#নিঃসঙ্গ_বিকেল
প্রেতাত্মার লেখা গল্প - written by A R Shipon
“সন্ধ্যা”
“সন্ধ্যা ভাব”
পিছ থেকে ছোট পায়ের দৌড়ানোর
একটা আওয়াজ পাওয়া গেল কিন্তু শিপন তা শোনার মতো নয়। কারন কানের হেডফোনের আওয়াজে।
বাইরের কিছুই শোনা যায় না। সূর্যকে ডুবতে দেখে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে শিপন। পশ্চিমেই তাকানো আর রেলিংটার উপরে হাত দুটো দেয়া।
কেউ একজন শিপনেরর ডান পা দু হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে নিয়েছে। এতক্ষনে ধ্যান ভাঙল শিপনের। নিচে তাকাতেই পায়ের পিছ থেকে চাঁদের মতো একটা হাসি ফুটে উঠল। তা দেখে শিপনও একটা মুচকি হাসি দেয়।
কাঁন থেকে হেডফোনটা নামিয়ে কষে ধরা হাতটা ছাড়িয়ে নিল শিপন। হাতটা ছাড়াতেই মুখটা ঘুড়িয়ে চলে যেতে লাগল। পিছে ঘুরতেই শিপন ঝাপটি মেরে ধরে,
জিজ্ঞাস করতে লাগলঃ
>কি হয়েছে মামুনি। পাপার সাথে কি রাগ করেছ?
শিপন যার সাথে কথা বলছে সে তার ৫ বছরের মেয়ে তানহা।
তানহা মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়।
শিপন হাঁসতে হাঁসতে আবার জিজ্ঞাস করেঃ
>বলনা মামুনি কি হয়েছে?
তানহা শিপনের কাছ থেকে হাতটা ছাড়িয়ে আমতা আমতা করে বলেঃ
>তোমার সাথে কথা বলবনা।
>কেনো মামুনি?
তানহা পাকামো ভাব ধরে বলেঃ
>তুমি পঁচা। ঘুম থেকে উঠে একাই ছাঁদে চলে এসেছ।
শিপন দাত বের করে হাঁসতে হাঁসতে বলেঃ
>কেনো মামুনি?তুমি কি ভয় পেয়েছ?
তানহা একটু রাগি ভাব করে বলেঃ
>না। আমি সাহসী মেয়ে। আমি ভয় পাই না।
>ও তুমি তো পাপার সাহসী মেয়ে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
তানহা চোখ কুচকে বলেঃ
>আবার আজ আমার Birthday তুমি আমাকে চকলেটও 🍫 দাওনি। তোমার সাথে কথা নেই।
শিপন জ্বিহে কামড় দিয়ে কানে ধরে বলেঃ
>সরি মামুনি আমি ভুলেই গিয়েছি। মাফ করে দাও।
তানহা রাগ ভেঙে বলেঃ
>ঠিক আছে। কিন্তু আমার চকলেট দাও।
শিপন দাঁড়িয়ে গিয়ে তানহাকে বলেঃ
>পকেটে একটা যাদুর রাজ্য আছে ওখানে হাত দাও পেয়ে যাবে।
কথাটা শুনে ততক্ষনাৎ পকেটে হাত দেয় তানহা। আর পকেটে থাকা চকলেট গুলি নিয়ে খুশিতে লাফাতে থাকে।
আর শিপন বলে উঠেঃ
>হ্যাপি বার্থডে মামুনি। এখন খুশি তো?
তানহা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।
তারপর শিপন তানহাকে কোলে নিয়ে পশ্চিমের আকাশে চেয়ে মনে মনে বলেঃ
দেখেছো তানহা। তোমার মেয়ে কত বড় হয়ে গেছে। আজ ওর ৫ বছর হলো। ও সম্পুর্ন তোমারই মতো, রাগ করে থাকতেই পারে না।
সূর্য সম্পুর্ন ডুবে গেছে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই শিপন তানহার সাথে কথা বলতে বলতে নিচে চলে যায়। আর শেষ হয় আরেকটা “নিঃসঙ্গ বিকেল”।