স্বপ্ন,

ঘুম কেড়ে নেওয়া-সুখ কেড়ে নেওয়া- বিদগ্ধ চাওয়া তুমি।

অসার পৃথিবী আমার-

নির্ঘুম ভেবে মরি, চারিধারে অন্ধকার!  ভয় বড় একাকার!

চুমু

 

এসো কাছে- এ হাত ধরে বসে থাকো আজ,

কপোলে, ও চোখে, ললাটে

                            চুমু এঁকে দেবো এসো!

দেনা শোধ দিবো- যত ছিল সাধ;-

তোমার পাশে- কাশবনে- বালুচরে,

                      চারিদিকে নদীদের খেয়াঘাটে

মেলা যত হয়ে যাক ম্লান-,

তবু বসে রব- অপলক চেয়ে রব,

ঐ কোলে মাথা রেখে বড় বেশী সুখ নেব আজ!

তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবনা আমি,

                                         কোথাও যাবনা!

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

উপাখ্যান

 

এই বিষাদিত উপাখ্যানের চরিত্রগণ –
দুঃখ, কষ্ট, প্রতারিত,...সব –
সবকিছুই উবে যাবে, মিশে যাবে হাওয়ার ডানায় লীন হয়ে।
লক্ষ্যের আড়ালে বসে সেদিন কী দেখিব না আমি!

বাতাসের সেই স্বাদ শুষে নিয়ে, তোমাদের বাড়ন্ত আয়ুক্ষণে –
আমায় কী ভালোলাগায় পড়িবেনা মনে!
স্মৃতি আর বিস্মৃতির পলকে হঠাৎ কভু খুঁজিবে আমায়?
বিষাদময়ীর ছায়া, তোমাদেরও কী ছুঁইবে তখন?

হয়ত আমায় পড়বে মনে, ইচ্ছে হলেও ছাড়তে নারে...
প্রচণ্ড আক্রোশে তখনো কী আমার পূর্বসূরিদের সম্ভাষিবে বিবমিষায়?
তাই যদি হয়, দেখিব না আমি, রয়ে যাব বহুদূর, সেই সে –
সু-উচ্চ পাহাড়ের নিকষ গুহায়; যুলুদের পাহাড়েরা যেথায় দিগন্তে থামে।
অথবা রইব মিশে আঁধারের মেরুজ্যোতি অরোরার রঙের পরতে পরতে।
যেইখানে (ওরা মানে) অদৃষ্ট দেখা দিয়ে থাকে!

অতিদেবদূতীয় কবিতা

 

অতিদেবদূতীয় কবিতা
আমার পাগলামি আর আমার ভয়
ওদের আছে বড়ো-বড়ো মরা চোক
আর জ্বরের অবিচলিত চাউনি

এই চোখগুলোয় যা দেখা যায়
তা ব্রহ্মাণ্ডের অসারতা
আমার চোখ দুটো অন্ধ আকাশ

আমার দুর্ভেদ্য রাতে
অসম্ভাব্যতা কেঁদে ওঠে
সবকিছু চুরমার হয়ে যায়

কালি-চোখের পঞ্জিকা
চুলবহুল কবির অমরত্ব
কবিতা মেদবহুলতার গোরস্হান
বিদায় ঢেমনি ধোপানি
বিদায় মিষ্টি-মরা নগ্ন তরুণীর মতন সাজগোজ
বিদায় মিথ্যা বলে মিথ্যা ঘুমোচ্ছে

পিঁপড়েদের অগণন চুলকানি
ধুলোয় কাগজের গোঁফ খোঁজার বাছাই
গাড়িভরা জ্বর

পাগল বৃষ্টির সারি
মলিন চাদরকে হাততালি দিচ্ছে
মানুষের হাড়ের শোকপূর্ণ বেহায়াপনা

ওখেনে ভিড় জড়ো করছে টিনক্যান কিসের হয়তো
এক পুলিশ ছাদের ওপরে শার্টের ভেতরে
রাক্ষস কাস্তে নাচায়

আমি তোমাকে হাওয়ায় হারিয়ে ফেলি
আমি তোমাকে মৃতদের একজন মনে করি
এক গুরুত্বপূর্ণ শিরা
হৃদয় আর বাতাসের মাঝে

এই জগতে আমার কিছুই করার নেই
পুড়তে থাকা ছাড়া
আমি তোমাকে মৃত্যু পর্যন্ত ভালোবাসি

তোমার অস্হিরতা
তোমার মগজে এক পাগল বাতাস সিটি বাজায়
তুমি হাসার দরুন অসুখে ভুগছ
তুমি আমার কাছ থেকে পালাও তেতো শূন্যতার জন্য
নিজের হৃদয়কে ছিঁড়ে আলাদা করো
আমাকে ছিঁড়ে আলাদা করো যদি চাও
আমার জ্বরগ্রস্ত চোখ
তোমাকে রাতে খুঁজে পায়
আমি কাঁপছি আমার হৃদয়ের শীতে
আমার যন্ত্রণার গভীরতা থেকে তোমাকে ডাক দিই
অমানুষের কান্নায়
যেন আমি সন্তান প্রসব করছি

তুমি আমার গলা টিপে ধরো মৃত্যুর মতন
আমি তা বড়ো দুঃখে জেনেছি
আমি তোমাকে কেবল মৃত্যুর মুখেই খুঁজে পাই
তুমি ততোই সুন্দরী যতোটা মৃত্যু

সব শব্দ আমার গলা টিপে ধরে

নক্ষত্ররা আকাশে ছ্যাঁদা করে
মৃত্যুর মতন আর্তনাদ করে
কন্ঠরোধ করে

আমি জীবন চাই না
কন্ঠরুদ্ধ হওয়া বেশ মিষ্টি
উদীয়মান নক্ষত্র
মৃত নারীর মতনই শীতল

আমার চোখ দুটো বেঁধে দাও
আমি রাতকে ভালোবাসি
আমার হৃদয় কালো

আমাকে রাতের ভেতরে ঠেলে দাও
সবকিছুই নকল
আমি যন্ত্রণায় ভুগি

জগত থেকে মৃত্যুর গন্ধ বেরোয়
পাখিরা অন্ধ হয়ে ওড়ে
তুমি তেমনই ময়লা যেমন কালো আকাশ

এক উৎসব আরম্ভ হবে
কাদায় আর ভয়ে

নক্ষত্ররা ঝরে পড়বে
যখন মৃত্যু কাছে এসে পড়ে

তুমি রাতের আতঙ্ক
তোমার জন্য আমার ভালোবাসা যেন মৃত্যুর কান্না
তুমি মৃত্যুর মতন দুর্বল

তোমার জন্য আমার ভালোবাসা বিভ্রমের মতন
তুমি জানো আমার মাথা মারা যায়
তুমিই বিশালতা তুমিই ভয়

তুমি খুন করার মতন সুন্দরী
আমার হৃদয় ফুলে ওঠে আমার গলা বন্ধ হয়ে আসে
তোমার তলপেট রাতের মতন উলঙ্গ

তুমি আমাকে সরাসরি শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাও
মৃত্যুর কামড় আরম্ভ হয়েছে
তোমাকে বলার আর কিছু নেই
আমি মৃতের কাছ থেকে তোমার সঙ্গে কথা বলছি
আর মৃতরা চিরকাল মৌন ।