মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

ঢাকার ধুলোভরা অলিতে গর্জে উঠলো একদল প্রাণ, ছাত্রের চোখে আগুন জ্বলে, কাঁপে শাসক টালমাটাল। আমি ছিলাম সমন্বয়য়ে, নামে এ আর শিপন, কাজে আগুন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, দোহার-নবাবগঞ্জকে ডাকলাম, জাগো! তোরা কর ঐক্য গঠন। ফেসবুকের শব্দে গর্জন, ভিডিও বার্তায় আগুন ছড়াই, চোখের সামনে ভাই পড়ে, গুলির শব্দে বুক কাঁপাই। রক্তে মাখা রাজপথে, স্বপ্নগুলো পায়ের নিচে, যুদ্ধ মানে শুধু মৃত্যু নয়, যুদ্ধ মানে জীবন বাঁচে। আটাশ দিন ছিন্নমূল, একেক রাত একেক ঘর, তবু মাথা নত করিনি, ত্যাগেই পাই নতুন ডর। আমার কাঁধে ব্যানার তুলে, ব্যথা লুকাই দৃপ্ত চালে, ভাঙা হাতে লিখেছি শ্লোগান, বিদ্রোহ ওঠে প্রতিটি গালে। গাছতলা, ছাদ, আর বারান্দা—যেথায় পাই একটু ঠাঁই, আমার হৃদয় ছিল আকাশ, আর দেশ ছিল যুদ্ধশালায়। সহযোদ্ধার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ করেছিলাম, এই চোরাবালি থেকে টেনে দেশের মানচিত্র তুলব জান। রেললাইন, কলেজ মাঠ, আর শহীদ মিনারে লেগে ছিল, হাজার কণ্ঠ, হাজার পায়ে, বিদ্রোহের ছাপ যেন দেগে দিল। আমি ছিলাম তাদের একজনে, ছাত্রজাগরণে আগুন-ভর্তি, আমার রক্তেও লেখা ছিল সেই অভ্যুত্থানের প্রথম শপথপত্রটি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .