#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ১১তম একাদশ (#রাজকুমারী_লাইলা)
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon
শিপনঃ রেডি তো সবাই?
হৃদয়ঃ হুম রেডি মোটামুটি।
ঝুমঃ দাদা এই যে মুখে ব্লেড দিয়ে কাটলাম, এখানে তো দাগ থেকে যাবে। আমার বিয়ে হবে না।
শিপনঃ আরে থাকবে না। তুই না কি সব প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় উপটান না কি টান মাখিস, ঐগুলা মাখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
ঝুমঃ দাদা সিক্রেট ফাস করো কেন?
শিপনঃ আর ভয় পাইস না, মামুন তো আছেই।
মামুনঃ হাজির আমি । সাজ টা ঠিক আছে না? প্যান্টের নিচে ছিরে ফেলেছি।
শিপনঃ সবই ঠিক আছে, কিন্তু তোমাকে দিয়ে অভিনয় হবে কিনা সেটা বুঝতেছিনা।
রনিঃ দাদা সব হয়ে যাবে জম্বির সামনে গেলে। এখন বলোতো কিভাবে কি করবে? আমরা বাজার থেকে কোন দিকে যাবো?
শিপনঃ আমরা নওমির আস্তানা খুজে বের করবো। তারপর ওকে ধংশ করবো।
রনিঃ কিভাবে ঐখানে খুজে পাবে? আর কিভাবেই ওকে ধংশ করবে?
শিপনঃ ইশ কত কথা বলে রে। এখানে যাবো। গেলেই ওকে খুজে পাওয়ার রাস্তা বের হয়ে যাবে। ওকে খুজে পেলে ওর প্রাসাদ পাওয়া যাবে। সেখানে রাজকুমারী লাইলা বন্দি আছে। রাজকুমারী লাইলাকে মুক্ত করতে পারলেই নওমী শেষ।
হিয়াঃ লাইলাকে কিভাবে?
শিপনঃ প্রাসাদে একটা পুকুর আছে, সে পুকুরের মাঝখানে একটি নীল পদ্ম আছে। সেই নীল পদ্ম গাছের নামই রাজকুমারী লাইলা। সেই নীল পদ্মটিকের গোড়া তলানি থেকে মানে মাটি থেকে তুলে রাখা হয়েছে। ধিরে ধিরে সেই রাজকুমারী লাইলা মানে পদ্মটি শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। যেদিন লুসিফারের কাছে নওমী পিশাচরানীর ১০০ কুমারীর বলি পূর্ন হবে সেদিন গাছটি একেবারে মরে যাবে আর এই কলংকপূর প্রেত, পিশাচদের আস্তানায় পরিনত হবে।
অনুপঃ তারমানে রাজকুমারী লাইলা কোন মেয়ে না? আমরা বৌদি পাচ্ছি না?
অদ্রিতাঃ ধুর। খালি আজাইরা প্যাচাল। ভাইয়া এখন আমরা পদ্মটিকে উদ্ধার করবো কিভাবে? আর সেই নওমীকে মারবো কিভাবে?
শিপনঃ আমার একটা গল্প ছিলো না নীল পরী ত্বরন্বীতা। সেই গল্পের মত কেউ একজন একডূবে নিচে পানির নিচে গিয়ে তলানীতে পদ্মের মূল গেড়ে দিয়ে আসতে হবে।
অধরাঃ আর নওমী?
শিপনঃ ও পিশাচনী, ও মরবে না। ওকে কলংকপূর থেকে বের করে দিতে হবে।
শ্রেয়াসঃ রাস্তা কোথায়? কিভাবে বের করবা?
শিপনঃ আমরা আসার সময় যে বীজটা পার হলাম সেই ব্রীজের নিচে আগুনের নদী। সেখানে ফেলে দিতে হবে নওমীকে।
ঝুমঃ সেটা কিভাবে সম্ভব?
শিপনঃ আগে চল যাই তারপর দেখা যাবে। মনে হচ্ছে এখানে বসেই কলংকপূর জয় করে ফেলবে। চল সবাই।
রনিঃ বাচ্চারা এখন দেখাও তোমাদের অভিনয়ের প্রতিভা।
এরপর সবাই জম্বির মত করে হেটে বাজারে ঢুকে পরে। বাজারের মাঝখানে গিয়ে তো প্রায় আধমরা আধমরা অবস্থা। মানুষ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে এখানে। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। আর পচা লাশের গন্ধ। বমি একদম গলায় বেজে আছে সবার। বাজারটুকু পার হলেই জেনো বাচে ওরা।
ভালোই জম্বির অভিনয় করছে ওরা। তবে শিলাকে পেত্নীর মত লাগছে। তালগাছের মত লাম্বা মেয়েটি সাদা থ্রিপিস, খোলা চুল, সে গালে কাটাকাটি না করে তাহমিদের হাত কেটে রক্ত নিয়ে লাগিয়েছে মুখে। চোখের নিচে লাগিয়েছি। অদ্ভুত টাইপের পেত্নী। না পেত্নী, না জম্বি।
পিছন থেকে শ্রেয়াস, তার সাথে সাথে হাটছে অদ্রিতা।
অদ্রিতাঃ থামো সবাই। আমার বাজার ছেরে চলে এসেছি দূরে। আর দেখে কে জেনো আমাদের এখানে দৌড়ে আসছে।
অর্নবঃ আরে ঐটা নাজমুল না?
এজাজঃ হুম নাজমুলই তো।
হৃদয়ঃ ওকে না গাড়ী পাহাড়া দিতে রেখে এসেছিলাম, ও এখানে কেনো?
নাজমুল দৌড়ে চলে আসে ওদের কাছে। হাপাতে হাপাতে বলে
নাজমুলঃ কি খবর তোমাদের?
হৃদয়ঃ শালা তুই আমার গাড়ি ফেলে আসছিস কেন?
শিপনঃ হৃদয় থামো। নাজমুল তুমি এখানে এলে কিভাবে?
নাজমুলঃ হাই শিপন কেমন আছো? আমিও শিপন।
শিপনঃ বুঝলাম না।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ তোমরা কেউ তাকে আমার কথা বলোনি?
এরপর এজাজ শিপনকে শিপনের আত্তার কথা বলে যে সে কিভাবে কিভাবে তাদের সাথে আসে।
শিপনঃ খুব দুঃক্ষ পেলাম আপনার ইতিহাস শুনে। তবে কষ্ট পাবেন না। আপনাদের রাজ্য আমি আপনাদের ফিরিয়ে দিয়ে যাবো। প্রমিজ।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আর রাজ্য। সানিন্তা ঐখানে আর আমি এখানে। ভালোবাসাই নাই, আর ভালো থাকা। আর হ্যা। তোমাদের বন্ধু নাজমুল গাড়ীতে ঘুমোচ্ছিলো। এখানে আসার ওয়ে পাচ্ছিলাম না তাই ওর ঘাড়ে চেপে চলে এলাম।
মামুনঃ আচ্ছা শিপন আপনি কি জানেন নওমীর প্রাসাদটা কোথায়? আর সেই পুকুরটা কোথায়?
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ হুম, জানি। সেটা জানানোর জন্যেই তো ছুটে এলাম। যা করার আজকেই করতে হবে। কারন আজই সে আরেকটি কুমারী মেয়ে পৃথিবী থেকে তুলে নিয়ে এসেছে বলি দেওয়ার জন্য। তোমাদের বান্ধবী শিফা না কুফা, ঐযে বাচিয়েছিলাম আমি দুদিন আগেই।
হিয়াঃ কিহ! শিফাকে তুলে নিয়ে এসেছে?
অনুপঃ আসলেই শিফা একটা কুফা, একবার মরার হাত থেকে বেচে এসে আবার মরতে এসেছে।
শিপনঃ আচ্ছা তুমি আমাদের ঐখানে নিয়ে চলো।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ চলো। তবে সাবধানে। যেভাবে এসেছিলে। এখন সবাই ব্যাস্ত বলির প্রস্তুতি নিতে। এখন সহজেই দীঘি তে নামতে পারবে।
সবাই নাজমুল(শিপনের আত্তা)এর পিছনে পিছনে হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে কিছুদুর যাওয়ার পর আরেকটি বাজারের মত। সেখানে আস্ত মানুষ বিক্রি হচ্ছে। কি অমনাবিক ভাবে হাত পা বেধে রাখা হয়েছে। সেই বাজার পার হয়। এবার সবাই একটু ছেরে ছেরে মানে দূরত্ব বজায় রেখে হাটছে। কেউ জেনো বুঝতে না পারে যে এরা সবাই একসাথে।
বাজার পার হয়ে কিছুদুর এগিয়ে এসেছে। অধরা দৌড়ে অর্নবের কাছে আসে।
অধরাঃ অন্তু দেখ কে জেনো আমাকে ফলো করছে। পিছনে দেখ।
অর্নব পিছনে ফিরে দেখে একটা ছেলে জম্বি ওদের ফলো করছে।
অর্নবঃ হাতীর বাচ্চা, ও তোকে না আমাদের সবাইকে ফলো করছে।
অধরাঃ হাতীর বাচ্চা বলবি না কুত্তা।
অর্নব সামনে এগিয়ে গিয়ে শিপনকে বলে ব্যাপরটা। শিপন ও পিছন ফিরে দেখে তাই।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আমরা চলে এসেছি। ঐ দেখো, ঐ বিশাল প্রাসাদটাতেই এখন নওমী থাকে। আগে এখানে কলংকপুরের রাজা থাকতো। খুব জাকজমক করে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করে রাজা নির্ধারন করা হতো।
সামনে বিশাল এক উচু প্রাসাদ। বিশাল সদর দরজা। কিন্তু মৃত প্রাসাদ। কোন প্রান নেই এমন। শেওলা জমে আছে। কোন বাতি নেই, রঙ নেই।
দরজায় দুইজন প্রহরী দাঁড়িয়ে আছে।
শিপনঃ প্রহরীদের চোখ ফাকি দিয়ে ঢুকবো কিভাবে?
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আমি সে ব্যাবস্থা করেছি। আমি আগেই ভিতরে ঢুকার পাশ রেডি করে এনেছি।
হিয়াঃ ভিতরে ঢুকার পাশ কি? দেখা যাবে একটু?
নাজমুল পকেট থেকে একটা রক্তাক্ত কলিজা বের করে। সেটা দেখে মাথা ঘুরিয়ে পরে যায় শিলা। ঝুম আর অদ্রিতা ওকে ধরতে যায়।
অধরাঃ এটা কি?
শিপনঃ মানুষের কলিজা। এই বাজার থেকেই কিনেছি।
শ্রেয়াসঃ কি দিয়ে কিনলে? হৃদয় আসার সময় ওর গাড়ির উপরে ফ্রিজিং করে ঈলিশ মাছ নিয়ে এসেছিলো। আমি এখানে আসার সময় সব গুলো মাছ নিয়ে আসি। সেই মাছ দিয়েই
ওয়ালীঃ তার মানে এখানে বিনিময় প্রথা।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ কারেক্ট। তবে এই একটি কলিজা দিয়ে মাত্র ৩জন আমরা ভিতরে ঢুকতে পারবো। নওমীর সাথে দেখা করবো বলে ঢুকে আমরা আমাদের কাজ করবো।
শিপনঃ আমার আর নাজমূল এর সাথে আর কে যাবে?
এজাজঃ আমি।
মামুনঃ আমি
শ্রেয়াসঃ আমি ভালো সাতার জানি।
অনুপঃ আমি যাবো না। ভয় লাগে।
রনিঃ দাদা আমি যাবো।
শিপনঃ মামুন চলো। আর রনি এজাজ তাহমিদ সহ বাকিরা এখানে থাকো। ঐ যে বটগাছটা। সেটার নিচে থাকো। আর বাচ্চাদের দেখে রাখো।
এজাজঃ কাকা আমরা কি শিফার খোজ করবো? জানিনা বেচারি কেমন আছে।
শিপনঃ নাহ এখানেই থাকো কাকা। আমরা এসে একসাথে যাবো।
ঝুমঃ দাদা সাবধানে যাবে, আর আমার মামুনকে একটু দেখেশুনে রাইখো।
শিপনঃ হাহাহাহাহা।
এরপর শিপন, নাজমুল(শিপনের আত্তা), আর মামুন ভিতরে ঢুকে। প্রাসাদের ভিতর বেশকয়েকটি জম্বি লক্ষা করা গেলো।
মামুনঃ আচ্ছা কোন পিশাচ বা প্রেতাত্তা দেখছি না। ওরা কোথায়?
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ ওরা ব্যাস্ত, আজ বলি হবে না।
মামুনঃ ওহ।
নাজমুল(শিপনের আত্তা) মামুন আর শিপনকে দীঘীর সামনে নিয়ে যায়। দিঘীর মাঝখানে দেখা যাচ্ছে সেই পদ্মটিকে। সুকিয়ে গেছে।
শিপনঃ এই পদ্মটিই কি সেই পদ্ম?
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ হ্যা।
মামুনঃ ভাইয়া আমি নামি।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ নাহ নাহ, শিপন তুমিই নামো।
শিপনঃ হ্যা, আমিই নামছি।
শিপন পানিতে নামে। সাতরে পদ্মটির কাছে যায়। একডূবে এই পদ্মটির মূল মাটিতে পুতে দিতে হবে।
মামুনঃ নাজমুল তুমি পানিতে নামছো কেন?
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ শিপনের যদি কোন সমস্যা হয় তাই ব্যাকয়াপ দেওয়ার জন্য।
মামুনঃ আমিও আসি।
নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ নাহ তুমি এখানে থাকো।
শিপন পানিতে ডূব দেয়। একডুবে পদ্মর মুলের গোড়ায় নেমে আসে। মূল ধরে মাটিতে গাড়তে যাবে আর এমন সময় কে জেনো শিপনের মূখ চেপে ধরে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কোন ভাবে পিছনে চেয়ে দেখে যে নাজমূল তার মূখ চেপে ধরেছে। শিপন সর্বাত্বক চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়ানোর। দম বন্ধ হয়ে আসছে। আর মূলটাও একদম গাড়তে হবে। শিপনের সামনে দিয়ে আরেকটা ছেলে আসে। মামুন। হ্যা মামুন শিপনকে না ছাড়িয়ে আগে পদ্মের মূলটি ধরে মাটিতে গেথে দেয়। এরপর পকেট থেকে ব্লেড বের করে নাজমূলের হাতে পোছ দিয়ে কেটে দেয়। নাজমূল নুয়িয়ে পরে শিপনকে ছেরে দেয়। নাজমূলকে নিয়ে সংগে সংগে উপরে উঠে আসে। দম নিয়ে এই যাত্রায় বেচে যায় শিপন।
উপরে নাজমুলকে উঠিয়ে ওর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে শিপন।
মামুনঃ দাদা তুমি আবার ওকে বাচাচ্ছো? ওর গলায় রগ কেটে মেরে ফেলা উচিত ছিলো।
শিপনঃ মামুন ভূল বুঝছো তুমি। আমার মুখ চেপে ধরেছিলো শিপনের আত্তা, নাজমুল না।
মামুনঃ হ্যা সেটাই তো। ভূলেই গিয়েছিলাম।
মামুনের জ্ঞ্যান ফিরে আসে।
শিপন ঃ নাজমূল এখন কেমন লাগছে?
নাজমুলঃ আমি এখানে কিভাবে? আমি তো গাড়িতে ছিলাম।
শিপনঃ সেগুলা পরে শোনা যাবে। এখন এখান থেকে বের হও। জানিনা বাইরে ওরা কেমন আছে।
মামুনঃ চলো দাদা।
ওরা বাইরে বের হবার জন্য হাটা শুরু করে।
এদিকে রাজকুমারী লাইলা নামের পদ্মটি আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে, সেই সাথে কলংকপূর। কলংকপুরে এই মুহুর্তের ওয়েদার বসন্তের মত, সুতরাং এখন দিন। প্রাসাদ সহ সব কিছু আলোয় আর রঙে ঝকমক করা শুরু করেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে যে কলংকপুর টা আসলে কতটা সুন্দর।
কেউ একজন রাজকুমারী লাইলাকে মুক্ত করেছে খবরটি পেয়ে গেছে নওমী। কলংকপূর এখন প্রায় তার দখলের বাইরে চলে গেছে।
সজলঃ সব তো শেষ হয়ে গেলো। এখন কি করবে ? প্রেতাত্তা, পিশাচ, রাক্ষস কেউ আর এখানে থাকতে পারবে না।
নওমীঃ সবকটাকে আমি শেষ করে দিবো।
সজলঃ কিভাবে? এখন তো আমরাই প্রায় শেষ।
নওমীঃ ১০০ কুমারী বলীর আর মাত্র একটি বাকি। সেটির ব্যাবস্থা করো। বাকিটা লুসিফারের সাথে কথা বলে আমি দেখছি।
সজলঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
বসন্তের ঝলমলে আলো কলংকপূরে দেখে প্রেতাত্তা, পিশাচ, রাক্ষস গুলো ভয়ে যে যেদিকে পারছে ছুটে চলছে। কলংকপূরের বাইরের ভূত ভূতুরাও এখন কলংকপুরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করছে।
শিলার জ্ঞ্যান ফিরেছে। মুহুর্তে কলংকপুরের এমন পরিবর্তন দেখে হতবাক ওরা।
অর্নবঃ শিপন ভাই মনে হয়ে রাজকুমারী লাইলাকে উদ্ধার করতে পেরেছে।
অদ্রিতাঃ হুম।
হিয়াঃ ঐ দেখো কয়েকটা জম্বি এদিকেই তেরে আসছে।
অনুপঃ পালাও পালাও।
অনুপের কথা শোনার আগেই মেয়ে গুলো যে যার মত ছিন্নভিন্ন হয়ে দৌড দিলো, অনুপও। পিছন থেকে এজাজ তাহমিদ রনি বার বার বলে চলছে যে কেউ ছন্নছাড়া হবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা। দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে।
অধরা কয়েকটা ঘরের মাঝখানের দৌড়াচ্ছে। তার পিছনে একটা জম্বি, এই জম্বিটা আগেও ওর পিছু নিয়েছিলো। অধরা একটা দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে হাফছাড়ছে তখন পিছন থেকে আরো ৩টা জম্বি এসে তারাকরে। দৌড়াচ্ছে আর এমন সময় অধরার হাত চেপে ধরে পাশ থেকে একটা জম্বি। ওকে নিয়ে একটা ঘরে লুকিয়ে পরে। অধরা কাপতে কাপতে শেষ। নিশ্চয় এই জম্বিটি এখ দুপুর আর শিফাকে যেভাবে পেট কেটেছিলো সেভাবে তাকেও পেট কেটে কলিজা খেয়ে মেরে ফেলবে। অধরা চোখ বন্ধ করে রাখে।
জম্বিঃ আমি তোমার ক্ষতি করবো না।
অধরা একচোখ খুলে দেখে, হাত দিয়ে স্পর্শ করে দেখে। হ
অধরাঃ তুমি কি আমার মত মানুষ? যেভাবে আমরা জম্বির অভিনয় করেছিলাম সেভাবে কি তুমিও করছো?
জম্বিঃ আমি পিশাচ। জম্বিও ও বলতে পারো।
অধরাঃ তুমি আমাকে এখন মেরে ফেলবে?
জম্বিঃ নাহ।
অধরাঃ কেনো?
জম্বিঃ মারলে খুশি হবে?
অধরাঃ নাহ। কি নাম তোমার?
জম্বিঃ রাফি।
অধরাঃ জম্বি হলেও তোমার চোখ দুটো কিন্তু খুব সুন্দর।
রাফি জম্বি লজ্জা পায়। এরপর অধরাকে নিয়ে সেখানের একটা লেকের ধারে বসে দুজনে গল্প শুরু করে। আর অন্যরা যে যার জুটি খুজে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। তাহমিদ শিলাকে, রনি হিয়াকে, শ্রেয়াস অদ্রিতাকে, হৃদয় আলোকে। আর এজাজ, অর্নব, অনুপ, ঝুম একসাথে আছে।
শিপন, নাজমুল আর মামুন ফিরে আসে যেখানে বাকিদের রেখে গিয়েছিলো। এসে দেখে কেউ নেই।
মামুনঃ দাদা ঝুমরা কোথায়?
শিপনঃ ওদের তো এখানেই থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু কোথায় গেলো?
মামুনঃ নিশ্চই ওরা বিপদে পরেছে। চলো ওদের খুজি।
শিপনঃ তোমরা দুজন ওদের খুজে বের করো। আমি শিফাকে খুজি। এতোখনে নিশ্চই শিফাকে বলি দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে ওরা। তোমরা যাও আমিও যাই।
শিপন কথাগুলো বলেই দৌড় দেয়। তারপর দেখে সবগুলা জম্বি একদিকে হাটছে। শিপন জম্বিদের সাথে মিশে হাটা শুরু করে।
চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আজকের মত ১১তম পর্ব এখানেই শেষ করা হলো। আগামী পর্বই শেষ পর্ব ।আগামীকাল ইনশাল্লাহ শেষ পর্ব পাবেন। শেষ পর্বটি কেমন চান সেটি চাইলে কমেন্টস করে মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া যে কোন মতামত জানাতে দ্বিধাবোধ করবেন না। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater
৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/929079630614660/?type=3&theater
৯ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/930679023788054/?type=3&theater
১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/931147953741161/?type=3&theater