রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা (১ম পর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ১ম
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon



গত কয়েকদিন ধরেই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়ালি আর শিপনকে। দুজনেরই ফেসবুক টাইমলাইনে শেষ পোষ্টটি ছিলো এমন ঃ
ভালোবাসার সন্ধ্যানে হাড়িয়ে গেলাম।
#মোমিনা, #এডভ্যাঞ্চার, #গ্র্যান্ড_ট্রাঙ্ক, #কলংকপূর, #শিপন #অবশেষে, #রাজকুমারী_লাইলা।
শিপনের খোজ খবর না পেয়ে জরুরী মিটিং ডাকে ভূত গোয়েন্দার সদস্যরা। আচ্ছা #ভূত_গোয়েন্দা এর সাথে তো পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা ভূত প্রেত প্রেমিদের একসাথে করে ভূত নিয়ে গবেষনা এবং ভৌতিক রহস্য উন্মোচন সহ বিভিন্ন ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারের সমাধানের উদ্যেশ্যে জনাব শিপন সাহেব একটি ভৌতিক ডিটেকটিভ ফার্ম তৈরি করে। আর নাম দেয় ভূত গোয়েন্দা। ভূত গোয়েন্দায় বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে, ধিরে ধিরে সকলের সাথেই আপনারা পরিচিত হয়ে উঠবেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় মিটিং। ভূত গোয়েন্দার একটা ছোটখাটো অফিস রয়েছে। ধানমন্ডি কলাবাগানের ১৪৭/৪ বিল্ডিং এর চিলোকোঠার বিশাল রুমটাই তাদের অফিস।
নরমালি ডিটেকটিভ ফার্মের অফিস গুলোর মত এই অফিস টা নয়, কিছুটা বর্ননা দেই।
দরজা দিয়ে ঢোকার সাথে সাথেই প্রথমেই একটি কংকাল পরবে। মানুষের কংকাল, প্লাস্টিক ফ্লাস্টিকের নয়। শিফা জোগার করেছে, শিফা মেডিকেলে পরে। সেও ভূত গোয়েন্দা গ্রুপের একজন সদস্য।
ঢুকলেন ভিতরে, ভিতরে গিয়ে কোন চেয়ার টেবিল নেই তাই আপনাকে নিচেই বসতে হবে। আর রুমের মাঝখানে একটা ত্রান্তিকদের মত ত্রন্ত সাধনার আসন। যদিও এটি কোন কাজে লাগে না। এছাড়া দেওয়াল জুরে বিভিন্ন হরর মুভির পোষ্টার আটানো। একটা পানির ফিল্টার আর চা বানানোর কিছু জিনিষপত্র। তবে বাইরের চিত্র কিন্তু সম্পুর্ন আলাদা। ছাদে ছোট খাটো একটা বাগান করেছে শিপন, কবুতর ও পালে। এককোন ছোট একটা জায়গা আছে, সেখানে শিপন আলাদা করে টাইলস লাগিয়ে নিয়েছে। প্রায় রাতেই সে এখানে বসে থাকে। গল্প লিখে।
৫ঃ২৫ বাজে।
এজাজ আর হৃদয় চলে এসেছে। এজাজ পকেট থেকে চাবি বের করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে ফ্লোরে সুয়ে পরে। আর হৃদয় বরাবরের মত আলগা গোয়েন্দাগিরি শুরু করে। সে রুমের ভিতর খোজাখুজি শুরু করেছে যে তার মামা কি অফিসে কোন ক্লু রেখে গেছে কিনা যে কোথায় গিয়েছে।
পিছন থেকে কে জেনো হৃদয়ের মাথায় টোকা দেয়। পিছ ফিরে
হৃদয়ঃ কিরে অর্নব কখন এলি?
অর্নবঃ অনেক আগেই। নিচে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম।
হৃদয়ঃ ঝুম আর অধরা আছে। ছাদের সেলফি তুলছে।
ছাদের কবতরের সাথে সেলফি তুলছিলো ওরা। সেখানে চলে আসে রনি। রনিকে দেখে ঝুম আর অধরা বায়না ধরে ওদের ছবি তুলে দিতে। রনি একের পর এক ছবি তুলেই যাচ্ছে। ঝুম আর অধরা একটা কবুতর হাতে নিয়ে ছবি তুলছে আর তখন ছাদে পা রাখে যারা।
যারাঃ এই দ্বারা আমার ছবি তুলবি না?
অধরাঃ আয়।
ছবি টবি তোলা শেষ করে ভিতরে যায়। কিছুখন পর আসে আদ্রীতা আর শ্রেয়াস। দুজনে এক অফিসে চাকরী করে। তাই একসাথেই এসেছে। হাতে করে কিছু বিস্কিট নিয়ে এসেছে।
শিফা এসে দেখে সবাই বসে গল্প করছে। দরজা দিয়ে ঢোকার সময় এজাজ শিফাকে জিজ্ঞেস করে কেমন আছো শিফা? শিফা এর কোন উত্তর দেয়না। দুজনের মধ্যে কিঞ্চিত মনমালিন্য চলছে।
গল্প করছে এমন সময় হটাত অধরা চিৎকার দিয়ে উঠে। ভূত ভূত ভূত। দরজায় দু হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একজন। মাথায় ভুতের মুখোশ আর পরনে কালো জুব্বা ধরনের আর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। পেছন থেকে হিয়া এসে ধাক্কা দেয়। লোকটি পিছন ফিরে হিয়ার দিকে ফিরে তাকানোর সাথে সাথে হিয়া জ্ঞ্যান হারিয়ে পরে যেতে থাকে আর তখন লোকটু ধরে ফেলে।
অর্নবঃ কে তুমি?
মুখোশ খুলে,
আরে আমি। দুপুর।
হৃদয়ঃ আরে দিলা তো মেয়েটার ১২টা বাজিয়ে।
দুপুরঃ আরে আমি কি জানি নাকি ভূত গোয়েন্দার সদস্যরা এতো ভিতু। সামান্য মুখোশ দেখেই ভরকে যায়। আর ভূত ধরতে গেলে এদের অবস্থা কি হবে?
দুপুর হিয়াকে কোলে করে নিয়ে রুমের ভিতরে যায়। মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনে।
দুপুরঃ ভিতু কোথাকার।
হিয়াঃ এই তুমি। তুমি আমাকে ভয় দেখায়িছো। দাঁড়াও তোমার আজ খবর আছে।
দুপুরঃ আমি ভয় দেখাইনি। তুমি নিজেই ভয় পাইছো, আমার দোষ দাও কেন?
মামুন চলে আসে এর মধ্যে।
মামুনঃ কেমন আছো সবাই?
অর্নবঃ এইতো আমাদের মাঝে চলে এসেছেন বিশ্ব ছ্যাকা খাওয়া কবি মামুইন্ন্যা।
ঝুম অর্নবকে একটা চিমটি কাটে।
যথারিতি সবাই গোল করে বসে। মিটিং শুরু হয়।
রনিঃ শিপন ভাইকে কিভাবে খোজা যায়? কোন ক্লু কি আছে?
অর্নবঃ হৃদয় তুই কি ভাই এর বাসায় খোজ নিয়েছিলি?
হৃদয়ঃ হুম। মামা সপ্তাহ খানেক উধাও। কোন খোজ খবর নাই। সব গুলা থানা আর জেল খানায় খোজ নেওয়া হয়েছে। কোথাও নেই।
যারাঃ শিপন ভাইকি সন্ত্রাসী নাকি যে তাকে থানা আর জেল খানায় খুজে না পেয়েই বলে দিলা যে কোথাও নেই।
এজাজঃ সন্ত্রাসী না তবে পলিটিক্স করে।
অধরাঃ আই হেট পলিটিক্স।
এজাজঃ সব মাইয়ারাই।
শ্রেয়াসঃ উনার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করেছিস?
এজাজঃ হ্যা। তারাও কিছু জানেনা।
আদ্রিতা ঃ তাহলে কোথায় গেলো? কোন ক্লুই কি নেই?
দুপুরঃ ক্লু আছে?
যারাঃ কি?
দুপুরঃ শিপন এর ফেসবুক এর লাস্ট পোষ্ট।
ঝুমঃ পোষ্ট টা কি ছিলো?
রনিঃ ভালোবাসার সন্ধ্যানে হাড়িয়ে গেলাম।
#মোমিনা, #এডভ্যাঞ্চার, #গ্র্যান্ড_ট্রাঙ্ক, #কলংকপূর, #শিপন #অবশেষে, #রাজকুমারী_লাইলা।
ঝুম ঃ এর মানে কি? ক্লু কোথায়?
আদ্রিতাঃ ভাইয়া কি রোদেলা আপুকে নিয়ে পালিয়ে গেলো?
হৃদয়ঃ আরে না। রোদেলা আপু তার শ্বশুরবাড়ী। খোজ নিয়েছিলাম । সেও কিছু জানেনা।
অধরাঃ আচ্ছা শিপন ভাই মরে টরে যাইয় নাই তো?
হিয়াঃ মরে গেলেই ভালো। বহুত জ্বালাইছে আমাকে।
দুপুরঃ ধুর ফাজিল মাইয়া।
ঝুমঃ এই থামো তোমরা। দুপুর ভাইয়া কি বলতে চাইছিলা সেটা বলো।
দুপুরঃ #মোমিনা, #এডভ্যাঞ্চার, #গ্র্যান্ড_ট্রাঙ্ক, #কলংকপূর, #শিপন #অবশেষে, #রাজকুমারী_লাইলা।
   মোমিনা দিয়ে হয়তো মোমিনা মুস্তেহাসিন বুঝাইছে, এডভ্যাঞ্চার দিয়ে হয়তো সে মোমিনাকে জয় করা বুঝিয়েছে। আমার মনে হয় ও মোমিনাকে খুজতে গেছে।
আদ্রিতাঃ ধুর, এই মোমিনা মোমিনা হইলো যাস্ট ফান। এছাড়াও গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক, কলংকপুর, রাজকুমারী ঐগুলাও তো বুঝাইছে, সেটার কি বলবা?
যারাঃ আমি একটা কথা বলি?
হিয়াঃ ভনিতা না করে বলে ফেলো।
যারাঃ শিপন ভাইয়া মারা গেছে কিনা সেটা কিন্তু আমরা পরিক্ষা করেই জানতে পারি।
রনিঃ কিভাবে?
যারাঃ প্ল্যান চ্যাট করে।
এজাজঃ ধুর! এগুলা কি কিছু আছে নাকি। ফালতু।
আদ্রিতাঃ আমার মনে হয় করা যায়। ট্রাই করে দেখলে দোষের কি?
শিফাঃ আমার ভয় লাগে।
হিয়াঃ আমি এগুলার মধ্যে নাই।
দুপুরঃ নাই মানে? তুমি সবার মাঝখানে থাকবা। আত্তা যদি কোন কারনে রেগে যায় তাহলে বলবো তোমাকে নিয়ে যেতে, তুমি সুন্দরী আছো।
হিয়াঃ ক্যান আমার উপর এতো ক্ষোভ কেন তোমার? আমি কি তোমাকে চিমটি কাটছি?
রনিঃ এই থামো তোমরা। আমার মনে হয় প্ল্যান চ্যাটের সিদ্ধান্তটাই ভালো। শিপন ভাই আর ওয়ালি দুজনকেই ডাকি।
ঝুমঃ তোরা কি আমার দাদাকে মেরে ফেলতেছিস নাকি?(ন্যাকা ক্যান্নার রিএক্ট হবে)
দুপুরঃ ধুর পাগলী, আমরা তো যাস্ট শিউর হবো যে মরে নাই শিপরাটা।
শিফাঃ আমি চা করে আনি সবার জন্য।
এজাজঃ আমি কিন্তু চিনি বেশি খাই।
শিফাঃ আমার কাছে সবাই সমান, চিনিও সবাইকে সমান দিবো।
এজাজঃ যাহ বাব্বা, এখানেও কিপটামি।
ঝুমঃ মামুন ভাইয়া চুপ কেনো? কিছু বলো
অর্নবঃ ঝুম! মামুন ভাইয়া। হাহাহাহাহাহা।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা তোমরা কেউ প্ল্যান চ্যাটের নিয়ম জানো? বা কিভাবে করে ?
দুপুরঃ আমি কিছুটা জানি।
মামুনঃ আমিও কিছুটা জানি। আহামরি কিছু না।
রনিঃ আমি একটা মন্ত্র শিখেছিলাম, প্ল্যান চ্যাটে কাজে লাগে।
দুপুরঃ কবে করবে ? আজই করি?
মামুনঃ নাহ। কিছু জিনিশ পত্র কিনতে হবে। কাল রাতে সবাই এখানে আসি। মধ্য রাতে করি। আর সবাই কালো ড্রেস।
ঝুমঃ আমার কালো ড্রেস নাই।
দুপুরঃ কাল সকালে কিনি নিবি।
হিয়াঃ আর কাল রাতের ডিনার দুপুর করাবে।
অধরাঃ কেন কেন?
হিয়াঃ ওর প্রমোশন হইছে।
দুপুরঃ আচ্ছা আমি কাল পুরান ঢাকা থেকে সবার জন্য কাচ্ছি নিয়ে আসবো। আর অর্নব, হৃদয়, রনি এই টাকা গুলো রাখ প্ল্যানচ্যাটের জন্য যা যা লাগে কিনে নিয়ে আসিস।
হৃদয়ঃ আমার কাছে টাকা আছে।
দুপুরঃ এগুলা অফিসেরই টাকা । নে।
শিফা চা করে আনে। সবাই চা খেতে খেতে গল্প করতে করে আড্ডা শেষ করে সেইদিনের মত। ভূত গোয়েন্দার একজনই সদস্য নয়। আরো আছে, যারা হয়তো অন্য সময়গুলোতে সামনে আসবে।
সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘোরি করে প্ল্যানচ্যাটের জন্য প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র কেনাকাটা এবং জোগার করে সন্ধ্যার কিছু পরে রনি, অর্নব, হৃদয় চলে আসে ভূত গোয়েন্দার অফিসে। তারপর ঘুমিয়ে পরে।
রাত ৯টার পর এক এক করে সকলেই আসতে থাকে ঝুম, আদৃতা, মামুন, শ্রেয়াস, যারা, তাহমিদ( তাহমিদ প্রথমদিন উপস্থিথ না থাকতে পারলেও সবার মুখে প্ল্যানচ্যাটের কথা শুনে দৌড়ে চলে আসে) হিয়া, অধরা, শিফা, অনুপ(পিচ্চি অনুপ প্রথমদিন উপস্থিথ না থাকতে পারলেও সবার মুখে প্ল্যানচ্যাটের কথা শুনে দৌড়ে চলে আসে) এবং সবার শেষে এজাজ আর দুপুর আসে সাথে নিয়ে সবার জন্য পুরান ঢাকার কাচ্চি আর বোরহানী নিয়ে।
তারপর সবাই মিলে হৈহুল্লোর আর আড্ডাখানা পিনা করতে করতে রাত ২টা বেজে যায়। মনে পরে প্ল্যানচ্যাটের কথা।
হৃদয়ঃ আচ্ছা রাত তো অনেক হলো এখন শুরু করা যাক।
যারাঃ হুম। কিভাবে কি করতে হবে?
দুপুরঃ রনি কি কি এনেছো?
রনিঃ লাল কাপর, চকমাটি, শিদুর, নদীর ধারের চারা, ম্যাচ, মোমবাতি, আর ইলিশ মাছ।
হিয়াঃ ইলিশ মাছ দিয়ে কি হবে?
দুপুরঃ আত্তাকে ইলিশ ভাজা খায়িয়ে শান্ত করা হবে।
হিয়াঃ ওহ হ্যা, ভূতেরা তো আবার মাছ ভাজা পছন করে।
হৃদয়ঃ রুমের ভিতর করবে নাকি বাইরে?
দুপুরঃ রুমের ভিতরেই করবো। আর সবাই কিন্তু মোবাইল ফোন সহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস দূরে রাখবে।
মামুনঃ সবাই তো প্ল্যান চ্যাটে বসবে না। ৪ জন বা ৬ জন বসবে। বাকিরা কি করবে?
এজাজঃ আমি বসবো।
দুপুরঃ আমি, এজাজ, হৃদয়, রনি, শ্রেয়াস, মামুন প্ল্যানচ্যাটে বসি। বাকিরা সবাই আমাদের সার্কেল করে বসুক। তবে একটু দূরে।
কথা অনুযায়ী সবাই প্ল্যানচ্যাটের আসন বিছিয়ে বসে। সকলেই কালোকাপর পরা। সম্পুর্ন ঘরে মোট ১৯টি মোটা মোমবাতি জ্বালানো হয়। রনি প্ল্যানচ্যাটের মন্ত্র জানে। রনি মন্ত্র পরা শুরু করে।
গুন ওং ছা, আবা কিল ফানা তু, অম সাবা কিবা, আলা তুলা লি অমা ওম, স্বশরীরী, অশ্মরীরই আগমনিওই ওম কালান ও আগমানিই।
আমার আশে পাশে হে শুভ আত্তারা তোমরা বিরাজমান, তোমরা অতৃপ্ত, আমি তোমাদের অস্বিত্বের স্বাদ, অস্বিত্বের অনুভুতি নিতে চাই।
দুপুরঃ শুভ অশুভ আত্তাগন দেখা দিন, স্পর্শ দিন, অনুভুতি দিন। হে শিপনের অতৃপ্ত আত্তা সারা দাও। তোমার অপেক্ষায় আমরা।
এভাবে ৬জনই অনেক সময় ধরে ডাকতে থাকে কিন্তু কারো কোন সারা শব্দ নেই।
একসময় বিরক্ত হয়ে হিয়া বলে উঠে
হিয়াঃ ধুর আমি আগেই জানতাম এগুলা ভুয়া। আত্তা ফাত্তা কেউ আসে না। শুধু সুধু ঈলিশ মাছ ভাজা গুলা ঝুলায় রাখছে।
শিফাঃ হুম ঠিক বলছিস।
যারা ঃ দারা আমি নিয়ে আসি।
যারা উঠে দারায়। এতোখন যারা, শিফা, তাহমিদ, অনুপ সব ৬জন ছাড়া বাকিরা একটা সার্কেল করে ঘিরে রেখেছিলো। যারা সেই সার্কেল থেকে উঠে গিয়ে হেটে এক গ্লাস পানি খেয়ে মাত্র ইলিশ মাছে হাত দেয় আর ঠিক সেই সময় ঝড়ো বাতাস শুরু হয় রুমের ভিতরে, উপরে রাখা জিনিশ গুলো পরে যেতে থাকে, ভুমিকম্পের মত করে সব কিছু কাপতে থাকে। সব মোম নিভে যায়। কিন্তু দুপুর, রনি, মামুন, এজাজ, শ্রেয়াস ঠিক জায়গা মত বসে থাকে। বাকি সবাই এসে যে যাকে পারে জরিয়ে ধরে।
কিন্তু হৃদয় । ওদের মাঝ খানে হটা অন্ধকারে সুধু দুটো চোখ দেখা যায়। সেই চোখের আলো লাল, রাগাত্বক আলো, দেখে যে কেউ ভয় পাবে। ভয়ে পেয়ে মেয়ে গুলো অলরেডি চিৎকার শুরু করে দিয়েছে। এতো ভয়ংকর পরিস্থিতিতে এর আগে ওরা কেউ পরেনি। এই চোখ দুটো চেনা চেন লাগছে, চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে, মুখ দিয়েও রক্ত, মুখটা ধিরে ধিরে স্পস্ট হচ্ছে। হ্যা এতো হৃদয়ের মুখ। আমাদের হৃদয়। কিন্তু হৃদয় এতো ভয়ংকর রুপে আমাদের সামনে কেনো? এই ভয়ংকর আর বীভৎস দৃশ্য দেখে অলরেডি হিয়া আর যারা জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেছে। দুপুর সহ বাকিরাও কাপছে। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।

চলবে .......................................
আগামীকাল অথবা পরশু রাতে দ্বিতীয় পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .