সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প

একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon







মাহাদি ঃ দোস্ত আমার ১টা রিকুয়েষ্ট আছে তোর কাছে । বলবো ?



দুপুর ঃ ওহ তাই তো বলি বাসায় ডেকে এনে গরুর মাংশ দিয়ে জামাই আদর করে খিচুরি । বল শুনি ।



মাহাদি ঃ তুই এটা কি বললি ? বাসায় আজ খিচুরি আর গরু আর তোর পছন্দের খাবার এটা তাই তোকে নিয়ে আসলাম মিরপুরে ।



দুপুর ঃ আচ্ছা ভনিতা না করে অনুরোধটা বল ।



মাহাদিঃ শোণ দোস্ত । নিলা আমাকে বলছে তোকে দিয়ে ১টা ভৌতিক প্রেমের গল্প লিখাতে । ভার্সিটির ম্যাগাজিনে ছাপাবে । তবে নামটা ওর হবে । দোস্ত করা যাবে কি ?



দুপুর ঃ ২০০০টাকা লাগবে । দিবে ?



মাহাদি ঃ দোস্ত ও তরে টাকা দিবে । জানিসই তো ওর অনেক টাকা । বাবার গার্মেন্টস আছে ।



দুপুর ঃ খাবো না তোর খিচুরি । আমি গেলাম । ( উঠতে চায় কিন্তু মাহাদি ধরে ফেলে )



মাহাদি ঃ দোস্ত দোস্ত লাগবে না গল্প । আরে গাধা আমি তো তোর সাথে মজা করলাম টাকা নিয়ে । দোস্ত জানিসই তো মায়াবতি চলে যাবার পর খুব ভেঙ্গে পরেছিলাম । হটাৎ নিলা আসে আমার জীবনে নতুন করে । আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করি । আজ বিকেল ও বলতেছিল যে দুপুর ভাইয়া কে বলো আমাকে ১টা ভুতের গল্প লিখে দিতে আমি ম্যাগাজিনে আমার নামে ছাপাবো । ও দোস্ত ফান করে বলছে । আমিই সিরিয়াস হয়ে বলছি । রাগ করিস না দোস্ত । আমিই টাকাটা দিতে চাইছিলাম নিজের হয়ে ।



দুপুর ঃ আর একটু খিচুরি আর মাংশ দে । খুব ভালো হইছে রান্নাটা ।



খাবারের পর আড্ডা দিয়ে চলে যায় দুপুর । পরেরদিন রাত প্রায় ৩টার একটু আগে দুপুর মাহাদিকে ফোন দেয় ।



মাহাদি ঃ ঐ হালারপুত এই রাইতে ফোন দিছস কেন ?



দুপুর ঃ তোর মেইল চেক কর সালা । তর নিলার গল্প পাঠায়ছি । “” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “”



মাহাদি ঃ দেখতাছি মামা । তুই দারায় থাক , নরবি না কিন্তু ।



দুপুর ঃ মুরি দিয়া খা হালা । গূড নাইট ।



এরপর মাহাদি উঠেই মেইলে গিয়ে গল্পটী দেখে । নীলা কে ফরওয়ার্ড করে । গল্পটা নিচে দেওয়া হলো ।



“” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “”



মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পরে মাহফুজ , নিরব , আর মাহাদি । তিন জনেই ফিন্যান্সে পরে । নিয়মিত ক্লাস করে ওরা । ক্লাসের সবার সাথেই ভালো সর্ম্পক ওদের । আজ সবাই ক্লাসে এসেছে শুধু মাহফুজ আসেনি । তবে ও ক্যাম্পাসে এসেছে নিরব ওকে দেখেছে । ক্লাস শেষ করে নিরব আর মাহাদি মাহফুজ কে খুজতে বের হয় । অবশেষে মাহফুজকে শহীদ মিনারের পাশে বসে থাকতে দেখে ।



মাহাদি ঃ ওই দোস্ত তুই ক্লাস করলি না কেন ?



নিরব ঃ অই তুই ঐ মেয়ের দিকে কি দেখস ?



মাহফুজ ঃ দোস্ত আমি ক্র্যাস খাইছি মেয়েটার উপর । ওরে আমি ভালোবেশে ফেলছি ।



নিরব ঃ যা প্রোপস কর । কাছে গিয়ে হাটু গেরে বল , অপসরি আমি তোমাকে ভালোবাসি ।



মাহাদি ঃ দোস্ত মেয়েটা সত্ত্যি খুব ভংকর সুন্দর । যা প্রোপস কর ।



যেই কথা সেই কাজ । কাছে গিয়ে হাটু গেরে বসে বলে দিল , আফরিন আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । I love you . কথা গুলো শুনে মেয়েটি শুধু মুচকি একটূ হেসে আপাতত প্রস্থান নেয় ।



দুই দিন পর ক্যাম্পাসে নবীনবরন অনুষ্ঠান । মাহফুজের দুচোখ আফরিন কে খুজছে । কোথাও আফরিন নেই । আজ সে আবার তাকে প্রোপস করবে । নীল ১টা পাঞ্জাবি পরে এসেছে । আফরিন নেই তাই সে চলে যাচ্ছে এমন সময় মাহাই বলে



মাহাদি ঃ মাজু (মাহফুজ) তোর আফরিন আসছে ।



পিছন ফিরে মাহফুজ দেখে আফরিন তার দিকেই যেন আসছে । আজব তো আফরিন ও নীল শাড়ি পরে এসেছে । আফরিন আরো অবাক করার মত ১টা কাজ করেছে । বলুনতো আপনারা কি করেছে আফরিন ? সত্ত্যি কথা বলতে আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না কি করছে মেয়েটা । ঠিক আছে আমিই বলে দিচ্ছি । আফরিন মাহফুজের কাছে গিয়ে হাটু গেরে বসে বলে দিল , মাহফুজ আমিও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । I love you too . মাহফুজ থ হয়ে দারিয়ে রইলো ।



এইভাবেই শুরু হয় ওদের ভালোবাসা । এর ভিতর তানিম নামের ১টা ছেলেও আফরিনকে ভালোবেশে ফেলে । কিন্তু আফরিন তানিমকে পাত্তা দেয় না । সে সুধু মাহফুজকেই ভালোবাসে ।



এর কিছুদিন পর হটাৎ একদিন আফরিনের মা মাহফুজকে ফোন দিয়ে বলে যে আফরিন খুব অসুস্থ তুমি একটু আসো বাবা । মাহফুজ খবর পেয়ে ছুটে যায় আফরিনের বাসায় । গিয়ে দেখে আফরিন অসুস্থ । তার মায়ের কাছে থেকে শুনে যে ,



আফরিনের মা ঃ আফরিন নাকি হটাৎ করে কেমন যেন করতেছিল ২দিন ধরে । সবার সাথে আজব আজব বিহ্যাব করতেছিল । খুব রেগে যায় কথায় কথা । আজ সকালে তাকে ঘুম থেকে উঠাতে গেলে তার মাকে সে মারতে আসে , চোখ ২টা ভয়ংকর লাল হয়ে ছিল । সে তার ছোট ভাই রাহিলকে ঊচু করে ফেলে দেয় । আর কি সব আজেবাজে বকছিল তোমাকে নিয়ে । মাহফুজ বাবা আমার মনে হয় ওকে বদ জিন আছর করছে । হুজুর নিয়ে এসেছিলাম সে ও তাই বলছে ।



মাহফুজ ঃ আন্টি । আমি কি ওর সাথে একটু দেখা করতে পারি ?



আফরিনের মা ঃ হ্যা বাবা যাও ।



মাহাদি রুমে প্রবেশ করে দেখে আফরিন খাটের উপর বসে ১টা খাতায় কি যেন লিখছে । মাহাদি কে দেখে আফরিন ভংকর হাশি দেয় । হাসিটা এতোতাই কুৎসিত ছিল যে মাহফুজ ভয়ে ২পা পিছে চলে যায় ।



আবার সাহশ করে সামনে এসে ওর পাসে বসে । এবার কিছুটা শান্ত হয়ে আছে আফরিন ।মাহফুজ কয়েকবার আফরিনের সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু সে কথা বলে না । মাহফুজ উঠে চালে যায় । যাওয়ার সময় মাহফুযের উপর দেওয়ালের উপর ঝুলে থাকা ১টা ফুলের টব পরে আর আফরিন হাসতে থাকে । মাথায় কিছুটা কেটে যায় মাহফুজের । মাহফুজ বাসায় চলে আসে ।



রাতে আজ মাহফুজ বাসায় একা , রুমে বসে ফেসবুকে দুপুরের সাথে চ্যাট করছে । মাহফুজ দুপুর কে তার বাসায় আসতে বলেছে । দুপুর আসতেছে , কাছাকাছি বলা যায় ।



হটাৎ কলিংবেল বেজে উঠে । হয়তো দুপুর চলে এসেছে । মাহফুজ গিয়ে দরজা খুলে দেয় । খুলে সে অবাক দাঁড়িয়ে থাকে , নিলা এসেছে । আফরিন আবার নীল রঙের শাড়ি পরে এসেছে , হাতে নীল চুরি , কপালে নীল টিপ , ঠোটে নীল লিপিষ্টিক । অসম্ভব সুন্দর লাগছে আফরিন কে । রংধনুও হার মানবে আজ ওর কাছে ।



মাহফুজ ঃ তুমি এতো রাতে ?



আফরিন ঃ মাহফুজ আমাকে বাচাও প্লিজ । আমাকে ওরা মেরে ফেলবে । আমাকে বাচাও ।



মাহফুজ ঃ কি হইছে বাবু তোমার ? আমাকে খুলে বলো প্লিজ ?



আফরিন ঃ হ্যা বলবো , তার আগে চলো ছাদে যাই । চাদের আলোটা আজ খুব সুন্দর লাগছে ।



মাহফুজ ঃ হা সুন্দর লাগছে , তবে তোমার চেয়ে না । চলো যাই ।



২জন ছাদে যায় । আফরিন তার কথা বলছে



আফরিন ঃ জানো কেউ একজন আমার উপর কালোজাদু করছে । সে চায়না আমি তোমার হই । তোমাকে আমার কাছে থেকে আলাদা করতে চায় ।( এই বলে আফরিন মাহফুজকে জরিয়ে ধরে )



মাহফুজ ও জরিয়ে ধরে আফরিনকে । তবে সে বুঝতে পারে যে তাকে ছাদের একদম শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে ।



আফরিন মাহফুজকে ধাক্কা দিতে যাবে আর ঠিক সেই মুহুর্তে মাহফুজ আফরিন কে ঠেলে সরে আসে ।



আফরিন রাগে গরগর করতে থাকে । চোখ ২টা দিয়ে যেন আগুন ঝরবে এমন অবস্থা , চুল্গুলো এলোমেলো হয়ে উরছে । শরীর দিয়ে ফেটে যেন রক্ত ঝরছে । পুরো ভয়ানোক অবস্থা । আফরিন দৌড়দিয়ে এসে মাহফুজের উপর ঝাপিয়ে পরে ওকে মেরে ফেলতে চায় এমন সময় দুপুর ছাদে চিৎকারের শব্দ শুনে চলে আসে । এসে এই অবস্থা দেখে হাতের সিগারেট টা ছুরে মারে । আগুন দেখে পালিয়ে যায় ।



দুপুর ঃ ঐ ছেলেটা কে মাহফুজ ?



মাহফুজ ঃ ওতো নীলা ।



দুপুর ঃ ঐটা ১টা ছেলে প্রেতাত্তা ছিল । তোকে মারতে আসছিল । বেচে গেছিস ।



মাহফুজ ঃ থাংক্স রে দোস্ত ।



তারপর মাহফুজ দুপুরকে সব খুলে বলে । পরেরদিন দুপুর মাহফুজ কে নিয়ে এক জ়ীন হুজুরের কাছে যায় । হুজুর বলে আফরিনের উপর কেউ একজন প্রেত চালান করেছে । আর ঐ প্রেতাত্তা মাহফুজ আর আফরিন কে এক হতে দিবে না । প্রয়োজনে মারাত্তক কিছুও হতে পারে । আপাতত ১টা তাবিজ দিয়ে দেন হুজুর । ফিরে আসে আসে বাসায় । মাহফুজ রাতে আফরিনের মা কে ফোন দিলে সে বলে আফরিন ভালো আছে । পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মাহফুজ ক্যাম্পাসে যায় । সেখানে তানিমের সাথে দেখা হয় । তানিমকে মাহফুজ সব খুলে বলে । তানিম মাহফুজ কে বলে আমার সাথে ১ ওঝার কাছে জেতে পারিস । সে তোর সব সমস্যা দূর করে দিবে । মাহফুজ কোন কিছু না ভেবেই যেতে রাজি হয়ে যায় । দুপুরের পর তারা রওনা হয় । সন্ধার দিকে গাজিপুরের সিমলা নামের এক গ্রামের এক পোড়া বাড়ীতে নিয়ে যায় । ধিরে ধিরে সন্ধ্যা রাতে পরিনত হয় ।



মাহফুজ ঃ কিরে তোর ওঝা কোথায় ?



তানিমঃ আসছে দারা ।



এই বলে তানিম মাহফুজ কে রেখে বাইরে যায় ।



তানিম ১টা ভাঙ্গা চেয়ারে বসে আছে । পিছন থেকে তানিমের মাথায় প্রচুর আঘাত এসে পরে । এক চিৎকার দিয়ে মাটিতে লটিয়ে পরে মাহফুজ । এরপর কেউ আর মাহফুজের খবর বা দেখা পায় না ।



২দিন পর আফরিন সুস্থ হয়ে যায় । কিন্তু সে মাহফুজের সব স্মৃতি ভুলে যায় ।



এর পর কোন এক দিন তানিম আফরিনের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় । ২ পরিবারের সম্মতিতেই ওদের বিয়ে হয় । খুব ভালোভাবেই শুরু ২জন তাদের নতুন সংসার । বছর প্রায় শেষের দিকে । তানিম আর আফরিনের ঘরে কিছুদিন পর নতুন সদস্য আসবে । তানিম চেষ্টা করে সব সময় আফরিন কে সময় দেবার । এর মাঝে হটাত করে ১টা প্রবলেম শুরু হয় । ১টা ছেলে আফরিনকে খুব ডিস্টার্ব করছে , সে বলে আফরিন নাকি তার প্রেমিকা । ছেলেটির নাম মাহফুজ । কিন্তু আফরিন তো মাহফুজ নামে কাউকে চেনে না । সে তানিমকে ভালোবাসে , তানিম তার হাজবেন্ড । সে তানিমকে সব খুলে বলে , তারপর তানিম আফরিনকে ১টা তাবিজ এনে দেয় । তারপর থেকে ছেলেটা আর আসে না ।



আফরিনের একটু সন্দেহ হয় । তাবিজ আর ছেলেটার মধ্যের সম্পর্ক কি ? আফরিন তার মা কে জিজ্ঞাস করে । তার মা তাকে তার বিয়ে আগের ঘটনা খুলে বলে । আফরিন কথা গুলে শুনে তার আগের কথা মনে পরে । অঝরে কেদে ঊঠে মেয়েটা । তারপর কিছুদিন খুজেফিরে মাহফুজকে । কিন্তু কোথাও পায় না ।



ইদানিং আফরিন তানিম এর সাথে যেন কেমন খারাপ আচরন করছে ।



তানিম ঃ আফরিন কি হয়েছে তোমার ?



আফরিন ঃ কিছু না ।



তানিম ঃ কিছু তো ১টা হয়েছে । বলো ?



আফরিন ঃ আমার মাহফুজ কোথায় ? আমার মাহফুজ কে এনে দাও ।(কেদে কেদে বলে )



তানিম ঃ মাহফুজ কে , আমি তাকে চিনি না ।



আফরিন ঃ তুমি জানো । তা না হলে আমাকে এই তাবিজ এনে দিছো কেনো ? প্লিজ আমার মাহফুজ কে এনে দাও আমি মাহফুজের কাছে যাব ।



তানিম ঃ (রেগে গিয়ে) মাহুফুজের কাছে যাবি তুই ? মাহফুজ কে আমি মেরে ফেলছি । (বলে থাপ্পর দেয় আফরিনকে)



আফরিন ঃ কি ? আমি তোমাকে পুলিশে দিব ।



তানিম ঃ আমাকে পুলিশে দিবি ? কি প্রমান আছে তোর কাছে ? আর হ্যা , মাহফুজই কি তোকে শুধু ভালোবাসতো ? আমি কি বাশি না ?



আফরিন ঃ (তানিমের শার্টের কলার ধরে) আমি মাহফুজের কাছে যাবো । তুই আমার মাহফুজ কে এনে দে ।



তানিমঃ হারামজাদি তুই মাহফুজের কাছে যাবি ? যা তাহলে ছাঁদ থেকে লাফ দে । তারপর তোর মাহফুজ এসে তীকে নিয়ে যাবে ।



পরেরদিন সকালে তানিম আফরিন কে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার সময় গাড়ি ব্রেকফেল করে এক্সিডেন্টে তানিম আর আফরিন ২জনে মারা যায় । মৃত দেহ পরে থাকে রাস্তায় । দেহ থেকে আত্তা বেড়িয়ে আসে তানিমের আত্তাকে কালোজামা পরা ৩জন এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায় । দুরে দারিয়ে আছে মাহফুজের আত্তা । আফরিনের আত্তা দৌড় দিয়ে মাহফুজের আত্তার কাছে গিয়ে জঅড়িয়ে ধরে বলে



আফরিনের আত্তা ঃ জান আমি তোমার কাছে চলে এসেছি ।



মাহফুজের আত্তা ঃ কিন্তু কেন তুমি এটা করলে ? গাড়ীর ব্রেক তুমি আগে থেকেই লুস করে দিয়েছিলে ।



আফরিনের আত্তা ঃ এটা ছারা তোমার কাছে আসার আমার আর কোন উপায় ছিল না ।



মাহফুজের আত্তা ঃ কিন্তু তোমার বাচ্চা ? সে কেন অকালে প্রানটা হারালো ?



আফরিনের আত্তা ঃ ঐটা আমার বাচ্চা না । ঐটা তানিমের বাচ্চা , আমি তো ঐটাকে পৃথিবিতে আনতে পারবো না ।



এরপর আফরিন আর মাহফুজের আত্তা চলে যায় অন্ন্য কোন জগতে । যেখানে হয়তো আর কোন তানিম বা কোন কালোজাদু তাদের ভালোবাসার মাঝে সমস্যা করবে না । এরপর থেকে শুরু হবে তাদের নতুন জীবন । তবে তারা আর মানুষ হয়ে সংসার না করতে পারলেও ভূত হয়ে খারাপ সংসার জীবন কাটাচ্ছে না তারা ।



“”সমাপ্ত””







গল্পটি পরে মাহাদি মনে মনে বলে শালা গল্পটি সত্ত্যি ফাটাফাটি হয়েছে । মাহদি দুপুর কে ফোন দেয়



দুপুর ঃ এতোরাতে আবার ফোন দিছিস কেন ?



মাহাদি ঃ দোস্ত গল্পটা খুব ভালো থ্যাংকস ।



দুপুর ঃ যা কোল বালিস নিয়ে ঘুমা । গুড নাইট ।



কথা শেষ করে দুপুর ঘুমাতে যায় ।



দরজায় টোকার শব্দ । ঘুম ভেঙ্গে যায় দুপুরের । ধিরে ধিরে গিয়ে দরজা খুলে দেয় । খোলার সাথে সাথে ২টা ছেলে আর ১টা মেয়ে রুমে ঢুকে পরে ।



দুপুর ঃ কে কে , কে তোমরা ?



১ম জন ঃ আমাদের চিনতে পারছো না ? হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা ।



২য় জন ঃ আমি মাহফুজ ।



৩য় জন ঃ আমি আফরিন আর ও তানিম ।



বুঝলাম কিন্তু আমি তো তোমাদের চিনি না । কেন এতোরাতে ১জন ভদ্রলোকের বাসায় এসে ডিস্টার্ব করছো ?



মাহফুজ ঃ তুমি ভদ্রলোক ? হাহাহাহাহা (ভৌতিক হাসি) তুমি ১টা খুনি ।



দুপুর ঃ হোয়াট ? পাগল নাকী তোমারা ?



আফরিন ঃ হাহাহাহা । পাগল না , আমরা ভুত ।



দুপুরব ঃ কি সব আজে বাজে বলছো ? ভুত বলতে কিছু নাই ।



তানিম ঃ ভুত বলতে কিছু নাই ? তাহলে তুমি কেন আমাদের ভুত বানালে আর কেনো আফরিন আর মাহফুজ কে ভুতের সংসার দিলে । কেন আফরিন কে আমার বউ রাখলে না ?



দুপুর ঃ কি বলছো তোমরা ? আমি কিছু বুঝতেছি না ।



আফরিন ঃ আমরা তোমার “” একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প “” গল্পের মাহাদি , তানিম আর আফরিন । তোমার সাথে আমাদের কিছু বোঝা পড়া আছে ।



মাহফুজ ঃ তুমি কেন আমাকে ঐ পোড়াবাড়ী নিয়ে গিয়ে আমার বন্ধু তানিমের হাতেই আমাকে মারলে ? তুমি জানো কি পরিমান ব্যথা পেয়েছি আমি ? আমি ১টা পাথর নিয়ে এসেছি আমিও তোমাকে এখন এইভাবে আঘাত করে মারবো ।



দুপুর ঃ আজব । কি বলো তোমরা ? ঐটা একটা গল্প । (কথা শেষ হতে না হতেই মাহফুজ দুপুরে মাথায় আঘাত করে, মাটিতে বসে পরে দুপুর ) প্লিজ আমাকে কেউ বাচাও । আমি মরে যাচ্ছি ।



আফরিন ঃ না না । মরলে তো হবে না । তুমি আমার বেচ্চে কে আমার হাতে দিয়ে মেরেছো । আগে বলো কিভাবে ১টা মা এই কথা বলতে পারে যে এই বাচ্চা এই বাচ্চা সে দুনিয়াতে আনতে পারবে না ? সেটা তো তানিমের একার বাচ্চা না আমার ও বাচ্চা । কিন্তু তুমি আমাকে দিয়ে এই কথা বলিয়েছো আর আমাকে দিয়ে আমার বাচ্চাকে মারিয়েছো। (কেদে উঠে আফরিন)



দুপুর ঃ দুপুর তোমরা বুঝতেছো না কেন এটা শুধু ১টা গল্প । প্লিজ তোমরা চলে যাও ।



তানিম ঃ আমাকে আমার বাচ্চা ফিরেয়ে দাও । তা না হলে আমি তোমাকে মেরে ফেলবো । ( বলে গলা টিপে ধরে দুপুরের)



আফরিন আর মাহফুজ ও এসে গলাটিপে ধরে আর বলে কেনো তুমি আমাদের সবাই কে মেরে ফেললে ? তোমার লেখার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে বলেই কি তুমি যা খুশি তাই করবে ? আজ তোমাকে মরতে হবে আমাদের হাতে ।



ধিরে ধিরে দুপুরের সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায় ।







এই দুপুর এই দুপুর কি হইছে তোর ? এমন করছিস কেন বাবা ?



দুপুর ঃ মা আমি কি স্ব্প্ন দেখছিলাম এতোখন ?



মা ঃ হ্যা বাবা । বাবা তুই মনে হয় খারাপ কিছু দেখছিস । আমি তোর পাশে শুয়ে তোর মাথা বুলিয়ে দেই । তুই এই পানি টা খেয়ে ঘুমা আব্বু ।



মা কে জরিয়ে ধরে কাপতে কাপতে ঘুমিয়ে পরে দুপুর । পরের দিন থেকে দুপুরের টানা ২২দিন খুব জর হয় । আর গলায় হাতের দাগ থাকে । যদিও এই কথা সে আজকের আগে কারো সাথে শেয়ার করে নাই । এখনো প্রতি রাতে দুপুরের জর আসে । ভয়ে মাঝে মাঝে এখনো গা শিউরে উঠে ।



সমাপ্ত ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .