শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

স্পর্শ ( ফালতু রোমান্টিক গল্প )





স্পর্শ
ফালতু রোমান্টিক গল্প।
(পড়ে সবাই সময় নষ্ট করবেন না প্লিজ)
লেখা : Md Asadur Rahman - Shipon

রোদের সাথে লুকোচুরি। পগলা ঘুরি, হাওয়ায় উরি। এমনি নাকি হয় শুনেছি। ভালোবাসলে পরে।
মিরাজ : কিরে মামা, প্রেমে পরলি নাকি?
দুপুর : আমি নারে মামা। সে।
মিরাজ : সে টা কে আবার?
দুপুর : প্যাক প্যাক।
মিরাজ : প্যাক প্যাক? এই ধরনের মানুশের সাথে জগতে একমাত্র তোরই পরিচয় ঘটে।
দুপুর : মেয়েটির নাম রোদেলা। আমি অবশ্য ১টা নাম দিয়েছি তার। হাসের বাচ্চা।
মিরাজ: তো তুই কি এখন এই হাসের বাচ্চা প্যাক প্যাক এর প্রেমে পরেছিস।
দুপুর : নাহ। আমি না। তার ভাষ্যমতে সে আমার প্রেমে পরেছে। নাহ আমার না, আমার লেখা কবিতার।
মিরাজ : যাক। অবশেষে তাহলে তুই ১টা গার্লফ্রেন্ড পেলি।
দুপুর : আরে না। আমি এই প্রেম টেমের মধ্যে নেই। আর আগামী শুক্রবার মেয়েটির বিয়ে।
হটাত পাশে ঘুমিয়ে থাকা ইউসুফ লাফ দিয়ে উঠে
ইউসুফ : মামা কি বলিস তুই? তুই এখনো ওই মেয়েকে উঠিয়ে আনতে যাস নাই?
মিরাজ: তুই না ঘুমিয়ে ছিলি? প্রতিদিন রান্না করার সময় তুই ঘুমের ভান ধরে থাকিস।
ইউসুফ : মামা থাম না। এখন দুপুরের প্রেম অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতেছি। প্যাচাইস না।
দুপুর : আমি প্রেম ট্রেমের মধ্যে নাই ভাই। মেয়ে মানুশ আর নাগিনী সাপ সমান কথা।
ইউসুফ : মেয়েটা দেখতে কেমন? থাকে কোথায়?
দুপুর : দেখতে খারাপ না। থাকে চিটাগাং।
মিরাজ : বিয়ে কবে?
দুপুর : এইতো শুক্রবার। মানে পরশু।
ইউসুফ : মেয়েটা কি বলে আর তুই কি বলছিস।
দুপুর : এই তো প্রপোস করলো সেদিন। যদিও অনেক আগে থেকে ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট আর মাঝে মাঝে লাভ রিয়াকশন দিত। আমি না করে দিছি। এখব সে যাস্ট একবারের জন্য আমাকে সামনে থেকে দেখতে চায়। আগামিকাল নাকি সে আমার জন্য অপেক্ষা করবে।
ইউসুফ : চল মামা উঠ। এখন ৭ টা বাজে। রেডি হয়ে রওনা দেই।
মিরাজ : তাহলে রান্না বন্ধ করে দেই।
দুপুর : মানে কি? কোথায় যাবি তোরা?
মিরাজ : মেয়েটার সাথে দেখা করতে। সে তোকে ভালোবেশে একবারের জন্য দেখা করতে চেয়েছে আএ তুই তার সেই কথাটা রাখবি না?
দুপুর : আমি তো তাকে ভালোবাশি না।
ইউসুফ : তোর ভালোবাসার খ্যাতা পুরি। যাইতে চাইছি যামু।
দুপুর : আমার কাছে কোন টাকা নাই।
মিরাজ : তুই বিয়া করতে যাইতেছিস না যে তোর টাকা লাগিবে, মেয়েটার শেষ ইচ্ছে পুরন করতে যাচ্ছি।
ইউসুফ : মিরপুর থেকে আরিফ আর নজরুল কে নিয়ে জুয়েল এর বাসায় যাবো। জুয়েলের মত বিসনেস ম্যাডনেট থাকতে কেন যে তোরা এতো টাকা পয়সা নিয়ে টেনশন করস বুঝি না আমি।
দুপুর : ওকে। চল তাহলে।
কিছুখনের মধ্যেই মিরপুর সারে ১১ এর বাসা থেকে বের হয়ে মিরপুর ২ থেকে আরিফ আর নজরুল কে উপস্থিত হয় জুয়েল এর বাসায়। দুপুররা জুয়েলের বাসার গেটে এসে দেখে ঝিলু ভাই বাসা থেকে বের হচ্ছে। ওহ ঝিলু ভাই হলো জুয়েলের বড় ভাই।
ঝিলু ভাই চলে গেলেন গ্রামে
তারমানে জুয়েল এখন ঝামেলামুক্ত।
জুয়েল : কিরে তোরা সবাই একসাথে এই রাত ৯ টার দিকে। কোন মতলব আছে নাকি?
আরিফ : দোস্ত দুপুর ওর জিএফ এর সাথে দেখা করতে যাবে।
জুয়েল : ভালো কথা। যাক। আমার এখানে কি?
মিরাজ : ওর জিএফের বিয়ে শুক্রবার। শেষবারের মত দেখা করতে যাচ্ছে। চিটাগাং।
দুপুর : ধুর বাল। সেই সকাল থেকে আমার জিএফ জিএফ মারাইতেছে। আমার কোন জিএফ নাই। তোরা বার বার বলতেছিস। তাই যাচ্ছি।
জুয়েল : দেখতে কেমনরে মামা?
নজরুল : তোর জাইনা লাভ কি চুদনা? যা রেডি হ।
জুয়েল রেডি হয়। জুয়েল এর বাসায় রাতে খেয়ে বের হতে হতে ১১ টা বেজে যায়। সেখান থেকে কমলাপুর আসে। এসে দেখে ট্রেনের টিকিট নাই। মন খারাপ করে বাস ধরার উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। ট্রেনে চরার মজাই আলাদা। দুর্ভাগ্য ট্রেনের টিকিট পেলো না।
হটাত করে পিছন থেকে এসে একজন ডাক দেয়। তার কাছে নাকি টিকিট আছে। তবে ন্যায্য মুল্যের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দিতে হবে। ১০০ টাকা বেশি দিয়েই নিয়ে নিলো টিকিট। আনন্দ - ফুর্তি করতে করতে ট্রেনে উঠে পরলো ওরা। সারা রাত জেগে কাটাবে। রাত জাগার ব্যাবস্থাও আছে। এই তাস আছে, সিগারেট আছে, আরিফ গিটার নিয়ে এসেছে। এগুলা করেই সারারাত কাটিয়ে দিবে। কিন্তু কিন্তু কিন্তু রাত ২টার পর পরই ঘুমিয়ে পরে সব গুলো। জেগে থাকে দুপুর আর নজরুল।
দুজন দুজনের সাথে নিজেদের মনের দু:ক্ষের কথা শেয়ার করছে। এই পেত্নী টেত্নীর কথা আরকি। ভোরের দিকে এই দুজন ও ঘুমিয়ে পরে। সকাল ৯ টার দিকে ঘুম ভাংগে ওদের। ঘুম থেকে উঠে দেখে ইউসুফ আর জুয়েলের ব্যাগ, আরিফের গিটার আর মিরাজের জুতা নাই। ট্রেন স্টেশনে এসে হাজির। ওরা গভীর ঘুমে ব্যাস্ত ছিল আর তখন কোন ভদ্রলোক সুজোগ বুঝে তার কার্য সম্পাদন করেছে। যাক মোবাইল ব্যাংকিং আর ব্যাংক গুলোর এটিএম সুবিধার কারনে এখন আর কেউ মানিব্যাগে অতিরিক্ত টাকা রাখে না। তাই টাকা পয়সার তেমন ক্ষতি হয়নি।
স্টেশন থেকে বেরিয়ে মিরাজের জুতা কিনে ১টা হোটেলে বসে নাস্তা করে।
আরিফ : (দুপুরকে উদ্দেশ্য করে) শালা তোর জন্য আমার গার্লফ্রেণ্ডের দেওয়া গীটার টা হারাইলো।
দুপুর : আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।
মিরাজ : ৩৯৯ টাকা দিয়ে এপেক্স থেকে ৭০% ডিসকাউন্টে জুতাটা কিনছিলাম। গেলো সেই জুতাটা।
জুয়েল : আমার ব্যাগে তেমন কিছু ছিল না। যাস্ট কয়েকটস RC ছিলো আর কি।
নজরুল : শালা সব জায়গায় ধান্দা খুজে।
ইউসুফ : আমারটার কথা আর নাইবা বললাম। কিন্তু আমরা যার সাথে দেখা করতে আসছি তার সাথে কখন দেখা করবো?
দুপুর : আমরা না, শুধু আমি দেখা করবো।
মিরাজ : তাহলে আমরা আসছি কেন?
দুপুর : পতেঙ্গা সি বিচে ঘুরতে।
আরিফ : আচ্ছা কখন দেখা করবি? সময় নিছিস?
দুপুর : নাহ। এখনো জানানো হয়নি যে আমি ওর সাথে দেখা করতে এসেছি। দারা ফোন দেই ওকে।
দুপুর ফোন দেয় ওকে। রোদেলা শুনে খুব খুশি হয়। সে জানায় দুপুর ১২ টার দিকে সে আসবে দেখা করতে দুপুরের সাথে। স্থান হলো সি বিচ।
সময় এখনো অনেক হাতে আছে। তাই সবাই মিলে চিটাগাং শহরে ঘুরছে।
দুপুর ১২ টার আগে চলে আসে সি বিচে। ১২ টার কিছু পর রোদেলা ফোন দেয় যে সে এসেছে।
কালো ১টা জামা পরে এসেছে, হাতে চুরি আছে। চুল গুলো খোলা। চোখে কাজল পরেছে। গায়ের রঙ দুধে আলতা। তাই আর নিশ্চয় বলে দিতে হবে না যে কতটা সুন্দর লাগছে রোদেলাকে।
রোদেলা : কেমন আছেন আপনি?
দুপুর : ভালো। তুমি?
রোদেলা : ভালোবাসার মানুষকে ছেরে যে মেয়ের অন্য ১টি ছেলের সাথে বিয়ে হতে যাচ্ছে সে কতটা ভালো থাকতে পারে?
দুপুর : কেনো তুমি আমাকে ভালোবাসো? আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না।
রোদেলা : কেউ কাউকে কেনো ভালোবাসে সেই উত্তর আজো কেউ দিতে পারেনি। আমিও আজ পারলাম না। আর আপনি ভালবাসেন না বলেই তো আমাকে আজ এত কষ্ট পেতে হচ্ছে। যদি ভালবাসতেন তাহলে হয়তো আমরা দুজনেই অনেক সুখি হতাম। ( রোদেলা কেদে দেয়)
দুপুর : প্লিজ কাদবে না। কাল তোমার বিয়ে। সো আমাকে ভুলে যাওয়ায় কি ভালো না?
রোদেলা : হয়তোবা। আপনি আমার অনুরোধে ঢাকা থেকে দেখা করতে চলে এসেছেন। অসংখ ধন্যবাদ আপনাকে। আমাত আরেকটা কথা রাখবেন?
দুপুর : রাখার মত হলে অবশ্যই রাখবো।
রোদেলা : আমি আপনার হাত ধরে বিচের পাশ দিয়ে একটি খালি পায় হাটতে চাই।
দুপুর : নাহ। আমি এই অনুরোধটা রাখতে পারবো না।
রোদেলা : প্লিজ।
দুপুর : সরি।
রোদেলা : ওকে। তাহলে আমি কি আপনার হাতটা একটু ধরতে পারি? যাস্ট একটু স্পর্স চাই আপনার। সারাজীবন বেচে থাকার জন্য এই সম্বলটুকু প্লিজ আমাকে দিন।
দুপুর : ঠিক আছে।
রোদেলা তার নরম শীতল হাত দিয়ে দুপুরের হাত ধরে, দুপুরের চোখের দিকে তাকায়, পানি ঝরে পরে মেয়েটির দুচোখ দিয়ে। মাথাটা নিচু করে দুপুরের হাতে ১টা চুমু খেয়ে পিছনে দোরে চলে যায় রোদেলা। দুপুর তাকিয়ে থাকে।
বিকেলে আরিফ, নজরুল, মিরাজ,জুয়েল,ইউসুফ আর দুপুর মিলে চিটাগাং ঘুরে বেরায় ফয়েজ লেকে। সেখান থেজে সন্ধ্যার আগে আবার বিচে আসে।
জুয়েল : ওই দুপুর একা একা হাটছে কেন? কথাও কম বলছে।
আরিফ : মনে হয় প্রেমে পরছে মেয়েটার।
ইউসুফ : চল দেখি কি হইছে।
দুপুরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে ওরা।
মিরাজ : ওই কি হইছে তোর?
ইউসুফ : তুই নাকি মেয়েটার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস?
আরিফ : আবার নাকি প্ল্যান করছিস মেয়েটা কে নিয়ে পালাবি?
দুপুর : ধুর কি যে বলিস না। ওই সব কিছু না।
নজরুল : তাহলে মন মরা হয়ে আছিস কেনো?
দুপুর : কোথায়? আমি তো সব সময়ই এমন।
মিরাজ : দেখ মামা। বুঝে শুনে কথা বল। আজ গায়ে হলুদ, কাল বিয়ে। যদি ভালোবেশে থাকিস তাহলে যা করার এখনি করতে হবে।
ইউসুফ : তোর চোখ বলছে তুই মেয়েটার প্রেমে পরেছিস।
দুপুর : আজাইরা কথা বলিস না তো। ওই বিয়ে করলে বউ নিয়া রাখবো কই? খাওয়াবো কি? আর একবার ও এই কথা বলবি না।
দুপুরের ফোনে কল আসে। রোদেলা ফোন দিয়েছে। দুপুর ফোন ধরে।
দুপুর : হ্যালো
রোদেলা : আপনারা।ক চলে গেছেন?
দুপুর : নাহ। আজ রাতে এখান থেকে সেন্টমার্টিন যাবো।
রোদেলা : ( কাদো কন্ঠে) আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আপনি কি আমাদের বাড়ীর সামনে একটু আসতে পারবেন?
দুপুর : আমি তো চিনি না তোমাদের বাড়ী।
রোদেলা : আমি টেক্সট করে দিচ্ছি।
দুপুর ওদের জানায় যে রোদেলা ফোন দিয়েছিল। সে রোদেলার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়ির সামনে যাবে।
ওরা সবাই রোদেলার বাড়ির সামনে যায়। ফোন দেয় রোদেলাকে। রোদেলা জানায় বাড়ির পিছন দিকে ১টা বাগানের মত আছে, সেখানে অপেক্ষা করতে। দুপুররা সেখানে প্রায় আধ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর রোদেলা আসে।
নীল শাড়ী, কালো টিপ, লাল আর নীল চুরি, কাজল চোখ আর খোপায় ফুল। দেখে মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গ থেকে সয়ং নীলপড়ি নেমে এসেছে। দুপুর চোখ সরাতে পারছিল না। হা করে তাকিয়েছিল রোদেলার দিকে।
রোদেলা : আপনারা কখন যাবেন?
দুপুর : রাত ১০ টার দিকে।
রোদেলা : নীল শাড়িতে আমাকে কেমন লাগছে?
দুপুর : রপকথার গল্পের পড়ির মত।
রোদেলা : নীল শাড়ি পরা আপনার পছন্দ। আমার কালো শাড়ি ভালো লাগতো। কিন্তু এখন নীল শাড়ী।
দুপুর : কেনো?
রোদেলা : কারন, আমি আপনাকে ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি। ( জরিয়ে ধিরে দুপুরকে রোদেলা)
দুপুর : ভালোবাসা কষ্ট দেয়। আর সবাই ভালোবাসা পাবার যোগ্য না, যেমন আমি। ( দুপুর তার দুই হাত দিয়ে শক্ত করে আর জরিয়ে ধিরে রোদেলাকে। দুপুরের চোখ বেয়ে পানি পরে। তবে তার কান্না সে আর বিধাতা ছাড়া কেউ দেখিতে পায় না)
দুপুর : আমাকে মাফ করে দিও প্লিজ। আমি তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না।
এই বলে রোদেলার কপালে চুমু খায়।
দুপুর : তোমার এই স্পর্শ আমার সারা জিবনের সম্বল। কখনোই ভুলবো না।
রোদেলা : আর এই স্পর্শই হয়তো আমাকে সারাজীবন কাদাবে। খুব ভালোবাসি যে তোমায়।
দূর থেকে সব দেখছিল দুপুরের বন্ধুরা।
আরিফ : শালা কি করলি তুই এইটা?
দুপুর : কি করলাম আমি?
মিরাজ : মেয়েটা তোকে কত ভালবাসে আর তুই মেয়েটা কে ছেরেদিলি?
দুপুর : এখান থেকে চল।
সেখান থেকে চলে আসে সবাই। দুপুরের মন আগের থেকেও আরো খারাপ হয়ে যায়। ১টার পর ১টা সিগারেট খেতে থাকে। ১টা হোটেল থেকে রাতের খাবার খেয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাসে উঠে। বাস কিছু দূর যাওয়ার পর দুপুর লাফিয়ে উঠে।
দুপুর : এই বাস থামান ড্রাইভার। আমি নামবো।
ড্রাইভার বাস থামায়। নামতে থাকে দুপুর। তখন পিছন থেকে মিরাজ ওরা ডাক দেয়।
মিরাজ : এই কি হইছে তোর? নামবি কেনো?
দুপুর : রোদেলার কাছে যাবো। ওর স্পর্শ আমায় ডাকছে।
জুয়েল : গাধাটা মানুশ হচ্ছে। চল সবাই নামি।
দুপুর : তোরা নামবি কেনো?
আরিফ : তুমি যখন তোমার বউকে আনতে যাবে তখন যে তোমার সালারা আটকে রাখবে তখন ছাড়াবে কে?
বাস থেকে নেমে যায় ওরা সবাই। চলে আসে রোদেলার বাড়ির সামন। দোতালা বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে রোদেলা কে ফোন দেয় দুপুর। ফোন ধরে রোদেলা।
রোদেলা : হ্যালো
দুপুর : একটা বারান্দায় আসবে?
রোদেলা ফোন কেটে দিয়ে বারান্দায় আসে। দুপুর নিচে দারিয়ে আছে। দুপুর দুপা গেরে বসে পরে। আর চিৎকার করে বলে।
প্রীয়তমা। ভালোবাসার কোমল স্পর্শের কাছে আমি হার মেনে গেছি। এই মন সারাজীবন স্পর্শ পেতে চায় তার ভালোবাসার মানুশের। আমি কি পাবো আমার ভালোবাসার মানুশের স্পর্শ?
রোদেলার চোখ বেয়ে পানি ঝরে পরে। শিরি বিয়ে নিচে নেমে আসে জরিয়ে ধরে দুপুরকে।
রোদেলা : আই লাভ ইউ।
দুপুর : লাভ ইউ এ লট।
দূর থেকে নজরুল আর ইউসুফ দোরে আসে।
নজরুল : অনেক প্রেম হইছে এখন ভাগ। বাড়ির লোক জেগে গেছে। ওই দেখ আসতেছে।
ইউসুফ : মামু মামীকে নিয়ে এখন পালাও তা না হলে মামীকেও হারাবা, মাইরের মাইরও খাবা, জেল খাটবে ফাও।
সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওরা রোদেলাকে নিয়ে। পিছনে পিছনে অনেক দূর প্রযন্ত ওদের তারিয়ে বেরায় রোদেলার পরিবারের লোকেরা। যদিও ধরতে পারে না।
ঢাকা এসে বিয়ে হয় শিপনের আর রোদেলার। এর কিছুদিন পর পারিবারিক ভাবে যোগাযোগ করে আবার অনুষ্টান করে দুই পরিবারের নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়।
আমার লেখা আরো গল্প পুরতে চাইলে লাইক দিন আমার পেজে আর গল্ল নিয়ে আপনার মতামত দিন।
পেজের লিংক : www.facebook.com/arshipon15/