বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯

রক্তমূখী নীলা ২


পর্ব - ২ (দুই)
প্রেতাত্মার লেখা গল্প - written by A R Shipon

বিষন্ন শুন্যতায় জীবনাযাপন আমার। অন্ধকার এখন আমার সবচেয়ে প্রিয়। যথা সম্ভব অলস সময় পার করার চেষ্টা করি। কিন্ত বেচে থাকার তাগিদে কিছুনা কিছু তো করতেই হয়। কিছুদিন একটা ছোট প্রাইভেট কোম্পানীতে এইচ আর ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেছি। নিজের মধ্যে কিছু আছে কিনা সেটা যাচাই করার জন্য কিন্তু না, কিছুই নেই আমার মধ্যে রক্তমূখী নীলার (অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা) বাবার ভাষ্যই সত্য। আমি অযোগ্য, অকর্ম। এমনকি একটা কবিতাও লিখতে পারি না। যাক সে কথা, খেয়ে পরে বেচে থাকতে তো হবে। তেমন কিছুই জানিনা, আবার একদম নিচু শ্রেনীরও না যে কামলা খেটে পেট চালাবো। থ্রিডি মডেলিং টুকটাক শিখেছিলাম। সেটা নিয়েই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম। ঐটা করেই এখন কোন রকম দিন কেটে যাচ্ছে। চাকরি বাকরির ক্ষ্যাতা পুরে দিয়েছি।
আমার কাছে রক্তমূখী নীলার একটা ছবি ছিলো। ঐ যে ঐটা, নীল শাড়ী পড়া যে একটা ছবি দিয়েছিলো সেটা। প্রতিদিন সকাল ঘুম থেকে উঠে তার ছবি সব কাজের আগে দেখা এখন আমার দৈনিন্দন রূটিন হয়ে দাড়িয়েছে। মাঝে মাঝে রাতে ঘুমানোর আগেও দেখি। আজ তেমন কাজ নেই। একমগ কফি রেডি করে বারান্দায় বসে মোবাইলে রক্তমূখী নীলার ছবিটা বের করলাম। অপলক দৃষ্টিতে দেখছি। যতদেখছি তত মনে হচ্ছে চোখের জ্যোতি বের যাচ্ছে। রক্তমূখী নীলার এই ছবিটা আমার চোখের নিরাময়ক হিসেবে অনেকটা কাজ করে। হুট করে মনে হলো আচ্ছা ও কি আমাকে ফেসবুক থেকে আনব্লক করেছে? ওদের বাসা থেকে ফিরে এসে দেখি ও ফেসবুকে আমার ব্লক করে দিয়েছে। 
ফেসবুকে ঢুকে অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা লিখে সার্চ দিলাম। নাহ এই নামে তো কোন আইডি সো করছে না। তারমানে তৃষা আমাকে এখনো ব্লক লিষ্টে রেখেছে। মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গেলো। সাথে সাথে নতুন একটা ফেসবুক আইডি খুললাম। সে আইডি দিয়ে অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা লিখে সার্চ দিলাম। এবার ও কিছু পেলাম না। বাংলা ইংলিশ দুইভাবেই সার্চ দিলাম কিছু পেলাম না। মোটামুটি শিউর হলাম যে এই নামে সে আইডি চালায় না। আমি আমার আগের আইডিতে ঢুকে ম্যাসেজের একদম পেছনে চলে গেলাম। খুজতেছিলাম অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা এর পুরোনো আইডি। হাহাহাহাহা। শিউড় সে আইডিটা ডিলেট করে দিয়েছে। হয়তো নতুন নামে কোন আইডি চালাচ্ছে। মাঝে মাঝে আমার আইডি তে ঢুকে হয়তো দেখে আমি কি নতুন কোন পোষ্ট দিলাম কিনা। আমার সর্বশেষ পোষ্ট ছিলো
ক্ষমাকরো প্রিয়তমা,
অক্ষমতার জ্বালায় জ্বলে
তিলে তিলে হবো একদিন শেষ।
জানবে যেদিন বেসেছি কত ভালো
থাকবে তাকিয়ে জানি অনিমেষ।

অভিশাপ দাও অভিশাপ দিও
প্রার্থনা তবু রইলো মোর,
পৃথিবীর যত সুখ আছে সব
আনুক তোমায় নতুন ভোর।
এটাই ছিলো আমার লেখা প্রথম এবং শেষ একমাত্র কবিতা। অরিকের মত কবিতা লেখার বৃথা চেষ্টা যাকে বলে। অরিক! আচ্ছা অরিকের সাথে তো তৃষার বিয়ে হবার কথা ছিলো। অরিকের আইডীতে ঢুকি। Orik Subhan লিখে সার্চ দিতেই অরিকের আইডি খুজে পাই। স্ক্রল করতে করতে নিচে এসে দেখি অরিক আর তৃষার ছবি। গায়ে হলুদের ছবি। আরো স্ক্রল করে নিচে নামি। কিন্তু বিয়ের দিনের কোন ছবি পাই না। মন টা আরো খারাপ হয়ে যায়। অরিককে ব্লক করে দিয়ে এসে সুয়ে পরি।
ফুল দিয়ে সাজানো একটা দামি গাড়ীর মধ্যে শেরওয়ানী, পাঞ্জাবী পাগড়ী পড়া আমি। পাশে লাল বেনারশী শাড়ী আর শরীরে এত্তো এত্তো গয়নায় মোড়ানো তৃষা বধু সাজে। খুব আনন্দ বা অন্যরকম একটা সুখ অনুভব করছিলাম। লাজুক ভাবে মাথা নিচু করে তৃষার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। গাড়ীটি লাল নীল ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো এক ছোট্ট বাড়ীর সামনে দাঁড়ালো। একজন এসে গাড়ীর দরজা খুলে দিলো, আমি নেমে আসলাম। এরপর তৃষাকে হাত ধরে গাড়ী থেকে নামালাম। এক পিচ্চি মেইয়ে বলে উঠলো
জামাই বউকে কোলে করে নিয়ে যাবে উপরে। সাথে সাথে বাকি সবাই পিচ্চির কথায় সায় দিলো। কি বিপদ। কি লজ্জা। এতো গুলো মানুষের সামনে এখন ওকে কোলে নিতে হবে?
আমি তৃষার দিকে তাকালাম। তৃষা মুচকি হাসলো, মানে তার সম্মতি আছে। যাক লজ্জা দূরে ঠেলে তৃষাকে কোল তুলে নিলাম। তৃষা আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। হাটা শুরু করলাম। তৃষা দেখতে চিকন চাকন হলেও ওর কিন্তু ওজন ১০০ কেজির নিচে হবে না। কোলে নিয়ে তাই মনে হচ্ছে।
এই মুহুর্তটা সত্যি অসাধারণ। ওর স্পর্শ আর শরীরের সুঘ্রাণ আমাকে মুগ্ধ করে তুললো। এতো ওজন থাকা স্বত্তেও আমার ইচ্ছে হচ্ছিলো না ওকে কোল থেকে নামাই। কিন্তু। যাক নামাতে তো হবে, নামাতে গেলাম আর তখন হাত ফসকে পরে গেলো।
ধুর স্বপ্নটাই ভেঙ্গে গেলো। স্বপ্নটা এতই মধুর ছিলো যে ঘোর কাটাতে ইরামে যেতে হয়। সারাদিন সেদিন খালি পায়ে ঘোড়াঘোড়ি করে কাটিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে রক্তমূখী নীলার ছবি বের করে দেখতে থাকি।  হুট করে মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। এতো ক্যারেক্টার করি কিন্তু এখনো রক্তমূখী নীলার একটা ক্যারেক্টার করা হলো না। আজই শুরু করবো।
সেই রাতেই মডেল দার করানো শুরু করি। তিনদিন পর প্রিয়তমা রক্তমূখী নীলার অসম্ভব সুন্দর একটি ত্রিডি মডেল তৈরি হয়ে যায়। এখন ইচ্ছে করছে পিসি থেকে বের করে এনে বুকের মধ্যে আগলে রাখি। কিন্তু কিভাবে সম্ভব ?
সম্ভব। মুহুর্তেই মনে পরে গেলো নাজমুল ভাই এর কথা। ফোন দিয়ে কনফার্ম করলাম। আগামীকাল তার বাসায় গিয়ে মডেলটি ত্রিডি প্রিন্ট দিয়ে নিয়ে আসবো।
নাজমুল ভাই এর বাসা থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ১২টার বেশি বেজে যায়। রুমে ঢুকে কোনরকম ফ্রেস হয়ে প্রিন্ট করা রক্তমুখী নীলা কে নিয়ে বসি। অপলক দৃষ্টি তে চেইয়ে থাকি। টানা কয়েকদিন দিনরাত জেগে ঘুমে মাতাল হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তমূখী নীলাকে বুকের জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরি।
অল্পশব্দেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় সেই ছোট থেকেই। চুড়ির সাথে চুড়ির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। চোখ খুলেই চিৎকার করে উঠি। আমার বুকের উপর নিষ্পাপ শিশুর মত ঘুমিয়ে আছে নীলা।
আমার চিৎকারে ওর ও ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে ঠিক আমার উপরেই বসে চোখ কচলাতে থাকে। তারপর একচোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে
রক্তমূখী নীলাঃ কেমন আছো?
আমিঃ ভালো আছি। তুমি এখানে কিভাবে?
রক্তমূখী নীলাঃ কিভাবে এসেছি সেটা জিজ্ঞেস করলে কিন্তু কেমন আছি সেটা জিজ্ঞাস করার প্রয়োজন মনে করলে না।
আমিঃ কেমন আছো?
রক্তমূখী নীলাঃ ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া একা একটি মেয়ে কিভাবে ভালো থাকতে পারে? আর তুমিই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো, কিভাবে সেটা আমি জানিনা।
আমিঃ তোমার না বিয়ে হয়েছে অরিকের সাথে? কেমন চলছে সংসার?
রক্তমূখী নীলাঃ খুদা লাগছে খুব। শুনো বাইরে থেকে নেহারী আর রুটি নিয়ে আসবে। আর দুপুরের বাজার করে নিয়ে আসবে। আমি রান্না করবো।
আমি শান্তশিষ্ট ভদ্র ছেলের মত বাইরে চলে আসি। মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই হোক পাচফোরন রেস্তুরা থেকে নাস্তা আর অল্প কিছু বাজার করে নিয়ে আবার বাসায় ফিরি। কলিংবেল চাপতেই দরজা খুলে দেয় আসিফ।
আসিফঃ মামা মামিকে নিয়ে আসলেন কবে ?
আমি এতোখন পর্যন্ত নিজেকে স্বান্তনা দিচ্ছিলাম যে এটা নিশ্চয় আমার হ্যালুসিনিয়েশন, কিন্তু আসিফ দেখলো কিভাবে?
আমিঃ এই আরকি।
আসিফঃ চলেন ভিতরে চলেন।
ভিতরে গিয়ে দেখি তৃষা হাবিব এর সাথে গল্প করছে। আমাকে দেখে উঠে এসে আমার হাত থেকে সব নিয়ে গোছাতে থাকে। এরপর আমার আনা নাস্তা ভাগ করতে থাকে প্লেটে। আমি দুজনের জন্য এনেছিলাম। কিন্তু আমরা তো এখন চারজন।
দুই রুম, একটি বারান্দা, দুটি টয়লেট এর এই ছোট্ট ফ্ল্যাটে আমি, আসিফ, হাবিব থাকি। আমি একা এক রুমে আর দুই ভাগিনা আসিফ ও হাবিব একরুমে।
হাবিবঃ মামা আজ থেকে তাহলে আমাদের রান্না বান্না করার কষ্ট শেষ, এখন থেকে মামি রান্না করবে।
রক্তমূখী নীলাঃ আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে। এখন থেকে এখানের সব দ্বায়িত্ব আমার। খুশি?
আসিফ আর হাবিব স্বমস্বরে চেচিয়ে বলে “মহাখুশি”, আজ বিরিয়ানী হবে। আমরা বাজার করে নিয়ে আসছি, আপনারা গল্প করেন।
নীলা রুমের সব কিছু এর মধ্যে গোছগাছ করে ফেলেছে। আমাকে জোর করে পাঠায় চুল আর দাড়ি কাটতে। 
সেলুন থেকে ফিরে এসে দেখি তৃষা, আসিফ আর হাবিব মিলে রান্না করছে।
হাবিবঃ মামা আসছেন। আসেন।
আসিফঃ মামা আপনি মামির জন্য জামা কাপর কিনে আনেন। সে এই শাড়ি পরে আছে। কতখন শাড়ী পরে থাকবে। এখনই যান।
তৃষাঃ নাহ, এখন না। সন্ধ্যায় আমরা বেরহবো তখন কিনে নিয়ে আসবো।
আসিফঃ কোথায় যাবেন?
তৃষাঃ এই একটু বই মেলায় যাবো।
হাবিবঃ আমরাও যাবো।
তৃষাঃ দুঃখিত মামুরা। আজ আমরা দুজনেই যাবো। তোমাদের নিয়ে অন্য একদিন।
আসিফ হাবীবের কানের কাছে গিয়ে নিচু স্বরে বলছে “ গাধা তুই কি পাগল? এরা নতুন বিয়ে করছে এদের একলা যেতে দে”
হাবিবঃ আচ্ছা মামি যান।
রুমে এসে গোসল শেষ করে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। আসিফ হাবিব রুমে ফিরে যায়। 
রক্তমূখী নীলাঃ শোন তুমি কিন্তু নীল পাঞ্জাবী পরবে। আমরা রিক্সা করে হাতে হাত রেখে বইমেলায় যাবো।
আমিঃ বই মেলায় কেনো? পাশেই লেক, তোমার আমার প্রথম দেখা এখানেই। চলো এখানে যাই।
রক্তমূখী নীলাঃ নাহ, বইমেলায় যেতে হবে। কাজ আছে।
আমিঃ কোন বই কিনবে?
রক্তমূখী নীলাঃ নাহ। রক্তমূখী নীলা নামে একটা প্রকাশনী আছে। সেখানে যাবো।
আমিঃ অহ! আচ্ছা।
সন্ধ্যায় আমরা বের হই। আমি নীল পাঞ্জাবী পড়ি। রিকায় উঠেই ও আমার হাতে হাত রেখে কাধে মাথা রাখে। হালকা বাতাসে ওর চুল গুলো উড়ছিলো। আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখছিলাম। শাহাবাগ নেমে হাটা ধরি, ও আমার হাত ধরে হাটতে থাকে। বইমেলায় ঢুকে তথ্য কেন্দ্র থেকে রক্তমূখী নীলা প্রকাশনীর ঠিকানা নেই। আমি একটু সামনে হাটছিলাম ও আমার পেছনে। হাত টা এবার আমি শক্তকরে ধরেছিলাম। জেনো কোন ভাবেই আর না হারিয়ে যায় আমার রক্তমূখী নীলা।
প্রকাশনীর একদম সামনে চলে এসে স্টলের সামনে দাড়াতেই আমি থ। আমার সামনে প্রকাশনীর ভিতরে অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা, আমার রক্তমুখী নীলা সবুজ রঙ্গের একটা শাড়ী পরে। মুহুর্তেই পেছন তাকায়, হাত ধরে নিয়ে আসা রক্তমূখী নীলা নেই। আমার হাতে সেই থ্রিডি প্রিন্ট করা অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষার মডেলটা।
তৃষা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। হাত থেকে থ্রিডি প্রিন্ট করা মডেলটা নিয়ে দেখে। চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।
তৃষাঃ তুমি কি এখনো আমাকে আগের মত ভালোবাসো?
আমিঃ অরিক কেমন আছে ?
তৃষাঃ বিয়ের দিন আমি বাসা থেকে পালিয়ে আসি। চাইলে আগেও আসতে পারতাম, কিন্তু ওকে একটু শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তাই ঠিক বরযাত্রী আসার আগে পালিয়ে ঢাকায় আমার বান্ধবী শিফার কাছে চলে আসি।
আমিঃ এখানে?
তৃষাঃ জানোই তো টুকটাক লেখালেখি কুরতাম। বই বের হয় গতবই মেলায়। ভালো সেল হয়। রাতারাতি বড়লোক হয় যাই। এরপর আমার ভালোবাসার মানুষের দেওয়া নামে একটা প্রকাশনী করি।
আমিঃ আমাকে কি এখনো ভালোবাসা?
তৃষা কোন জবাব দেয় না। আমার চোখ দিয়ে নিজের অজান্তেই পানি ঝরছে। কি করবো বা বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ঠিক সেই সময় শিপন ভাই পেছন থেকে এসে
শিপনঃ কিরে রনি কেমন আছিস?
আমিঃ জ্বি ভাইয়া ভালো আছি, আপনি?
শিপনঃ রনি তুই তো ভালো নেই। কাদছিস কেন?
আমিঃ ভালোবাসা ফিরে পেয়েছি। এই আমার রক্তমূখী নীলা।
শিপনঃ আপনি রক্তমূখী নীলা? মানে অদ্রীতা তৃমিস্রা তৃষা। বিখ্যাত লেখিকা যে রক্তমূখী নীলা নামে একটা উপন্যাস লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছেন। কিন্তু আপনিই যে রনির সেই প্রিয়তমা সেটা জানা ছিলো না। ও আপনার কথা আমার কাছে অনেকবার বলেছে।
তৃষা কোন উত্তর দেয় না। এরপর আমি শিপন ভাইকে সব খুলে বলি। সে বলে যেহেতু দুজনে এখনও একজন আরেকজন কে অনেক বেশি ভালোবাসি, দুজনেই সিংগেল আছিস তাহলে তোরা বিয়ে করে নে।
সেই রাতেই শিপন ভাই আমাদের বিয়ের ব্যাবস্থা করে। হৃদয়, শিফা আর ঝুম আসে। বিয়ে করে ওকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় ঢুকতেই আসিফ আর হাবিব এসে সালাম দিয়ে মামি কেমন আছে বলে তৃষাকে। কিন্তু এই তৃষাতো আর আসিফ হাবিবকে চেনেনা। তখন আমি পাঞ্জাবির পকেট থেকে রক্তমূখী নীলার ত্রিডি প্রিন্টটা বের করি। এই রহস্যের কথা আমি ছাড়া আর কেউ জানেনা। মডেলটা তৃষা ওয়াড্রফে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। আমি মাঝে মাঝেই সেই মডেলটি হাতে নিয়ে ঐ একটি দিনের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করি। কিন্তু আজও সফল হইনি।


সমাপ্ত।
সম্পূর্ন গল্পটাই আমার বিকৃত মস্তিস্কের কল্পনা বা দুষ্টামি অথবা ফাইজলামী। এটাই আমার লেখা শেষ গল্প হয়তো। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল। ধন্যবাদ।
আমার লেখা অন্যান্য গল্প পেতে ঃ www.facebook.com/arshipon15/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .