আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন । https://www.facebook.com/arshipon23
শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫
ভালোবাসলে কবি মরে যায়
ভালোবাসলে কবি মরে যায়।
ভালোবাসলে কবি আত্মহত্যা করে।
ভালোবাসলে কবিদের পৃথিবী অন্য কারো হয়ে যায়।
তারচে' কবিকে জেলে পুরে দিন।
তারচে' কবিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করুন।
তারচে' তাকে নিরুদ্দেশের শিরোপা দিয়ে নাই করে দিন।
কবি মরুক।
না খেয়ে, না ধেয়ে, না প্রেমে মরুক।
মরুক. অর্থ বিত্ত পদ পদবী পুরস্কারে মরুক।
ত্যাগে
মরুক
কবি,
ভোগেও মরুক।
কবিরা এ পৃথিবীর নয়, অন্য পৃথিবীর।
তারা ওখানেই যাক। তাদের ওখানেই যেতে দিন।
ক্ষুধা থাকুক,
অপ্রেম থাকুক,
থাকুক বাস্তবের চাছাছোলা কবিতা।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫
ভূত ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ
#অনুগল্প
#ভূত_ডিটেকটিভ_ব্রাঞ্চ
প্রেতাত্মা লেখা গল্প - Written by A R Shipon.
ঢাকার দোহার। সময়টা জুলাই ২০২5, এক বছর আগে যারা বুকের রক্ত দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা এক ভিন্ন যুদ্ধে নেমেছে—ভূতের, শয়তানের, আর ইতিহাসের অভিশাপের বিরুদ্ধে।
তাদের নাম ভূত ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ। সাত সাহসী যোদ্ধা: শিপন, আদনান, রাকিব, সেতু, সোহেল, শাফিন, আর রাসেল। এবার তারা বেরিয়েছে নবাবগঞ্জের আন্ধারকোটা জমিদারবাড়ির গোপন রহস্য উন্মোচনে। লোকমুখে প্রচলিত—বাড়িটির নিচের দুই তলা ডুবে গেছে ভূগর্ভে, যেখানে নেমে কেউ আর ফিরে আসেনি। সেখানে আজও ভেসে বেড়ায় আত্মা, অভিশাপ আর এক অসমাপ্ত প্রেম।
জমিদারবাড়ি: অভিশপ্ত দ্বার
বাড়িটির চারতলা এখন কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে, দেয়ালজুড়ে ফাটল, ছাদে জং ধরা লোহার খাঁচা। কোনো পর্দা নেই, নেই কোনো আসবাব। শুধু দেয়ালজুড়ে ছেঁড়া ছবি, আর হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো কান্নার আওয়াজ।
শিপন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
"আজ আমরা শুধু ভূত নয়, ইতিহাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো।"
কিন্তু সোহেল কাঁপা গলায় বলল,
“এই বাড়ির নিচে যারা গিয়েছে, তাদের কেউ ফেরে না…”
“আর আমরাও কেউ না—আমরা জুলাইয়ের সৈনিক!” — জবাব দেয় শিপন।
তারা সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকে। চতুর্থ তলার শেষে এসে দেখে, এক গোপন সিঁড়ি খোলে ভূগর্ভের দিকে। নিচে নেমেই বাতাস ভারী হয়ে যায়। হঠাৎ দেয়াল থেকে আলাদা হয়ে এক রমণীর ছায়া এগিয়ে আসে।
চুল খোলা, চোখে কালো ছায়া, ঠোঁটে অপূর্ব বিষাদ।
প্রিয়ন্তী।
“তোমরা শিপনের বন্ধু?”
তার কণ্ঠে অদ্ভুত কোমলতা।
শিপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে।
“তুমি কে?”
“তুমি জানো না, আমি কে?
আমি সেই অপেক্ষা… যে তোমার জন্মেরও আগে শুরু হয়েছিল।”
শিপনের মাথায় যেন কুয়াশা নামে। সে যেন কিছু ভুলে যাচ্ছে, আবার কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রিয়ন্তীর হাত ছুঁতেই শিপন দেখতে পায় – সে ১৯০১ সালের সেই জমিদারবাড়িতে ফিরে গেছে, আর প্রিয়ন্তী তার প্রেমিকা, যাকে রাজবাড়ির মন্ত্রী আদর নিজের লালসায় জর্জরিত করে মেরে ফেলেছিল।
রাজিব স্যার ও ডক্টর হযরত
তারা যখন দ্বিতীয় ডুবে যাওয়া তলায় পৌঁছায়, সেখানেই দেখা মেলে রাজিব স্যার আর ডাক্তার হযরত এর আত্মার।
তারা আদতে এই জমিদারবাড়ির ভেতর ১৫ বছর আগে এসেছিলেন ভূত গবেষণা করতে, কিন্তু অন্ধকার তাদের নিজের করে নিয়েছে।
রাজিব স্যার বললেন,
"তোমরা এসেছো সঠিক সময়ে।
এই বাড়ির হৃদয়ে রয়েছে এক ব্ল্যাক গ্রিমোর, শয়তানের বই। সেটা মন্ত্রী, শান্ত আর আদরের আত্মা ব্যবহার করে বাড়ির নিচের স্তরে এক নরকদ্বার খুলেছে।"
ডক্টর হযরত চোখ সরু করে বললেন,
“যদি সেই বই ধ্বংস না করো, তবে প্রিয়ন্তী আর সব আত্মা চিরকাল অভিশপ্ত থাকবে—তাদের মুক্তি মিলবে না।-
শয়তানদের আগমন
হঠাৎ দেয়াল ফুঁড়ে ভেসে আসে তিন ভয়ংকর ছায়া
মন্ত্রী, যার চোখ দুইটি রক্তে ভেজা।
শান্ত, যিনি মৃতদেহের শরীর খায়।
আদর, যার গায়ে শৃঙ্খল বাধা থাকলেও আত্মা ঘোরে উন্মত্ত হিংসায়।
তারা বলল,
"তোমরা আবার নতুন প্রেম নিয়ে এসেছো?
এ বাড়িতে প্রেম মানেই মৃত্যু।"
প্রিয়ন্তী কাঁদে, “আমার মুক্তি দাও…”
আদর হেসে বলে, “তোমার মুক্তি একটাই—শিপনের রক্ত!”
শিপন সামনে দাঁড়ায়।
"আমার রক্ত যদি তার মুক্তির মূল্য হয়, তবে আমি প্রস্তুত।"
রক্ত, আগুন আর মুক্তি
হঠাৎ, দেয়ালের এক দিক ভেঙে প্রবেশ করে রাসেল আহমেদ, শহিদুল, রনি আর বিল্লাল। সবাই জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা, আজ তারা এসেছে বন্ধুকে ফিরিয়ে আনতে।
তারা হাতে করে নিয়ে এসেছে ত্রান্তিকের কাছ থেকে তাবিজ, আগুনের জাদু, আর সেই প্রাচীন অস্ত্র যা একমাত্র শয়তানের আত্মা ছিন্ন করতে পারে।
হলঘরে শুরু হয় যুদ্ধ—
রক্ত, আগুন, আর আত্মার আর্তনাদে কেঁপে ওঠে পুরো আন্ধারকোটা।
শেষ মুহূর্তে, শিপন প্রিয়ন্তীর মুখের দিকে তাকায়।
"তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?"
প্রিয়ন্তীর চোখে জল,
"তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই না।"
শিপন তার ঠোঁটে একটি চুমু খায়—আর সেই মুহূর্তেই ব্ল্যাক গ্রিমোর জ্বলে ওঠে আগুনে।
শয়তানেরা চিৎকার করে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়…
প্রিয়ন্তীর মুখে শান্তির ছায়া নেমে আসে…
আর শিপনের কণ্ঠে বাজে এক লাইন —
"এই যুদ্ধ ছিল প্রেমের, আর প্রেমই আমাদের জয়ের চাবিকাঠি।
শিপনের দেহ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে তারা সবাই জেগে উঠে বাড়ির বাইরে।
আন্ধারকোটা জমিদারবাড়ি নেই —
পুরো জায়গা জঙ্গল হয়ে গেছে, কোনো প্রাসাদ, কোনো দরজা, কিছুই নেই।
কিন্তু শিপনের হাতে একটা চিরকুট—
"ভালোবাসা সত্যি হলে, মৃত্যুও পথ ছাড়ে।
– প্রিয়ন্তী"-
আন্ধারকোটা হয়তো আজও কোথাও দাঁড়িয়ে আছে,
কিন্তু সে দরজা আর খুলবে না…
যতক্ষণ না কেউ আবার একা প্রেম নিয়ে এগিয়ে আসে—
যেমন একদিন এসেছিল শিপন।
গল্পটি ওমর ফারুক ভাই এর রিকোয়েস্ট এ অনেকদিন পর কোনো গল্প লেখা। হাত পাকাতে হবে। হয়তো অনেকে জানেই না আমি একসময় গল্প লিখতাম এবং প্রেতাত্মা ও মেঘদূত নামে দেশব্যাপী ভূত ও রহস্য গল্প পড়ুয়া নামে ভালোই পরিচিতি ছিলো। রহস্য পত্রিকা, কিশোর আলো, গল্প-কবিতা ডট কম, প্রেতাত্মা সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে নিয়মিত লেখা থাকতো আমার।
মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
ঢাকার ধুলোভরা অলিতে গর্জে উঠলো একদল প্রাণ,
ছাত্রের চোখে আগুন জ্বলে, কাঁপে শাসক টালমাটাল।
আমি ছিলাম সমন্বয়য়ে, নামে এ আর শিপন, কাজে আগুন,
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, দোহার-নবাবগঞ্জকে ডাকলাম, জাগো! তোরা কর ঐক্য গঠন।
ফেসবুকের শব্দে গর্জন, ভিডিও বার্তায় আগুন ছড়াই,
চোখের সামনে ভাই পড়ে, গুলির শব্দে বুক কাঁপাই।
রক্তে মাখা রাজপথে, স্বপ্নগুলো পায়ের নিচে,
যুদ্ধ মানে শুধু মৃত্যু নয়, যুদ্ধ মানে জীবন বাঁচে।
আটাশ দিন ছিন্নমূল, একেক রাত একেক ঘর,
তবু মাথা নত করিনি, ত্যাগেই পাই নতুন ডর।
আমার কাঁধে ব্যানার তুলে, ব্যথা লুকাই দৃপ্ত চালে,
ভাঙা হাতে লিখেছি শ্লোগান, বিদ্রোহ ওঠে প্রতিটি গালে।
গাছতলা, ছাদ, আর বারান্দা—যেথায় পাই একটু ঠাঁই,
আমার হৃদয় ছিল আকাশ, আর দেশ ছিল যুদ্ধশালায়।
সহযোদ্ধার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ করেছিলাম,
এই চোরাবালি থেকে টেনে দেশের মানচিত্র তুলব জান।
রেললাইন, কলেজ মাঠ, আর শহীদ মিনারে লেগে ছিল,
হাজার কণ্ঠ, হাজার পায়ে, বিদ্রোহের ছাপ যেন দেগে দিল।
আমি ছিলাম তাদের একজনে, ছাত্রজাগরণে আগুন-ভর্তি,
আমার রক্তেও লেখা ছিল সেই অভ্যুত্থানের প্রথম শপথপত্রটি।
শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
কবি মরুক
আমার ক্ষুধা,
আমার আলস্য,
আমার বাস্তবের কবিতা,
আপনাকে ক্ষুদ্ধ, বিক্ষুদ্ধ, ক্রোধান্বিত করতে পারে।
করতে পারে কান্না কাতর, বিমর্ষ, দুঃখিত ও ব্যথিত।
আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, ঘেন্না করুন, এবং এবং ভালোবাসা থেকে দূরে থাকুন।
ভালোবাসলে কবি মরে যায়।
ভালোবাসলে কবি আত্মহত্যা করে।
ভালোবাসলে কবিদের পৃথিবী অন্য কারো হয়ে যায়।
তারচে' কবিকে জেলে পুরে দিন।
তারচে' কবিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করুন।
তারচে' তাকে নিরুদ্দেশের শিরোপা দিয়ে নাই করে দিন।
কবি মরুক।
না খেয়ে, না ধেয়ে, না প্রেমে মরুক।
মরুক. অর্থ বিত্ত পদ পদবী পুরস্কারে মরুক।
ত্যাগে
মরুক
কবি,
ভোগেও মরুক।
কবিরা এ পৃথিবীর নয়, অন্য পৃথিবীর।
তারা ওখানেই যাক। তাদের ওখানেই যেতে দিন।
ক্ষুধা থাকুক,
অপ্রেম থাকুক,
থাকুক বাস্তবের চাছাছোলা কবিতা।
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
মুক্তি দাও প্রিয়তমা
সেদিন তুমি নিবীড় ভাবে কাছে এসে বললে আমায়, স্বপ্ন দেখতে।
নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সড়িয়ে নিলেও, কথাটা মনে ধরল।
যদিও এখন তোমার কোনো কথাই আর ভালো লাগেনা, আগের মতো।
সব মনে হয় অবান্তর, সৃষ্টিছাড়া, ভিত্তিহীন।
একদিন এই কথার যাদুতেই হয়েছিলাম পাগলপারা,
মনে পড়ে যায় প্রথম দিকের সে সব দিন।
অপলক বিস্মিত দৃষ্টি মেলে, শুনতাম তোমার কথা,
ঘন্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, ক্লান্তিহীন আবেশে।
রামধনু রঙ কল্পনার সূতোয় বেঁধেছিলাম,
আগামীর নিটোল বুনন।
না, এখন এসব ভাবলে বড্ড হাসি পায়, সকলই সীমাহীন আদিখ্যেতা ছাড়া কিছুই নয়।
তোমার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীনা মানুষেরা আর যাই হোক, জীবনসঙ্গীনি হতে পারে না।
সারাজীবন মনের কোণের ধূলিজমা হাজারো স্মৃতির তলানিতে, অপদার্থ প্রেমিকা হয়েই থেকে যায়।
শুনলাম তোমার কথা, স্বপ্ন দেখলাম।
সত্যি একটা গোটা রাত জুড়ে এক সফল নারীর স্বপ্ন।
মুখটা যদিও অস্পষ্ট,তবু গড়ন দেখে বুঝলাম তুমি নও।
স্বপ্নে সে আমার হাত ধরেছিল, নিয়ে যাবে বলে এক অন্তহীন সুখের দেশে।
যেখানে না আছে দুঃখ, রাগ, অভিমান, হতাশা, না আছে অক্ষমতা, সৃষ্টিছাড়া স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকার মতো অনন্ত অলস সময়।
কিন্তু একি অদ্ভুত অনুভূতি, এ স্পর্শ যে আমার বড় চেনা।
এ যে তোমার স্পর্শ, হ্যাঁ তোমারই।
স্বপ্নেও কি এভাবেই অধিকার ফলাতে চাও?
অপরিসীম বিচক্ষণতা তোমার,
এজন্যই কি বলেছিলে স্বপ্ন দেখতে?
বাস্তবের সাথে সাথে অবচেতন সত্ত্বাকেও গ্রাস করে আছো, তার জানান দিতে?
মুক্তি দাও আমায়, মুক্তি দাও প্রিয়তমা,
স্বপ্ন থেকে না পারো, বাস্তব থেকে, দূরে চলে যাও, অনেক দূরে।
আমার জগতটা করে দাও একান্ত আমারই।
তুমি না হয় থেকে যেও হয়ে, এক অতি ব্যার্থ, অসহায় স্বপনচারীনি।
শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
বৃষ্টি ও তুই
মেয়েটি দেখছে রোদ
রোদটা হৃদয় ছুই ছুই,
বৃষ্টি নিবে প্রতিশোধ
মেঘটা বলছে তুই তুই।
মেয়েটি দেখছে মেঘ
মেঘটা আকাশ ছুই ছুই,
ঘুড়িটা উড়ছে তবু বেশ
পাখিটা বলছে তুই তুই।
মেয়েটি দেখছে পাখি
পাখিটা দুঃক্ষ ছুই ছুই,
লোনা জলে ডোবে আঁখি
বৃষ্টিটা বলছে তুই তুই।
বৃষ্টির প্রতিশোধ
বলেছে সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসে দুহাত মেলে,
নাজুক কলমি লতার মতো মেঘের সরবোরে।
আমি তো মেঘের গোপন খবর আগাম জানতে পারি,
হিংসায় জ্বলে পুরে মরি; কতো দীর্ঘ হবে এবার আষাঢ় মাস?
কি জানি কতো যুগ আগের প্রেমিক তার বৃষ্টি হয়ে আসে,
ষড়যন্ত্রের মতো সুবিন্যস্ত অভিসন্ধি নিয়ে তির্যক তীরের মতো ,
চুলের গোঁড়া থেকে নাভির গভীরে ছুড়ে দেয়া সুদীর্ঘ চুম্বন
চোখের পাতা ও ঠোঁটের ডগা বেয়ে বাতাবী লেবুর মতো বুকে!
হিমালয়ের শীত পেটে নিয়ে সরসর সাপের মতো একেবেকে,
কোথায় না ছুঁয়ে যায় তার চঞ্চল প্রেমিকের গোপন অসভ্য আঙ্গুল !
শরীরের তাহার প্রশ্রয়ের আলিঙ্গন, আহ্লাদে গলে বৃষ্টির ফোঁটা,
ষড়যন্ত্রের মতো সুবিন্যস্ত অভিসন্ধি, সে কি বুঝেও বোঝেনা তা!
আবেশে তাহার চোখ কাঁপে তির তির, তৃপ্তির শিহরণ ভেজা সারা গায়ে।
আমি হিংসায় দাউ দাউ করি আগুনের মতো, জিঘাংসার ব্রত বুকে নিয়ে।
হয়তো সহস্র জনম পরে পবিত্র বৃষ্টি হয়ে জন্ম নেবো এই ঘোর আষাঢ়ে: শত তপস্যার ফলে,
ভালবাসার চাবুক চালাবো তার সমস্ত শরীরে, প্রতিশোধের মতো নির্দয়ে, ভিজাবো সে জলে।
অধর নিংড়ে তাহার নিতম্ব ছুঁয়ে দেবো নিশ্চয়, অবাধে নির্ভয়ে; আমাকে নিও চিনে,
আষাঢ়ের সুবিন্যস্ত বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায়, কামুক বর্ষা ঋতুর বৃষ্টিময় প্রতিটি দীর্ঘ দিনে।
বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
প্রশ্ন
তুমি কি ডাকনাম পাল্টে ফেলেছ?
বাড়ির ঠিকানা, কি একলা সিঁড়ি ঘর – বারান্দায় দাঁড়ানো।
তোমার ভেতরকার শহরের পিচঢালা পথ কি
গিয়ে মিশেছে অন্ধকারে?
যেখানে মধ্যবয়সী কোনো যুবক তার প্রেমিকাকে
ল্যাম্পপোস্টের গা ঘেঁষে দাঁড় করিয়ে চুমু খায়।
তুমি কি সেই অন্য দেশ ?
যার রাজধানী পাল্টে ফেলেছ।
যেখানে যুদ্ধ লেগে যায় বাঁচার জন্য
অধিকারের জন্য।
যেখানে মানুষ কলম তোলে কথার ঝড় পাতায়
ওঠানোর জন্য,
একশ একটা কবিতা, উপন্যাস, শিরোনাম জুড়ে বেঁচে
থাকার কথা লিখতে শুরু করে।
তুমি কি বদ্ধ গ্রাম?
যেখানে তোমার আমার শৈশব, ছুটোছুটি
দুরন্তপনা ছিলো।
কাদা মাখামাখি বর্ষায় পা পিছলে হোচট খাওয়া।
সর্পিল রেললাইনে দুজন দুজনের হাত ধরে হেটে
কত পথ ফুরিয়েছিলাম, মনে আছে?
সে গ্রামে ছোট্ট মাটির ঘরে দাঁড়াতাম, ঝড় এলে।
তুমি কি নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি?
সন্ধান চাই, সন্ধান চাই – বলে খোঁজার তাড়না।
হারানো কাউকে খুঁজে দেবার বিনিময়ে অর্থের লোভ দেখানো,
বদ্ধ উন্মাদ আমাকে খোঁজা,
আমার ছায়া,লেখার খাতা, ভাঙা চশমা
অসম্পাদিত কবিতাগুলো যে ডায়েরিতে লেখা
সে ডায়েরির সন্ধান করা।
তুমি কি সেই অন্ধ চোখ?
যার মনুষ্যত্ব বিবেক চোখের পর্দার আড়ালে চলে যায়।
যে বুঝতে চায় না অভিমানের মানে,
মুখ ফিরিয়ে থাকার অর্থ।
যে চোখ অন্ধকারের গভীরতা মাপতে পারে,
যে চোখ জানে নরকের জ্বালা যন্ত্রণা রঙিন পৃথিবীর কাছে
কতটা তুচ্ছ, বেকার।
তুমি কি সেই পাষাণ হৃদয়?
যে হৃদয়ে ভালোবাসা থাকলেও, তা প্রকাশ করতে চাইবার
ইচ্ছেটা মৃত করে দিয়েছে।
যে হৃদয় জানে বিচ্ছেদের কষ্ট,
জড়ানোতে ভয়,দুর্বলতা, বায়নার বারন মানতে কষ্ট হয়।
যে হৃদয়ে ক্ষরণ হয়, নিজেই সহ্য করে নাও সেসব
বুঝতে না দিয়ে পুরো পৃথিবীর কাছে তুমি হাসতে থাকো।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
-
তুমি কি ডাকনাম পাল্টে ফেলেছ? বাড়ির ঠিকানা, কি একলা সিঁড়ি ঘর – বারান্দায় দাঁড়ানো। তোমার ভেতরকার শহরের পিচঢালা পথ কি গিয়ে মিশেছে অন্ধকারে? যে...
-
সেদিন তুমি নিবীড় ভাবে কাছে এসে বললে আমায়, স্বপ্ন দেখতে। নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সড়িয়ে নিলেও, কথাটা মনে ধরল। যদিও এখন তোমার কোনো কথাই আর...
-
আমার ক্ষুধা, আমার আলস্য, আমার বাস্তবের কবিতা, আপনাকে ক্ষুদ্ধ, বিক্ষুদ্ধ, ক্রোধান্বিত করতে পারে। করতে পারে কান্না কাতর, বিমর্ষ, দুঃখিত ও ব্যথ...