রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১

DARK LORD (ডার্ক লর্ড)

 


Bhoot Detective Branch - BDB
(ভূত গোয়েন্দা শাখা)
সিরিজের ধারাবাহিক গল্প
গল্প ঃ #DARK_LORD
পর্ব ঃ ১ (এক)
প্রেতাত্মার লেখা গল্প -  Written by A R Shipon

অদ্ভুতুরে এই শহরে প্রতিনিয়তই আনাগোনা রয়েছে হরেক রকমের ভূত, পেত্নী, প্রেতাত্মা, শাকচুন্নিদের। কেউ বিশ্বাস করে আবার কেউ করে না। কিন্তু দুপুরের দৃর বিশ্বাস ভুত প্রেত মানুষের আসেপাশেই রয়েছে। মানুষজাতী যেমন বিভিন্ন কার্যকর্মে লিপ্ত। ভালো কাজ, মন্দ কাজ, ক্রাইম। ঠিক তেমনি ভুতেরাও।
বারান্দায় বসে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ভাবছে দুপুর। দুপুরের ভুত প্রিতি বেশি। দিনরাত তার জল্পনা কল্পনা এই ভুত প্রেত নিয়েই। যদিও এখনো ভূতের কোন সুনির্দিষ্ট অস্তিত্ব তার সামনে ধরা দেয় নি। তবুও ভুত প্রেত আত্তার উপর রয়েছে তার অটল বিশ্বাস। 
দুপুরের ম্যাসেঞ্জারে রাহাত এর ফোন আসে। রাহাত দুপুরের এডি। দুপুর ওয়েডিং প্ল্যানিং, ইভেন্ট অরগানাইজড করে, সাথে সিনেমাটোগ্রাফি। দারুন ছবি তুলে সে।
রাহাতঃ ভাইয়া আজ আমাদের চিটাগং যাওয়ার কথা। টিকিট ও কাটা আছে। তুমি কি সব গুছিয়েছো?
দুপুরঃ ওহ! ভুলেই তো গিয়েছিলাম। আচ্ছা অর্নব আর পড়িকে কল দিয়ে রেডি হতে বল। ১২ঃ১৫ মিনিটে বাস ছাড়বে সবাইকে ১১ টায় কলাবাগান আসতে বলবি। সেখান থেকে ডিনার করে রওনা দিবো।
রাহাতঃ ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের আলপোনা + মেয়ের সাজুগুজু মেহেদী দেবার জন্য আরেকজন লাগে তো।
দুপুরঃ এখন আবার আরেকজন পাবো কোথায়?
রাহাতঃ চিটাগং এ আমার এক ফ্রেন্ড আছে। নাম রাহা। তুমি বললে ওকে আমাদের সাথে নিতে পারি।
দুপুরঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আসতে বলিস। আর ঠিক সময়ে চলে আসিস।
ফোন কেটে দিয়ে দুপুর কিচেনে আসে। কিচেন একটা মুরগী রাখা ছিলো। বুয়া ঠিক মত কাজ না করে ফেলে রেখে চলে গেছে। দুপুর মুরগীটা নিয়ে ফ্রিজে রাখতে যাচ্ছে। হটাৎ খেয়াল করে মুরগীর ভেতর থেকে অঝড়ে তাজা রক্ত বের হচ্ছে।
১১ টার সময় আনা মুরগীতে এখন তাজা রক্ত। কিভাবে সম্ভব। দুপুর মুরগীটি বেসিনে নিয়ে ভালোমত ধুয়ে আবার ফ্রিজে রেখে আসে। তারপর নিজের রুমে গিয়ে ঘুম দেয়।
ঘুন ভাংগে সন্ধায়। বুয়া আসেনি। তাই নিজেরই রান্না করতে হবে।
একটা কাজ করলে কেমন হয়। রাহাত, অর্নব, পড়িকে বাসায় আসতে বলি। বিরিয়ানি রান্না করি। বিরিয়ানি দিয়ে ডিনার সেরে রওনা দেওয়া যাক। তারপর যথামত সবাইকে এসএমএস দিয়ে রান্নার কাজ শুরু করে দুপুর। মুরগীটা আনা প্রয়োজন। দুপুর কিচেন থেকে ডাইনিং রুমে এসে ফ্রিজ খোলে। মুরগীটি নেই। ফ্রেজের গায়ে লাল তাজা রক্ত রক্তের মাখামাখি। কিছুটা বিচলিত হয় দুপুর। সাধারণত এই সময়ে দুপুরের এই বিষয়টিকে ভৌতিকভাবে বিশ্লেষণ করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু সে নিজেকে শান্ত রাখলো।
হটাৎ  বারান্দায় সে কিছু একটার শব্দ পেলো। দৌড়ে বারান্দায় যায়। একটা লোক বারান্দা থেকে লাফানোর চেষ্টা করছে। দুপুর সজোড়ে দৌড়ে গিয়ে তাকে জাপরিয়ে ধরলো। হ্যাচকা টানে বারান্দা থেকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে জোরাজুরি করছে। লোকটির সারা শরীর গাড় লোমে আবৃত । হাতের নখগুলো বিশাল বড় বড়। লোকটি দুপুরকে তার বড় বড় নখ দিয়ে খামচাচ্ছে। আর বড় বড় দাত দিয়ে দুপুরকে কামড় দিতে চাচ্ছে।  দুপুর বুঝতে পারছে, একবার ধরা দিলে এই লোক তার শরীরের সমস্ত রক্ত খেয়ে ফেলবে। হয়তো এটা পিশাচ। সারাজীবন দুপুর যে ভূত পিশাচ দেখার অপেক্ষায় ছিলো আর আজ সেই পিশাচের আক্রমণের স্বিকার সে। লোকটির শরীর খুব ঠান্ডা। দুপুরকে এমনভাবে জাপড়ে ধরেছে যে দুপুরের শরীর শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছে, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কি করবে দুপুর বুঝছে না, হটাৎ মনে পরলো দুপুরের হাতে মুরগী কাটার ছুড়িটা রয়েছে। দুপুর ছুড়িটা দিয়ে পিশাচটির পিঠে ঢুকিয়ে দিয়ে টান দেয়। পিশাচটি অসম্ভব ভয়ানক চিৎকার দিয়ে দুপুরকে ছেড়ে উঠে বারান্দায় যায়। বারান্দা থেকে লাফ দেবার আগে দুপুরের দিকে ভয়ংকর একটা লুক দেয়। পিশাচের সেই ভয়ংকর মুখ দেখে দুপুর জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে।
রাত প্রায় ৮টা বাজে।
এই সময়ে পড়ি, রাহাত অর্নব আসে। অনেকক্ষন কলিংবেল বাজানোর পরেও ভেতর থেকে দরজা খোলা হচ্ছে না। অর্নব তারাতারি জয়কে ফোন দেয়। জয় মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকে, তাই জয়ের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি আছে।
১০ মিনিটের মধ্যে জয় চলে আসে। সে পাশেই ছিলো। চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখে দুপুর ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে জ্ঞ্যান হারিয়ে পরে আছে। সবাই তারাহুরো করে পানি ডেলে জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনে। জ্ঞ্যান ফেরার পর দুপুর বেশ কিছুক্ষন চুপ ছিলো। তারপর সব ঘটনা খুলে বলে৷ খুলে বলে পিশাচটার কথা। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না।
অর্নব ঃ দাদা আমি আগেই তোমাকে বলেছি তুমি এই সব উদ্ভটে ভুতের গল্পের বই পড়া বাদ দাও। তুমি যে মানুষিক সমস্যায় ভুগছো সেটা কি জানো???
দুপুরঃ আমি সত্যি বলছি। আমার স্পষ্ট সব মনে আছে।
জয়ঃ দাদা দুপুরে কি লাঞ্চ করেছিলে?
দুপুরঃ নাহ।
জয়ঃ না খেলে তো এমন অবস্থাই হবে।
পড়িঃ আমি গিয়ে রান্না করছি।
রাহাতঃ আমি দাদার ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছি।
পড়িঃ দাদা আমি আগে তোমাদের জন্য কফি করে দিচ্ছি।
ঘন্টাখানেকের মধ্যে সব রান্নাবান্না শেষ করে ড্রয়িং টেবিলে বসে সবাই। জয় নিজেও চিটাগং যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুপুরঃ তোরা কেউ আমার কথা বিশ্বাস করছিস না তো। যা ফ্রিজে দেখ, রক্ত লেগে আছে।।
পড়ি ঃ আমি দেখেছি, কিচ্ছু নেই।
দুপুরঃ কিচ্ছু নেই।
দুপুর চেয়ার থেকে উঠে ফ্রিজ খুলে দেখে যে সত্যিই ফ্রিজে কোন রক্তের ছাপ নেই। দুপুর চিন্তা করতে থাকে। তাহলে কি জয়ের কথাই সত্যি। আমি ভূত প্রেত নিয়ে ভাবতে ভাবতে কি পাগলে হয়ে যাচ্ছি। আর ঘটনাটি হ্যালুসিনেশন ছিলো।
রাহাত ঃ দাদা খেতে আসো তো। ডিনার সেরে বাস কাউন্টারে যেতে হবে।।
দুপুর ডাইনিং টেবিলে এসে খাবার খায়। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
রাত ১২. ২৫ মিনিটে বাস ছেড়ে দেয়। দুপুর ১০ টা ঘুমের ঔষধ মুখে গুজে দিয়ে পানি খেয়ে কম্বলটা মুড়ি দিয়ে সুয়ে পরে। বাকিরা গল্প গুজব করছে। অর্নব পড়িকে জ্বালাচ্ছে তার জন্য একটা গার্লফ্রেন্ড খুজে দেবার জন্য।
অর্নব ঃ দোস্ত তোর এতোগুলা কিউট বান্ধবী আর তুই আমার জন্য একটাও খুজে দিস না। আর কতদিন আমি এভাবে সিংগেল থাকবো বল?
পড়িঃ তুই মর। আর কয়ডা লাগে তোর? দুইদিন পর পর গার্লফ্রেন্ড চেঞ্জ করিস।
জয়ঃ অর্নব চেঞ্জ করে না, এক্সচেঞ্জ করে। হাহহাহাহা
এভাবে গল্পে গল্পে ছোট হতে থাকে রাস্তা। রাস্তের পাশের দোকান গুলো বন্ধ, অনেক দোকানে বাতি জ্বলছে। রাস্তার মাঝখানে সোডিয়াম আলোর বাতি, কিছুটা জোসনা। রাতের এই ব্যাস্ত শহড়ে একের পর এক দ্রুতগামী গাড়ি ছুটে চলছে। পড়ি আর অর্নব দুজনেই জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। হটাৎ একটা লড়ি পেছন থেকে তাদের সামনের বাসকে ধাক্কা দেয়। বাসটা সরে গিয়ে পাসের ওয়েতে দুমড়ে পরে যায়। আর ঐদিক থেকে মানে চিটাগং থেকে আসা একটা দ্রুতগামী লড়ি বাসটিকে আবার আঘাত করে। সংগে সংগে আসেপাসের সব বাস থেমে যায়। সব যাত্রীরাও নেমে আসে উদ্ধারে । দুপুরের ঘুম ভেংগে যায় চিৎকারে, সেও নিচে নেমে আসে। শুরু হয় বৃষ্টি, বর্জপাত। জোসনা কেটে আসে নিকষ কালো ভূতুড়ে অন্ধকার। অহতদের আহাজারি পুরো পরিবেশটাকে মৃত্যুপুরি বানিয়ে ফেলে।
রাহাতঃ দাদা এম্বুলেন্স কল করা উচিৎ।
দুপুর ৯৯৯ এ কল করে জরুরী সেবা চায়। ১৮/২০ মিনিটের মধ্যে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ চলে আসে। তারপর আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হসপিটালে।
দুপুর নিজেদের বাসের দিকে ফিরে আসছে। হটাৎ মনে হয় পেছন থেকে কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে পেছনে তাকায়। কেউ নেই। আবার সামনের দিকে মুখ নিয়ে আসে। সংজ্ঞে সংজ্ঞে আবার পেছনে ফিরে বিদ্ধস্ত বাসের সামনের আসে। নিচে একটা লাশ। লাশের হাত দেখে বোঝা যাচ্ছে এর সারা শরীরে লোমে আবৃত। লাশটি উপর হয়ে আছে। দুপুর টেনে বাসের নিচ থেকে লাশ বের করে। চিৎ করা লাশ টা উপর করার সংগে সংগে দুপুর চিৎকার দেয়। একি এতো তার নিজের লাশ। এই লাশের অবয়ব একদম তার নিজের মত।
দুপুরের চিৎকার শুনে পড়ি আর জয় কাছে আসে। সামনে গিয়ে লাশের দিকে তাকায়। পড়ি কোন কথা বলে না।
জয়ঃ দাদা লাশ দেখে ভয় পেয়েছো? নাকি তোমার পরিচিত?
দুপুরঃ আরে এতো আমার লাশ।
জয়ঃ যাচ্ছে তাই বলছো দাদা। এ তোমার লাশ হতে যাবে কেনো? এ লাশ তো মনে হচ্ছে এই বাসের ড্রাইভারের।
দুপুর আবার লাশের দিকে তাকায়। চমকে যায়। এখন আর সে তার নিজেকে দেখতে পাচ্ছে না। উঠে আসে সে। তাদের বাস ছাড়বে। বাসে উঠে বসে। জানালার পাশ দিয়ে তাকিয়ে আছে।  আবার চোখ পরে লাশটির দিকে লাশটি মুচকি হাসে। এই লাশটি বর্তমান মুখটিও তার পরিচিত। এইতো আজ বিকেলেই এই পিশাচটার সাথে তার একদফা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে গেছে। আচ্ছা এই পিশাচটি কি মরলো?  নাকি সে তার রক্তখুদা মিটাতে এই রক্তবন্যার আয়োজন করলো? দুপুরের মাথা ঘুরছে। আবার ঘুম দরকার। ব্যাগের মধ্যের বাকি ১০ ঘুমের ঔষধও খেয়ে ফেললো।
ঘুম ভাংলো চিটাগং শহরে এসে। সেখান থেকে গাড়ি করে বিয়ে বাড়ি। বিয়ে বাড়ি থেকে তাদের জন্য একটি বাংলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সেই বাংলোতে উঠলো তারা।
বাংলো ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনিস্টিউটের অধক্ষ্যের বাংলো। বাংলোতে নাকি ভূত আছে সে ভয়ে এখানে কেউ থাকে না। বাংলোর ভেতরে ঢুকেই নানা রকম তাবিজ দেখা গেলো।
অর্নব ঃ দাদা তুমি আর আমি কিন্তু এই বাংলোয় বসে ভূত নিয়ে রিসার্চ করতে পারবো। কি বলো?
জয়ঃ আমরা কাজ করতে আসছি। সারা দিন কাজ শেষে এসেই ঘুম। রিসার্চ করার দরকার হলে তোমরা কইরো।
দুপুরঃ পড়ি তোর কি হয়েছে? কথা বলছিস না যে?
পড়িঃ নাহ দাদা তেমন কিছু না। ভয় ভয় লাগছে। আমাকে কি একা থাকতে হবে?
দুপুরঃ রাহাত তোমার বন্ধু রাহা কোথায়? সে আসবে না?
রাহাতঃ আসলে দাদা রাহা আমার গার্লফ্রেন্ড। তার সাথে আমার আগে কখনো দেখা হয়নি। আজ বিকেলে দেখা করতে যাবো। তারপর বলে দেখি ও কি আমাদের সাথে থাকবে কিনা। এখানে না থাকলেও ও আমাদের সাথে কাজ করবে এটা কনফার্ম।
অর্নব ঃ বাহ বাহ। রাহাতের তাহলে কাজের সাথে ডেটিং ও হয়ে যাচ্ছে। যাও যাও। স্বার্থক হোক তোমার প্রেম।
পড়িঃ তোমরা কোন শব্দ পাচ্ছো? মনে হচ্ছে কোন জানোয়ার পশুর মাংশ টেনে টেনে খাচ্ছে আর খিল খিল করে হাসছে।
পড়ি এরুম সেরুম দৌড়াদৌড়ি করে। কিছুই পায় না।
দুপুরঃ গায়েজ, আমরা সবাই এক রুমে থাকছি। রুমটা অনেক বড়, আশাকরি সমস্যা হবে না। এখন রেস্ট নাও। বিকেলে আবার বিয়ে বাড়ি দেখতে যাবো। স্পট দেখে এসে রাতে প্ল্যান করবো ইভেন্টের। এখন রেস্ট।
রাহাতঃ দাদা আমাকে রাস্তা নামিয়ে দিও। আমি একটু নিউমার্কেটের দিকে যাবো রাহার সাথে দেখা করতে। ফার্স্ট টাইম ডেট। প্লিজ দাদা।
দুপুরঃ ওকে। কিন্তু একঘন্টার বেশি না।  এখন  রেস্ট।

চলবে..............................  চলবে।

সম্পূর্ণ গল্পটি আমার বিকৃত মস্তিষ্কের কল্পনা। গল্পের সাথে বাস্তবতা মেলানোর চেষ্টা করবেন না। গল্পের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মতামত দিবেন। ভালো লাগলে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য শেয়ার করুন। নেক্সট পর্ব ইনশাআল্লাহ আগামীকাল দেওয়া হবে। আল্লাহ হাফেজ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .