রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা (৮ম পর্ব)


#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ৮ম অষ্টম (#শিলার_জন্মদিন)
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon


তাহমিদঃ এই মেয়ে , কি হয়েছে তোমার? তুমি এখানে কেন?
শিলাঃ ভালো লাগছিলো না তাই এখানে এসেছি। কোন সমস্যা?
তাহমিদঃ হ্যা সমস্যা। জানো এখানে কি হয়েছে? তুমি যে এখানে একা বসে আছো, যদি তোমার কিছু হয়?
শিলাঃ আমার জানার কোন ইচ্ছে নেই।
হিয়াঃ শিলাভাবি পাগলামো কইরো না। একটু আগে আমাদের শিফাকে পিশাচরা নিয়ে গেছে। নিশ্চইয় এতোখনে ওর দেহ ক্ষতবিক্ষত করে খেয়ে ফেলেছে নিশ্চই।
শিলাঃ এতোরাতে এভাবে বাইরে থাকলে এমনি হবে।
ঝুমঃ ভাবি তোমার এমন কথাবার্তা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছে। আমাদের শিফা আমাদের মাঝে নেই। আর তুমি (কেদে দেয়)
এজাজঃ শিলা আপনিও তো একাই বসে ছিলেন যদি আপনাকে পিশাচরা নিয়ে যেতো।
শিলা একটা মুচকি হাসি দেয়।
তাহমিদঃ আচ্ছা আমি ওর পক্ষ থেকে সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
অদৃতাঃ তুমি আর তোমার বউ ক্ষমা নিয়েই থাকো।
হৃদয়ঃ সবাই চল।
সবাই তাবুর কাছে ফিরে আসে তাহমিদ আর শিলা ছাড়া। তাবুর আগুন পাশে বসে আছে সবাই। ঝুম আর অধরা কাদছে। বাকি সবাই নির্বাক। দুপুর আর শিফার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে ধাক্কা খাচ্ছে সকলেই।
হিয়াঃ আমরা এভাবে আর কতজন হারাবো?
অধরাঃ আমরা ফিরে যাই।
অনুপঃ এর আগে দুপুর, আজ শিফা হয়তো কাল আমি। এভাবে আর চলে না। আমরা ফিরে যাবো।
হৃদয়ঃ শিপন মামা?
এজাজঃ শিপন কাকা বিপদে আছে শিপনের আত্তা বললো। আমাদের উচিত সেখানে যাওয়া।
শ্রেয়াসঃ কিন্তু এভাবে একের পর এক বন্ধু হারিয়ে ফেলছি আমরা।
রনিঃ আচ্ছা তোমরা একটা জিনিশ খেয়াল করেছো?
যারাঃ কি?
রনিঃ শিলার সাথে এর আগে দুই দিন, মানে এখানে আসার আগে দুই দিন আমাদের কথা হয় ওকে দেখি । তখন কার শিলা আর এখনকার শিলা কি এক?
মামুনঃ আকাস পাতাল তফাত।
রনিঃ এখানে কোন সমস্যা নাই তো? মানে শিলার
এর মধ্যে শিলা আর তাহমিদ চলে আসে,
তাহমিদঃ আমরা এখন কি করবো?
ঝুমঃ কি করলে ভালো হয়?
রনি ঃ আমার মনে হয় প্ল্যান চ্যাট করে। শিপনের আত্তাকে ডাকা যেতে পারে।
এজাজঃ দারুন আইডিয়া।
অর্নবঃ গাড়িতে সব আছে , নিয়ে আসি।
হৃদয়ঃ একা যাবি না কোথাও। অনুপ সাথে আয়, তুই আর আমিও ওর সাথে যাই।
তিনজন মিলে প্ল্যানচ্যাটের জন্য সব নিয়ে আসে। সবাই সার্কেল করে বসে। আজ অর্নব মন্ত্র পরবে। সবার সার্কেলে বসার পর রনি বাইরে দিয়ে একটা কাঠি দিয়ে মন্ত্র পরে দাগ কেটে সার্কেল করতে যায় আর তখন শিলা বাগড়া দেয়।
শিলাঃ আমরা তো সার্কেল করে বসেছি, এর মধ্যে আবার সার্কেল করার দরকার কি?
রনিঃ আমাদের পিছনে পিশাচ আর প্রেতাত্তারা লেগে আছে। যে কোন সময় আমাদের উপর আক্রমন হতে পারে। সেখান থেকে সেফ থাকার জন্যই এই ব্যাবস্থাএতে তোমার সামস্যা কোথায়?
শিলাঃ আমার এগুলা ভালো লাগে না। আমি বাইরে থাকবো। তোমরা যা খুশি করো।
তাহমিদঃ শিলা, এখন তুমি যেটা করছো সেটা বাড়াবাড়ি।
শিলাঃ আমার যা খুশি আমি তাই করবো তুই বলার কে?
তাহমিদ শিলার গালে অনেক জোরে একটা থাপ্পর দেয়। থাপ্পর দেওয়ার সাথে সাথে শিলার এমন ভাবে রাগান্বিত চোখে তাকায় যে শিলার চোখ দেখে ভয় পেয়ে যায় তাহমিদ।
তাহমিদঃ চলো ভিতরে।
শিলাঃ নাহ।
তাহমিদে জোর করে শিলাকে ভিতরে নেওয়ার জন্য, হাত ধরে টান দেয় কিন্তু শিলা আসে না। এর পর ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে শিলা সার্কেলের ভিতরে পরে যায়। সেন্স হারিয়ে ফেলে। ঝুম আর হিয়া দৌড়ে ওকে ধরতে যায়।
হিয়াঃ ও জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেছে।
তাহমিদ এসে শিলার মাথা ওর কোলে নিয়ে জ্ঞ্যান ফিরানোর চেষ্টা করে। কিছুখন পর জ্ঞ্যান ফিরে কিন্তু একদম দুর্বল আর কথাও বলতে পারছে না।
জয়ঃ শিয়ালের ডাক শুনতে পাচ্ছো?
মামুনঃ হ্যা, ধিরে ধিরে শব্দ বাড়ছে।
রনিঃ সবাই সার্কেলের ভিতরে এসে সার্কেল করো।
অর্নবঃ শিপনের আত্তাকে ডাকতে হবে। ওই এখন আমাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে।
রনিঃ দেরি না করে অর্নব মন্ত্র পরা শুরু কর।
অর্নব মন্ত্র পরা শুরু করে। অনেকখন মন্ত্র পরে কিন্তু শিপনের আত্তার কোন খোজ নেই। আর এর মধ্যে বাইরে দেখতে পায় আবার সেই প্রেতাত্তারা বিভিন্ন রুপে সার্কেলের থেকে কিছুটা দূরে থেকে ওদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
এজাজঃ সবাই শুনো। দুপুরকে কিভাবে হারিয়েছি মনে আছে তো তোমাদের। সেই ভুল আর করা যাবে না। সবাই সবার হাত আকরে ধরো।
মামুনঃ বেশি ভয় লাগলে চোখ বন্ধ করে থাকো, চাইলে ঘুমাতেও পারো। এইটুকু নিশ্চিত যে ওরা সার্কেলের ভিতরে আসতে পারবে না।
রনিঃ হুম। আজান দিলেই এই সব প্রেতাত্তারা সরে যাবে।
অদ্রীতাঃ হুম।
প্রায় সবাই চোখ বন্ধ করে থাকে। মাঝে মাঝে ছেলেগুলো চোখ খুলে চারদিকটা দেখার চেষ্টা করে যে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে কিনা।
ফজরের আজান দেয়। প্রেতাত্তা পিশাচরা সব সরে যায়। এর পর ওরা সার্কেলের ভিতর থেকে বের হয়। সব গুছিয়ে মাইক্রোতে গিয়ে বসে। গাড়ি ছেড়ে ছুটতে থাকে। গাড়ির ভিতরে হৃদয় ছাড়া মোটামুটি সবাই ঘুম দেয়। ৯টার দিকে একটা গ্রাম পরে, গ্রামের বাজারে গিয়ে গাড়ি থামায় হৃদয়। সবাইকে ডেকে তুলে। গ্রামের একেক বাসায় দুইজন তিন করে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আবার সবাই মাইক্রোর কাছে ফিরে আসে। তারপর একটা হোটেলে গিয়ে বসে। সবাই হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে। আবার গাড়িতে ফিরে আসে। এবার অর্নব গাড়ী চালানো শুরু করে। হৃদয়ের কিছুখন ঘুম দরকার। হৃদয় ঘুম দেয়।
এর মাঝে শিলা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
শিলাঃ আমাকে তোমরা পেলে কোথায়?
ঝুমঃ কোথায় পেলাম মানে?
শিলাঃ আমাকে তো আমার বাসায় নওমি
তাহমিদঃ নওমী মানে ?
শিলাঃ আচ্ছা বলছি, তার আগে বলো আমি এখানে কিভাবে এসেছি?
অধরাঃ আমরা গাড়িতে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, হটাত তুমি হেটে আসলে, বসলে গাড়িতে। তারপর এখানে আসলাম।কেন তুমি কিছুই জানো না এমন ভাব ধরছো কেনো?
শিলাঃ আমি সত্যিই কিছু জানিনা।
হিয়াঃ ভাবি প্লিজ। তুমি গতকাল যে বিহ্যাব করছো সেটা ...............
তাহমিদঃ আচ্ছা আগে শুনি শিলা কি বলছে।
শিলাঃ সেদিন রাতে আমার ভয় লাগছিলো। ঘুমাতে পারছিলাম না। বারান্দায় বসেছিলাম। তাহমিদকে অনেকবার ফোন দিচ্ছিলাম কিন্তু ও ফোন ধরছিলো না।
তাহমিদঃ হ্যা আমাকে ও ফোন দিয়েছিলো। আমি ঘুমে ছিলাম
শিলাঃ এরপর রুমে ফিরি। দেখি রুমের ভিতর তাহমিদ। ও আমাকে এসে জরিয়ে ধরে।
তাহমিদঃ মিথ্যে বলছো কেনো? আমি তোমার বাসায় গেলাম কখন?
শিলাঃ প্লিজ আমাকে শেষ করতে দাও।
তাহমিদঃ আচ্ছা বলো।
শিলাঃ তাহমিদ আমার সাথে রোমান্স করতে চায়। হটাত আয়নায় খেয়াল করলাম ঐটা তাহমিদ না, নওমি। আমাকে জোর করে চুমু খেলো। তারপর থেকে আর কিছু জানিনা।
রনিঃ কি আমি আগেই বলেছিলাম না যে এর আগের শিলা আর বর্তমান শিলার বিহ্যাভ এক না, আমার সন্দেহ হচ্ছে।
এজাজঃ আর এর জন্যই ও সার্কেলের ভিতরে ঢুকতে চাচ্ছিলো না। যাক থাপ্পর আর ধাক্কার দেওয়ায় ভালোই হয়েছে।
হিয়াঃ শিলাভাবির গালে এখনো আঙ্গুলের ছাপ রয়ে গেছে। ইশ। তাহমিদ ভাইয়া ভাবিকে একটু আদর করে দাও।
তাহমিদ সকলের সামনে শিলার গালে চুমু খায়।
শিলাঃ (অসভ্য ছেলে)
সবাই হেসে দেয়।
ঝুমঃ আচ্ছা এসি টা বন্ধ করে জানালা গুলো একটু খেলে দে না। একটূ প্রকৃতির নির্মল বাতাস নেই।
অদ্রীতাঃ ঠিক বলেছিস।
জানালা খুলে দেয়। হৃদয়ের ঘুম ভেংগে যায়। সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হয়।
ঝুমঃ খুব ভালো লাগছে তাই না?
হৃদয়ঃ হুম। আলো থাকলে এখন একটা গান গাইলে আরো ভালো লাগতো।
অধরাঃ বেচারা আছে তার আলোকে নিয়ে পরে।
ঝুমঃ তুই গান ধর।
অর্নবঃ (ড্রাইভিং করতে করতে) ভুলেও তুই গান ধরবি না। তোর বেসুরো গলার গুন শুনে নিশ্চিন আমি এক্সিডেন্ট করবো। সো প্লিজ গান গাওয়ার চিন্তা ভাবনা বাদ দে প্লিজ তুই।
হৃদয়ঃ অপমান করলি।
জয় গান ধরে। ভালোই গাচ্ছিলো। হটাত গান থামিয়ে দেয়।
শ্রেয়াসঃ কিরে জয় গান থামালি কেন?
জয়ঃ আমি শিপন।
মামুনঃ শিপনের আত্তা?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ হ্যা
মামুনঃ এতোদিন পর? কাল তোমাকে প্ল্যান চ্যাট করে কত ডাকলাম কিন্তু কোন খোজই পেলাম না।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ তোমাদের চারপাশে প্রেতাত্তারা ছিলো তাই আসতে পারিনি।
নাজমুলঃ এখন বলো আমরা কি করবো? আমাদের অবস্থা খুব খারাপ, গতকাল শিফাকে হারিয়েছি।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ হারাওনি। শিফা বেচে আছে।
হিয়াঃ শিফা বেচে আছে?
অধরাঃ কিভাবে? ওকে তো আমাদের সামনে।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ আমি ওকে বাচিয়েছি। পাশে এক গোরস্তান ছিলো, সেখানে একটা লাশ দাফন করতে এসেছিলো। আমি সিস্টেমে তাদের এই পথে দিয়ে নিয়ে আসি। পিশাচগুলো মানুষদের দেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। শিফার শরিরে অনেক জখম হয়েছিলো। কলিজাটা খেতে পারেনি। রক্ত ঝরেছিলো। এখন হসপিটালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সবাই ওর জন্য দোয়া করো।
রনিঃ আমরা এখন কি করবো?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ তোমাদের শিপন এখন কামরুপ কামাখ্যার দিকে যাচ্ছে। সো পাকিস্তানে না গিয়ে তোমরা সেখানে যাও। তাহলে তার দেখা পাবে।
হৃদয়ঃ কিভাবে যাবো?
জয়ঃ কামাখ্যা মন্দির হল ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত হিন্দু দেবী কামাখ্যার একটি মন্দির। পাহাড়ি অঞ্চল। আসামের গুয়াহাটি গিয়ে সেখানে গাড়ি রেখে পাহাড়ি জংগল পেরিয়ে সেই মন্দিরে যেতে হবে। হিন্দুদের পবিত্র মন্দির হলেও সেই মন্দির এখন অপদেবতাদের পুজারীদের বেদখলে রয়েছে। শুনেছি সেখান থেকেই নাকি কলংকপুরে যাওয়ার রাস্তা আছে। শিপনের সাথে যোগাযোগ করতে পারলেই সব ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।
ঝুমঃ ঐখানে গেলেই কি দাদা দেখা পাবো?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ হুম।
হিয়াঃ ঐ ব্যাটার কথা শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। দুপুর না মরে ওই বদ ব্যাটা মরলে ভালো হইতো।
ঝুমঃ হিয়া তুই আমার দাদাকে নিয়ে এই সব বলছিস কেন?
হিয়াঃ কেন বলছি সেটা তুই ভালো করে জানিস। আই যাস্ট হেট দিস ম্যান।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ হাহাহাহাহাহহা। ঝগড়া কইরো না। যাও তোমরা। আমি তোমাদের সাথেই আছি।
রনিঃ আর পিশাচরা আমাদের আর কোন ক্ষতি করবে না তো?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ বোকার মত প্রশ্ন। তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাচ্ছো আর তারা চাইবে না তোমাদের ক্ষতি করতে এটা কিভাবে? তোমাদের সাবধানে থাকতে হবে।
শিলাঃ আমরা কিভাবে সাবধানে থাকবো?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ রনি আর অর্নব তো সাথেই আছে। ওরা মন্ত্র ট্রন্ত জানে। ওদের কথা মত চলো। আর আমি ছায়া হয়ে সাথেই আছি। সাধ্যমত তোমাদের সেফ করে রাখার চেষ্টা করবো। এখন চলে যাচ্ছি।
এজাজঃ আবার দেখা হবে। বাই
শিপনের আত্তা চলে যায়। অর্নব গাড়ি হাকিয়ে চলতে থাকে।

অন্যদিকে শিপন আর ওয়ালী গুয়াহাটি চলে এসেছে। এখন জংগল আর পাহাড় পেরিয়ে যেতে হবে কামরুপ কামাখ্যা। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ব্যাগ থেকে টর্চ বের করে কিছুখন এক জায়গায় বসে বিশ্রাম নেয়, শুকনো কিছু খাবার ও খেয়ে নেয়। তারপর আবার হাটা দেয়। রাতে বড় একটা গাছের নিচে ছোট তাবু গাড়ে। সেখানের রাতের ঘুম এর ব্যাবস্থা করে সুয়ে পরে।

খুবই সরু আর পরিত্যাক্ত একটা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলছে হৃদয়দের গাড়ি। এখন হৃদয় ড্রাইভ করছে। মনে হয় না এই রাস্তায় গত কয়েকবছর কেউ এসেছে। রাত ১০টার বেশি বাজে। একটা খোলা জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে তাবু গাড়ে । আগেই রনি বড় করে মন্ত্র পরে একটা সার্কেল আকে। সেটার বাইরে ভোর হওয়ার আগে আর আজ কেউ বেরুবে না।
অর্নব আর মামুন রান্না করছে। তাহমিদ এজাজ আর শ্রেয়াসকে একটু দূরে নিয়ে কি জেনো বলে। শ্রেয়াস আবার ঝুম আর হিয়াকে কি জেনো বলে। তারপর ছেলে গ্রুপ আর মেয়ে গ্রুপ একটু আলাদা হয়ে কাজ করতে থাকে। শিলাকে রান্নার কাজ করতে দেওয়া হয়। তাহমিদ, হৃদয় আর অর্নব সার্কেল থেকে বের হয়ে গিয়ে গাড়িতে গিয়ে কি জেনো করে। ১১ঃ ৪০ এর দিকে শিলার রান্না করা শেষ হলে শিলা ওদের সবাইকে খেতে ডাকে। তাহমিদ, হৃদয় অর্নব ও চলে আসে। সবাই সার্কেল করে বসে। তাহমিদ শিলাকে একটু আলাদা ডাকে। সবার থেকে একটু সরে গিয়ে কথা বলে। কিছুখন পর তাহমিদ শিলার পিছনে গিয়ে চোখ ধরে ফেলে।
শিলাঃ কি হচ্ছে তাহমিদ এই সব।
তাহমিদঃ কিছু না।
শিলাঃ চোখ ছাড়ো।
তাহমিদঃ নাহ, সামনে চলো।
তাহমিদ শিলাকে নিয়ে সামনে আসে। সবাই নিশ্চুপ। ১১ঃ৫৯ থেকে ১২ঃ০০ হওয়ার সাথে সাথে তাহমিদ শিলার চোখ থেকে হাত সরিয়ে ফেলে আর সবাই চিৎকার করে বলে “ হ্যাপি বার্থডে শিলা, হ্যাপি বার্থডে” শিলা খুশিতে কেদে দেয়। তাহমিদ শিলাকে জরিয়ে ধরে। শিলার সামনে ছোট একটা কেক। সরি, হৃদয়ের আনা ড্রাই কেক গুলোকে কেটে আর নোসিলা আর জেলি দিয়ে খুব সুন্দর করে অর্নব আর তাহমিদ এই কেক আবিস্কার করে। আর শিলার রান্না করা খাবার গুলো সুন্দর মত পরিবেশন করে। হৃদয় ম্যাচের কাঠি আর গ্যাসলাইট দিয়ে কিভাবে জেনো বাজি বানায়, বাজি ফোটায়। শিলা কেক কাটে, সবাই একসাথে খাই দাই করে। খাইদাই শেষে গান বাজনা করতে করে ভোড় হয়ে যায়।


শুভ জন্মদিন শিলা। আমাদের শিলার আজ সত্যি সত্যি জন্মদিন। আমার এবং আমার ভূত গোয়েন্দা পরিবারের পক্ষ থেকে শিলার জন্য রইলো জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভকামনা, অভিনন্দন আর ভালোবাসা। সবাই শিলার জন্য দোয়া করবেন।


চলবে .......................................
আগামীকাল অথবা পরশু রাতে সপ্তম পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ

১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/923688387820451/?type=3&theater
২য় পর্ব ঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924105397778750/?type=3&theater
৩য় পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/924622764393680/?type=3&theater
৪র্থ পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/925607740961849/?type=3&theater
৫ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/926690850853538/?type=3&theater
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/927244740798149/?type=3&theater
৭ম পর্বঃ  https://www.facebook.com/arshipon15/photos/a.923688374487119/928334544022502/?type=3&theater

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .