রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

রিভার্স


#রিভার্স (অনুগল্প) 
প্রেতাত্তার লেখা গল্প - Written by A R Shipon.

সিমরান, অনামিকা, রাতুল, অপু, মুন্না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ধনীর দুলাল-দুলালী। অন্ধকার রুমে বসে ইয়াবা নিচ্ছে। পাশে বসে মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ে অরিন।
ফেসবুকে ভূতের গল্প লিখে কিন্তু ভূত দেখেনি কোনদিন। তার ভূতের গল্প শুনে সবাই হাসাহাসি করে।
রাতুল, অপু, মুন্না তিনজনই অরিনকে পছন্দ করে কিন্তু অরিনের কাছে তারা বন্ধুর চাইতে বেশিকিছু না। 
সিমরান, অনামিকা অরিনের বন্ধু বটে তবে অরিনের রূপে তাদের হিংসে।
সন্ধ্যায় অনামিকা অরিনকে ফোন দিয়ে জানায় যে রাতে তারা গাজীপুরে মুন্নাদের বাংলোবাড়িতে যাবে ভূতের দেখতে। অরিনের ভূত দেখানোর সখ পূরন করবে।
অরিন ওদের সাথে প্রথমে যেতে না চাইলেও ভূত দেখার লোভ সামলাতে না পেরে রাজি হয়ে যায়।
রাত ১ টার কিছু পর পর বাংলোতে এসে পৌছে ওরা। অন্ধকার রাতে শেয়াল আর জোনাকির ডাক ভৌতিক পরিবেশ করে তুলছে। ভেতরে একটা রুমে বিছানায় বসে সবাই। কিছুক্ষন পরই বিদ্যুৎ চলে যায়।
মুন্না মোমবাতি জ্বালানোর জন্য পাশের রুমে যায়। হটাৎ মুন্নার ভূত ভূত বলে ভয়ার্ত চিৎকার। অরিন ভূত দেখবে বলে বের হতে চাইলে সিমরান ওকে ধরে বলে, তুই বস আমরা দেখে আসি। অরিন ছাড়া সবাই বের হয়ে যায়।
খানিক পরেই অরিনের রুমে সাদাকাপড় পরে শয়তানের অট্টহাসি হেসে একটা ভূত ঢুকে। অরিনের সাথে ধস্তাধস্তি করে। দূর থেকে দেখে সিমরান আর অনামিকা মুচকি হাসে।
দুজন মিলে বাংলো ঘুরে দেখতে থাকে। হটাৎ এক রুমের জানালার বাইরে দেখে এক বুড়ি দাঁড়িয়ে। রাগান্বিত চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। বুড়িকে দেখে ভয় চিৎকার করে উঠে সিমরান আর অনামিকা। বুড়ি ওদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ভূতবুড়ির হাত থেকে প্রান বাঁচাতে বন্ধুদের খোজে দৌড় দেয়। কিছু একটার সাথে পা উষ্ঠা খেয়ে পরে গিয়ে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে সিমরান।
সকালে সিমরান নিজেকে আবিস্কার করে একটি ধানক্ষেতের মধ্যে। তার পাশেই উল্টো করে পরে আছে নগ্ন ক্ষত বিক্ষত একটি মেয়ের লাশ। মেয়েটিকে হায়েনারা জেনো কামড়িয়ে কামড়িয়ে ছিরে ফেলেছে। যৌনাঙ্গ গুলো...
সিমরানের মনে পরে বন্ধুদের সাথে প্ল্যানের কথা। নিশ্চয় এই লাশ অরিনের। সে লাশটা উপর করে উল্টিয়ে দেখে চিৎকার করে উঠে। নগ্ন মেয়েটি লাশ আর কারো নয়, সেটা তার নিজেরই লাশ।
সমাপ্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .