শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪

হয়তো সেটার কারন রোদেলা তুমি......

ঘুম আসছে না। কোনো কাজও করতে ইচ্ছে করছে না। কোন এক অজানা কারনে মন ভীষণ খারাপ। মন খারাপ থাকলে নরমালি ছাঁদে গিয়ে আকাশ এর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সেই সুজোগ এখন নাই। তারপর মনে পরলো কাঁদলেও মন ভালো হয় ...................................................... কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভাবতে শুরু করলাম আজ সারাদীন কি কি করলাম। কিছুই না। এক বড় ভাই এর সাথে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে দেখা করলাম (বিঃ দ্রাঃ বড় ভাই বাইকে যাওয়া আসা বাবদ ভাড়া বিকাশ করে দিয়েছিলো)। ভাই এর সাথে অনেক কথা হলো, অনেক অনুপ্রেরনা আর সাহস। কথার ফাকে কফি অর্ডার করলো। কফির দাম ৮৫০ টাকা, কিন্তু মঈন ভাই এর দোকানের ৬০ টাকা দামের কফির টেস্ট এর চাইতে খুব বেশি একটা .............................. তারপর আরো দুজন ভাই আসলেন। গল্প করতে করতে এক সময় ভাই বললো খুদা লাগছে। তারপর ঐ ক্যাফে থেকে বের হয়ে কেএফসি তে ঢুকলাম। একটা বাকেট আর পেপসি অর্ডার করলো। খেলাম, এক নয় দুই নয় তিন পিস চিকেন ফ্রাইড খেলাম। তারপর ভাই কিছু শপিং করবে বলে বের হবো তখন মনে পরলো আমি না ইজরাইলি পন্য বয়কট করছি (অনেকে এখানে বলবে যে এই পন্য বয়কট করে কি লাভ, পারলে যুদ্ধ করো। এমন অনেক কিছু। ভাই আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করে যাবো, আর সত্যি বলতে যদি সেই যুদ্ধে অংশগ্রহনের সুজোগ থাকতো তাহলে আমি অবশ্যই অংশগ্রন করে শহীদ হতাম ইনশাল্লাহ) যাই হোক খেয়ে ফেলেছি যখন আর কিছু করার নাই। ভেবেছিলাম কিছু লেখালেখি করলে হয়তো ভালো লাগবে। আমাদের ভূত গোয়েন্দাদের একটা চ্যাটিং গ্রুপ আছে সেখানে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে এত্তো এত্তো বড় বড় জ্ঞ্যান ঝাড়া লেখা লিখলাম। লেখাগুলো ভালোই হয়েছে। যে কোন ব্লগে লিখতে ভালো সারা পাওয়া যাবে। যদিও আমি নিজেও একজন ব্যার্থ ফ্রিল্যান্সার, এর অন্যতম প্রধান কারন আমি শিখতে ভালোবাসি। আইটি বা সিজি জগতের প্রায় সব কিছুই আমি শিখেছি কিন্তু কোনটাই পরিপূর্ন না। লেখালেখির কথা থেকে মনে পরলো যে আমি লাস্ট যে অফিসে চাকরি করতাম সেখানে কেউ আমার লেখার পাত্তায় দিতো না। তাদের লেখা ক্যাপশন দেখে আমি মনে মনে হাসতাম। তবে একজন ছিলো সে খুইই ভালো লিখতো। আমার মনে পড়তো আমি যখন হ্যামকো গ্রুপে ছিলাম কি সুন্দর সুন্দর ছন্দের মত ক্যাপশন লিখতাম। একদিন সিওও নিজে আমার লেখার প্রশংসা করেছিলেন। এছাড়া আমার নিজের প্রায় ১০টা পেজ ছিলো। হোমেক্স, ইয়ারো, পল্লীকাথা, ভিনতা সহ আরো কত পেজের জন্য লিখতাম। এমন বেশ কয়েকজনের জন্য লিখেছি যারা নানান ভাবে দেশব্যাপি ব্যাপক জনপ্রিয়। যাই হোক লেখালেখি বাদ। আচ্ছা তাহলে আমি কি? মানে কোনটাতে আমি ভালো? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। জানতেও চাই না। বাদ দিন। আমার একটা বদ অভ্যাস ছিলো (বলতে চাচ্ছিলাম না) সেটা হলো আমার আগে ঘুম না আসলেই ঘুমের ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস ছিলো। তবে এটা মোটেও আমার ডিভোর্স হইছে এই জন্য না। আমার যখন ব্রেকাপ হইছিলো তখন আমি কিছুদিন টানা ঘুমের ঔষধ আর দুষ্ট পানি পান করেছিলাম। তবে নেশা হওয়ার আগেই সেটা থেকে সরে গিয়েছিলাম। এরপর কিছুদিন বেকার ছিলাম তখন মাঝে মাঝে ঘুম না আসলে ঘুমের ঔষধ খেতাম। আর অনেকদিন পর এই পলাতক অবস্থা মানে এই ৪ মাস এক রকম দুই একদিন পরপরই খেতাম। তবে নতুন বছরের বেশ কয়েকটা শপথের মধ্যে এটা ছিলো যে আমি আর কোন বদ অভ্যাসে জরাবো না। এখন পর্যন্ত ঠিক আছি। যদিও এক পাতা কোয়েট ১০০ আমাকে ডাকছে যে এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে আমাকে খেয়ে মরে যা। খুব শান্তির মৃত্যু। চুম্বকের আকর্ষনের ইমোজি........................ কষ্ট, হ্যা কষ্ট যা আমি কখনোই কারো সাথে মন খুলে শেয়ার করতে পারবো না। যতদিন বেঁচে আছি এই কষ্টগুলো সঙ্গে করে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ আমাকে এই যে কষ্টটা দিয়েছে সেটা জেনো আর কাউকে না দেয়। আমার ফ্যামিলি, বন্ধুদের সাপোর্ট না থাকলে হয়তো অনেক আগেই আপনারা আমার ছবি ফেসবুকে দেখতে পেতেন যে এইভাবে চলে যাবি কখনোই ভাবি নাই। আর সেই পোষ্টের বেশির ভাগ কমেন্টস থাকতো যে এই ভাবে শালায় মরছে নিশ্চিত জাহান্নাম জেন। যাক বাদ দিন। ফ্যামিলি, আল্লাহর দেওয়া আমার জীবনে আমার সবচেয়ে বড় উপহার হচ্ছে আমার ফ্যামিলি। ফ্যামিলি বলতে বাবা, মা, ভাই, বোন কে বোঝাই। কিন্তু আমার কাছে এরা ছাড়াও কাকা, কাকি, ফুপু, ফুপা, ভাইয়ারা, বোনেরা, সহ বাকি সবাই আমার ফ্যামিলি। আর ভালো লাগছে না। লিখতে চাইলে আর ঘন্টা খানেক লিখত পারবো। তবে এতো বড় লেখা হওয়ায় সুবিধা হয়েছে যে এই লেখাটা কেউই পরবে না। আর তারা আমার অনেক গোপন কিছুই জানতে পারবে না। এখন কি করবো ভাবছি, মন ভালো করতে লিখতে বসে মনটা যে আরো বড্ড বেশি খারাপ হয়ে গেলো। হয়তো সেটার কারন রোদেলা তুমি.........................................................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .