রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পেত্নীর ভালোবাসা কিন্তু প্রেতাত্তার কাছেই গচ্ছিত থাকবে


#পেত্নীর_ভালোবাসা_কিন্তু_প্রেতাত্তার_কাছেই_গচ্ছিত_থাকবে
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon



সারাদিন ব্যাস্ত অফিস শেষে ক্লান্ত শরীরে সিঁড়ি বেয়ে উঠছে দুপুর । সদ্য  গ্রাজুয়েশন শেষ করে ১টা ছোট মাল্টিন্যাশনাল ফার্মে চাকরি করছে । বাসার সামনে এসে দরজার লক চাবি দিয়ে খুলতে গিয়ে দেখে দরজাটা ভেতর থেকে লাগানো । দুপুর কিছুটা অবাক হয়ে যায় । অবাক হবারই কথা । দুপুর একাই বাসায় থাকে , চাবিও তার কাছে । তাহলে কে ভিতরে ? খানিকখন ভেবে কলিংবেল চাপে। কিছুখন পর দরজা খুলে দেই ভিতর থেকে একজন ।

ভিতরের জন কে দেখে দুপুরের আরো বেশি অবাক হওয়ার কথা ছিল , কিন্তু সে অবাক না হয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । সত্যি সামনে যে দাড়িয়ে আছে তাকে দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় আছে? যেন স্বর্গ থেকে হুরপরী নেমে এসেছে নীল শাড়ি পরে । নীল শাড়র, নীল চুরি্‌, কালো ব্লাউজ , কালো টীপ , চোখে আবছা কাজল , সব মিলিয়ে আগুনের নীল আলাভের চেয়েও বেশি সুন্দরী লাগছে রোদেলাকে । ওহ বলা হয়নি, রোদেলা দুপুরের প্রেমিকা । দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেম করছে ওরা , দুপুর যখন গ্রাম থেকে এসে ঢাকাইয় একটা পাবলিক কলেজে ভর্তি হয় তখন থেকেই ওদের সম্পর্ক । এরকম পবিত্র প্রেম এযুগে সচরাচর দেখা যায় না।

রোদেলা ঃ কি স্যার , আপনি কি ভিতরে আসবেন না ? নাকি বাইরেই দাড়িয়ে থাকবেন ?

দুপুরঃ আমার দুচোখ কি বলছে জানো ?

রোদেলা ঃ হ্যা । খুব ভালো করে জানি । সে বলছে আমি আজ ক্লান্তিহীন , আজ আমি এই পেত্নীটাকে দেখবো দুচোখ ভরে । ঠিক তো ????

কথা টা বলে দুজনে হাসতে হাসতে যেনো গড়িয়ে পরে । রোদেলা দুপুরের হাত ধরে ভিতরে নিয়ে যায় ।

রোদেলা দুপুরের গলা থেকে টাই খুলে হাতে  দিয়ে টায়েল দিয়ে বলে ফ্রেশ হয়ে আসো । দুপুর তাই করে । ফ্রেশ হয়ে রুমে গিয়ে প্রতিদিনের মত সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে ।

রোদেলা ঃ দুপুর এই বিশ্রি গন্ধ আসছে কোথা থেকে ( বলতে বলতে রুমে ঢুকে) ?

দুপুর সিগারেট পিছনে লুকায় কিন্তু রোদেলা ততখনে দেখে ফেলেছে । মেয়েটার চোখে পানি চলে এসেছে ।

রোদেলা ঃ তুমি আমার কাছে প্রমিজ করেছিলে যে তুমি আর কোন্দিন স্মোক করবে না । কিন্তু তুমি করছো, আসলে তুমি সব সময় আমাকে মিথ্যে বলো।

দুপুর রোদেলার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কপালে ১টা চুমু খেয়ে বলে,

দুপুর ঃ আজ তোমাকে , মানে পেত্নীকে ছুয়ে প্রেতাত্তা প্রমিজ করছে যে প্রেতাত্তা আর কোনোদিন সিগারেট খাবে না । কিন্তু পেত্নী কেউ প্রমিজ করতে হবে যে সে প্রেতাত্তাকে কখনো ছেরে যাবে না । কি প্রমিজ করো ? (হাত বারিয়ে দেয় দুপুর)

রোদেলা ঃ (দুপুরের বুকে মাথা রেখে আর এক হাত দুপুরের হাতে রেখে) মনে আছে দুপুর ? আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম যে আমি একদিনের জন্য হলেও তোমার বউ হবো , তোমার সংসার করবো । আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি । তুমিও তোমার কথা রাখবে , আমাকে দেওয়া কোন কথা ভাংবে না কিন্তু ।

দুপুর ঃ জ্বী মহারানী । মহারানী আমার যে এখন খুদা লেগেছে , কিছু কি ব্যবস্থা করেছেন এই অধম রাজার জন্য ।

রোদেলা ঃ জ্বী অধম মহারাজা আপনার জন্য ব্যবস্থা হয়েছে , আপনি আসুন । আমি টেবিলে সব সাজাচ্ছি ।

রোদেলা টেবিলে সব গুছিয়ে দুপুর কে ডাক  দেয় , দুপুর আসে । টেবিলে দুপুর বসার পর রোদেলা লাইট বন্ধ করে মোম জালিয়ে দেয় ।

দুপুর ঃ ক্যান্ডেললাইট ডিনারের ব্যাবস্থা?  বাহ দারুন তো ।

রোদেলা ঃ আমি আমার প্রেতাত্তাকে আজ নিজের হাতে বেড়ে খাওয়াবো ।

দুপুর ঃ একি । আমার সব পছন্দের খাবারই তো দেখি তুমি রান্না করেছো । চিংড়ীর মালাইকারী , ঈলিশের পাতুরী । গরুর মাংসো  ভুনা । জান তুমি এতো কিছু কখন করলে ?

রোদেলা ঃ খাওয়ার সময় বেশি কথা বলতে হয় না । চুপ করে খাও । ( বলে রোদেলা হাত পাখা দিয়ে দুপুরকে বাতাস করা শুরু করে)

দুপুর ঃ রোদেলা , লাইট না জললেও ফ্যান কিন্তু চলছে ।

রোদেলা ঃ আমি জানি ।

দুপুর ঃ তাহলে বাতাস করছো যে ?

রোদেলা ঃ স্বামী খাওয়ার সময় তাকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। তুমি কি সেটাও জানো না ?

কথা টা শুনে দুপুর হেসে কুটিকুটি হয়ে যায় ।

খাওয়ার পর্ব শেষ করে দুপুর বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পরে । রোদেলা এক বাটি পায়েশ নিয়ে এসে দুপুর কে খেতে বলে কিন্তু দুপুর বলে যে সে অনেক খেয়েছে তাই আজ আর খেতে পারবে না । রোদেলা বাটিটি টেবিলে রেখে দেয়।

তারপর দুপুর আর রোদেলা শুয়ে পরে , বলতে গেলে সারারাত গল্প করে কাটিয়ে ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পরে ।





সকাল ৬টার মত বাজে । দুপুরের ফোনে মাহাদির কল । প্রথমবার টের পায় না, পরেরবার ঘুম ভেঙ্গে যায় দুপুরের । ফোন টা পিক করে দুপুর,

দুপুর ঃ কিরে দোস্ত ? এতো সকালে ?

মাহাদী ঃ দোস্ত তুই কোথায় রে ?

দুপুর ঃ এই তো বাসায় ঘুমাচ্ছি । কেন মামা ?

মাহাদি ঃ দোস্ত ১টা ব্যাড নিউজ আছে । রোদেলা গতকাল সন্ধ্যায় রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে । আমি মাত্রই খবরটা পেলাম । তাই তোকে জানালাম ।

দুপুর ঃ ধুর গাধা । রোদেলা আমার বাসায় , আমার সাথেই আছে। (কথাটা বলে পাসে ফিরে দেখে রোদেলা নেই , সেখানে ১টা চিঠি পরে আছে ) (নিশ্চুপ কন্ঠে) আমি তোকে একটু পরে ফোন দিচ্ছি ।

চিঠিটা হাতে নিয়ে খুলে পড়া শুরু করে দুপুর

আমার জীবনের চাইতেও সবচাইতে দামী আর প্রিয় মানুষ আমার প্রেতাত্তা

আমাদের জীবন টা খুবই নাটকিও । হাজার রঙ্গে আচ্ছন্য । আর যে এই নাটক টা পরিচালনা করছে সে ও কেমন জানি । এই দেখো বাবু , আমাকে তোমার কাছ থেকে নিয়ে গেলো । হ্যা আমি আর বেচে নেই । এই তুমি কিন্তু কাদবে না । জানো যখন এক্সিডেন্ট টা হয় , খুব রক্ত ঝরছিলো , ব্যথাও হচ্ছিলো অনেক । একটা সময় বুঝতে পারি যে আমি আর বেশিখন নেই এই পৃথিবীতে।  জানো তখন আরো বেশি খারাপ লাগছিল এই ভেবে যে আমি চলে গেলে তুমি খুব একা হয়ে যাবে । কে দেখেশুনে রাখবে পেত্নীর এই প্রেতাত্তাটা কে । কিন্তু একটা সময় আমাকে পৃথিবীর মায়া ছেরে চলে আসতে হয় । কিন্তু তোমাকে তো কথা দিয়েছিলাম যে আম তোমার ঘরের বউ হব । জান আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি। বউ হয়ে এসেছিলাম, তোমার সাথে থেকেছি, তোমাকে খায়িয়ে দিয়েছি, আদর দিয়েছি। আর তুমিও কিন্তু তোমার দেওয়া কথাগুলো রাখবে । কোন বাজে কাজ করবে না । আর আমার কথা মনে করে উল্টা পাল্টা কিছু করবে না । তবে চিঠিটা পরার পর খুব কাদবে , তাহলে মন টা হালকা হবে । আর প্লিজ নামাজ পরে আমার জন্য দোয়া করবে । জীবন টা কে নতুন করে সাজাবে । নিজের খেয়াল রাখবে । আর মনে রাখবে “””” পেত্নীর ভালোবাসা কিন্তু প্রেতাত্তার কাছেই গচ্ছিত থাকবে “”””

আল্লাহ হাফেজ ।

চিঠিটা পরে কান্নায় ভেঙ্গে পরে দুপুর । অচেতন হয়ে পরে। জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে। সেই জ্ঞ্যান দুপুরের আর ফেরেনি।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা (শেষপর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা

(ভৌতিক কল্পকাহিনী)

পর্বঃ শেষ পর্ব

লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon







হাটতে হাটতে জম্বিরা সেই আগুনের নদীর ধারে চলে আসে। এখানে কুমারী বলি দেওয়ার জন্য সবাই একত্রিত হয়েছে। শিফাকে আনা হয়েছে, তাকে বলি দিবে। নদীর একদম পারে বসে আছে পিশাচরানী নওমী । সজল আগুন জ্বালিয়ে আগুন সামনে রেখে মন্ত্র পড়ছে। এর পাশে শিফাকে অচেতন করে সুয়িয়ে রাখা হয়ছে।

শিপন আর একটু সামনে যায়। কিভাবে কি করবে মাথায় আসছে না। হটাত পিছন থেকে কে জেনো তার শার্ট ধরে টান দিলো। হয়তো কোন জম্বির কাছে ধরা খেয়ে গেছি, ভাবলো শিপন। পিছন ফিরে তাকালো। নাহ, জম্বি না।। হৃদয়। কিন্তু এটা যে হৃদয় সেটা শিউর হবো কিভাবে ওর বেশে তো প্রেতাত্তা বা পিশাচও আসতে পারে।

এজাজঃ কাকা শিফাকেকে যেভাবেই হোক বাচাতে হবে।

শিপন মামুনের কাছ থেকে ব্লেডটি রেখে দিয়েছিল, সেটি দিয়ে হৃদয়ের হাতে পোস দেয়।

এজাজ কি করলে কাকা?

শিপনঃ চেক করলাম।

এজাজ কি চেক করলে?

শিপনঃ দেখলাম এটা কি হৃদয় নাকি কোন প্রেত, পিশাচ।

এজাজঃ কাকা আমার শিফা। ওকে বাচাতে হবে।

শিপনঃ রনিকে খুজে নিয়ে আসো। আর ঐ বইটা।

এজাজ দ্রুত রনিকে খুজতে যায়, অল্প সময়ের মধ্যে রনি সহ বাকিরাও চলে আসে। আর এদিকে সজল আর নওমীর মন্ত্র পড়াও প্রায় শেষ। বলি দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি প্রায় শেষ।

রনিঃ দাদা, কি করবে?

শিপনঃ বইটা কোথায়?পড়ার সময় পেয়েছিলে?

রনিঃ কিছুটা পরেছি।

শিপন বইটা হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে উল্টিয়ে একটা পৃষ্ঠা বের করে পরে।

শিপনঃ পেয়েছি।

জয়ঃ ভাইয়া কি পেয়েছেন?

শিপনঃ কলংকপূর থেকে ওদের চিরতরে বের করার রাস্তা হলো এই আগুনের নদিতে ওদের ফেলে দেওয়া। তাহলে ওরা আবার আগের মত হয়ে যাবে কলংকপুরে ঢুকতে পারবে না।

ঝুমঃ এখন ওদের বাচাবো কি করে?

সজলকে থামাতে হবে। ধিরে ধিরে এই ভীরের মধ্য দিয়ে সজলের কাছাকাছি যেতে হবে। সজল এর সাথে মারপিট করে হলেও ওকে এই আগুনের নদীতে ফেলে দিতে হবে।

হিয়াঃ বোকার মত কথা। আমরা মাত্র কয়জন আর ওরা হাজার হাজার।

অধরাঃ হিয়াতো ঠিক বলছে।

শিপনঃ কি করা যায়, কি করা যায়, কি করা যায়।

হৃদয়ঃ রনি তুই আবার সেই মন্ত্র পরে আমাদের রক্ত দিয়ে মাথায় দিয়ে দে।

অর্নবঃ রক্ত লাগবে? হাত কাতবো?

অনুপঃ অর্নব আবার হাত কাটাকাটিতে ভালো উস্তাদ।

জয়ঃ আমি অনেকবার রক্ত দিয়েছি। আমি রক্ত দেই। (বলেই হাত কাটে সে)

জয়, অর্নব আর শিলা রক্ত দেয়। হটাত করে শিলার সাহসটা মনে হয়ে বেরে গেছে। সে বলছে একাই নাকি সে ১০০০ জম্বি মেরে ফেলতে পারবে। হাহাহাহাহহা

রনি মন্ত্র পরে রক্ত আবার সবার কপালে দিয়ে দেয়। তারপর সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

সজল বড় একটা ছুড়ি নিয়ে শিফার চারপাশে মন্ত্র পরতে পরতে ঘুরতে থাকে। শিপন এগিয়ে একদম সামনে চলে আসে। নওমি শিপনকে দেখে চিৎকার করে

নওমিঃ তুমি এই তুমি আবার সব শেষ করে দিয়েছো।

শিপনঃ আমি কিছুই শেষ করিনি। তুমিই এই সুখের কলংকপূরে আগুন জ্বালিয়েছো।

নওমিঃ (সজলকে উদ্দ্যেস্য করে) শেষ করে দাও এই মেয়েটিক।

সজল শিফার উপর ছুড়ি চালাতে যায় তখন এজাজ এসে লাথি মেরে ফেলে দেয় সজলকে। এজাজ এর সাথে অনুপ ও সজলকে মারা শুরু করে। শিপনের উপর কুকুরের রুপ ধারন করে নওমী কামর দিতে আসে। বালি উঠিয়ে মন্ত্র পরে নওমীর গায়ে ছিটিয়ে দিলে সে দূরে সরে যায়। শিপন রনির কানে কানে কি জেনো বলে। এদিকে জম্বিরা সব চারপাশে ঘিরে ধরেছে।

শিলাঃ এই সব জম্বিরাতো তেরে আসছে। কি করবো?

শ্রেয়াসঃ মেরে দাও

অদ্রিতাঃ তুমি না এমন ১০০০ জম্বি একাই মারতে পারো?

ওদের কথা শুনে আর ভয়ে শিলা আবার জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে। শিপনরা সবাই একদম আগুনের নদীর ধারে চলে আসে। নওমী ওয়ালীর উপর ঝাপিয়ে পরে। ওয়লী দৌড় দেয় আগুনের নদীর কাছে পরে যায়। শিপন গিয়ে ওর হাত ধরে আর পিছন থেকে লাফিয়ে নওমী শিপনের উপর আক্রমন করতে যাবে আর সেই সময় অনুপ ফিল্মি স্টাইলে উড়ে গিয়ে নওমীর পিছনে লাথি মারে। নওমী আগুনের নদীতে পরে যায়। নওমী বের হয়ে যায় কলংকপূর থেকে আর জম্বি, পিশাচ প্রেত্ততারা তাদের রানীর পরাজয় দেখে পেছন দিক দিয়ে পালাতে থাকে। সব পালিয়ে যায়। শিপন ওয়ালীকে নদীর উপর থেকে উঠানোর চেষ্টা করছে। অন্যরা সবাই এসে মিলে ওয়ালীকে উদ্ধার করে।

শিপনঃ ওয়ালী তুমি এতো ভাড় হলে কবে? মনে হচ্ছিলো তুমি আমাকে নিচের দিকে টানছো। ওরা না আসলে তো আমিও তোমার সাথে নিচে পরে যেতাম।

ওয়ালী কোন কথা বলে না। ঘুরে এসে পেছনে দাঁড়ায় শিপনের। শিপনও ওর দিকে ঘুরে। পেছনে আগুনের নদি আর সামনে ওয়ালি। কেমন অদ্ভুদ লাগছে ওয়ালীকে।

শিপনঃ কি হয়েছে তোমার ওয়ালী?

ওয়ালীর দারানো থেকে হটাত পরে যায় আর ওয়লার ভিতর থেকে বের হয় একটু ছেলে। ওয়ালী মাটিতে গরিয়ে পড়ার সাথে সাথে ছেলেটি শিপনকে ধাক্কা দেয়। শিপন আগুনের নদীতে পরে যায়। পরে যাওয়ার সময় শিপন সেই ছেলেটির হাত ধরে তাকে নিয়েই পরে।

বেশ কিছুখন কান্না কাটি করে ওরা শিপনের জন্য। অনেক খোজাখুজি করে। কিন্তু শিপনকে আর ফিরে পায় না। কলংকপুর থেকে ওরা চলে আসে।



৪ বছর পর

ভূত গোয়েন্দার সবাই এখন যে যার মত ব্যাস্ত। আগের মত ভূত গোয়েন্দার অফিসে তাদের আর বসা হয় না। তবে শিপনের জন্মদিনে ওরা সবাই একসাথে হয় এখানে। এই ভুত গোয়েন্দার অফিসে জন্মদিন পালন করে সবাই মিলে। তাহমিদ একটা বড় ফার্মে জব করে, শিলা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, এখনো তাদের বাচ্চাকাচ্চা হয়নি। রনি আর হিয়া বিয়ে করেছে যদিও হিয়ার স্টাডি এখনো শেষ হয়নি। রনি একটা পত্রিকায় সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। ডাক্তার শিফাকে বিয়ে করে সুখেই আছে এজাজ, নিজে একটা কম্পিউটার ফার্ম দিয়েছে। আলো এখন আর্মি ক্যাপ্টেন, হৃদয় গাড়ীর শোরুমের মালিক, ১বছর হয়নি তারা বিয়ে করেছে। ঝুম আর মামুন বরাবরের মত ঝগড়া করে যাচ্ছে, তবে এখন তাদের বাচ্চা কি খাবে কি খাবে না, কি পরবে কি পরবেনা সেটা নিয়ে ঝগড়া। অরন্তী অর্নবকে ছ্যাকা দিয়ে ব্যাকা করে চলে গেছে, এখনো ছেলেটি বিয়ে করেনি, অনুপ আর নাজমুল কে সাথে নিয়ে ভূত গোয়েন্দা ডিটেকটিভ ফার্ম চাল্লাচ্ছে। ওয়ালী কানাডা প্রবাসী মেয়ে বিয়ে করে পারি জমিয়েছে সূদুরে। শ্রেয়াস অদ্রীতার থেকে ছোট হওয়া স্বত্তেও কিন্তু তাদের প্রেম এখনো চলছে, নিজ নিজ বাড়িতে জানিয়েছে, খুব শিঘ্রই তাদের বিয়ে, আপনাদের সবাইকে বিয়েতে দাওয়াত রইলো। আর অধরা? সেই জম্বিটির কথা মনে আছে? অধরা সেই জম্বি রাফিকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলো, তাকে এখানে এনে সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে, এর জন্য অবশ্য তাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে, প্রথমে তার বাসা থেকে অনেক প্রবলেম করলেও রাফির প্রতি তার ভালোবাসা দেখে সবাই এটাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়। জয় সেচ্ছাশ্রমে নিজেকে আগের চেয়েবেশি মনোযোগী করে, এখানেই পরিচিইয় হয় নীলার সাথে(নীলা ফেসবুক আইডির নাম, বাড়িতে জরিনা বলে ডাকে), তারপর একসময় হটাত পালিয়ে বিয়ে করে। এছাড়া বাকিরা সবাই নিজ নিজ ভাবে ভালোই আছে।

আজ শিপনের জন্মদিন, প্রতিবারের মত এবারো রাতে বসে আছে সবাই। রাত ১২টা বাজলে কেক কেটে ফুর্তি করে। মধ্যরাত হলে প্ল্যানচ্যাটে বসে শিপনের আত্তাকে ডাকে। অরজিনাল শিপনের আত্তা আবার সেই শিপন না যে ভুত গোয়েন্দার শিপনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

শিপনকে প্ল্যান চ্যাট করে হাজার বার ডাকার পরেও সে আসে না। বিরক্ত হয়ে সবাই চুপ করে বসে আছে। কিছুখন পর কে জেনো দরজায় কড়া নারে। অনুপ গিয়ে খুলে দেয়।

নীল শাড়ী, কালো ব্লাউজ, কালো টীপ, হাতে নীল চূড়ি, অসম্ভব বেসম্ভব সুন্দরী একটি দাঁড়িয়ে আছে। অনুপ হা করে তাকিয়ে আছে।

মেয়েটিঃ আমি কি ভিতরে আসতে পারি?

অনুপ হা করে তাকিয়ে আছে। কথার জবাব দিচ্ছে না। মেয়েটি অনুপকে প্রেরিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়।

ভিতরের সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কে সে

মেয়েটিঃ ভালো আছো তোমরা?

এজাজঃ সবাই ভালো আছে। কিন্তু কে আপনি?

মেয়েটিঃ রোদেলা।

শিফাঃ রোদেলা। চিনলাম না তো।

ঝুমঃ আপনি এখানে কেনো এসেছেন?

রোদেলাঃ তোমাদের জন্য একটা গিফট আছে। সেটা দিতে এসেছি।

রনিঃ কে পাঠিয়েছে?

রোদেলাঃ আমাদের রাজা।

তাহমিদঃ হাহাহাহাহাহহা। মজা করছেন? আপনি কি আমাদের ভূত গোয়েন্দার কেউ? ভূত গোয়েন্দার কেউ না হলে তো এই ঠিকানা আর আমরা যে এখানেই আছি সেটা জানার কথা না।

রোদেলাঃ আমাকে যেতে হবে। আর খুব ভালো লাগলো তোমাদের সবাইকে একসাথে দেখে। ভালো থেকো।

রোদেলা দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। অন্যরা গিফটের প্যাকেট খুলতে থাকে। আর অনুপ হা করে রোবটের মত মেয়েটির পেছনে পেছনে হাটতে থাকে। সিঁড়ি দিয়ে কিছুখন নামার পরে আবার ফিরে আসে ছাদে অনুপ যে ছাদ থেকে তার চলে যাওয়া দেখবে। কিন্তু কেউ গেট দিয়ে বের হয় না। তারপর আবার সিঁড়ি দিয়ে নিচ পর্যন্ত এসে দেখে গেট তালা দেওয়া। ভয় পায়, উপরে ফিরে এসে ভূত ভূত ভূত করতে করতে জ্ঞ্যান হাড়িয়ে ফেলে অনুপ।

প্যাকেটের ভিতর থেকে একটি বই আর একটি চিঠি। বইটি নাম রাজকুমারী লাইলা লেখা মোঃ আসাদুর রহমান শিপন।

ঝুমঃ দাদার বই। দাদার লেখা। আর মেয়েটা মনে হয় দুপুর ভাইয়ার রোদেলা।

শিলাঃ চিঠিটা আগে পরো।

প্রিয় ভূত গোয়েন্দা বন্ধুরা,

আশারাখি তোমরা সবাই মহান প্রভুর অশেষ কৃপায় অনেক বেশি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। আমাকে খুব মিস করো তাই না? আমি জানি করো। আসলে অনেক ব্যাস্ত আমি এখন, আমি কিন্তু এখন কলংকপূরের মহারাজা, সব ভূত ভূতুদের মহারাজা। আর তাই এতো ব্যাস্ত। আমিও তোমাদের খুব মিস করি। কতটা মিস করি বলে বোঝানো যাবে না। তোমরা তো কলংকপুরের রাস্তা এখন চেনোই, একদিন চলে আসোনা আমার কলংকপূরে। আমি অপেক্ষায় থাকবো।

শুভ বিদায়।

শিফাঃ শিপন ভাইয়া এখন মহারাজা। হাহাহাহা আমরা যাবো।

অদ্রিতাঃ আচ্ছা এখন বইটা পরো কেউ।

শিলা বইটা জোরে জোরে পরে। আসলে বই এর সব ঘটনা তো তাদের জানাই। সুধু জানতো না শেষের কিছু ঘটনা। যেমন শিপনকে আসলে কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়?

শিপনকে শিপন ধাক্কা দেয়। সানিন্তার শিপন। নওমী তাকে বলে যে শিপনকে যদি সে মেরে ফেলতে পারে তাহলে তাকে মানুষের রুপে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করবে লুসিফার। আর সানিন্তা বেচে আছে আর সানিন্তাকে কাছে পাওয়ার জন্য এই শিপন ভূত গোয়েন্দার শিপনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং মেরে ফেলে। তারপর ভূত গোয়েন্দার শিপন ভূত হয়ে যায়, আর কলংকপূর উদ্ধারের কারনে অন্যান্য ভূতেরা তাকে ধরে নিয়ে এসে রাজা বানায়। আর সানিন্তার শিপন যেটা করে সেটা ভালোবাসা পাওয়ার জন্য করে। শিপন শিপনকে মাফ করে দেয়। ফিরিয়ে নিয়ে আসে শিপনকে। মহারাজ শিপনের প্রিয় বন্ধু দুপুরকেও এখানে আনা হয়, আনা হয় রোদেলাকে। তারপর থেকে খুব সুন্দর ভাবেই চলছে কলংকপুর। আর রাজকুমারী লাইলা তার সৌন্দর্য, তার যৌবন দিয়ে আগলে রাখছে কলংকপূরের সৌন্দর্য।

অধরাঃ শিপন ভাই এখনো বিয়ে করেনি।

মামুনঃ নাহ।

অদ্রীতাঃ চল আমরা কলংকপূর যাই, গিয়ে ভাইয়াকে বিয়ে দিয়ে আসি।

শ্রেয়াসঃ হুম। চলো।

এজাজঃ আগে এই বইটি আমরা আমাদের জন্য মানে এখানে ছাপাবো।

রনিঃ দারুন হবে।

এরপর সারারাত কিভাবে কলংকপূর যাবে, কিভাবে বই ছাপানো হবে, কার সাথে শিপনের বিয়ে দিবে, কি গিফট দিবে সেগুলা আলোচনা করতে করতে সারারাত কাটিয়ে দিয়ে ভোড়ে ঘুমিয়ে পরে।

সমাপ্ত

সবাইকে ধন্যবাদ কষ্ট করে বোরিং এই গল্পটি পড়ার জন্য। ভূল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরে কোন একদিন আবার আপনাদের এই ভূত গোয়েন্দাদের সাথে কলংকপুরের নিয়ে যাবো ভূত মহারাজ শিপনের সাথে দেখা করাতে।

যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ


১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater

২য় পর্ব ঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater

৩য় পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater

৫ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater

৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater

৭ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater

৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/929079630614660/?type=3&theater

৯ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/930679023788054/?type=3&theater

১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/931147953741161/?type=3&theater

১১তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/932484560274167/?type=3&theater

রাজকুমারী লাইলা (১১তম পর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা

(ভৌতিক কল্পকাহিনী)

পর্বঃ ১১তম একাদশ (#রাজকুমারী_লাইলা)

লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon







শিপনঃ রেডি তো সবাই?

হৃদয়ঃ হুম রেডি মোটামুটি।

ঝুমঃ দাদা এই যে মুখে ব্লেড দিয়ে কাটলাম, এখানে তো দাগ থেকে যাবে। আমার বিয়ে হবে না।

শিপনঃ আরে থাকবে না। তুই না কি সব প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় উপটান না কি টান মাখিস, ঐগুলা মাখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

ঝুমঃ দাদা সিক্রেট ফাস করো কেন?

শিপনঃ আর ভয় পাইস না, মামুন তো আছেই।

মামুনঃ হাজির আমি । সাজ টা ঠিক আছে না? প্যান্টের নিচে ছিরে ফেলেছি।

শিপনঃ সবই ঠিক আছে, কিন্তু তোমাকে দিয়ে অভিনয় হবে কিনা সেটা বুঝতেছিনা।

রনিঃ দাদা সব হয়ে যাবে জম্বির সামনে গেলে। এখন বলোতো কিভাবে কি করবে? আমরা বাজার থেকে কোন দিকে যাবো?

শিপনঃ আমরা নওমির আস্তানা খুজে বের করবো। তারপর ওকে ধংশ করবো।

রনিঃ কিভাবে ঐখানে খুজে পাবে? আর কিভাবেই ওকে ধংশ করবে?

শিপনঃ ইশ কত কথা বলে রে। এখানে যাবো। গেলেই ওকে খুজে পাওয়ার রাস্তা বের হয়ে যাবে। ওকে খুজে পেলে ওর প্রাসাদ পাওয়া যাবে। সেখানে রাজকুমারী লাইলা বন্দি আছে। রাজকুমারী লাইলাকে মুক্ত করতে পারলেই নওমী শেষ।

হিয়াঃ লাইলাকে কিভাবে?

শিপনঃ প্রাসাদে একটা পুকুর আছে, সে পুকুরের মাঝখানে একটি নীল পদ্ম আছে। সেই নীল পদ্ম গাছের নামই রাজকুমারী লাইলা। সেই নীল পদ্মটিকের গোড়া তলানি থেকে মানে মাটি থেকে তুলে রাখা হয়েছে। ধিরে ধিরে সেই রাজকুমারী লাইলা মানে পদ্মটি শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। যেদিন লুসিফারের কাছে নওমী পিশাচরানীর ১০০ কুমারীর বলি পূর্ন হবে সেদিন গাছটি একেবারে মরে যাবে আর এই কলংকপূর প্রেত, পিশাচদের আস্তানায় পরিনত হবে।

অনুপঃ তারমানে রাজকুমারী লাইলা কোন মেয়ে না? আমরা বৌদি পাচ্ছি না?

অদ্রিতাঃ ধুর। খালি আজাইরা প্যাচাল। ভাইয়া এখন আমরা পদ্মটিকে উদ্ধার করবো কিভাবে? আর সেই নওমীকে মারবো কিভাবে?

শিপনঃ আমার একটা গল্প ছিলো না নীল পরী ত্বরন্বীতা। সেই গল্পের মত কেউ একজন একডূবে নিচে পানির নিচে গিয়ে তলানীতে পদ্মের মূল গেড়ে দিয়ে আসতে হবে।

অধরাঃ আর নওমী?

শিপনঃ ও পিশাচনী, ও মরবে না। ওকে কলংকপূর থেকে বের করে দিতে হবে।

শ্রেয়াসঃ রাস্তা কোথায়? কিভাবে বের করবা?

শিপনঃ আমরা আসার সময় যে বীজটা পার হলাম সেই ব্রীজের নিচে আগুনের নদী। সেখানে ফেলে দিতে হবে নওমীকে।

ঝুমঃ সেটা কিভাবে সম্ভব?

শিপনঃ আগে চল যাই তারপর দেখা যাবে। মনে হচ্ছে এখানে বসেই কলংকপূর জয় করে ফেলবে। চল সবাই।

রনিঃ বাচ্চারা এখন দেখাও তোমাদের অভিনয়ের প্রতিভা।

এরপর সবাই জম্বির মত করে হেটে বাজারে ঢুকে পরে। বাজারের মাঝখানে গিয়ে তো প্রায় আধমরা আধমরা অবস্থা। মানুষ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে এখানে। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। আর পচা লাশের গন্ধ। বমি একদম গলায় বেজে আছে সবার। বাজারটুকু পার হলেই জেনো বাচে ওরা।

ভালোই জম্বির অভিনয় করছে ওরা। তবে শিলাকে পেত্নীর মত লাগছে। তালগাছের মত লাম্বা মেয়েটি সাদা থ্রিপিস, খোলা চুল, সে গালে কাটাকাটি না করে তাহমিদের হাত কেটে রক্ত নিয়ে লাগিয়েছে মুখে। চোখের নিচে লাগিয়েছি। অদ্ভুত টাইপের পেত্নী। না পেত্নী, না জম্বি।

পিছন থেকে শ্রেয়াস, তার সাথে সাথে হাটছে অদ্রিতা।

অদ্রিতাঃ থামো সবাই। আমার বাজার ছেরে চলে এসেছি দূরে। আর দেখে কে জেনো আমাদের এখানে দৌড়ে আসছে।

অর্নবঃ আরে ঐটা নাজমুল না?

এজাজঃ হুম নাজমুলই তো।

হৃদয়ঃ ওকে না গাড়ী পাহাড়া দিতে রেখে এসেছিলাম, ও এখানে কেনো?

নাজমুল দৌড়ে চলে আসে ওদের কাছে। হাপাতে হাপাতে বলে

নাজমুলঃ কি খবর তোমাদের?

হৃদয়ঃ শালা তুই আমার গাড়ি ফেলে আসছিস কেন?

শিপনঃ হৃদয় থামো। নাজমুল তুমি এখানে এলে কিভাবে?

নাজমুলঃ হাই শিপন কেমন আছো? আমিও শিপন।

শিপনঃ বুঝলাম না।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ তোমরা কেউ তাকে আমার কথা বলোনি?

এরপর এজাজ শিপনকে শিপনের আত্তার কথা বলে যে সে কিভাবে কিভাবে তাদের সাথে আসে।

শিপনঃ খুব দুঃক্ষ পেলাম আপনার ইতিহাস শুনে। তবে কষ্ট পাবেন না। আপনাদের রাজ্য আমি আপনাদের ফিরিয়ে দিয়ে যাবো। প্রমিজ।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আর রাজ্য। সানিন্তা ঐখানে আর আমি এখানে। ভালোবাসাই নাই, আর ভালো থাকা। আর হ্যা। তোমাদের বন্ধু নাজমুল গাড়ীতে ঘুমোচ্ছিলো। এখানে আসার ওয়ে পাচ্ছিলাম না তাই ওর ঘাড়ে চেপে চলে এলাম।

মামুনঃ আচ্ছা শিপন আপনি কি জানেন নওমীর প্রাসাদটা কোথায়? আর সেই পুকুরটা কোথায়?

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ হুম, জানি। সেটা জানানোর জন্যেই তো ছুটে এলাম। যা করার আজকেই করতে হবে। কারন আজই সে আরেকটি কুমারী মেয়ে পৃথিবী থেকে তুলে নিয়ে এসেছে বলি দেওয়ার জন্য। তোমাদের বান্ধবী শিফা না কুফা, ঐযে বাচিয়েছিলাম আমি দুদিন আগেই।

হিয়াঃ কিহ! শিফাকে তুলে নিয়ে এসেছে?

অনুপঃ আসলেই শিফা একটা কুফা, একবার মরার হাত থেকে বেচে এসে আবার মরতে এসেছে।

শিপনঃ আচ্ছা তুমি আমাদের ঐখানে নিয়ে চলো।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ চলো। তবে সাবধানে। যেভাবে এসেছিলে। এখন সবাই ব্যাস্ত বলির প্রস্তুতি নিতে। এখন সহজেই দীঘি তে নামতে পারবে।

সবাই নাজমুল(শিপনের আত্তা)এর পিছনে পিছনে হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে কিছুদুর যাওয়ার পর আরেকটি বাজারের মত। সেখানে আস্ত মানুষ বিক্রি হচ্ছে। কি অমনাবিক ভাবে হাত পা বেধে রাখা হয়েছে। সেই বাজার পার হয়। এবার সবাই একটু ছেরে ছেরে মানে দূরত্ব বজায় রেখে হাটছে। কেউ জেনো বুঝতে না পারে যে এরা সবাই একসাথে।

বাজার পার হয়ে কিছুদুর এগিয়ে এসেছে। অধরা দৌড়ে অর্নবের কাছে আসে।

অধরাঃ অন্তু দেখ কে জেনো আমাকে ফলো করছে। পিছনে দেখ।

অর্নব পিছনে ফিরে দেখে একটা ছেলে জম্বি ওদের ফলো করছে।

অর্নবঃ হাতীর বাচ্চা, ও তোকে না আমাদের সবাইকে ফলো করছে।

অধরাঃ হাতীর বাচ্চা বলবি না কুত্তা।

অর্নব সামনে এগিয়ে গিয়ে শিপনকে বলে ব্যাপরটা। শিপন ও পিছন ফিরে দেখে তাই।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আমরা চলে এসেছি। ঐ দেখো, ঐ বিশাল প্রাসাদটাতেই এখন নওমী থাকে। আগে এখানে কলংকপুরের রাজা থাকতো। খুব জাকজমক করে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করে রাজা নির্ধারন করা হতো।

সামনে বিশাল এক উচু প্রাসাদ। বিশাল সদর দরজা। কিন্তু মৃত প্রাসাদ। কোন প্রান নেই এমন। শেওলা জমে আছে। কোন বাতি নেই, রঙ নেই।

দরজায় দুইজন প্রহরী দাঁড়িয়ে আছে।

শিপনঃ প্রহরীদের চোখ ফাকি দিয়ে ঢুকবো কিভাবে?

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ আমি সে ব্যাবস্থা করেছি। আমি আগেই ভিতরে ঢুকার পাশ রেডি করে এনেছি।

হিয়াঃ ভিতরে ঢুকার পাশ কি? দেখা যাবে একটু?

নাজমুল পকেট থেকে একটা রক্তাক্ত কলিজা বের করে। সেটা দেখে মাথা ঘুরিয়ে পরে যায় শিলা। ঝুম আর অদ্রিতা ওকে ধরতে যায়।

অধরাঃ এটা কি?

শিপনঃ মানুষের কলিজা। এই বাজার থেকেই কিনেছি।

শ্রেয়াসঃ কি দিয়ে কিনলে? হৃদয় আসার সময় ওর গাড়ির উপরে ফ্রিজিং করে ঈলিশ মাছ নিয়ে এসেছিলো। আমি এখানে আসার সময় সব গুলো মাছ নিয়ে আসি। সেই মাছ দিয়েই

ওয়ালীঃ তার মানে এখানে বিনিময় প্রথা।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ কারেক্ট। তবে এই একটি কলিজা দিয়ে মাত্র ৩জন আমরা ভিতরে ঢুকতে পারবো। নওমীর সাথে দেখা করবো বলে ঢুকে আমরা আমাদের কাজ করবো।

শিপনঃ আমার আর নাজমূল এর সাথে আর কে যাবে?

এজাজঃ আমি।

মামুনঃ আমি

শ্রেয়াসঃ আমি ভালো সাতার জানি।

অনুপঃ আমি যাবো না। ভয় লাগে।

রনিঃ দাদা আমি যাবো।

শিপনঃ মামুন চলো। আর রনি এজাজ তাহমিদ সহ বাকিরা এখানে থাকো। ঐ যে বটগাছটা। সেটার নিচে থাকো। আর বাচ্চাদের দেখে রাখো।

এজাজঃ কাকা আমরা কি শিফার খোজ করবো? জানিনা বেচারি কেমন আছে।

শিপনঃ নাহ এখানেই থাকো কাকা। আমরা এসে একসাথে যাবো।

ঝুমঃ দাদা সাবধানে যাবে, আর আমার মামুনকে একটু দেখেশুনে রাইখো।

শিপনঃ হাহাহাহাহা।

এরপর শিপন, নাজমুল(শিপনের আত্তা), আর মামুন ভিতরে ঢুকে। প্রাসাদের ভিতর বেশকয়েকটি জম্বি লক্ষা করা গেলো।

মামুনঃ আচ্ছা কোন পিশাচ বা প্রেতাত্তা দেখছি না। ওরা কোথায়?

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ ওরা ব্যাস্ত, আজ বলি হবে না।

মামুনঃ ওহ।

নাজমুল(শিপনের আত্তা) মামুন আর শিপনকে দীঘীর সামনে নিয়ে যায়। দিঘীর মাঝখানে দেখা যাচ্ছে সেই পদ্মটিকে। সুকিয়ে গেছে।

শিপনঃ এই পদ্মটিই কি সেই পদ্ম?

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ হ্যা।

মামুনঃ ভাইয়া আমি নামি।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ নাহ নাহ, শিপন তুমিই নামো।

শিপনঃ হ্যা, আমিই নামছি।

শিপন পানিতে নামে। সাতরে পদ্মটির কাছে যায়। একডূবে এই পদ্মটির মূল মাটিতে পুতে দিতে হবে।

মামুনঃ নাজমুল তুমি পানিতে নামছো কেন?

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ শিপনের যদি কোন সমস্যা হয় তাই ব্যাকয়াপ দেওয়ার জন্য।

মামুনঃ আমিও আসি।

নাজমুল(শিপনের আত্তা)ঃ নাহ তুমি এখানে থাকো।

শিপন পানিতে ডূব দেয়। একডুবে পদ্মর মুলের গোড়ায় নেমে আসে। মূল ধরে মাটিতে গাড়তে যাবে আর এমন সময় কে জেনো শিপনের মূখ চেপে ধরে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কোন ভাবে পিছনে চেয়ে দেখে যে নাজমূল তার মূখ চেপে ধরেছে। শিপন সর্বাত্বক চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়ানোর। দম বন্ধ হয়ে আসছে। আর মূলটাও একদম গাড়তে হবে। শিপনের সামনে দিয়ে আরেকটা ছেলে আসে। মামুন। হ্যা মামুন শিপনকে না ছাড়িয়ে আগে পদ্মের মূলটি ধরে মাটিতে গেথে দেয়। এরপর পকেট থেকে ব্লেড বের করে নাজমূলের হাতে পোছ দিয়ে কেটে দেয়। নাজমূল নুয়িয়ে পরে শিপনকে ছেরে দেয়। নাজমূলকে নিয়ে সংগে সংগে উপরে উঠে আসে। দম নিয়ে এই যাত্রায় বেচে যায় শিপন।

উপরে নাজমুলকে উঠিয়ে ওর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে শিপন।

মামুনঃ দাদা তুমি আবার ওকে বাচাচ্ছো? ওর গলায় রগ কেটে মেরে ফেলা উচিত ছিলো।

শিপনঃ মামুন ভূল বুঝছো তুমি। আমার মুখ চেপে ধরেছিলো শিপনের আত্তা, নাজমুল না।

মামুনঃ হ্যা সেটাই তো। ভূলেই গিয়েছিলাম।

মামুনের জ্ঞ্যান ফিরে আসে।

শিপন ঃ নাজমূল এখন কেমন লাগছে?

নাজমুলঃ আমি এখানে কিভাবে? আমি তো গাড়িতে ছিলাম।

শিপনঃ সেগুলা পরে শোনা যাবে। এখন এখান থেকে বের হও। জানিনা বাইরে ওরা কেমন আছে।

মামুনঃ চলো দাদা।

ওরা বাইরে বের হবার জন্য হাটা শুরু করে।

এদিকে রাজকুমারী লাইলা নামের পদ্মটি আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে, সেই সাথে কলংকপূর। কলংকপুরে এই মুহুর্তের ওয়েদার বসন্তের মত, সুতরাং এখন দিন। প্রাসাদ সহ সব কিছু আলোয় আর রঙে ঝকমক করা শুরু করেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে যে কলংকপুর টা আসলে কতটা সুন্দর।

কেউ একজন রাজকুমারী লাইলাকে মুক্ত করেছে খবরটি পেয়ে গেছে নওমী। কলংকপূর এখন প্রায় তার দখলের বাইরে চলে গেছে।

সজলঃ সব তো শেষ হয়ে গেলো। এখন কি করবে ? প্রেতাত্তা, পিশাচ, রাক্ষস কেউ আর এখানে থাকতে পারবে না।

নওমীঃ সবকটাকে আমি শেষ করে দিবো।

সজলঃ কিভাবে? এখন তো আমরাই প্রায় শেষ।

নওমীঃ ১০০ কুমারী বলীর আর মাত্র একটি বাকি। সেটির ব্যাবস্থা করো। বাকিটা লুসিফারের সাথে কথা বলে আমি দেখছি।

সজলঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

বসন্তের ঝলমলে আলো কলংকপূরে দেখে প্রেতাত্তা, পিশাচ, রাক্ষস গুলো ভয়ে যে যেদিকে পারছে ছুটে চলছে। কলংকপূরের বাইরের ভূত ভূতুরাও এখন কলংকপুরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করছে।

শিলার জ্ঞ্যান ফিরেছে। মুহুর্তে কলংকপুরের এমন পরিবর্তন দেখে হতবাক ওরা।

অর্নবঃ শিপন ভাই মনে হয়ে রাজকুমারী লাইলাকে উদ্ধার করতে পেরেছে।

অদ্রিতাঃ হুম।

হিয়াঃ ঐ দেখো কয়েকটা জম্বি এদিকেই তেরে আসছে।

অনুপঃ পালাও পালাও।

অনুপের কথা শোনার আগেই মেয়ে গুলো যে যার মত ছিন্নভিন্ন হয়ে দৌড দিলো, অনুপও। পিছন থেকে এজাজ তাহমিদ রনি বার বার বলে চলছে যে কেউ ছন্নছাড়া হবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা। দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে।

অধরা কয়েকটা ঘরের মাঝখানের দৌড়াচ্ছে। তার পিছনে একটা জম্বি, এই জম্বিটা আগেও ওর পিছু নিয়েছিলো। অধরা একটা দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে হাফছাড়ছে তখন পিছন থেকে আরো ৩টা জম্বি এসে তারাকরে। দৌড়াচ্ছে আর এমন সময় অধরার হাত চেপে ধরে পাশ থেকে একটা জম্বি। ওকে নিয়ে একটা ঘরে লুকিয়ে পরে। অধরা কাপতে কাপতে শেষ। নিশ্চয় এই জম্বিটি এখ দুপুর আর শিফাকে যেভাবে পেট কেটেছিলো সেভাবে তাকেও পেট কেটে কলিজা খেয়ে মেরে ফেলবে। অধরা চোখ বন্ধ করে রাখে।

জম্বিঃ আমি তোমার ক্ষতি করবো না।

অধরা একচোখ খুলে দেখে, হাত দিয়ে স্পর্শ করে দেখে। হ

অধরাঃ তুমি কি আমার মত মানুষ? যেভাবে আমরা জম্বির অভিনয় করেছিলাম সেভাবে কি তুমিও করছো?

জম্বিঃ আমি পিশাচ। জম্বিও ও বলতে পারো।

অধরাঃ তুমি আমাকে এখন মেরে ফেলবে?

জম্বিঃ নাহ।

অধরাঃ কেনো?

জম্বিঃ মারলে খুশি হবে?

অধরাঃ নাহ। কি নাম তোমার?

জম্বিঃ রাফি।

অধরাঃ জম্বি হলেও তোমার চোখ দুটো কিন্তু খুব সুন্দর।

রাফি জম্বি লজ্জা পায়। এরপর অধরাকে নিয়ে সেখানের একটা লেকের ধারে বসে দুজনে গল্প শুরু করে। আর অন্যরা যে যার জুটি খুজে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। তাহমিদ শিলাকে, রনি হিয়াকে, শ্রেয়াস অদ্রিতাকে, হৃদয় আলোকে। আর এজাজ, অর্নব, অনুপ, ঝুম একসাথে আছে।

শিপন, নাজমুল আর মামুন ফিরে আসে যেখানে বাকিদের রেখে গিয়েছিলো। এসে দেখে কেউ নেই।

মামুনঃ দাদা ঝুমরা কোথায়?

শিপনঃ ওদের তো এখানেই থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু কোথায় গেলো?

মামুনঃ নিশ্চই ওরা বিপদে পরেছে। চলো ওদের খুজি।

শিপনঃ তোমরা দুজন ওদের খুজে বের করো। আমি শিফাকে খুজি। এতোখনে নিশ্চই শিফাকে বলি দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে ওরা। তোমরা যাও আমিও যাই।

শিপন কথাগুলো বলেই দৌড় দেয়। তারপর দেখে সবগুলা জম্বি একদিকে হাটছে। শিপন জম্বিদের সাথে মিশে হাটা শুরু করে।



চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

আজকের মত ১১তম পর্ব এখানেই শেষ করা হলো। আগামী পর্বই শেষ পর্ব ।আগামীকাল ইনশাল্লাহ শেষ পর্ব পাবেন। শেষ পর্বটি কেমন চান সেটি চাইলে কমেন্টস করে মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া যে কোন মতামত জানাতে দ্বিধাবোধ করবেন না। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ


১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater

২য় পর্ব ঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater

৩য় পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater

৫ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater

৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater

৭ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater

৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/929079630614660/?type=3&theater

৯ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/930679023788054/?type=3&theater

১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/931147953741161/?type=3&theater

রাজকুমারী লাইলা (১০ম পর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা

(ভৌতিক কল্পকাহিনী)

পর্বঃ ১০ম দশম (#কলংকপুর)

লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon







হৃদয় আর অর্নব এগিয়ে এসে শিপন আর ওয়ালীকে উঠায়। শিলা আর অধরা যায় আলোর কাছে। খুব অসুস্থ হয়ে গেছে মেয়েটি। হৃদয় শিপনকে উঠিয়ে দিয়ে আলোর কাছে যায়

হৃদয়ঃ কি হয়েছে তোমার?

আলো কথা বলতে পারছে না। অধরার কাধে মাথা নুয়িয়ে দিয়েছে।

শিলাঃ ও মনে হচ্ছে খুব অসুস্থ।

শিপন এগিয়ে আসে। ওর খাবার প্রয়োজন। তোমাদের কাছে খাবার আছে?

অনুপঃ আমার কাছে আছে।

ঝুমঃ যাক ওর খাই খাই অভ্যাসটার জন্যে আজ একটু হলেও উপকার হলো।

অনুপের মুখ অলওয়েজ চলতে থাকে। মানে কিছু না কিছু খাবার ২৪ ঘন্টা ওর মুখে থাকে। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও সত্য যে অনুপ টয়লেটও খাবার নিয়ে যায়। বলে সময়ের অপচয় সে একদম পছন্দ করে না। ঘুমের সময় মুখে চুইংগাম বা চকলেট থাকে। এখন সে পকেট থেকে বিস্কিট আর চানাচুর বের করে। আর পানি হেটে আসতে হবে বলে সবাই বোতল নিয়ে এসেছে।

অনুপঃ আমি জানতাম খাবার লাগবে তাই নিয়ে এসেছিলাম। আর এটা নিয়ে ঝুম তুই হাসাহাসি করলি?

অদ্রীতাঃ ভাই থাম তোরা। ওকে আগে সুস্থ করি।

অদ্রীতা নিজের পানির বোতলটি আলোর মুখে এগিয়ে ধরে, আলো পানি খায় তারপর কিছুটা বিস্কিট।

শিলাঃ আপু তুমি এখানে কিভাবে আসলে?

আলোঃ হৃদয় নিয়ে আসছে।

এজাজঃ হৃদয় তোমাকে নিয়ে আসছে? ও তোমাকে মারার জন্য এখানে নিয়ে আসছে?

ওয়ালী আলোর কথা শুনে সাথে সাথে হৃদয়ের পেটে ঘুষি দেয়।

ওয়ালীঃ শালা বেঈমান। নিজের গার্লফ্রেন্ডরে আইনা পিশাচের কাছে বলি দেয়। ঐ আলো তুমি এখনি হৃদয়ের সাথে ব্রেকাপ করবা।

শ্রেয়াসঃ ঐ থামো। হৃদয় কখন করবে এই কাজ? ও তো আমার সাথেই ছিলো।

আলোঃ প্লিজ তোমরা থামো। আগে আমার কথা শুনো।

শিপনঃ বলোতো আলো

আলোঃ আমি ট্রেনিং শেষে ফুপির বাসায় উঠেছিলাম। বারান্দায় গিয়ে দেখি হৃদয়। এর আগে আমি ওকে কয়েকবার ফোন দিয়েছি কিন্তু সুইচ অফ ছিলো। খুব মিস করছিলাম ওকে। তাই ওকে দেখে খুশিতে লাফাতে লাফাতে নিচে চলে আসি। ওর কাছে গিয়েই জরিয়ে ধরি। ও বলে চলো রবিন্দ্র সরবর থেকে ঘুরে আসি। তারপর রিক্সায় উঠি। ও আমার ঠোটে চুমু দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই যে কিভাবে এখানে এলাম।

হৃদয়ঃ সেটা আমি ছিলাম না। আমি, অনুপ, শ্রেয়াস, মামুন টানা ১২দিন হয় আমার বাসায়, এর আগে ছিলাম সিলেট, সেখানেও একসাথে। আমি কিভাবে কি, আর কি বলতেছো তুমি বুঝতেছিনা। (হৃদয় কেদে দেয়)।

আলোঃ হৃদু কান্না করো না। সেটা তুমি ছিলে না। তোমার বেশ ধরে নওমি এসেছিলো। যখন জ্ঞ্যান ফিরে তখন সামনে দেখি নওমি। একটা রুমে বন্দি আমি সকাল থেকে। জানো নওমী পিশাচিনি হয়ে গেছে। এর আগে শুনিছিলাম ওকে নাকি গ্রামবাসী হত্যা করেছিলো।

শিপনঃ হুম। প্রথমে অতৃপ্ত আত্তা, সেখান থেকে ভূত আর ভুত থেকে মরে গিয়ে প্রেতাত্তা পরে মানুষের উপর ক্ষোভ থেকে পিশাচিনী।

শিলাঃ নওমী আমার কাছেও এসেছিলো তাহমিদ সেজে। যাক আল্লাহ বাচাইছে।

শিলাঃ আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না।

ঝুমঃ দাদা ও শীলা বৌদি।

শিপনঃ শিলা বৌদি মানে। আমাকে দাদা বলিস আর উনাকে বৌদি। থাপরাইয়া

ঝুমঃ দাদা থামোতো। আসলে সে তাহমিদ ভাইয়ার বউ।

শিপনঃ তাহমিদ! তাহমিদ তুই বিয়ে করলি কবে?

তাহমিদ লজ্জা পেয়ে হৃদয়ের পিছে লুকিয়ে পরে।

শিপনঃ আচ্ছা তোরা এখানে কেন আর কিভাবে?

অধরা সামনে এগিয়ে আসে। সে শুরু থেকে বলতে শুরু করে। মাঝে মাঝে অর্নব আর মামুন ও বলে।

দুপুর মারা গেছে শুনে খুব কষ্ট পায় শিপন, সে তার বেষ্ট ফ্রেন্ড। চোখ দিয়ে পানি পরে। শিফার জন্যেও কষ্ট পায়। তবে ভুত গোয়েন্দাদের এই সাহস আর এডভ্যাঞ্চারে খুব খুশি হয়।

রনিঃ দাদা সবই তো শুনলে। এখন কিভাবে কলংকপুর মুক্ত করা যায়?

শিপনঃ কলংকপুরে যেতে হবে। সেখানে রাজকুমারী লাইলা বন্দি আছে তাকে উদ্ধার করতে হবে।

রনিঃ কিন্তু কিভাবে? কলংকপুরে যাওয়ার রাস্তা পেয়েছো?

শিপনঃ হ্যা পেয়েছি।

এজাজঃ কোথায় কাকা?

নিচে। চলো সবাই।

সবাইকে নিয়ে নিচের ঐরুমে যায় শিপন।

শিপনঃ এই গর্তে লাফ দিতে হবে। জানিনা গর্তের অপরপ্রান্তে কি। এই বই অনুযায়ী সেখানে কলংকপূর হওয়ার কথা।

অর্নবঃ এটা কিশের বই?

শিপনঃ এটা কলংকপুরের যাওয়ার ইন্সট্রাকশন আর কিছু মন্ত্র ট্রন্ত আছে আর কি।

রনিঃ দাদা দেখতে পারি বইটা?

শিপনঃ হ্যা অবশ্যই। আমার পড়া শেষ। এটা এখন তুমিই রাখো, মন্ত্র ত্রন্তে তোমার আগ্রহ আছে, কাজে লাগবে তোমার।

হিয়াঃ আপনি ওকে এটা দিবেন না প্লিজ, আমি এগুলা পছন্দ করি না। সো রনি তুমি আর মন্ত্র ট্রন্ত নিয়ে মাথা ঘামাবে না।

শিপনঃ আরে হিয়া তুমি তো অনেক সুন্দরী হয়ে গেছো। কিন্তু আমার উপর রাগ এখনো কমেনি?

রনিঃ দাদা ওর কথা বাদ দাও। বলো কলংকপুরে যাবো কিভাবে?

শিপনঃ আমি গর্তে যাচ্ছি। এখানে বাচতেও পারি মরতেও পারি। আমি মৃত্যু মেনে নিয়েই নিচে নামছি। যারা যারা মৃত্যু মেনে নিয়ে নামতে পারবে তারা আসো। আর বাকিরা ফিরে যাও বাড়ি। বাড়ি ফিরে যাওয়াটাই ভালো হবে।

ওয়ালীঃ ভাই আমি তোমার সাথে যাবো।

হৃদয়ঃ মামা আমিও যাবো।

অর্নবঃ আমি সবার আগে, আই লাভ এ্যডভেঞ্চার। ( বলেই গর্তে লাফ দেয় অর্নব)

শিপনঃ ছেলেটার সাহস আছে বলতে হবে।

আলোঃ আমি আর্মির ট্রেনিং শেষ করলাম, আমার ও সাহস কম নেই। (বলেই লাফ দিলো আলো, আর পিছনে পিছনে হৃদয়)

শিপনঃ লে বাবা, আমি আগে নামতে চাইলাম কিন্তু আমি চান্সই পাচ্ছি না।

রনি একটা মুচকি হেসে লাফ দিলো। অধরা শিপনের দিকে তাকিয়ে কাছে এসে

অধরাঃ আমি ভয় পাই, তবে আপনার হাত ধরে আপনার সাথে লাফ দিলে মনে হয় ভয় পাবো না।

শিপন কিছুক্ষন হাসে তারপর অধরার হাত ধরে লাফ দেয় ।

ঝুমঃ মামুন আমাকে তোমার বুকে জরিয়ে ধরে কলংকপূরে নিয়ে যাবে?

মামুন ঝুমের কথা শোনার সাথে সাথেই ওকে জরিয়ে ধরে গর্তে লাফ দেয়।

পিছন থেকে শ্রেয়াস ও লাফ দেয় অদ্রীতার হাত টেনে ধরে।

অদ্রীতাঃ আমি যাবো না, আমার ভয় লাগে।

শ্রেয়াসঃ আমি আছি ভয় নাই। আই লাভ ইউ।

অদ্রীতাঃ লাভ ইঊ টূঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊ

হিয়াঃ শিলা বৌদি আমরা বাকিরা কি করবো এখন?

শিলাঃ এই বৌদি বলবা না একদম। আমি কি হিন্দু ? তাহমিদ তুমি কিছু বলছো না কেন?

অনুপঃ কি করবো মানে? বাসা চলে যাবো। ওদের মৃত্যুর খবর ওদের বাড়িতে জানাতে হবে না?

তাহমিদঃ আমি কলংকপুরে যাবো।

শিলাঃ তাহমিদ প্লিজ পাগলামো করে না। আমাদের সামনে ফিউচার পরে আছে। সামনে বিসিএস পরিক্ষা দিবো। এখন পাগলামো না করে ফিরে যাই।

হিয়াঃ শিপন ভাই, রনি দুজনেই চলে গেলো। আমি এখানে থাকবো কেন ? আমিও কলংকপুরে যাবো।

অনুপঃ শিপন ভাইকে না তুই ঘৃনা করিস। বুঝিনা শালা

হিয়াঃ মোটেও ঘৃনা করি না। উনাকেও পছন্দ করি কিন্তু উনি একটু ফটকা টাইপের, ছ্যাকা খাওয়া পোষ্ট ছাড়া কিছুই বুঝে না। আর রনি খুব ভালো ছেলে, সাদামাটা, সৎ আর অসাধারণ লিখে।

তাহমিদঃ ভাইয়াকে নিয়ে একটাও বাজে কথা বলবা না। সে মোটেও ফটকা টাঈপের না। সে রোদেলাকে ভালোবাসে, একদম পিচ্চি কাল থেকে। কিন্তু রোদেলার বিয়ে...............

পিছুন থেকে এতোখন চুপ থাকা জয় আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে শিলাকে গর্তে ফেলে দেয়।

জয়ঃ শালী ভীতুর ডীম। নিজে যাবে না আবার আমাদের ও যেতে দিবে না।

তাহমিদঃ ভালো করছো জয়। এখন অনুপটাকেও ধরো।

তাহমিদ আর জয় অনুপকে ধরে কোল পাথারী করে গর্তে ফেলে দেয়। এরপর হিয়া, জয় আর তাহমিদ ও লাফ দেয়।

শিফা আর দুপুর ছাড়া ভূত গোয়েন্দা টিমের সবাই এখন এক মুরুভূমির মত মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

বালী আর বালী। আর ওয়েদারটা একদম ভিন্ন রকম। বিকেল বেলা ঝড় আর বৃষ্টি হওয়ার পূর্বে আকাশ যেমন মেঘলা অন্ধকার হয়ে ভিন্নরকম একটা পরিবেশ তৈরি করে সেই রকম ওয়েদার।

অর্নবঃ ভাইয়া ব্যাথা পাইছি। মনে হয়ে মেরুদন্ড ভেংগে গেছে।

শিপনঃ কিছু হয় নাই। দাঁড়িয়ে হাত পা ঝাড়া দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ওয়ালীঃ আকাশ মেঘলা বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে। চলো কোন কিছুর নিচে যাই।

রনি ঃ এখানে ওয়েদারটাই মনে হয় এমন। এটা ভূত পেত্নীদের রাজ্য।

শিপনঃ কিন্তু বই এ তো লেখা ছিলো ওয়েদারটা এমন যে আমাদের যেমন দিন আর রাত এখানে গোধুলী আর বসন্তের সকালের মত। আমাদের দিন এদের বসন্ত সকাল, আর রাত মানে এদের গোধুলী।

এজাজঃ তাহলে এমন হয়ে আছে কেনো কাকা?

শিপনঃ ওহ সরি। এখন তো এটা পিশাচদের রাজ্য।

হৃদয়ঃ চলো সামনে যাই।

অনুপঃ খুদা লাগছে।

হাটতে থাকে ওরা। হাটতে হাটতে অনেক সামনে চলে আসে। সামনেই ভূত রাজ্যের শহর। শহরে ঢোকার জন্য বিশাল এক ব্রীজ আছে, ব্রিজে পচা গন্ধ বের হচ্ছে।

অধরাঃ (ওয়াক ওয়াক) ছিঃ কি বিশ্রি গন্ধ।

শিপনঃ এগুলা টিউলিপ ফুল ছিলো। পুরো ব্রিজ জুড়ে এই ফুল থাকতো, অনেক সুঘ্রাণ ও থাকতো। কিন্তু

রনিঃ কিন্তু প্রেতাত্তারা দখল নেবার পর সব বন্ধ।

হিয়াঃ আরে ভূতেরাও ডিজিটাল ছিলো, এই দেখো ডিজিটাল স্ক্যানার মেশিন।

ঝুমঃ বুঝতে হবে রাজকুমারি লাইলার রাজত্ব ছিলো এটা।

ওরা ব্রিজ পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে। সদর দরজা প্রেরিয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সামনে অনেক বড় বড় দেওয়াল করা বিল্ডিং, আধুনিক মেট্রো রেল, কিছু উরন্ত গাড়িও দেখা যাচ্ছে। তবে শব ময়লা, শ্যাওলা জমা। কেউ ব্যাবহার করে না মনে হয়।

অদ্রীতাঃ এই সব সচল থাকলে এটা বসাবাসের জন্য সত্যি একটা অসাধন জায়গা হতো, তাই না শ্রেয়াস?

শ্রেয়াসঃ দাদা এই জায়গার প্রান ফিরিয়ে দিতে হবে। সত্যি অসাধারণ একটা জায়গা। কিন্তু এখন কেমন দেখাচ্ছে।

ঝুমঃ ঐ দেখ ঐ দেখ ঐটা মনে হয় সিনেপ্লেক্স ছিলো।

মামুনঃ হুম।

সবাই মিলে হাটছে। আর কিছুদূর আগায়। সামনে থেকে কিছু শব্দ আসছে।

অনুপঃ দাদা কোন শব্দ আসছে মনে হয়।

জয়ঃ তোমরা এখানে দাড়াও আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে আসি।

শিপনঃ সাবধানে জয়।

জয় খুব ধিরে ধিরে সামনে এগোয়। দেওয়ালের পাশ থেকে উকি দিয়ে দেখে কিছুক্ষন। তারপর আবার ধিরে ধিরে ফিরে আসে।

জয়ঃ (ফিসফিসিয়ে) দাদা এখানে তো জম্বি।

শিপনঃ কি করছে ওরা?

জয়ঃ এটা হাটবাজারের মত মনে হইলো।

রনিঃ জম্বিদের হাট?

জয়ঃ তাইতো মনে হলো।

অদ্রিতাঃ এখন কি করা যায়? ওরা তো আমাকে খেয়ে ফেলবে। আমি মরে যাবো, সব দোষ শ্রেয়াস এর।

শিপনঃ প্লিজ চিল্লাইয়ো না। ভাবতে দাও আমাকে।

রনিঃ ওদের মধ্যে ঢুকতে না পারলে তো জানাও যাবে না যে রাজকুমারী কোথায়।

শিপনঃ তোমরা থাকো। আমি একাই যাই।

হৃদয়ঃ মামা পাগল হইছো? তোমাকে ভিতরে একা কখন যাইতে দিবো না।

হটাত শিলা ভয়ে চিৎকার দেয়। ওর দিকে তাকিয়ে দেখে ওর পিছনে ঝুম, খোলা চুল হাত পা কেমন করে একে বেকে সামনে এগিয়ে আসছে।

ওয়ালীঃ ঝুম জম্বি হয়ে গেছে। পালাও।

ঝুমঃ থাম গাধা। দাদা অভিনয়টা কেমন হইছে?

শিপনঃ দারুন আইডীয়া। এইতো আমার বুদ্ধিমতি বইনাটা। আমরা সবাই জম্বি সাজবো। জম্বির মতো সেজে অভিনয় করে ওদের মধ্যে ঢুকে যাবো।

রনিঃ ঝুম এই জন্যেই তুই আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড।

মামুনঃ আর আম্র একমাত্র বউ।

এরপর সবাই জম্বির সাজ্জসজ্জা শুরু করে। প্রানবন্ত করতে নিজেদের গালে ও মুখে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্তও করে। উদ্যেশ্য একটাই, কলংকপুর কে উদ্ধার, রাজকুমারী লাইলাকে উদ্ধার, কলংকপুরের প্রান ফিরিয়ে দেওয়া।



চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

আজকের মত ১০ম পর্ব এখানেই শেষ করা হলো। হয়তো আগামী পর্বই শেষ পর্ব হতে পারে। আগামীকাল বা পরশুদিন ইনশাল্লাহ শেষ পর্ব পাবেন। শেষ পর্বটি কেমন চান সেটি চাইলে কমেন্টস করে মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া যে কোন মতামত জানাতে দ্বিধাবোধ করবেন না। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ


১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater

২য় পর্ব ঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater

৩য় পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater

৫ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater

৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater

৭ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater

৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/929079630614660/?type=3&theater

৯ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/930679023788054/?type=3&theater