সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পড়ীর সংসার



দোস্ত তুই প্লিজ ভেঙ্গে পরিস না । এইভাবে গিলতে থাকলে তো মারা পরবি তুই । প্লিজ থাম এখন ।
এভাবেই বলছিলো রিপন রাজেনকে । আজ রাজেনের প্রেমিকা মৌমিতার বিয়ে । গতকাল রাতেও মেয়েটি রাজেনকে কথা দিয়েছিল যে সে রাজেনের হবে, রাজেনের হাত ধরে পালিয়ে যাবে অনেক দূর । যেখানে কেউ তাদের এক হতে বাধা দিবে না । দুজুন মিলে ছোট্ট ১টা সংসার সাজাবে, ডজন খানেক বাচ্চা কাচ্চা হবে, আরো কত কি ।
কিন্তু সে আসায় গুরে বালি। মৌমিতা রাজেনকে ধোকা দিয়েছে। বিয়ে করে নিয়েছে পরিবারের পছন্দ করা ছেলে অনিককে । অনিক রাজেনের খুব কাছের বন্ধু হওয়া সত্ত্যেও সে জেনে শুনে এই কাজটা করল ।
খুব ভালোবাসতে মেয়েটাকে রাজেন । তাই কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না যে মৌমিতা এখন থেকে আর তার নয়, সে এখন অন্যকারো ঘরের বউ। আর এই কষ্ট চাপা দিতেই বন্ধুদের নিয়ে মদের আসর জমিয়েছে। রাজেন, রিপন, উত্তম, বাবু আর সারোয়ার মিলে খেয়েই চলছে । রাজেন একটু বেশি খাচ্ছে । কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছে সে । তাই রিপন রাজেনকে আর গিলতে না করছে ।
এরমধ্যে সেখানে চলে আসে ইমন । ইমন দেশের বাইরে থাকে, কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছে।
ইমন ঃ কি রে ! পাগলার কি হইছে ?
রিপন ঃ ফাইজলামি করিস না তো ইমন । ওর এমনিতেই বাজে অবস্থা , সারাদিন কোন খাবার খায় নাই আর এখন ঢক ঢক করে মদ গিলে অবস্থা কেরোসিন করে ফেলছে ।
ইমন ঃ জানি, উত্তম ফোন দিয়েছিল। তেতুলের আচার নিয়ে এসেছি । খাওয়া, ঠিক হয়ে যাবে ।
রিপন রাজেনকে আচার খাওয়ায় । কিছুখন পর ঠিক হয়ে যায় ।
রাত অনেক হয়ছে । একে একে সবাই চলে যেতে চায় । রিপন আর ইমন ছাড়া সবাই চলে গেছে ।
রিপন ঃ রাজেন এখন চল বাসায় যেতে হবে, রাত ১টা বাজে ।
রাজেন ঃ যা তোরা, আমি যাবো না কোথাও।
রিপন ঃ সারারাত কি এই খানে পরে থাকবি নাকি ? চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি।
রাজেন ঃ আমি মৌমিতার কাছে যাবো।
রিপন ঃ মৌমিতার কাছে জাইতে হবে না , মৌমিতা এখন অনিকের সাথে বাসর করতেছে ।
ইমন ঃ রিপন তুই বাসায় যা, আমি ওর সাথে আছি ।
রিপন চলে যায় । রাজেন আর ইমন দুজনে
ইমন ঃ চল তোকে আজ স্বর্গে নিয়ে যাবো ।
রাজেন ঃ স্বর্গে ? কোন স্বর্গে ?
ইমন ঃ দুনিয়ার স্বর্গে , যেখনে তোর জন্য মৌমিতা অপেক্ষা করছে ।
রাজেন ঃ সত্যি বন্ধু ?
ইমন ঃ চল ।
রাজেন ঃ চল ।
ইমন রাজেন কে নিয়ে যায় দুনিয়ার স্বর্গে, সেখানে নাকি মৌমিতা আছে ।
রাজেন ঃ দোস্ত স্বর্গে আর কত দূরে ?
ইমন ঃ এইতো চলে এসেছি ।
রাজেন ঃ মৌমিতা কোথায় ?
ইমন ঃ ভিতরে ঢুক, শত শত মৌমিতা তোর জন্য অপেক্ষা করছে ।
ইমন রাজেনকে নিয়ে ১টা বাড়ির ভিতরে ঢুকে।
রাত ২টা বাজে, রাস্তা ঘাট সব ফাকা আর কোলাহল মুক্ত । তবে দুনিয়ার স্বর্গে এখনো মুখরিত অনেক মানুশের কন্ঠে ।
রাজেন ঃ দোস্ত এতো গুলা মৌমিতা কেনো এখানে ?
ইমন ঃ হুম সব গুলাই মৌমিতা । তোর যাকে ভালো লাগে তাকে নিয়ে যা ।
রাজেন ঃ নিয়ে যাবো ? বাড়িতে নিয়ে যাবো ?
ইমন ঃ শালা তোর ঘোর এখনো কাটে নাই ।
ইমন রাজেনকে তার পকেটে থাকা আরো কিছু আচার খায়িয়ে দেই ।
রাজেন ঃ আমি আমার মৌমিতার কাছে গেলাম।
রাজেনর ঘুম ভাংগে ১টা রুমে । ঘুম টা বেশি খনের হয়নি । রুমটা অপরিচিত পাশে ১টা মেয়ে বসে আছে । মেয়েটি বলল
মেয়ে ঃ ওই মিয়া টাকা কি তোমার বেশি হয়ছে ?
রাজেন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলো, অসম্ভব সুন্দর মেয়েটা। লাল রঙের ১টা শাড়ী, কালো ব্লাউজ, কপালে লাল টিপ, ঠোটে খয়েরি লিপিষ্টিক, চুল গুলো খোলা ।
রাজেনের এই অবাক তাকিয়ে থাকা দেখে মেয়েটি হেসে ফেলে ।
মেয়ে ঃ কি হয়ছে তোমার শোনা ? আমাকে দেখে কি পাগল হয়ে গেলা ?
রাজেনের হুশ ফিরলো। মেয়েটির কথার উত্তর দিল
রাজেন ঃ নাহ মানে , কে তুমি ? কি নাম তোমার ? আর আমিই বা এখানে কেনো ?
মেয়ে ঃ হাইরে আল্লাহ কত প্রশ্ন একসাথে করে রে ।
রাজেন ঃ তুমি ১টা ১টা করে প্রশ্নের উত্তর দাও
মেয়ে .ঃ আমার নাম পড়ি , আমি ১টা বেশ্যা । গতর বেইচ্চা খাই ।
রাজেন ঃ কিহ । তাহলে আমি এখানে কিভাবে ?
পড়ি ঃ ওই ছ্যাড়া তুমি এইখানে কেন আমি আমি কি কইরা বলবো । তোমার লগে তো আরেকজন আইছে ।
রাজেন ঃ ওহ হ্যা , মনে পরেছে । ইমন নিয়ে এসেছে আমাকে ।
পড়ি ঃ কে আনছে কেন আনছে আর কি দিয়া আনছে সেইটা যাইনা আমার লাভ নাই । এখন কি করবা করো ।
রাজেন ঃ কি করবো আমি ?
পড়ি ঃ ওরে কচি খোকা রে আমার । কিছু বুঝে না । টাকা দিয়ে বেশ্যা ভাড়া কইরা কয় কি করুম আমি ।
রাজেন ঃ শুনো, তুমি যেমন ভাবতেছো আসলে আমি তেমন না ।
পড়ি ঃ তো শোনা তুমি কেমন ?
রাজেন ঃ আজ আমার গার্ল ফ্রেণ্ডের বিয়ে হয়ে গেছে । মনটা খুব খারাপ ছিলো তাই আমার বন্ধু মনে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে । আসলে আমি এমন না ।
পড়ি ঃ হুম। বুঝছি, তুমি ভালো ছেলে। ছ্যাকা খাইছো । আমিও খাইছি । আমার প্রেমিক আমাকে প্রেমে ফেলে বাসা থেকে পালাই নিয়ে আসে । তারপর এইখানে বিক্রি করে দেয় । আমিও তো এমন ছিলাম না, আমিও তোমার মতই ভদ্রছিলাম (কেদে দেয় পড়ি)
পড়ি কান্না করছে, এই কান্না খুব কষ্টের কান্না। রাজেন বুঝতে পারছে পড়ির খব কষ্ট হচ্ছে । রাজেন পড়ির কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে বলে , হাত ধরার পর রাজেনের সারা শরীর সিউরে উঠলো। ওর হাতে এক আধ্যাতিক সুখ অনুভব করলো ।
রাজেন ঃ প্লিজ কাদবে না (পড়ির হাত ধরে) । বিধাতা কেন জানি আমাদের সাথে এমন করে বুঝিনা । এতো সুন্দর ১টা মেয়ে আর তাকে এনে এখানে ফেলে
পড়ি ঃ বাদ দেন । আজ তোমার মন খারাপ আবার এতো টাকা এইখানে দিছ । একটা কাজ করি । সময় তো আর বেশি নাই । আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুম পাড়িয়ে দেই । তোমার ভালো লাগবে ।না হয় কিছুখনের জন্য মনে করলে আমিই তোমার প্রেমিকা ।
রাজেনের নিজেরও ইচ্ছে করছিল পড়িকে একট স্পর্স করতে , সেই সুখ আরেকটু নিতে। তাই পড়ির কথা মত তাই করলো । ঘুমিয়ে পরলো একসময় ।
২দিন পরের কথা
রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল রাজেন , হটাৎ চোখ পরলো ১টা রিক্সায় । রিক্সা তে বসা অনিক আর মৌমিতা । খুব হাসাহাসি করছিল দুজনে । এমনকি এক সময় মৌমিতা অনিকের গালে চুমু খায় । এটা দেখার পর রাজেনের আকাশ যেন তার মাথায় ভেঙ্গে পরলো । যার জন্য সে এতো কষ্ট পাচ্ছে আর সে তো খুব ভালোই আছে । তারমানে মৌমিতা সুখেই আছে । মন খারাপ করে চলে যায় সেখান থেকে। রাতে রাজেন পড়ির কাছে আসে । ম্যানেজারের কাছ থেকে পড়িকে সারারাতের জন্য কিনে নেয় রাজেন।
পড়ি ঃ আরে ছ্যাকা খাওয়া বীর পুরুষ যে । কি খবর ? তুমি আবার এখানে কেনো ? এখানে ভদ্র ছেলেরা বেশি আসে না ।
রাজেন ঃ আমি তোমার কাছে এসেছি ।
পড়ি ঃ আমার কাছে ? আমার কাছে কেনো ? আমার কাছে সবাই যার জন্য আসে তুমি তো সেই কাজ করো না ।
রাজেন ঃ তোমার সাথে গল্প করবো। তোমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাবো ।
পড়ি ঃ হা হা হা হা । আচ্ছা ঠিক আছে ।
রাজেন পড়িকে জরিয়ে ধরে । গল্প শুরু করে। জিবনের গল্প । রাজেনের গল্প, মৌমিতার গল্প, পড়ির গল্প। রাজেন কাদে , পড়ি কাদে । দুজন দুজনের বুকে মাথা রেখে সুখ খুজে পায়, হ্যা স্বর্গ সুখ ।
খুব কাছাকাছি দুজন, একজন আরেকজনের সাথে মিশে আছে । পড়িকে প্রতিদিন এইরকম অনেক পুরুষের সাথে এই বিছানায় শুতে হয়। কিন্তু আজকের মত এতো ভালো তার আগে কখনো লাগেনি। রাজেনকে জরিয়ে ধরে সে স্বর্গ সুখ পাচ্ছে। হারানো ভালোবাসার চেয়ে বেশি কিছু । রাজেনর ঠোট জোরা পড়ির ঠোট ছুয়ে যায়। সারা শরীর ঝাকি দিয়ে উঠে স্বর্গের অপার সুখে পড়ির । আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে রাজেনকে । ধিরে ধিরে দুজনে মত্ত হয়ে উঠে আদিম সেই খেলায় ।
ভোরে চলে আসে রাজেন । সারাদিন কাটে তার অন্যরকম এক আনন্দে । এত ভালো তার আগে কখনোই লাগেনি । সব কিছুই তার ভালো লাগছে । আর মিস করছে একজনকে। মৌমিতাকে ?? নাহ পড়িকে । ফোন নাম্বার নিয়ে এসেছিল । ফোন দেয় পড়িকে রাজেন । কথা বলে, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে ।
এভাবেই চলে কিছুদিন । ফোনে কথা আর মাঝে মাঝে দুনিয়ার স্বর্গে গিয়ে পড়ির সংগ নিয়ে আসে ।
পড়িও রাজেনকে খুব মিস করে । যদি রাজেন সারাখন তার পাশে থাকতো, গল্প করতো তার সাথে তাহলে কতই না ভালো লাগতো । কথা গুলো ভাবছিল পড়ি আর তখন ফোন দেয় রাজেন
পড়ি ঃ কেমন আছো ?
রাজেন ঃ ভালো, তুমি ?
পড়ি ঃ ভালো না, তোমাকে খুব মিস করছি ।
রাজেন ঃ আচ্ছা তুমি কেনো আমাকে মিস করছো ?
পড়ি ঃ জানিনা ।
রাজেন ঃ আমার মনে হয় তুমিও আমার মত প্রেমে পরেছো । মানে আমি তোমার আর তুমি আমার । ভালোবেশে ফেলেছি দুজন দুজনকে ।
পড়ি ঃ কি বলো এই সব । মোটেও না। (চোখ বেয়ে গলগল করে পানি ঝরছে)
রাজেন ঃ আমি সত্যিই বলছি । আমরা একজন আরেকজনের প্রেমে এখন অন্ধ আর আমাদের ভালোবাসা পবিত্র ।
পড়ি ঃ দেখো এটা কোন ভাবেই সম্ভব না । তুমি হয়তো ভুলে গেছো আমার পরিচয় । আমাকে সমাজ মেনে নিবে না ।
রাজেন ঃ আমি কিছুই ভুলি নাই । ভালোবাসা এইসব কিছু মানে না । শোন তুমি আজ ঐখান থেকে বেরিয়ে আসো । আমি তোমাকে নিতে আসতেছি । আজই আমরা বিয়ে করব ।
পড়ি ঃ তুমি পাগল হয়ে গেছো । মাথা ঠান্ডা করো ।
রাজেন ঃ আমার মাথা ঠান্ডাই আছে । আমি তোমাকে নিতে আসছি ।
আসছি বলেই ফোন রেখে দেয় রাজেন ।
পড়ি বুঝতে পারছে না কি করবে সে । রাজেনকে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু আবার ভয়ও হচ্ছে, এই সমাজ তো মেনে নিবে না তাদের সম্পর্ক । বিপদে পরবে ছেলেটা। আবার হারাতেও চাইনা সে রাজেনকে । রাজেনের মধ্যে সে তার নতুন জীবন খুজে পেয়েছে, আবার আলোর পথে ফিরে আসতে চায় ।
রাজেন চলে এসেছে , সাথে নিয়ে এসেছে উত্তম আর রিপনকে । ওদের অনেক কষ্টে আর অনেক কিছু বলে রাজি করিয়েছে । কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। তারপর উত্তম ১টা বাসা ম্যানেজ করে দেয়, সেখানে পড়িকে নিয়ে উঠে রাজেন । কথায় আছে মেয়েরা যখন জামাই এর ঘরে আসে তখন নাকি লক্ষি হয়ে আসে ,মানে রিজিক নিয়ে আসে । পড়িও তাই । পড়ির সাথে বিয়ের পরের দিন রাজেনের ভালো ১টা চাকরি হয় । ভালোই চলছিল তাদের সংসার ।
মাঝে মাঝে রাজেন তার বাড়িতে যেত। বাবা মার সাথে দেখা করে টাকা দিয়ে আসতো আর কোথায় থাকে জিজ্ঞাস করলে বলত যে সে ঢাকার বাইরে চাকরি করে ।
একদিন খুব ভোরে তাদের বাসায় রাজেনের বাবা মা আর চাচারা আসে । পড়ি দরজা খুলে দেয় । ভিতরে ঢুকে সবাই পড়িকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে , মারধোর করে । রাজেন প্রতিবাদ করলেও তাদের কাছে হেরে যায় । জোর করে রাজেনকে নিয়ে যায় তার বাবা-মা । আটকে রাখে তাকে ।
২দিন পর অনেক ঝামেলা করে ফিরে আসে রাজেন । ঘরের ভিতর থেকে দরজা লাগানো। অনেক বার কলিংবেল টেপার পরে ভিতর থেকে দরজা কেউ খুলছে না । দরজা ভেঙ্গে ফেলে রাজেন । বেড রুমে গিয়ে দারানো থেকে বস পরে , চিৎকার করে কান্না করে । তার সামনে পরে আছে পড়ির নিথর দেহ । সুইসাইড করেছে মেয়েটা । ছোট ১টা নোট লিখে গেছে রাজেনের জন্য ।
প্রিয় রাজেন, আমার জানের টুকরাটা
আমি চলে গেলাম পৃথিবী ছেরে, তাই বলে তোমাকে ছেরে না ।আমি তোমার সাথেই আছি, তোমার শরীর সাথে মিশে থাকবো । তুমি কি পারবে আমার স্পর্শ ভুলে যেতে ? পারবে না । আমি তোমার দেহেই বাস করব ।
তোমার প্রতি আমার চেয়ে তোমার বাবা-মার অধিকার বেশি। তাদের কাছ থেকে তোমাকে ছিনিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না । আবার আমিও তোমাকে ছাড়া থাকতেও পারবো না । তাই এই সিদ্ধান্ত । ভুল কিছু করে থাকলে ক্ষমা করে দিও ।
তোমার হৃদয়হিনা
রাজেন ঘটনাটি সহজে মেনে নিতে পারে না । মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় । মাস ছয় হাসপাতালে থেকে ফিরে আসে সুস্থ হয়ে । সুস্থ হয় কারন সে তার পড়িকে ফিরে পেয়েছে । পড়ির অতৃপ্ত আত্তা তার কল্পনায় আসে । রাজেন আর পড়ি আবার সংসার শুরু করে । এখন আর কেউ তাদের ডিস্টার্ব করে না । রাজেনের মা পড়িকে দেখে না, রিপনও দেখে । শুধু রাজেন দেখে , রাজেন সংসার করে আর প্রতি রাতে জরিয়ে ধরে পড়ি শিতল স্পর্শে নিজেকে শিহরিত করে রাজেন । এভাবেই চলে পড়ির সংসার ।
সমাপ্ত
( পুরো গল্পটাই আমার কল্পনা । এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই )
আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন ।
https://www.facebook.com/arshipon15/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .