শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩

অনাকাঙ্খিত মেঘদল

অনাকাঙ্খিত মেঘদল আকাশ ছেয়ে আছে, আর আমি আছি অনাগত রংধনুর প্রত্যাশায়। অপ্রাপ্তির খোলশ পড়ে আছে চারপাশে, অতি সন্তর্পণে পা ফেলেও দীর্ঘশ্বাস এড়িয়ে যাবার কোন পথ খোলা থাকল না। অগত্যা হাহাকারের মিছিলে আমি দীর্ঘশ্বাসের স্লোগান দিয়ে যাচ্ছি। ফের শুরু হয়ে গেল আমার অন্তর্দহন রাতের দুয়ার থেকে- ভোরের কলতান পর্যন্ত। প্রজাপতির ডানায় কখনো বসন্ত খুঁজে দেখিনি, তবুও পাতায় পাতায় সবুজের চিঠি আসে, আসে ঘর ছাড়ার আহবান। আমি নির্বিকার, ঝড় এখনো আসেনি। আমি সুরের বিলাপে ভগ্ন হই, বসন্ত বিতানে মৌন ধ্যান। বেখেয়ালী বাতাস জানে, আমার একটা বাঁশি আছে। আর আছে সুরের বাজারে অনেক ক্রেতা গানের ফেরিওয়ালা হবার সাধ আমার কখনও হয়নি, আমি শুধু সুর ভাসিয়েছি বাতাসে। অতঃপর তুমুল ঝড় এসেছিল পাড়ার মোড়ে, অভিমানী মেয়েটির চোখের কোণায় ছিল জলোচ্ছ্বাস। আমার মেঘেরা নেমে এসেছে রাস্তায়, গতিহীন পথের বাধানো ইট-একটা একটা করে উবে যেতে থাকল। গহীন পথের পাঁজরে আঁটকে যায় আমার অসহায় দৃষ্টি, ভাঙা মাস্তুলের ছেঁড়া পাল হয়ে জুড়ে থাকে ফেনীল সমুদ্রের বুকে নীল প্রচ্ছদ হয়ে। সেদিনের ঝড় থামার পর তোমার মোহময় দৃষ্টি ঢেকে দিয়েছিল আকাশ, আলোর পসরা ডুবে গিয়েছিল আধারের রাজত্বে। আমিও পথ হারিয়ে ছিলাম হাজারো মানুষের মতো। আমার ভয় ছিলনা, কোন সংশয় ছিলনা, ছিল হৃদয়ের গহীনে নকশীকাঁথা যেথায় ভালবাসার নকশার অন্ত ছিলনা, ছিলনা সূতোর কোন শেষ প্রান্ত। আমি তোমার হাত ছুঁয়ে ছিলাম তারপর হৃদয়, স্বার্থহীন, শর্তহীন স্পর্শ- কাঙ্খিত মাদকতায় অপ্রতুল শিহরণ। ছিল অন্তরালে, অগোচরে জমে থাকা আগামীর স্বপ্ন, তুমি দেখেছিলে আড়চোখে, যে চোখে জড়তা ছিলনা, আর পেছন ফেরা হলনা, আমার জানালায় এখন রংধনু। কবিতার পাণ্ডুলিপি আঁটকে গেল নির্ঘুম বন্দরে। ছাড়পত্রের প্রেমিক প্রেমিকা জল কুয়াশা হয়ে ভেসে যেতে থাকল, দূর থেকে আরও দূরে। উদাস কবি এখনো সৈকতে, আমরা হাসি তাচ্ছিল্যের হাসি, আহা কবি - আহারে প্রেম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .