রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭

পেত্নী রহস্য (একটি অভৌতিক বোরিং প্রেমের গল্প)

পেত্নী রহস্য
(একটি অভৌতিক বোরিং প্রেমের গল্প)
লেখা : Md Asadur rahman (Sh Up On)

গল্পটি শুরু হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। তখন সদ্য ২২টি দিনের অন্ধকারের দুনিয়া থেকে আলোয় ফিরে এসেছে কৌশিক। নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে রাখছে আলোর থেকে। অন্ধকার বদ্ধ রুমই তার একমাত্র বন্ধু, এখন আর বাকি সব তার কাছে কেমন জানি ঘোলা ঘোলা লাগে। মনে হয় সব কিছুতেই কোন একটা ঝামেলা আছে।
কৌশিকের খুব কাছের বন্ধু লিমন। খুব ভালো বন্ধু। মাঝে মাঝেই সে কৌশিককে অন্ধকার ঘর থেকে বাইরে আনার চেষ্টা করে কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও লিমন ছেরে দেবার পাত্র নয়। কত দিন কৌশিক ফিরিয়ে দিবে লিমনকে? সর্বোচ্চ ১০০ বার?
নাহ ১০০ বার ফিরে আসতে হয়নি লিমনকে। একদিন বিকেলে লিমন আর কৌশিক বের হয় বাইরে। কোলাহল মুক্ত, শান্ত নীরব পরিবেশে যেতে চায় কৌশিক। লিমন ও তাই চাচ্ছিল। কারন কৌশিক এর সাথে তার অনেক কথা আছে। এত বড় একটা ধাক্কা সামলাতে কৌশিকের সময় লাগবে আর ভালো বন্ধুরও সাহায্য লাগবে। আর লিমন সেই সময় তার সাহায্যের হাতটা বারিয়ে দিতে চায় তার বন্ধু কৌশিকের জন্য। আর বাকি বন্ধুদের অনেকের আবার পারিবারিক নিষেধাজ্ঞা আছে কৌশিকের সাথে মেশার জন্য। কি কারনে সেটা না হয় পরে আরেকদিন বলবো।
লিমন আর কৌশিক তাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা মাঠে বসে। মোটামুটি নিরব একটা জায়গা।
লিমন : কি হয়েছে দোস্ত তোর?
কৌশিক : কি হইছে?
লিমন : এই ঘর থেকে বের হচ্ছিস না, কারো সাথে সময় দিচ্ছিস না, শুনলাম ঠিক মত খাওয়া দাওয়াও করিস না। প্রবলেম টা কি তোর? এই ধরনের ছোটখাটো এক্সিডেন্ট মানুষের জিবনে হয়, তাই বলে এইভাবে নিজিকে গুটিয়ে রাখার মানে কি?
কৌশিক : আমি ঠিক আছি।
লিমন : মোটেও ঠিক নাই।
কৌশিক : কি করতে হবে আমাকে তাহলে?
লিমন : তোকে আগের মত নরমাল হতে হবে, সবার সাথে মিশতে হবে, ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করতে হবে।
লিমন : কাদের সাথে মিশবো? তুই ছাড়া আমি বাসায় আসার পর আর কেউ তো আমার সাথে যোগাযোগ করতে আসেনি। শুনলাম আমার সাথে মিশতে নাকি
লিমন : সব আজাইরা কথা, শোন কাল থেকে প্রতিদিন আমার সাথে বের হবি। বিকেলে হাটবো আর খাবো। জানিসই তো আমি একটু বেশি খাই। হাহাহাহহহাহা।
এরপর থেকে প্রতিদিন বিকেলে বের হয় দুজন, কিছুখন হাটাহাটি করে আবার সেই মাঠে গিয়ে বসে।
একদিন সেখানে বসে গল্প করছে দুজন আর ফেসবুকে চ্যাট করছে।
লিমন : কিরে মামা, ইদানিং দেখছি তুই ফেসবুকে বেশি থাকিস। মনে হয় সারাদিন চ্যাট করিস। কার সাথে এতো চ্যাট করিস।
কৌশিক : নাম বললে চিনবি তুই।
লিমন : তো বল।
কৌশিক : ইভা। ইয়াসমিন ইভা।
লিমন : এটা কে?
কৌশিক : আরে চিনলি না। ঐ আমাদের আত্তীয়। তোদেরও তো। ঐ সিয়ামের খালাতো বোন ইভা। ঢাকা থাকে যে।
লিমন : ওহ হ্যা। সুন্দরি আছে মেয়েটা। তা তোর সাথে এতো কি চ্যাট করে। প্রেম ট্রেম করিস নাকি আবার?
কৌশিক : আরে না গাধা। তবে ওকে আমার খুব ভালো লাগে। কার্টুনের মত সুন্দর করে কথা বলে।
লিমন : ফোনেও কথা বলিস নাকি?
কৌশিক : নাহ। আরে আগে শুনছি না। তবে একবার ও ওর বাবার নাম্বার থেকে ফোন দিয়েছিল।
লিমন : কি বললো?
কৌশিক : ধরতে পারি নাই। পরে ম্যাসেজে বলে বাহ ভালো তো অপরিচিত নাম্বারের ফোন রিসিভ করেন না দেখি।
লিমন : শালা তুই তো ধরতে পারিস নাই বলে ধরস নাই। তোর আবার পরিচিত আর অপরিচিত নাম্বার। তারপর ফোন দিয়েছিল কেনো সেটা জিজ্ঞাস করিস নাই।
কৌশিক : হ্যা করেছিলাম। আমি সকাল থেকে অনলাইনে ছিলাম না। আর ওর নাকি আমার সাথে চ্যাট করতে ইচ্ছে করছিল তাই।
লিমন : ওরে বাবা। মেয়ে তো মামা তোর প্রেমে পরছে।
কৌশিক : ধুর। এতো সুন্দরী, ধনীর দুলালী আমার প্রেমে পরতে যাবে কেন বল।
লিমন : কেন তুই দেখতে খারাপ নাকি? আর প্রেমে ধন সম্পদ ব্যাপার না।
কৌশিক : বাদ দে। চল উঠি।
সেখান থেকে চলে আসে যার যার বাসায়।
রাত ৮ টা বাজে। কৌশিক বার বার ম্যসেঞ্জারে ঢু মারছে, কিন্তু নতুন কোন ম্যাসেজ নেই। এভাবে রাত ১০ টা বেজে যায় কিন্তু কেউ তাকে কোন ম্যাসেজ করে না। (কেউ বলতে ইভা) কেমন জানি একটু অসস্তি লাগা শুরু করে। কি জানি কি মিস করছে দুপুর। কেনো এমন লাগছে।
ঘুমানোর ট্রাই করেও ঘুমাতে পারছে না। তারপর আর কি করার। মাসুদ রানাকে নিয়ে রওনা দেয় রহস্যের দুনিয়ায়। মানে তিন গোয়েন্দা সিরিজ।
পরতেও ভালো লাগছে না। অথচ রহস্য বই পরা কৌশিকের সবচেয়ে পছন্দের একটি কাজ।
হটাত কৌশিকের ফোনে একটা মিসকল আসে। আননোন বাংলালিংক নাম্বার। নরমালি কৌশিক কখনো আননোন নাম্বারের মিসকলের ব্যাক করে না। তবে অজানা এক কারনে সে ব্যাক করলো।
রিং বাজছে, বাজছে তো বাজছেই। তারপর একসময় ফোনটা কেটে দিল। কৌশিকের কৌতুহল আরো বেরে গেলো। সে আবার ব্যাক করলো, আবার ফোন কেটে দিল। মেজাজ টা এবার বেশি খারাপ হয়ে গেলো। তারপর বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখা সিগারেটের প্যাকেটটি নিয়ে চুপি চুপি ছাদে চলে যায়। ছাদের এককোনায় বসে একটি সিগারেট ধরায়। আর মনের সুখে টানতে থাকে সুখ টান।
একটা এসএমএস আসে ফোনে। হাতে নিয়ে দেখে সেই অপরিচিত নাম্বার থেকে এসএমএস।
** ফেসবুকে আসো **
মনে মনে কৌশিক : কে এটা, ফোন ধরে না। আবার এসএমএস।
ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখে ইভা ম্যাসেজ দিয়েছে।
ইভা : সরি ফোনটা কেটে দেওয়ার জন্য। আপু পাশে আছে।
কৌশিক : ওহ, ঐটা তোমার নাম্বার?
ইভা : হ্যা।
কৌশিক : কই ছিলে তুমি এতোখন?
ইভা : ঝর্না আপুদের বাসায়।
কৌশিক : কারো বাসায় গেলে কি ফেসবুকে চ্যাট করা নিশেধ নাকি?
ইভা : না, তবে সবাই একসাথে গল্প করছিলাম তো তাই। কেনো কোন সমস্যা?
কৌশিক : নাহ, সমস্যা হবে কেনো। তুমি আমার কে যে তোমার সাথে চ্যাট না করলে আমার সমস্যা হবে।
ইভা : রাগ করো না প্লিজ। তুমি ও তো দুপুরে এমন করছো, তখন আমার কত কষ্ট হয়েছে যানো। না পেরে আব্বুর নাম্বার থেকে মিসকল দিয়েছি। খুব মিস করি তোমাকে।
কৌশিক : আমাকে মিস করো কেনো? আর আমার সাথে চ্যাট না হলে কষ্টই বা পাও কেনো?
ইভা : জানিনা। আচ্ছা কি করো তুমি?
কৌশিক : ছাদে, সিগারেট খাচ্ছি।
ইভা : তুমি সিগারেট খাও?
কৌশিক : হ্যা।
ইভা : আজ থেকে আর খাবে না। আর এখনি রুমে যাও।
কৌশিক রুমে চলে আসে। ফেসবুকে চ্যাট চলতে থাকে। সেইদিন সারারাত চ্যাটে কথা হয় দুজনের।
সকাল ৯ টার দিকে ইভা ফোন দেয় কৌশিক কে।
কৌশিক : হ্যালো।
ইভা: তুমি কি এখনো ঘুমাচ্ছো?
কৌশিক : হ্যা। রাত জাগা হয়েছে তো তাই।
ইভা : আমিও তো জেগেছি। আচ্ছা এখন উঠো। এখন রাখি আমি।
ইভা ফোন রেখে দেয়। কৌশিক উঠি উঠি করে আবার ঘুমিয়ে পরে। এরপর আরো কয়েকবার চ্যাট হয় ওদের।
বিকেলে লিমন আর কৌশিক হাটতে বের হয়। মাঠে যায়।
লিমন : কিরে মামা কেমন চলছে তোর?
কৌশিক : ভালোই, তোর কি খবর?
লিমন : খারাপ না। তো তোর ইভার কি অবস্থা?
কৌশিক : আমার ইভা? হাহাহহা। ভালো। সুধু জানতে চায় আমার কয়টা জিএফ আছে। তার নাম কি এগুলা। মামা আমি মনে হয় মেয়েটার প্রেমে পরে গেছি।
লিমন : ফাইসা গেছিস মামা। তুই শেষ।
কৌশিক : কি করবো বুঝতেছি না।
লিমন : কি আর করবি, বলে দে যে তুই ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি।
কৌশিক : দেখি কি করা যায়।
দুজন মিলে বেশ আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় ফিরে। টিভি দেখতে দেখতে চ্যাট করে দুজনে। মানে কৌশিক আর ইভা।
এমন সময় সিয়াম কৌশিক কে এসএমএস পাঠায়।
সিয়াম : ঐ বেটা তুই আমার বোনকে পেত্নী বলেছিস কেনো রে?
(কৌশিক ইভার একটা ছবি তে পেত্নীর মত লাগছে বলে কমেন্টস করেছিল)
কৌশিক : কেন ও কি তোর কাছে বিচার দিয়েছে?
কৌশিক সিয়ামকে এসএমএস করার পর ইভাকেও এসএমএস করে যে সে কি সিয়ামের কাছে বিচার দিয়েছে নাকি, আর সে নিজেই বললে পারতো এটা লিখেছে।
ইভা ম্যাসেজ সিন করলেও কোন উত্তর দেয় না।
কিছুখন পর ইভা সিয়াম ও কৌশিককে নিয়ে একটি গ্রুপ চ্যাট খোলে। আর সেখানে লিখে যে পেত্নী বলা নিয়ে ওরা ফান করেছে। এর পর গ্রুপ চ্যাটে
পরের দিন সকাল থেকেই ইভা কৌশিককে বার বার বলছে যে সে কাকে লাইক করে তার নাম বলতে। কৌশিক এর আগে বলেছিল যে তার একজনকে ভালো লাগে।
কৌশিক ইভাকে বলে সে রাতে জানাবে। যথারিতি রাত হয়। ইভা আবার শুরু করে কে কে কে।
কৌশিক জানায় রাত ১২ টায় জানাবে।
রাত ১২ টায় ইভা কল দেয় কৌশিককে।
ইভা : হ্যালো। (খুব নিচু কন্ঠে)
কৌশিক : হ্যালো,
ইভা : কি করো?
কৌশিক : শুনতে পাচ্ছি না কি বলছো।
ইভা: আপু পাশে তাই এভাবেই কথা বলতে হবে।
কৌশিক : আর একটু জোরে বলা যাবে না?
ইভা : মোটেও না। কি করো তুমি?
কৌশিক : শুয়ে আছি আমি। তুমি?
ইভা : আমিও শুয়ে আছি।
কৌশিক : ওহ।
ইভা : আচ্ছা আজ তোমার জিএফের নাম বলার কথা ছিল.
কৌশিক : আজিব, আমার জি এফ থাকলে তো তার নাম বলবো।
ইভা : তুমি বলেছিলে যে তুমি একজনকে পছন্দ করো, তার নাম বলবে।
কৌশিক : আমি তাকে পছন্দ করি সে তো আমাকে করে না।
ইভা : করুক বা না করুক, তুমি তার নাম বলো আর ছবি দাও। দেখবো।।
কৌশিক : আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তোমাকে ফেসবুকে এসএমএস করছি। কিন্তু প্রমিস করতে হবে যে তুমি কাওকে এই এসএমএস দেখাবা না। আর সাথে সাথে ডিলিট করে দিবে?
ইভা : প্রমিস।
কৌশিক একটা বড় করে এসএমএস লিখে। যেদিন প্রথম ইভাকে তার ভালো লেগেছিল সেদিন থেকে আজ অবধি তার ভালো লাগার অনুভুতি লিখে। কোন দিন কোথায় দেখিছিল কতবার, কি ড্রেস পরেছিল, একবার তার প্লেটে খাবার তুলে দিয়েছিল আর বলেছিল লজ্জা পেও না। সেই সব কথা লিখে শেষে নাম টা দিয়ে দেয় যে সেই মেয়েটি তুমি যাকে আমি আমার মনের অজান্তে ভালবেসে ফেলেছি।
কৌশিক এসএমএস টা সিন্ড করে তার ফোন বন্ধ করে দেয়। সারারাত আর তার ঘুম হয়নি টেনশনে। যদি ইভা তার মায়ের কাছে বলে দেয় যে কৌশিক এই এসএমএস দিয়েছে, তাহলে তো সর্বনাশ।
পরেরদিন বিকেলে কৌশিক আর লিমন হাটতে ভের হয়। তখন কৌশিক লিমন কে সব খুলে বলে। লিমন কৌশিককে ফোন চালু করতে বলে। কৌশিক ফোন চালু করে। ফোন চালু হবার পরপরই
৬ টা এসএমএস আসে। যার প্রতিটি এসএমএসই ছিল কৌশিকে ফোন চালু করার অনুরোধের কথা।
কৌশিক কোন রিপ্লে দেয় না। ফেসবুকে ঢুকে দেখে ইভার ম্যাসেজ। * প্লিজ ফোন চালু করো, তোমার সাথে কথা আছে *
লিমন : মামা আমার মনে হয় মেয়েও তোকে পছন্দ করে। তানাহলে এই ভানে ম্যাসেজ দিত না।
কৌশিক : আমার ও মনে হয়।
লিমন : হুম। বেটাই হয়ে গেল তোর রিলেশন।
কৌশিক : আচ্ছা আমি কি কাজটা ঠিক করলাম?
সেই সময় ইভার ফোন আসে। কৌশিক ফোনটা কেটে কল ব্যাক করে।
কৌশিক : হ্যালো।
ইভা : তুমি ফোন অফ করে রেখেছিলে কেনো?
কৌশিক : ভয়ে। যদি তুমি রাগ করো তাই।
ইভা : কাউকে পছন্দ করা তো অন্যায় কিছু না।
কৌশিক : সত্যি? আচ্ছা তুমি কারো কাছে তো আবার বিচার দিবে না?
ইভা : না দিব না। তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। যেটা তোমাকে আমার আগেই বলা উচিত ছিল।
কৌশিক : হ্যা বলো।
ইভা : সিয়াম ভাই এর সাথে আমার রিলেশন চলছে। তোমাকে আগেই জানানো উচিত ছিল।
(কৌশিকের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পরে। কি করলো সে এটা। ইভা তাকে না করে দিল এর জন্য নয়। নিজের এতো কাছে একটা বন্ধুর প্রেমিকাকে প্রোপস করলো সে এই ভেবে।)
কৌশিক : ইভা আম সরি। আসলে আমার জানা ছিল না। জানলে কখনোই তোমাকে আমি আমার মনের কথা বলতাম না।
ইভা : ইটস ওকে।
কৌশিক : একটা কথা রাখবে?
ইভা : কি?
কৌশিক : সিয়ামকে কখনো এই কথাটি বলো না প্লিজ।
ইভা : ঠিক আছে, কিন্তু তোমাকেও একটা কথা দিতে হবে।
কৌশিক : কি?
ইভা : তুমি কখনোই আমার থেকে দূরে সরে যাবে না। প্রতিদিন আমার সাথে চ্যাট করবে, ফোনে কথা বলবে।
কৌশিক : চেষ্টা করবো।
ইভা : চেষ্টা না। তোমাকে করতেই হবে। আচ্ছা তুমি আমার নাম্বার তোমার ফোনে কি লিখে সেভ করে রাখছো?
কৌশিক : পেত্নী।
ইভা : আমি পেনগুইন লিখে সেভ করে রাখছি।
কৌশিক : ওহ। আচ্ছা পরে কথা বলি। আমার একটু খারাপ লাগছে।
ইভা : আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু প্লিজ উলটা পালটা কিছু করবে না।
কৌশিক : হুম।
ফোন টা কেটে দেয়। লিমন কে সব বলে। লিমন কৌশিককে শান্তনা দেয়।
সেদিন রাতে কৌশিক ফোন বন্ধ করে রাখে। দুপুরে ফোন চালু করে। কিছুখন পর সিয়ামের ফোন। সিয়াম তাকে মাঠে আসতে বলে।
কৌশিক মাঠে যায়। কৌশিককে দেখে সিয়াম হাসতে থাকে। হাহাহাহাহা করে হাসে। কৌশিক বুঝে ফেলে যে ইভা সব কিছু সিয়াম কে বলে দিয়েছে।
সিয়াম : ভাই ভালো আছিস? হাত টাত কাটিস নাই তো? দেখি দেখি ........... নাহ কাটিস নাই তো।
কৌশিক : সরি। আমি জানতাম না রে ব্যাপারটা।
সিয়াম : হাহাহহাহাহাহাহা। তুই ওরে প্রোপস করতে গেলি কেনো? তোর সাথে ওর যায়? আয়নায় নিজেকে দেখিস নাই?
কৌশিক চুপ করে থাকে। কিছু বলে না। কারন তার বলা কোন ভাষা নাই, সেতো সত্যিই অন্যায় করে ফেলেছে, আর তার কি বা এমন যোগ্যতা আছে যে সে পেত্নীকে (ইভা) প্রোপস করে।
কৌশিক : আর কিছু বলবি? আমার একটু কাজ আছে আমি বাসায় যাবো।
সিয়াম : আজিব ছেলে। ছ্যাকা খাইলি বিড়ি খাওয়াবি না? আচ্ছা আমি তোকে খাওয়াচ্ছি। চল।
কৌশিক নিশ্চুপে হেটে সিয়ামের সাথে যায়, সিগারেট খায়। শেষে সিয়াম তাকে অনুরোধ করে কথাটি জেনো আর কাউকে না বলে।
কৌশিক বাসায় এসে রুমের দরজা বন্ধ করে কাদে। আশ্চর্যের হলেও সত্যি যে কৌশিক তার ভয়াবহ ২২ টি দিনেও এভাবে কাদেনি আজ যেভাবে কেদেছে।
সে তার ফেসবুকের আইডি ডিএকটিভ করে দেয়, ইভা ও তার বাবার নাম্বার ব্লকলিষ্টে ফেলে দেয়।
দুই-তিন দিন দূরে থাকে ফেসবুক থেকে। তারপর ফেক একটি নাম দিয়ে নতুন একটি ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করে। সেই একাউন্টে পরিচিত তেমন কেউ থাকে না। সব কলেজ এবং ভার্সিটির বন্ধু গুলো ছাড়া।
একদিন এক দাদু তার ছেলে মানে কৌশিকের কাকা সে দেশের বাইরে থাকে ফ্যামিলি নিয়ে। সে তার ছেলের ছবি পাঠাতে চায় ফেসবুকে। এবং কৌশককে বলে তার ফেসবুকের আইডি দিতে এবং সে কৌশিকের নতুন ফেক আইডিতে ছবি পাঠায়।
রাতে কৌশিকের নতুন আইডিতে
পেত্নী রিকোয়েষ্ট পাঠায়। ও হ্যা, ইতিমধ্যে কৌশিক ইভাকে পেত্নী নামে ডাকা শুরু করে দিয়েছে। এটা তার দেওয়া ভালোবাসার নাম। যদিও নামটা একটু অন্যরকম। পেত্নী ম্যাসেজ দেয়।
পেত্নী : ফ্রেণ্ড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করো।
কৌশিক : কেনো?
পেত্নী : কারন তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে তুমি আমার থেকে দূরে সরে যাবে না। যদি তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকো তাহলে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে না।
কৌশিক : দেখি।
পেত্নী : একটু ফোন দিতে পারবে? কথা ছিল।
কৌশিক : দিচ্ছি।
কৌশিক ইভাকে ফোন দেয়। ইভা কৌশিককে বলে সিয়ামের সাথে তার রিলেশন হওয়ার একটা কারন আছে। আর এই রিলেশন ফেক। কৌশিক বলে সে বিশ্বাস করে না।
ইভা তার বান্ধবীদের সাথে একটা গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রিনশট দেয় এবং সেখান থেকে বোঝা যায় যে তারা প্ল্যান করে সিয়ামের সাথে ইভার রিলেশনের। কারন জানতে চাইলে বলে ইভার একটি ছেলের সাথে কথা বলতো আর সেটা সিয়াম ইভার বাসায় বলে দেয় এবং ইভার কিছুটা সমস্যায় পরে যায় তখন। আর সেটার প্রতিশোধ হিসেবে এই খেলা।
কৌশিক ইভাকে বলে কাজটা ঠিক হচ্ছে না। কারো সাথে এমন করা ঠিক না। প্রতুত্তরে ইভা বলে সে সিয়ামকে সব বলে এবং সে এমনটা তার সাথে আর করবে না।
কথা বলতে বলতে ভোর হয়ে যায়। পরের দিন ইভা কৌশিকের ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নেয়। সব ঘুরে দেখে। কৌশিক একটি মেয়ের সাথে চ্যাট করতো। ইভা সেই মেয়ে সহ অপরিচিত সব মেয়েকে ফেসবুক থেকে ব্লক করে। তারপর ফোনে কান্নাকাটি করে বলে যে কৌশিক যেনো আর কোন দিন কোন মেয়ের সাথে চ্যাট না করে। ইভার নাকি খুব কষ্ট হয়। কৌসিক প্রমিস করে যে করবে না।
কৌশিক ও ইভার আইডি পাসওয়ার্ড নেয় কিন্তু খুব কমই ইভার আইডিতে ঢোকা হতো। কৌশিক ভাবতো। ওর আইডিতে ঢোকা মানে ওকে অবিশ্বাস করা।
একদিন পেত্নী রাতে এক হিন্দি মুভির একটু গান কৌশিককে সিন্ড করে বলে যে এই গানটা তোমার জন্য, আর এই গানের প্রতিটি কথা আমার মনের কথা। এরপর থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। প্রতিদিন অনেক অনেক কথা হতো। বলতে গেলে সারাদিন দুজনে কানেক্ট থাকতো। দিনে চ্যাট আর দুপুরে ঘন্টা খানেক ফোনে। আবার রাতে যখন পেত্নীর বোন ঘুমিয়ে পরতো তখন আবার ফোনে। কথা বলতে বলতে ভোর হেয়ে যেত তবুও যেন তাদের মিষ্টি প্রেমালাপ শেষ হতো না।
এভাবে চলে মাস তিনেক। তারপর কৌশিক ঢাকা ফিরে আসে। একটা আইটি ফার্মে ছোট একটা কব করে অল্প বেতনে। এখানেও ভালোই চলতে থাকে তাদের প্রেম। কিন্তু এখন তো একটু আকটু দেখা করার পালা। হুম। ৭ নভেম্বার দুজনেরই জন্মদিন। তাই ঠিক করা হলো এইদিনই তাদের ফার্স্ট ডেট হবে। ২০১৪ এর ৭ নভেম্বার। দিনটি শুক্রবার ছিল।
সকাল ১০টায় পেত্নী তার পেনগুইন কে আসতে বলেছে।
পেনগুইন সকাল ১০ টায় চলে আসে। ফুটওভার ব্রিজের নিচে দারিয়ে আছে। প্রায় আধ ঘন্টা পর পেত্নী আসে। দূর থেকে একটা মিষ্টি মনভোলানো হাসি দেয়, প্রতুত্তরে শিপনো ছোট্ট করে একটি হাসি দেয়। তার হাসিও খারাপ না। রোদেলা সামনে চলে আসে। কৌশিকের দিকে তাকিয়ে আছে। একটু দাঁড়িয়ে আবার সামনে দিয়ে চলে ফুটওভারে উঠে যায়। কৌশিক পিছন থেকে ডাক দিলেও ফিরে তাকায় না। কাছে গেলে ইভা ভয়ে এয় বলে। তারপর জোরে হেটে চলে যায়। কৌশিক পিছু পিছু হাটে। ওভারব্রিজের ঐপারে নেমে পেত্নী রিক্সা নেয়। আর বার বার কৌশিকের দিকে তাকায়। রিক্সায় উঠে যাবার সময় রিক্সার পিছন দিয়ে কৌশিককে হাত দিয়ে বাই জানায়। আর কৌশিক তার হাতে রাখা গিফটের প্যাকেট টি দিয়ে বাই জানায়।
তারপর রাতে কথা হয়, ইভা ভয় পেয়ে এমনটা করে।
এরপর বেশ কয়েকবার তাদের দেখা হয়। একটা রেস্টুরেন্টে তারা নিয়মিত দেখা করতো। ভালোই চলছিল তাদের প্রেম। তাদের সম্পর্কের বয়স ৮ মাস হয়ে যায়। এরপর থেকে ঝামেলা শুরু হয়। তাদের নিজের মধ্যে কখনো ঝগরা হতো না, তবে মাঝে মাখে মধুর অভিমান তো থাকবেই।
ইভা তার বোনের কাছে ধরা পরে যায়। বেশ বকা ঝকা খায় সে। নজর রাখে তার উপর।
ইভা কৌশিককে জানায় সব, তারপর ইভাই সিদ্ধান্ত নেয় কিছুদিন তারা যোগাযোগ বন্ধ রাখবে। কৌশিকও তাই বলে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা ঘড়িয়ে রাত আসতে না আসতেই ইভা কল করে কৌশিককে।
ইভা : জান।
কৌশিক : জান।
ইভা: জান ও জান।
কৌশিক : জান বলো।
ইভা : আমি তোমাকে ছাড়া একমুহুর্তও থাকতে পারবো না।
কৌশিক : আমিও।
ইভা : মিথ্যে বলো কেনো? তুমি তো পারছোই, একটা বারো আমার খবর নাও নাই।
কৌশিক : আমার কষ্টের চেয়ে আমার পেত্নীর সেফিটি আমার কাছে বড়।
ইভা : আই লাভ ইউ।
কৌশিক : আই লাভ ইউ টু।
ইভা : আই লাভ ইউ এত্তোগুলা।
কৌশিক : আই লাভ ইউ ইনফিনিটি।
ইভা : তুমি ইনফিনিটি না। আমি, কারন আমি তোমাকে বেশি ভালোবাসি।
কৌশিক : মোটেও না। আমি বেশি ভালোবাসি।
ইভা : জান কাল দেখা করবে? কিছু কথা ছিল।
কৌশিক : কাল?
ইভা : হ্যা।
কৌশিক : আচ্ছা ঠিক আছে।
কৌশিক যদিও বলে কাল দেখা করবে, কিন্তু তার হাতে সেদিন কোন টাকা পয়সা ছিল না। পকেটে মাত্র ১৫ টাকা। এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০০ টাকা লোন করে।
পরের দিন বাসে উঠে বাংলামটর থেকে। ফ্রামগেটে এসে হেলপার ভাড়া নেয়। বনানী গিয়ে বাসটা সার্জেন্ট আটকে দেয় আর হেলপার পালায় কোন কারনে। সেই বাস আর যায় না এবং ভাড়ার টাকাও ফেরত দেয় না।
মহা বিপদ, ভাড়ার টাকাও নাই। আর ৫০০ টাকা ভাঙালে যদি রেস্টুরেন্টে কম পরে যায়। সেই জন্য ঐ টাকা থেকে খরচ করা যাবে না।
কৌশিক হাটা দেয়। হাটতে হাটিতে বনানী থেকে উত্তরা চলে আসে। ৩৩ মিনিট লেট হয়ে যখন আসার কথা ছিল সেই সময় থেকে।
ইভা আর ১০/১৫ মিনিট লেট করে আসে।
নীল একটা ড্রেস পরেছে, হাতে চুরি, চোখে চশমা। অসাধারন লাগছিল পেত্নীকে সেদিন। চোখের পলক ফেলতে কষ্ট হচ্ছিল শিপনের।
ইভা : কেমন আছো? এতো ঘেমে গেছো কেনো?
কৌশিক : অনেক গরম তো তাই।
ইভা কৌশিকের পাসে এসে একদম পাসে এসে গা ঘেষে বসে।
তারপর কিছুখন প্রেমালাপ এর পর শুরু করে ইভা তার কথা।
কথা গুলো এই যে কৌশিককে পড়ালেখা করতে হবে। ইভার বাবা মা কৌশিককে পছন্দ করে না। তার বোনরাও না। কৌশিককে কিছু করতে হবে। বড় হতে হবে। পরালেখা শুরু করতে হবে।
কৌশিক বলে:
কৌশিক : আমি ট্রাই করছি। কিন্তু এখন পরালেখা শুরু করা কিভাবে সম্ভব? সরকারিতে সময় শেষ আর বেসরকারিতে পরালেখা করার মত কোন সামর্থ আমার নেয়।
ইভা : তাহলে আমি ঠিক মত পরালেখা করবো না। রেজাল্ট ভালো করা যাবে না।
কৌশিক : রেজাল্ট ভালো করা যাবে না মানে কি? রেজাল্ট ভালো না হলে তুমি মেডিকেলে চান্স পাবা না। মেডিকেলে পরা তোমার স্বপ্ন।
ইভা : মেডিকেলে চান্স পেলে তো তোমাকে পাবো না।
কৌশিক চুপ হয়ে যায়। এই কথার কোন উত্তর তার কাছে নেই।
সেদিন আর কিছুখন সেখানে থেকে তারপর ফিরে আসে। রাতে ভালোই কথা হয়। কৌশিকের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা বাদ হয়ে যায়।
এর কিছুদিন পর থেকেই পেত্নি কেমন জানি করে কৌশিকের সাথে। কৌশিকও ইদানিং কি যেন সারাদিন ভাবে। যেখানে কিছুদিন আগেও সারাদিন দুজন কথা বলতো সেটা এখন আর আগের মত নেই। আগের চেয়ে কম কথা হয়।
কৌশিকের আক ভাইয়ের বিয়ে। পেত্নীও আসবে। পেত্নী আর কৌশিক মিলে প্ল্যান করে কৌশিক হলদে লাল পাঞ্জাবী পরবে আর পেত্নী লাল শাড়ি পরবে। বিয়েতে কৌশিক সাদা শার্ট আর পেত্নী সাদা ড্রেস।
কিন্তু তার আগেই তাদের সম্পর্কে ভাংগন ধরে। অবশ্য কৌশিকই বার বার বলছিল যে তাদের ব্রেকয়াপ দরকার কিন্তু পেত্নী রাজি হচ্ছিল না আবার রিলেশনশিপ মেনটেন করতেও চাচ্ছিল না।
ডিসেম্বার ২৩ তারিখ। কৌশিক ফেসবুকে চ্যাট করছিল সুমির সাথে। একপর্যায়ে কৌশিক সুমিকে প্রোপস করে।
ইভাও পরে যখন কৌশিকের আইডিতে ঢুকে তখন সব দেখতে পায় এবং ব্রেকাপ করে।
কৌশিক ২ দিন ইভার সাথে কোন যোগাযোগের চেষ্টা করে না। কিন্তু তৃতীয় দিন সে আর পারে না। ইভাকে এসএমএস করে। ইভা উত্তর দেয় না। ফোন ধরে না। কৌশিক ম্যাসেজ করে যে সে যেটা দেখেছে সেটা ভুল। সুমির সাথে আগেই প্ল্যান করাছিল। কারন কৌশিকের জন্য ইভার ক্যারিয়ার নষ্ট হচ্ছে আর সেটা সে চায় না। তাই সুমির সাথে প্ল্যান করে এগুলা করে যাতে ইভা দেখে ব্রেকাপ করে। কারন এটা ছাড়া ইভার আর কৌশিলের ব্রেকাপের আর কোন পথ ছিল না। কিন্তু কৌশিক ইভার সাথে কথা না বলে থাকতে পারছিল না তাই সব বলে দেয়।
কিন্তু ইভা কোন উত্তর দেয়নি। হয়তো সে কৌশিককে বিশ্বাস করতে পারে নাই। কৌশিক ইভার কাছে অনেকবার মাফ চেয়েছে, ফিরে আসতে বলেছে ইভাকে। ইভা ফিরে আসেনি। বরং সে কৌশিককে বলেছে যে কৌশিক তার লাইফ নষ্ট করার জন্য তার জিবনে এসেছিল, কৌশিক তার অনেক ক্ষতি করেছে জীবনে, কৌশিক তাকে অনেক ডিস্টার্ব করে।
কৌশিক এই দিনের পর আর কোন যোগাযোগ করেনি তার সাথে। তাকে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করেনি। সে নিজে নিজের ক্ষতি করে চলেছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু পেত্নীর না।
এরপর একদিন একবাসায় দেখা হয় তাদের।
সেদিন পেত্নী কৌশিকের দিকে তাকিয়ে ছিল। চোখ দুটো কান্নাকান্না ছিল। একবার পেত্নী বলেছিল আমাকে মাফ করে দিও।
এর পর আর কোন যোগাযোগ নেই। কৌশিক কিছুদিন পেত্নীর কলেজের সামনে গিয়ে দারিয়ে থেকে দূর থেকে পেত্নীকে দেখতো। একদিন শুনতে পেলো পেত্নী এনগেজড। এর পর আর দেখতে যাওয়া হয় না। আর হ্যা পেত্নীর স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্ট। সাথে কৌশিকের নাটকও সার্থক হয়েছে। তবে কৌশিক এখনো খুজে ফিরে একটি ভাষা সেটি হলো শেষবার দেখা পেত্নীর চোখের ভাষা।
পুরো গল্পটি কল্পনা। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। মিল খুজতে চাইলে নিজ দায়িত্ব নিয়ে খুজবেন। আমাকে জরাবেন না।
আর আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেজটি লাইক দিয়ে সেখান থেকে পরতে পারেন : www.facebook.com/arshipon15/
আর এই গল্পটি কেমন হয়েছে সেটা জানতে চাবো না, কারন আমি জানি গল্পটি বোড়িং হয়েছে। আমি লিখার সময়ই বুঝতে পেরেছি তবুও লিখার কারন হচ্ছে অনেক দিন লেখালেখি হয় না তাই আবার শুরু করলাম আরকি।
আল্লাহ হাফেজ।
www.facebook.com/arshipon15/ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .