সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯

#অদ্ভুত_এক_ভালোবাসার_গল্প।

#অদ্ভুত_এক_ভালোবাসার_গল্প।
লেখাঃ MD Asadur Rahman - Shipon

#এক
বসন্ত চলে এসেছে। সরবরের সুবিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো মাথা উচু করে যেন রক্তিম লালাভ ছড়াচ্ছে। গাছের পাতা আর ফুল মৃদ বাতাসেই হেলেদুলে পরছে।
খুব ভোড়েই দুপুর এসে উপস্থিত। রোদেলা আসবে। পুরনো একটি পেস্ট কালারের টিশার্ট, জিন্স আর পুরোনো এক জোরা স্যান্ডেল। হাতে সাদামাটা একটি ঘড়ি। রোদেলার সাথে অনেক অনেক দিন পর দেখা। তাই ক্লিন সেভ করতেও ভুলেনি দুপুর।
৩২ এর লেকের পাশ দিয়ে হেটে হেটে সরবরের চলে আসে দুপুর। একা, এখনো রোদেলা আসেনি। তাই সে এদিক সেদিক ঘোড়াঘুরি করছে। সরবরের পাশেই বটতলায় দুটো মেয়ে বেলি ফুলের মালা গাথছে। দুপুর কিছুক্ষন তাদের পাশে গিয়ে দাড়ালো। চুপ করে তাদের মালাগাথা দেখছে।
দুপুর ঃ মামুনীরা তোমাদের মালা কি বিক্রি হবে?
মেয়েটিঃ জ্বে দাদা ভাই। একজোরা ৫০ টাকা। আফনে নেবেন?
দুপুর ঃ হ্যা। আমি একজোড়া নিবো। তবে সাথে গোলাপ হলে ভালো হতো।
পাশের মেয়েটিঃ গোলাফ আইনা দেয়ন যাইবো। জোরা ৫০ টাকা। আর আমি আইনা দিমু রুবি খালার থিকা, তাই আমার কনভ্যান্স ২০ টাকা দেওন লাগবো।
দুপুরঃ হাহাহা। আচ্ছা দিবো। তুমি আমার জন্য ২ জোরা গোলাপ নিয়ে আসো। নাহ ৫ জোরা।
মেয়েটি ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে ভো দৌড় দেয়। অন্যমেয়েটির কাছ থেকে বেলি ফুলের মালা বেছে নেয় দুপুর। কিছুক্ষন পরেই একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে ঐ মেয়েটি হাজির।
মেয়েটিঃ ন্যান দাদা ভাই।
দুপুর ঃ থ্যাংক ইউ।
মেয়েটিঃ আপনারও কি গার্লফ্রেন্ড আছে?
দুপুরঃ (কিছুখন চুপ থেকে) নাহ! ভালোবাসা আছে। (দুপুরের সেই মন ভোলানো মুচকি হাসি)
দুপুর লেকের কাছে এসে পানিতে পা ভিজিয়ে আছে। আর মনে মনে কবিতা আওরানোর চেষ্টা করছে।
আর দেখা হবে না,
সোনালি সকাল
দেখা হবে না তোমার হাসি ভরা মুখ,
আলতা পায়ে নদীর ঘাটে,
হবেনা আর কোনদিন দেখা হবেনা।।
একদিন চলে যাবে ছেলেটি,
সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে,
ঘুমিয়ে যাবে অন্ধকার পৃথিবীতে,
আর জাগা হবে না নির্ঘুম রাত।।
স্বপ্ন গুলো হয়ে যাবে একা,
তাদের নিয়ে চোখের পর্দার সামনে
আর রাখা হবে না কোনদিন।।
হবে না আর ছোঁয়া তোমার হাত দুটি,
রাখা হবেনা চোখে চোখ,
হবেনা আর দেখা লম্বা কেশ ছেড়ে দিয়ে,
পা ঝুলিয়ে বসে থাকা নদীর পাড়ে,
হবেনা আর কোনদিন দেখা হবেনা।।

দুপুরের ফোন বেজে উঠে।
দুপুরঃ হ্যালো।
রোদেলাঃ (মিষ্টি গলায়) কোথায় তুমি?
দুপুরঃ এইতো লেকের ধারে বসে আছি।
রোদেলাঃ এই দিকে আসো। চা খাবো।
দুপুর পানি থেকে উঠে স্যান্ডেল পরে হেটে চলে আসে চায়ের দোকানের কাছে।  কালো পারের নীল রঙের শাড়ি, হাতে এত্তোগুলো নীল চুড়ি, চোখে কাজল। আসমানের হুরপরীর কার্বন কপি জেনো এই সরবরে নেমে এসেছে।
রোদেলাঃ কি হলো। কিছু বলছো না যে। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো।
দুপুরঃ দেখছি।
রোদেলাঃ দেখো। আমি চা খাই। (চা এর বিল দেবার জন্য ব্যাগে হাত দেয়)
দুপুর ঃ এই দাড়াও আমি নিচ্ছি।
দুপুর এগিয়ে যায়। পে ফার্স্ট। দুপুর যখন প্রথম এখানে এসেছিলো তখন চা খেয়েছিলো ৮ টাকা দিয়ে, এরপর ১০, ১০ থেকে ১৫, আর আজ ৫৫ টাকা।
দুই কাপ চা নিয়ে দুপুর আর রোদেলা এক কোনার টেবিলে বসে। দুজন মিলে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে। হটাৎ অবেলার বৃষ্টি শুরু হয়। রোদেলা দ্রুত তার ব্যাগ থেকে ছাতাটা বের করে দুপুরের একদম গা ঘেষে বসে। এক ছাতায় দুজন। দুপুর অপলক দৃষ্টিতে রোদেলার দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদেলাঃ এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? আমার লজ্জা লাগছে।
দুপুরঃ এখন তো বসন্ত, বৃষ্টি হবার কথা না। তুমি ছাতা নিয়ে এসেছিলে কেনো?
রোদেলাঃ তুমি হয়তো টিভি, নিউজ কিছু দেখো না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সমুদ্রে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে, ঘুর্নিঝড় হবে। ঢাকায় বৃষ্টির আশংকা আছে। তাই ছাতা নিয়ে বের হয়েছি।
দুপুরঃ ওহ। আচ্ছা রোদেলা তোমার মনে আছে?
রোদেলাঃ কি?
দুপুর ঃ এই রকম এক হটাৎ বৃষ্টির দিনে রাস্তায় আমি ভিজে যাচ্ছিলাম। সামনে ছিলে তুমি। ব্যাগ থেকে তোমার ছাতাটি বের করে এনে আমাকে দিয়ে আবার সামনে দৌড় দিয়ে তোমার বান্ধবীর ছাতার নিচে ঢুকেছিলে।
রোদেলাঃ কত সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো। কিন্তু হটাৎ.......
দুপুরঃ ভুল বোঝাবুঝিতে কৈশোর, যৌবন ভেস্তে গেলো আমার ভালোবাসার।
রোদেলাঃ আমাকে নিয়ে যাবে?
দুপুরঃ নিয়ে যাবো মানে! পালাতে চাচ্ছো নাকি?
রোদেলাঃ হুম। তবে তোমার কল্পনায়। তুমি শৈশব এর তোমার আমার সব স্মৃতি দিয়ে আমাকে গল্প বলবে, আমাদের ভালোবাসার গপ্প। শৈশব, তারন্য, যৌবন। এখানে সুখ থাকবে, কষ্ট থাকবে, ব্যাথা থাকবে, থাকবে মিলন। আমাদের এক হবার গল্প। অদ্ভুত এক ভালোবাসার গল্প।
দুপুরঃ শর্ত আছে।
রোদেলাঃ শর্ত?  আমি তোমার কাছে একটা জিনিস চাইলাম তাতেও শর্ত?
দুপুরঃ হুম। আমার কাধে মাথা রাখতে হবে। হাত ধরে থাকতে হবে। খুব কাছে বসতে হবে, জেনো তোমার শরীরের সুঘ্রানটা আমি পাই।
রোদেলাঃ পাজি ছেলে। আচ্ছা তুমি যে এই গোলাপ আর বেলি ফুলের মালা এনেছো, তো কার জন্য? তোমার গার্লফ্রেন্ড আসবে নাকি?
দুপুরঃ ওহ সরি টুকিপুকিটা।
দুপুর গোলাপের গুচ্ছটা রোদেলার হাতে দেয় আর বেলি ফুলের মালা নিয়ে রোদেলার পেছনে এসে তার খোপায় পড়িয়ে দেয়।
রোদেলাঃ থ্যাংক ইউ। বাট আর কিছু নেই?
দুপুরঃ হুম আছে। এই নাও তোমার চকলেট।
রোদেলা দুপুরকে ধরে চুমু খেতে যায়, কিন্ত এক অদৃশ্য তাকে বাধা দেয়। ফিরে আসে
রোদেলা। চলো জাহাজ বাড়ির ঐ দিকটাতে বসি। ঐদিকে বসবো। আর তুমি আমাকে নিয়ে তোমার কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবে। ঠিক আছে?
দুপুরঃ জো হুকুম মহারানী।
জাহাজবাড়ীর ঐদিকটা একটু কোলাহলমুক্ত, পাখির পায়চারি আছে। পছন্দমত একটা জায়গা দেখে বসে পরে। রোদেলা দুপুরের হাত শক্তকরে ধরে ওর কাধে মাথা রাখে।
#দুই
ভালোলাগা শুরুটা সেই ছোট্ট থেকে। রোদেলা প্রাইমেরি স্কুলে যাওয়ার সময় থেকেই দুপুরের কেন জানি বার বার রোদেলাকে দেখতে ইচ্ছে করতো। স্কুলে গিয়ে খুজে খুজে ওকেই দেখতো। এরপর সকালে মসজিদের মাদ্রাসায় পড়ার ছলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। রোদেলা দুপুরের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে কথা বললেও দুপুরের সাথে খুব একটা কথা হতো না। রোদেলার সামনে গেলে দুপুরের বুক ধরফর করতো, ঘাম ঝড়তো, হাত-পা কাপতো। এরমধ্যেও মাঝে মাঝে দুই একবার কথাও হয়।
রোদেলার প্রতি দুপুরের দুর্বলতা তার বন্ধুরা ধিরে ধিরে জানতে পারে। একজন থেকে আরেকজন এভাবে সার্কেলের প্রায় সকলেই জেনে যায় যে দুপুর রোদেলাকে ভালোবাসে।
ঐ সময়টা এমন ছিলো যে একজন আরেকজন ভালোবাসা মানে মহাপাপ। কোনভাবে বাড়িতে জানাজানি হলে মার খেতে খেতে হয়তো মরেই যেতে হবে। এভাবে ভয়ে ভয়ে বছর দুই কেটে যায়। মাঝে মাঝে কথা হয়। চোখাচোখি হয়। কবিতার আদানপ্রদান হয়। তারপর প্রাইমারী স্কুল শেষ করে হাইস্কুলে রোদেলা। আর দুপুরও সেই একই স্কুলে। প্রতিদিন যাওয়া আর আসার সময় দুপুর রোদেলার পিছু পিছু। দুপুরের কাজিনরাও একসাথে পরতো। রোদেলা মাঝে মাঝে ওদের সাথে একসাথে স্কুলে যায়। আর সেই দিনটি দুপুরের সবচাইতে সুখের দিন হতো। কারন সে রোদেলার পাশাপাশি হাটতে পারতো, ওর কথা খুব কাছ থেকে শুনতে পেত। খুব মিষ্টি করে কথা বলে মেয়েটি।
এখনো মাদ্রাসার পড়া শেষ হয়নি। দুপুরে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা এটা তার জন্য খুব বড় একটা শ্বাস্তির মত। কিন্তু রোদেলাকে দেখার নেশা তাকে প্রতিদিন সকালে মাদ্রাসায় নিয়ে যেত। প্রায়ই লেট করে ঢুকতো।
গেট দিয়ে ঢোকার সময় মুচকি একটা হাসি দিতো। রোদেলা সেই হাসির জন্যই জেনো অপেক্ষা করতো। মাদ্রাসায় গিয়ে পড়ার চেয়ে রোদেলার দিকেই দুপুর বেশি তাকিয়ে থাকতো। মাদ্রাসা শেষে রোজ দুপুর আগে বাসায় এসে একটা গান ছাড়তো স্পিকারে। রোদেলার জন্য। শুধু রোদেলার জন্য।
রোদেলা নিঃসন্দেহে আশেপাসের ১০ গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে। তাই এলাকার প্রায় অনেক ছেলেই রোদেলার পেছনে ঘুরতো। দুপুর তার এক কাজিনকে দিয়ে রোদেলার কাছে প্রেম প্রস্তাব পাঠায়। রোদেলা প্রথমে না করে দেয়। কিন্তু দুপুর আবারও পাঠায়। এভাবে পেছনে লেগে থাকে। একসময় রোদেলার হাবভাবও প্রকাশ পায় যে সেও দুপুরকে পছন্দ করে।
একদিন স্কুলের পেছনে দুপুর দাঁড়িয়ে আছে। তখন তার সামনে এসে দাঁড়ায় শাওন( রোদেলার কাজিন)।
শাওন ঃ দুপুর তোমার সাথে কথা আছে।
দুপুরঃ হ্যা বল শাওন।
শাওনঃ তুমি নাকি রোদেলাকে ভালোবাসো? সত্যি, নাকি পোলাপাইন ছড়াইতাছে?
দুপুরঃ পোলাপাইন ছড়াচ্ছে যে আমরা প্রেম করি। আসলে তেমন কিছু না। তবে আমি রোদেলা কে ভালোবাসি।
শাওন ঃ দেখো সত্যি করে বলো। ভালোবাসি ভালোবাসি বলে পরে আবার ছেরে দিয়ে অন্য মেয়ের পেছনে ঘুরবে না তো?
দুুপুরঃ তোর কি আমাকে ঐরকম মনে হয়?
শাওনঃ নাহ। দেখো ভাই। ঐ মেয়েটা খুব ভালো, নম্র, ভদ্র, শান্ত-শিষ্ট। ওরে কষ্ট দিও না।
শাওনঃ কষ্ট দিও না মানে?  ও কি আমাকে ভালোবাসে নাকি? ও তো সওদাগর এর কাছে বলছে যে ও আমাকে সহ্যই করতে পারে না। এমনকি আমাকে জুতার বাড়ি নাকি দিতে চাইছে।
শাওনঃ ধুর।  ও তোমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তুমি যদি ওরে ছেরে দাও তাহলে দেইখো তোমার খারাপ হইবো। ও ভয় পায় যদি তুমি ওকে ছেরে দাও কোনদিন।
এরপর দুপুর শাওনকে নিয়ে হোটেলে নিয়ে ইচ্ছে মত সিংগাড়া খাওয়ায়।
এরপর বেশ কয়েকদিন দুপুর খেয়াল করে যে রোদেলা ওর ক্লাসের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে, দুপুরের দিকে তাকিয়ে থাকে।
রোদেলা তার কাছের বান্ধবী বিথীর কাছে বলে যে সে দুপুরকে পছন্দ করে। বিথি তার প্রেমিক আরিফের কাছে একথা বলে দেয়। বিথি একটু বাড়িয়ে বলে যে রোদেলা আর দুপুর প্রেম করছে। আরিফের বন্ধু মামুন রোদেলাকে পছন্দ করে। আরিফ মামুনের কাছে এসে বলে। মামুন দুপুরের ফ্রেন্ড জুয়েলের মাধ্যমে দুপুরকে জানায় যে দুপুর যদি রোদেলার পিছনে ঘুরে তাহলে তাকে মাইর খেতে হবে।
জুয়েলঃ দোস্ত, মামুন তো তোকে থ্রেট দিছে। তুই যদি রোদেলার পেছনে আবার ঘুরস তাহলে নাকি ও তোকে রাস্তার সবার সামনে মারবে।
দুপুরঃ মারা কি এত্তো সহজ? ও মারলে কি আমি ওকে ছেরে দিবো নাকি?? ওর চোদ্দগুষ্টি শেষ কইরা ফালামু। আর মরে গেলোও তো রোদেলার পিছু আমি ছাড়বো না। আমি ওকেই বিয়ে করবো।
জুয়েলঃ দেখ কি করবি। তবে সাবধানে। তোর বাড়িতে জানাজানি হইলে কিন্তু তুই বাড়িতেও মাইর খাবি।
সেদিন বিকেলে। এলাকার রাস্তার মোর দিয়ে দুপুর যাচ্ছিলো। আসে পাসে মানুষজন কম। হটাৎ মামুন আর ওর সাথে রোদেলার এক কাজিন কামরুল এসে সামনে দাঁড়ায়। হাতে একটা লাঠি।
মামুনঃ কিরে রোমিও তুই নাকি আমার চোদ্দগুষ্টি শেষ করে দিবি?
দুপুরঃ তুই নাকি আমাকে মারবি?
মামুন ঃ হ্যা মারবোই তো। রোদেলার পিছনে ঘুরলে মাইরা লুরা বানাই দিমু। আর তুই বাট্টু ওর মত মেয়ের পেছনে ঘুরস ক্যান? চুল রে ভাই। ঐ তুই নিজেরে আয়নায় কখনো দেখছস? (মামুন কষিয়ে দুপুরের গালে চড় দেয়, বিকট শব্দ হয়, আসে পাশের সবাই তাকিয়ে থাকে)
দুপুর মাথা নিচু করে বাসায় ফিরে আসে। এরপর দুই দিন স্কুলে যায়না। বাসা থেকেও খুব একটা বের হয়না। এদিকে রোদেলা দুপুরকে খুজে কোথাও পায় না। কোথায় না পেয়ে ওর এক বন্ধু সজিবকে দুপুরের খোজে পাঠায়। সজিব দুপুরদের বাসার সামনে আসে। দুপুরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে আনে।
শিপনঃ সজিব তুই এখানে?
সজিবঃ কাকা তুমি কই থাকো?  তোমারে না দেখে তো একজন পাগল হয়ে যাচ্ছে।
দুপুরঃ কে?
সজিবঃ কে আবার? রোদেলা। তোমাকে নাকি মামুন চড় মারছে?
দুপুরঃ ( মাথা নিচু করে) হুম।
সজিবঃ কামরুল গিয়ে রোদেলার কাছে এই কথা বলছে। এটা শুনে তো রোদেলার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে। অনেক কাদছে মেয়েটা। এরপর থেকে তোমাকে খুজতেছে। কিন্তু না পেয়ে আমাকে পাঠাইছে।
দুপুরঃ সত্যি ও আমার জন্য কাদছে( মুখে সুখের হাসি)
সজিবঃ হ্যা কাকা সত্যি। এখন ২৫ টাকা দাও। স্পিড খামু।
দুপুরঃ তুই আনোয়ার এর দোকান থেকে আমার নাম বলে খেয়ে নে। আমি টাকা দিয়ে দিবোনে।
সজিব চলে যায়। পরের দিন রোদেলা সকালে দুপুরের ভাগনি সুমির কাছে আসে। একসাথে স্কুলে যায়। ফ্রি টাইমে সুমির সাথেই থাকে। সুমি আগে থেকেই দুপুরকে আব্বু বলে ডাকতো। এর আগে সে রোদেলাকে কয়েকবার আম্মু বলে ডাকাতে রোদেলা সুমিকে ঝাড়ি দিয়েছিলো।  কিন্তু এখন আর দেয় না।
সুমিঃ আম্মু কি করো?
রোদেলাঃ কিছুনা। আপনার আব্বু কোথায়?
সুমিঃ আব্বু তো ফুটবল খেলে।
রোদেলাঃ ধুর। ফুটবল খেলা আমার একদম পছন্দ না।
সেদিন স্কুল থেকে ফেরার সময়।
রোদেলা আর তার বান্ধবী বিথী একসাথে। আর পেছনে দুপুর। হটাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুরের কাছে কোন ছাতা নেই। ভিজে যাচ্ছে। রোদেলা তার ব্যাগ থেকে নিজের ছাতাটি বের করে ফুটিয়ে পেছনে এসে দুপুরের হাতে দিয়ে আবার সামনে দৌড়ে গিয়ে বিথীর ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়। মাঝে মাঝে পেছনে ফিরে দুপুরের দিকে তাকায়। এভাবে বাসা পর্যন্ত পৌছায়। ছাতাটি আর ফেরত দেওয়া হয়নি।
পরের দিন স্কুল বন্ধ। হটাৎ সন্ধ্যায় সওদাগর দুপুরের কাছে এসে বলে রোদেলার মা তোর আর তোর ফ্যামিলিকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলছে।
দুপুরঃ কেনো?
সওদাগর ঃ রোদেলা তোর জন্য একটা চিঠি লিখছিলো। সেটা ধরা খাইছে ওর মার হাতে। শুনলাম ওর বাবা নাকি তোর বাবার কাছে বিচারও দিবে।
সওদাগর চলে যায়। দুপুর ভয় পেতে থাকে। নিশ্চয় রোদেলার বাবা মা রোদেলাকে মারছে। আর ওর বাবা যদি দুপুরের বাবার কাছে বিচার দেয় তাহলে তো তার অবস্থাও খারাপ হবে।
এশার নামাজের পর দুপুর তার মার ফোন রিচার্জের জন্য বাজারে যায়। ঐ সময় রোদেলার বাবা পেছন থেকে দুপুরকে ডাক দেয়।
রোদেলার বাবাঃ কি শুনি এই সব?
দুপুরঃ না মানে
রোদেলার বাবাঃ আমি যতটুকু জানি তুমি খুব ভালো ছেলে, তোমার বাসার সবাই খুব ভালো। এমন কিছু জানি আর না শুনি। তাহলে তোমার বাবার কাছে বিচার দিবো কিন্তু।
দুপুরঃ আচ্ছা আর করবো না।
দুপুর তখনকার মত বেচে যায়। কিন্তু বাসায় আসার পরই দুপুরের বাবা দুপুরকে মারতে আসে এই ব্যাপার নিয়ে। মাইর ও খায় কিছু। তবে বাড়িতে সবাই থাকার কারনে খুব একটা মাইর খেতে হয় না। তবে এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বেশি মাইর খাওয়া।
দুপুর নিজের রুমে সুয়ে কাদতে কাদতে নিজেকে প্রশ্ন করে রোদেলার বাবা বললো যে এরপর কিছু করলে বিচার দিবে অথচ সে আগেই বিচার দিয়ে দিছে।
নাহ! সেদিন সে বিচার দেয় নি। মামুন, কামরুল আর সওদাগর মিলে দুপুরের বাবার কাছে বিচার দিয়েছিলো। এমনকি রোদেলা চিঠি নিয়ে ধরা খায়নি। সে কামরুলকে বিশ্বাস করে তার হাতে দিয়েছিলো রোদেলাকে দেবার জন্য।
কামরুলঃ সওদাগর মামা এই দেখ রোদেলা আর দুপুরের লাইন তো হয়ে গেছে। ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে।
সওদাগর ঃ দেখি।
ঠিক সেই সময় মামুন সেখানে আসে। চিঠি দেখে সে একটা প্ল্যান করে। ওদের দুইজনকে নিয়ে রোদেলার বাসায় গিয়ে ওর মাকে সব বলে দেয়।
এরপর থেকে রোদেলা আর দুপুরের দিকে তাকায় না, এভোইড করে চলে,  সুমির সাথেও কথা বলে না।
দুপুর জোর করে সুমিয়ে কয়েকবার রোদেলার কাছে পাঠেলেও সে কোন পাত্তা দেয় না। দুপুরের অনুরোধে সুমি আবার যায়।
সুমিঃ রোদেলা একবার শুনো প্লিজ।
রোদেলা ঃ দেখেন আমি আপনাকে তো বলছি, আমি এখন এই সব প্রেম ট্রেম এর মধ্যে যাবো না।
সুমিঃ দুপুর তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
রোদেলাঃ তাহলে অপেক্ষা করতে বলেন। আমার ইন্টার পরিক্ষার পরে সে জেনো নিজে আমার সামনে এসে তার ভালোবাসার কথা আমাকে জানায়।
সুমি ফিরে এসে দুপুরকে জানায়। দুপুর রোদেলার কথা মত অপেক্ষা করতে থাকে।
দুপুর ইন্টার পরিক্ষা দিবে সামনে। রোদেলা ক্লাস নাইনে পরে। স্কুলের এক সিনিয়র ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয় রোদেলার। সেই বন্ধু রোদেলাকে ভালোবাসে। ছেলেটা স্কুলের অনেকগুলো মেয়ের সাথে ইতিমধ্যে প্রেম করেছে।
দুপুর প্রায়ই স্কুলের যেতো। দূর থেকে রোদেলাকে দেখতো। আর বুকের ভিতের ধরফর ধরফর করা, হাত পা কাপা অনুভব করতো।
কিছুদিন পর রোদেলার ছেলে বন্ধুটার সাথে রোদেলার একটি ছবি এলাকায় ভাইরাল হয়। ফটোসপে এডিট করা। এই নিয়ে রোদেলাকে তার বাড়ি থেকে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। এবং ছড়ানো হয় যে দুপুর এই ছবি এডিট করে সবার মাঝে ছড়িয়েছে। রোদেলাও তাই বিশ্বাস করে এবং দুপুরকে ঘৃনা করতে থাকে।
ইন্টারের পর দুপুর ঢাকা চলে আসে। আসার সময় সওদাগর দুপুরকে একটি চিঠি হাতে দেয়।
দুপুরঃ এটা কি?
সওদাগর ঃ চিঠি। তোকে দেওয়া রোদেলার চিঠি। আমাকে ক্ষমা করিস। আমি বুঝতে পারিনি তুই ওকে এতোভালো বাসিস।
দুপুর বাসে উঠে চিঠি খুলে। চিঠিটা এমন ছিলো
আমি চাদকে ভালোবাসি, চাঁদ আমায় ভালোবাসে বলে। আমি সূর্যকে ভালোবাসি, সূর্য আমাকে ভালোবাসে বলে। আমি তোমায় ভালোবাসি তুমি আমায় ভালোবাসো বলে। চাঁদ যেমন সূর্যের আলোয় নিয়ে বেচে থাকে, তেমনি আমি তোমার ভালোবাসা নিয়ে বেচে থাকবো।

I Love You
(S+S)

রোদেলাও অনেক ঝড় উপেক্ষা করে মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা চলে আসে। আর ঘৃনা করতে থাকে দুপুরকে। দুপুর এরপর বেচে থাকে রোদেলার সেই ভালোবাসার চিঠি নিয়ে। আর রোদেলা জীবনের ঝড় থেকে বেচে ফেরা মেয়ে সংগ্রাম করে জীবনে বড় হতে থাকে। এইভাবেই  পরিসমাপ্তি ঘটে একটি অদ্ভুত ভালোবাসার গল্প
#তিন
(সরবরে শিপনের কাধে রোদেলা মাথা রেখে)
রোদেলা ঃ থাপ্পর দিবো তোমাকে একটা। এখানে গল্প শেষ মানে? তোমাকে না বললাম গল্পে শৈশব, তারন্য, যৌবনের  সুখ, কষ্ট, ব্যাথা, ভালোবাসা, অভিমান থাকবে আর সবশেষে রোদেলা দুপুরের অদ্ভুত ভালোবাসার মিলন থাকবে, আমাদের এক হবার গল্প হবে এটি।
শিপনঃ  ও আছে তাই। আচ্ছা ঠিক আছে। একটি অদ্ভুত ভালোবাসার গল্প তৈরি করি তাহলে।
রোদেলা আবার দুপুরের কাধে মাথা রাখে, দুপুরের বাহু শক্ত করে জরিয়ে ধরে। দুপুর মাথা ঘুরিয়ে রোদেলার চুলে সুঘ্রান নিয়ে আবার হারিয়ে যায় পুরোনো স্মৃতিতে জমে থাকা একটি অদ্ভুত ভালোবাসার গল্পে।

দুপুর এবং রোদেলা এখন দুজনেই ঢাকা। কোন এক শুত্র থেকে জানতে পারা যে রোদেলা এখন ঢাকা। কোন কলেজ, বাসা কোথায় সব খোজ খবর নেয় দুপুর। প্রতিদিন রোদেলার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দুপুর। দেখা পায় না। হটাৎ একদিন এক বোরখা পরা মেয়ের চোখে চোখ পরে দুপুরের। এ নিশ্চয় আমার রোদেলা। মনে মনে বলে দুপুর। কাছে যায়
দুপুরঃ রোদেলা দাঁরাও ।
রোদেলাঃ তুমি আমার আবার পিছু নিয়েছো?
দুপুরঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
রোদেলাঃ হাহাহা। ভালোবাসি। আমার যেই ক্ষতিটা করছো তুমি এরপরেও ভালোবাসি বলতে লজ্জা লাগে না?
দুপুরঃ বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নাই।
রোদেলাঃ চুপ। আর একটা কথা বললে আমি চিৎকার করে মানুষ ডাকবো।
দুপুর মাথা নিচু করে পেছনে ফিরে আসে। এরপরেও দুপুর প্রায় দিনই রোদেলার কলেজের সামনে যেতো। প্রায় টানা দুবছর। এরপর কলেজ লাইফ শেষ হয়। রোদেলার ইতিমধ্যে আরেকজনের সাথে একরকম রিলেশনে জরিয়ে গেছে। তাই দুপুর আর তাদের মধ্যে কাটা হয়ে থাকতে চায় না। ফিরে আসে।
কিন্তু দুপুর ভালোবাসা তো আর তুচ্ছ না। খুব খোজ করে রোদেলার আইডি খুজে বের করে। আইডির নাম টুকিপুকি। দুপুর ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠায়। কিন্তু রোদেলা এক্সেপ্ট করে না। দুপুর ম্যাসেজ দেয়, রিপ্লে আসে যাস্ট হেট ইউ হেট ইউ হেট ইউ।
দুপুর আর ডিস্টার্ব করে না। রোদেলা কোন একভাবে জানতে পারে যে দুপুরের কোন দোষ ছিলো না। রোদেলা ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করে।
দুপুর নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। খুশিতে সে রোদেলাকে ম্যাসেজ দেয়।
দুপুরঃ হ্যালো।
রোদেলাঃ কেমন আছো?
দুপুরঃ ভালো। তুমি?
রোদেলাঃ মোটামুটি। কিছু বলবে?
দুপুরঃ হুম। অনেক কথা বলার আছে।
রোদেলাঃ বলো।
দুপুর সব ঘটনা এক এক করে খুলে বলে। রোদেলাকে বুঝতে পারে।
রোদেলাঃ আমি সব বুঝতে পারছি। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই। আমি এনগেইজড।
দুপুরঃ একটা সত্যি কথা বলবে?
রোদেলাঃ কি?
দুপুরঃ ভালোবাসো আমাকে ?
রোদেলাঃ একসময় খুব ভালোবাসতাম।
দুপুরঃ এখন বাসো না?
রোদেলাঃ জানিনা। তবে প্লিজ তুমি সারাজীবন আমার পাসে পাসে থাকবে, যে যাই বলুক আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না। যদিও আমাদের হয়তো কখনো মিল হবে না। প্রমিজ করো।
দুপুরঃ প্রমিজ করলাম।
রোদেলাঃ আমরা প্রেম করবো। যখন বুড়ো হয়ে যাবো তখন। মাঝে মাঝে রবিন্দ্র সরবরে দেখা করবো। সরবরের চা আমার খুব পছন্দের।
দুপুরঃ ঠিক আছে। তাহলে আমাদের আর এক হওয়া হচ্ছে না?
রোদেলাঃ আমি প্রমিজ করছি এ জীবনে না হলেও পরকালে আমি তোমার হব। শুধুই তোমার। আর আমার ভুল বোঝার জন্য ক্ষমা করে দিও। যখন বুড়ী হবো তখন কিন্তু প্রেম করবো। অনেক ভালোবাসবো তোমাকে। হয়তো এই ভালোবাসা অদ্ভুত ভালবাসা। আমি ঘুমাবো। আল্লাহ হাফেজ।

#চার
(সরবরের দুপুরের পাশে রোদেলা। রোদেলা দুপুরের মাথায় ঠোয়া দেয়)
রোদেলাঃ আমি সুখ চেয়েছি, তোমার হতে চাচ্ছি। আর তুমি আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছো কেন?
দুপুরঃ তুমি কি পারবে আমার হতে?
রোদেলাঃ গল্পে যাও। দেখি কি হয়।

রোদেলা আর দুপুরের এখন প্রায়ই ফেসবুকে কথা চলতে থাকে। মাঝে মাঝে কথাও হয় ফোনে। ঝগড়া হয় ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করা নিয়ে।
রোদেলা আর দুপুর প্রায় ৯ বছর পর দেখা করতে যাচ্ছে। সরবরে। দুপুর একজোড়া বিড়াল ছানা নিয়ে এসেছে রোদেলার জন্য। রোদেলা দুপুরের জন্য চকলেট। এইদিন সারাদিন তাদের গল্প হয়, ভাবের আদান প্রদান হয়। এরপরেও আরো বেশ কয়েকবার তাদের দেখা হয়। গিফট দেওয়া নেওয়া হয়। সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
রোদেলার সাথে তার প্রেমিক মারুফের সম্পর্ক এখনো চলছে। কিন্তু সে এখন দুপুরের প্রতি সেই ছোটবেলার সেই ভালোবাসা ফিল করে। দুপুর তার জন্য যা করেছে সে এই পৃথিবীর অন্য কোন পুরুষ করতে পারবে না। রোদেলা দ্বিধাদন্দে আছে। এমন সময় দুপুর রোদেলাকে মিট করতে বলে। নীল শাড়ি, কাজল পরে আসতে বলে। স্থান সরবরে।
পরেরদিন সকালবেলা ..........
৩২ এর লেকের পাশ দিয়ে হেটে হেটে সরবরের চলে আসে দুপুর। একা, এখনো রোদেলা আসেনি। তাই সে এদিক সেদিক ঘোড়াঘুরি করছে। সরবরের পাশেই বটতলায় দুটো মেয়ে বেলি ফুলের মালা গাথছে। দুপুর কিছুক্ষন তাদের পাশে গিয়ে দাড়ালো। চুপ করে তাদের মালাগাথা দেখছে।
দুপুর ঃ মামুনীরা তোমাদের মালা কি বিক্রি হবে?
মেয়েটিঃ জ্বে দাদা ভাই। একজোরা ৫০ টাকা। আফনে নেবেন?
দুপুর ঃ হ্যা। আমি একজোড়া নিবো। তবে সাথে গোলাপ হলে ভালো হতো।
পাশের মেয়েটিঃ গোলাফ আইনা দেয়ন যাইবো। জোরা ৫০ টাকা। আর আমি আইনা দিমু রুবি খালার থিকা, তাই আমার কনভ্যান্স ২০ টাকা দেওন লাগবো।
দুপুরঃ হাহাহা। আচ্ছা দিবো। তুমি আমার জন্য ২ জোরা গোলাপ নিয়ে আসো। নাহ ৫ জোরা।
মেয়েটি ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে ভো দৌড় দেয়। অন্যমেয়েটির কাছ থেকে বেলি ফুলের মালা বেছে নেয় দুপুর। কিছুক্ষন পরেই একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে ঐ মেয়েটি হাজির।
মেয়েটিঃ ন্যান দাদা ভাই।
দুপুর ঃ থ্যাংক ইউ।
মেয়েটিঃ আপনারও কি গার্লফ্রেন্ড আছে?
দুপুরঃ (কিছুখন চুপ থেকে) নাহ! ভালোবাসা আছে। (দুপুরের সেই মন ভোলানো মুচকি হাসি)
দুপুর লেকের কাছে এসে পানিতে পা ভিজিয়ে আছে। আর মনে মনে কবিতা আওরানোর চেষ্টা করছে।
দুপুরের ফোন বেজে উঠে।
দুুপুরঃ হ্যালো।
রোদেলাঃ (মিষ্টি গলায়) কোথায় তুমি?
দুপুরঃ এইতো লেকের ধারে বসে আছি।
রোদেলাঃ এই দিকে আসো। চা খাবো।
দুপুর পানি থেকে উঠে স্যান্ডেল পরে হেটে চলে আসে চায়ের দোকানের কাছে।  কালো পারের নীল রঙের শাড়ি, হাতে এত্তোগুলো নীল চুড়ি, চোখে কাজল। আসমানের হুরপরীর কার্বন কপি জেনো এই সরবরে নেমে এসেছে।
রোদেলাঃ কি হলো। কিছু বলছো না যে। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো।
দুপুরঃ দেখছি।
রোদেলাঃ দেখো। আমি চা খাই। (চা এর বিল দেবার জন্য ব্যাগে হাত দেয়)
দুপুর ঃ এই দাড়াও আমি নিচ্ছি।
দুপুর এগিয়ে যায়। পে ফার্স্ট। দুপুর যখন প্রথম এখানে এসেছিলো তখন চা খেয়েছিলো ৮ টাকা দিয়ে, এরপর ১০, ১০ থেকে ১৫, আর আজ ৫৫ টাকা।
দুই কাপ চা নিয়ে দুপুর আর রোদেলা এক কোনার টেবিলে বসে। দুজন মিলে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে। হটাৎ অবেলার বৃষ্টি শুরু হয়। রোদেলা দ্রুত তার ব্যাগ থেকে ছাতাটা বের করে দুপুরের একদম গা ঘেষে বসে। এক ছাতায় দুজন। দুপুর অপলক দৃষ্টিতে রোদেলার দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদেলাঃ এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? আমার লজ্জা লাগছে।
দুপুরঃ এখন তো বসন্ত, বৃষ্টি হবার কথা না। তুমি ছাতা নিয়ে এসেছিলে কেনো?
রোদেলাঃ তুমি হয়তো টিভি, নিউজ কিছু দেখো না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সমুদ্রে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে, ঘুর্নিঝড় হবে। ঢাকায় বৃষ্টির আশংকা আছে। তাই ছাতা নিয়ে বের হয়েছি।
দুপুরঃ ওহ। আচ্ছা রোদেলা তোমার মনে আছে?
রোদেলাঃ কি?
দুপুর ঃ এই রকম এক হটাৎ বৃষ্টির দিনে রাস্তায় আমি ভিজে যাচ্ছিলাম। সামনে ছিলে তুমি। ব্যাগ থেকে তোমার ছাতাটি বের করে এনে আমাকে দিয়ে আবার সামনে দৌড় দিয়ে তোমার বান্ধবীর ছাতার নিচে ঢুকেছিলে।
রোদেলাঃ কত সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো। কিন্তু হটাৎ.......
দুপুরঃ ভুল বোঝাবুঝিতে কৈশোর, যৌবন ভেস্তে গেলো আমার ভালোবাসার।
রোদেলাঃ আমাকে নিয়ে যাবে?
দুপুরঃ নিয়ে যাবো মানে! পালাতে চাচ্ছো নাকি?
রোদেলাঃ যদি যেতে চাই। আমার হাত শক্ত করে ধরতে পারবে না? সারা জীবন তোমার ভালোবাসায় আগলে রাখতে পারবে না। এমপ্ন কোথায় নিয়ে যেতে পারবে না। যেখানে কেউ আমাদের এই অদ্ভুত ভালোবাসায় বাধা দিবে না। আমাদের সুখের সংসারে কেউ ঝামেলা করতে আসবে না। আমাদের দুটো বেবি হবে।
দুপুর রোদেলার সামনে হাটু গেরে বসে
দুপুরঃ জীবনের চেয়েও তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমাকে। একবার সুজোগ দাও, দেখো কতটা ভালোবেসে আগলে রাখি।
রোদেলা কাদতে কাদতে দুপুরকে জরিয়ে ধরে বলে। চলো, আমাকে নিয়ে যাও তোমার ভালোবাসার রাজ্যে।

#পাঁচ
সরবরে
রোদেলা দুপুরের কাধ থেকে মাথা সরিয়ে ফেলে।
রোদেলাঃ চুপ দুপুর চুপ। আমি আর পারছি না।(রোদেলার চোখ দিয়ে পানি ঝরছে, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে)
দুপুরঃ খুব কষ্ট দিয়ে ফেললাম?
রোদেলা দুপুরের দিকে বেশকিছুক্ষন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। দুপুর বুঝতে পারে এই দৃষ্টিতে, এই চোখের পানিতে দুপুরের জন্য রোদেলার কতটা ভালোবাসা রয়েছে।
রোদেলাঃ আমি উঠি।
দুপুরঃ কোথায় যাবে?
রোদেলাঃ আজ আমার একমাত্র মেয়ের একমাত্র ছেলে, মানে আমার নাতীর জন্মদিন। ওর নাম দুপুর। আমার কলিজার টুকরা, আমার জানের জান । ওর কাছে যাবো। এই গোলাপ আর চকলেট ওকে দিবো, সাথে ছোট একটা একুরিয়াম। এই অদ্ভুত ভালোবাসার স্মৃতিগুলো আমার বর্তমান ভালোবাসাকেই দেই। এর মাঝেই হয়তো সুখ খুজে পাবো।
দুপুরঃ ঠিক আছে।
রোদেলাঃ তুমি কিন্তু একটা বিয়ে করে নিলেই পারতে। একা একা কিভাবে?
দুপুরঃ দুপুর এখনো তার রোদেলার অপেক্ষায় আছে। হয়তো চুল দাড়ী পেকে গেছে, কিন্তু ভালোবাসা কমেনি। হয়তো এই অদ্ভুত ভালোবাসার গল্পের মত আমার জীবনের গল্পটাও সত্যি হয়ে যেতে পারে।
রোদেলা আবার অপলক দৃষ্টিতে দুপুরের দিকে তাকিয়ে থাকে, চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। দুপুর হাত দিয়ে পানি মুছে দেয়। রোদেলা উলটো ঘুরে হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে যায়। দুপুর রোদেলার চলে যাওয়া দেখে। আর তার অদ্ভুত গল্পের সমাপ্তি টানে।

(পুরো গল্পটি আমার কল্পনা, বাস্তবতার সাথে এর কোন রকম মিল নেই।)

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯

প্রেতাত্তার লেখা দশটি ধারাবাহিক গল্প


#প্রেতাত্তার_লেখা_দশটি_ধারাবাহিক_গল্প
MD Asadur Rahman – Shipon এর লেখা ১০ টি ছোট বড় ধারাবাহিক গল্পের সব পর্বের লিংক একত্রে দেওয়া হলো। রহস্য, ভৌতিক, রুপকথা, রোমান্স ও সাসপেন্স লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি পড়ুন এবং শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুজোগ করে দিন। এবং বানান ভুলের জন্য অগ্রিম ক্ষমাপার্থী। গল্প গুলো যথাক্রমে ঃ
১ – #পিশাচ_দম্পতি
২ – #ডেভিল_হানটার্স --- (রহস্য গল্প )
৩ – #পিশাচ_কুমার
৪ – #ভুত_রাজ্য_ভ্রমন
৫ – #পাহারাদার ( রহস্য ভৌতিক গল্প )
৬ – #অদৃশ্য_পুরুষ
৭ – #রাজকুমারী_লাইলা
৮ – #রাহিকা_রাহা
৯ – #রত্নদ্বীপ (রহস্য, রোমাঞ্চকর, ভৌতিক গল্প)
১০ – #প্রেমের_পাগলামী


#পিশাচ_দম্পতি
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596680877187872/596680887187871/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596680877187872/596681513854475/?type=3&theater
৩য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596680877187872/596681690521124/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596680877187872/596681880521105/?type=3&theater

#ডেভিল_হানটার্স --- (রহস্য গল্প )
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596688097187150/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596688703853756/?type=3&theater
৩য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596689077187052/?type=3&theater
৪র্থ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596689370520356/?type=3&theater
৫ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596689693853657/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596689977186962/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.596688077187152/596690420520251/?type=3&theater

#পিশাচ_কুমার
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/603547933167833/?type=3&theater
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/604440086411951/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ
https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/608434332679193/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ
https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/609261935929766/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/611001982422428/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/612861245569835/?type=3&theater
শেষ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.603547926501167/614131138776179/?type=3&theater

#ভুত_রাজ্য_ভ্রমন
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.615741718615121/615741731948453/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.615741718615121/617479158441377/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.615741718615121/624572604398699/?type=3&theater

#পাহারাদার ( রহস্য ভৌতিক গল্প )
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.637289529793673/637289583127001/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.637289529793673/637325769790049/?type=3&theater
৩য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.637289529793673/700891030100189/?type=3&theater
৪র্থ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.637289529793673/702683563254269/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.637289529793673/708593425996616/?type=3&theater


#অদৃশ্য_পুরুষ
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668453613343931/?type=3&theater
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668454366677189/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668454900010469/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668455270010432/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668455596677066/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668456200010339/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668458990010060/?type=3&theater
৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668459313343361/?type=3&theater
৯ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668459726676653/?type=3&theater
১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668462093343083/?type=3&theater
১১তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668464476676178/?type=3&theater
১২ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/668465573342735/?type=3&theater
১৩ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/678565552332737/?type=3&theater
১৪ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/678565955666030/?type=3&theater
১৫ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/678566162332676/?type=3&theater
১৬ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/678566325665993/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.668453590010600/678566888999270/?type=3&theater


#রাজকুমারী_লাইলা

১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater
৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/929079630614660/?type=3&theater
৯ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/930679023788054/?type=3&theater
১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/931147953741161/?type=3&theater
১১তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/932484560274167/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/933105020212121/?type=3&theater


#রাহিকা_রাহা
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/972484619607494/?type=3&theater
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/972485469607409/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/972486359607320/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/975547405967882/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/976775532511736/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/978712292318060/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/981043595418263/?type=3&theater
৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/984532838402672/?type=3&theater
৯ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/988049018051054/?type=3&theater
১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/993895560799733/?type=3&theater
১১তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/994517340737555/?type=3&theater
১২ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/997372317118724/?type=3&theater
১৩ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/999750356880920/?type=3&theater
১৪ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/1000930906762865/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.972484596274163/1002592299930059/?type=3&theater

#রত্নদ্বীপ (রহস্য, রোমাঞ্চকর, ভৌতিক গল্প)
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1035263593329596/?type=3&theater
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1036004599922162/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1037382013117754/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1038025473053408/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1038026726386616/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1038594192996536/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1041446726044616/?type=3&theater
৮ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1043130772542878/?type=3&theater
৯ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1044927399029882/?type=3&theater
১০ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1044928385696450/?type=3&theater
১১তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1046052012250754/?type=3&theater
১২ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1046671915522097/?type=3&theater
১৩ তম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1049571808565441/?type=3&theater
শেষ পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.1035263576662931/1050283568494265/?type=3&theater



#প্রেমের_পাগলামী
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.611588295697130/611588309030462/?type=3&theater
শেষ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.611588295697130/613318725524087/?type=3&theater

নেক্সট গল্প #দ্যা_ডার্ক_লর্ড পেতে সবার আগে পেজটি লাইক দিয়ে সি ফার্স্ট দিয়ে রাখুন।

( সব গুলো গল্পটাই আমার কল্পনা । এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই )
আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন । ধন্যবাদ।