#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ২য় (প্ল্যানচ্যাট)
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon
হৃদয়ঃ আমাকে এখানে ডাকা
হয়েছে কেনো?
তাহমিদঃ তোকে কে ডাকছে তুই
তো সেই সন্ধ্যা থেকেই আছিস।
অনুপঃ হৃদয় কি হইলো তোর?
হটাত এমন হয়ে গেলি কেনো?
হৃদয়ঃ আমি হৃদয় না।
তাহমিদঃ তাহলে কে?
হৃদয়ঃ তোরাই তো আমাকে
ডাকলি।
দুপুরঃ তারমানে তুমি আত্তা?
হৃদয়ঃ আত্তাকে ডেকে এনে
আবার জিজ্ঞেস করে তুমি কি আত্তা। শালার সব অমানুষ।
শিফাঃ এই হৃদুর বাচ্চা গালি
দিবি না।(উচু গলায়)
শিফার কথা শুনে হৃদয় চিৎকার
করে বলে চুপ। চিৎকারের সময় ওর চোখ আরো লাল হয়ে যায়, মুকের চামরা ফাটাফাটা হয়ে যায়।
দেখে ভয়ে মরে যাওয়ার মত অবস্থা সবার।
হিয়াঃ প্লিজ প্লিজ আপনি
আপনার এই রকম লুক দেখাবেন না প্লিজ। আমি সুগারের রোগী, মারা যাবো কিন্তু।
হৃদয়ঃ হাহাহাহাহাহাহা। তোরা
মনে হয় ভালো মানুষ। কিন্তু এই অতৃপ্ত আত্তা ডেকে কি করবি?
দুপুরঃ তোমার নাম কি?
হৃদয়ঃ আমি শিপন।
ঝুমঃ শিপন দাদা। দাদা তুমি
মরে গেছো? (কান্নার ইমোজি হবে)
শিপনের আত্তাঃ ধুর আমি কবে
আপনার দাদা হলাম। আমার কোন বোন নেই।
যারা ঃ আসলে আমরা একজন কে
কয়েকদিন হয় খুজে পাচ্ছি না। ভাবলাম কোথাও কোন এক্সিডেন্টে মারাটারা গেছে কিনা
যাচাই করি। তাই তার আত্তা ডাকা।
শিপনের আত্তাঃ ওহ। তার নাম
ও কি শিপন?
যারাঃ হুম। শিপন।
শিপনের আত্তাঃ কিভাবে মরছে?
আমার মত খুন হইছে নাকি?
অধরাঃ মারা গেছে কিনা
জানিনা।
দুপুরঃ আপনি খুন হয়েছেন?
কিভাবে?
শিপনের আত্তাঃ সেটা পরে বলা
যাবে আগে খুলে বলেন আমাকে ডেকেছেন কেনো?
হিয়াঃ শিপন ভাই কোথায় আছে
কেমন আছে সেটা জেনে আমাদের জানাতে পারবেন?
শিপনের আত্তাঃ পুরো নাম কি?
তাহমিদঃ মোঃ আসাদুর রহমান
শিপন।
শিপনের আত্তাঃ পিতার নাম কি
? আর করেটা কি?
এযাজঃ লুতফর রহমান। আর কাকা
লেখালেখি আর টুকটাক এনিমেশন গেমস এর কাজ করতো।
শিপনের আত্তাঃ এটা কি সেই
প্রেতাত্তা নাকি, যে সব আলতু ফালতু গল্প গল্প লিখতো?
ঝুমঃ আমার দাদা মোটেও ফালতু
গল্প লিখতো না। অনেক ভালো গল্প লিখতো।
শিপনের আত্তাঃ হাহাহাহাহাহা
সানিনতাও তাই বলতো। প্রেতাত্তার ছ্যাকা খাও কবিতা বেশি পছন্দ করতো।
অনুপঃ সানিনতা তোমার গফ
ছিলো?
শিপনের আত্তাঃ নাহ।
হিয়াঃ তো?
শিপনের আত্তাঃ বউ ছিলো।
যারাঃ আচ্ছা তুমি মরলে
কিভাবে? সানিনতা তোমাকে মেরে দিয়েছে?
শিপনের আত্তাঃ ধুর কি বলেন
এই সব? আলতু ফালতু কথা। আমি আর থাকবোই না।
যারাঃ সরি সরি সরি। আর এই
সব বলবো না। এখন প্লিজ শিপন ভাই এর খবর এনে দাও।
শিপনের আত্তাঃ আচ্ছা আমি
দেখি কিছু জানতে পারি কিনা। আমি ধ্যান করার সময় কেউ টু শব্দও করবে না।
দুপুরঃ ঠিক আছে।
হৃদয়ের শরীরে শিপনের আত্তা,
চোখ বন্ধ করে। সবাই নিশ্চুপ। মেয়েগুলো কিছুটা ভয় পাচ্ছে। শিফা এজাজের হাত শক্ত করে
ধরে। হিয়া দুপুরের পাশে এসে বসে। তাহমিদ, অর্নব, শ্রেয়াস সহ সবাই নিশ্চুপ, নির্বাক
হয়ে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
হটাত ঝড়ো হওয়া শুরু হয়। সব
কিছু কাপতে থাকে। ধুপ ধাপ পরে যাওয়ার শব্দ কিন্তু কিছু পরছে না। হৃদয়ের শরীরে
লালাভ আলোর মত জ্বলছে। ঝুম ভয় পেয়ে উঠে এসে মামুনের পাশে বসে ওর হাত ধরে। বসার সময়
মামুনের পাশে রাখা গ্লাসে ঝুমের পায়ে লেগে পরে যায় আর শব্দ হয়।
হৃদয় চোখ খুলে, কম্পন, ঝড়ো
হাওয়া সহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।
শিপনের আত্তাঃ শব্দ করলে
কেনো তোমরা? জানো দূর দর্শনে যেতে হলে কত কষ্ট করতে হয়? কত শারীরিক বা মানুষিক
কষ্ট সহ্য করতে হয়? আর তোমরা তামাশা করছো?
ঝুমঃ সরি, ভয় পেয়ে
গিয়েছিলাম।
শিপনের আত্তাঃ কিছু হইলেই
সরি। ব্যাস সাত খুন মাফ।
দুপুরঃ কিছু জানতে পারলেন?
শিপনের আত্তাঃ কিছুটা
পেরেছি। বেচে আছে, মরেনি।
আধরাঃ আলহামদুল্লিয়াহ।
শ্রেয়াসঃ এখন আছে কোথায়?
শিপনের আত্তাঃ কোন এক
জংগলের দিকে যাচ্ছে। সামনে তার কোন অশুভ লক্ষন আছে।
হিয়াঃ মানে কি? কোথায় গেছে
কেনো গেছে?
শিপনের আত্তাঃ সম্ভবত
পাকিস্তানের দিকে গিয়েছে, আর তার উদ্যেশ্য ভিন্ন।
যারাঃ কি উদ্যেশ্য?
শিপনের আত্তাঃ উদ্দ্যেশ্যটা
ঝাপসা তবে খুব ঝুকির পথে যাচ্ছে, মরতেও হতে পারে তাকে।
তাহমিদঃ প্লিজ আরেকবার একটু
ধ্যানে বসে দেখেন না যে কিছু করা যায় কিনা? আরো বিস্তারিত তথ্য আনা যায় কিনা।
শিপনের আত্তাঃ আমি কি পাগল?
এখন আবার ধ্যানে বসলে নিশ্চিত মারা যাবো।
শিফাঃ আপনি তো মারা গেছেনই,
আবার মারা গেলে কিছু হবে না।
শিপনের আত্তাঃ গাধী মেয়ে।
ভুতেরা কি মরে না?
শিফাঃ জানা নেই তো আমার।
শিপনের আত্তাঃ মানুষ মরে
গেলে ভূত হয় আর ভূত মরে গেলে প্রেতাত্তা হয় আর প্রেতাত্তা মরে গেলে পিশাচ হয়।
দুপুরঃ বলেন কি আপনি।
তারমানে আপনি এখন ভূত?
শিপনের আত্তাঃ নাহ। আমি
অতৃপ্ত আত্তা। আমার লাশটা এখনো সনাক্ত হয়নি। লাশ গুলো কেউ সনাক্ত না করে নিজ
ধর্মিয় অনুসারে বাকি কাজ সম্পাদন না করলে বা কোন ভাবে কেউ সেই লাশে খোজ না পেলে
সেটা অতৃপ্ত আত্তা হয়ে ঘুরে ফিরে। আর রেগে গেলে মানুষের উপর ক্ষতি করে।
যারাঃ রেগে যায় কেনো?
শিপনের আত্তাঃ অতৃপ্ত
আত্তাদের অনেক কষ্ট। থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই, সঙ্গী নেই। আলোতে আসা যায় না,
নিজের কোন রুপও নেই। অন্যের উপর ভর করতে হয়। এই যেমন এখন তোমাদের বন্ধুর উপর ভর
করে আছি। এ এক অভিশপ্ত জীবন।
দুপুরঃ তোমার এই অভিশপ্ত
জীবন থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই?
শিপনের আত্তাঃ হ্যা আছে।
তবে রাস্তাটা কঠিন। আমাকে সহ সানিনতাকে খুন করে সানিনতার এক ক্লাসমেট। সে সাইকো
টাইপের আর ত্রন্ত্র চর্চা করে। আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলে। আমাকে এক সিলেটের কোন এক
বাগানে পুতে রাখে। আর সানিনতাকে বলি দেয় কলংকপুরের মহাপ্রেত লিলিথের কাছে।
দুপুরঃ আরে কলংকপুর তো
শিপনের কল্পনার জগত।
শিপনের আত্তাঃ হ্যা, শিপনের
গল্পে পরেছিলাম। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে কলংকপুর সত্যিই ভুত আর প্রেতাত্তাদের রাজ্য
ছিলো। খুবই সুন্দর একটা রাজ্য। পৃথিবীর থেকেও সুন্দর ছিলো। ভুত-ভূতূরা সুখে
শান্তিতেই বাস করছিলো। কিন্তু হটাত পিশাচরা কিছু বদ প্রেতাত্তাদের নিয়ে কলংকপুর
দখল করে।
হিয়াঃ তারমানে শিপন ভাই এর
কলংকপুর সত্যি।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা শিপন ভাইতো
আবার সেখানে যায় নাই তো?
তাহমিদঃ আপনি কি আমাদের
সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন?
শিপনের আত্তাঃ আমি অতৃপ্ত
আত্তা। আমি পারবো না। আর ভুত হলেও পারবো না। সেখানে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু। মৃত্যু
হলেই প্রেতাত্তা। সে আরো বেশি অভিশপ্ত জীবন। অনেক খারাপ হয় ওরা।
মামুনঃ আমরা তোমাকে তোমার ঐ
বাগান থেকে তোমার লাশ সনাক্ত করবো। তোমার তোমার অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি দিবো।
শিপনের আত্তাঃ তোমরা পারবে
না। কারন সজল সেটা হতে দিবে না। ও জানে আমি যদি মুক্তি পাই তাহলে সানিনতার আত্তা
নিয়ে খেলা ওকে খেলতে দিবো না।
অর্নবঃ সজল টা কে? ও কি
চায়?
শিপনের আত্তাঃ সানিনতার
ক্লাসমেটই হলো সজল। ও সেই কলংকপুরের পিশাচদের প্রতিনিধি। ও বিভিন্ন সময়ে কালো রাত্রীতে
২১ বছর বয়সী তরুণীদের বলি দিয়ে লিলিথের মন রক্ষা করে অমরত্ব চায়।
আদ্রিতাঃ ভয়ংকর ঘটনা। তবে
টেনশন নিবেন না, আমরা আপনাকে উদ্ধার করবো।
দুপুরঃ আপনি কি আমাদের
সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন?
শিপনের আত্তাঃ অবশ্যই।
কিন্তু আমাকে আপনাকের যে কোন একজনের উপর ভর করে চলতে হবে।
দুপুরঃ কিন্তু
শিপনের আত্তাঃ একজনের উপর
বেশিখন থাকা যাবে না। অসুস্থ হয়ে যাবে।
যারাঃ তাহলে আমার ঘারে
আসুন। আমার ছোটবেলার সখ আমাকে ভূতে ধরবে।
যারার কথা শুনে সবাই হেসে
ফেলে। প্রথমে শিপনের আত্তার আগমনে সকলে ভয়ে মরি মরি অবস্থা হলেও এখন অনেকটা
স্বাভাবিক, অনেকটা বন্ধুত্ব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অতৃপ্ত আত্তারা চাইলেই যে কারো
উপর ভর করতে পারে না। তুলারাশীর মানুষের উপরেই একমাত্র ভর করে। আর ভূত গোয়েন্দা
গ্রুপে মাত্র ৩জন আছে যাদের উপর শিপনের আত্তা ভর করতে পারবে। হৃদয়, তাহমিদ, মামুন।
তবে আরেকজন আছে। তার ফেসবুক নাম আমি ভয়ংকর
অতৃপ্ত আত্মা(নাজমুল)। তাকে ডাকতে হবে এই অভিযানে।
শিপনের আত্তা হৃদয়ের উপর
থেকে চলে যায়। হৃদয় জ্ঞ্যান হারিয়ে পরে যায়। বাতাস করে, মুখে পানি ছিটিয়ে তার
জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনা হয়। হালকা ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়, এরপর আর কিছু মনে নেই হৃদয়ের।
সবাই মিলে হৃদয়ের সাথে সব কথা শেয়ার করে। হৃদয় বিশ্বাসই করতে পারছিলো, তবে হৃদয়ের
সাথে ইতি পূর্বে এমন ঘটনা ঘটেছিলো তাই মেনে নিলো।
শিপনের আত্তা যাওয়ার আগে
সিলেটের সেই চা বাগানের ঠিকানা দিয়ে গেছে। আর বলে গেছে সেখানে তারা যাওয়ার পর সে
আবার আসবে।
দুপুরঃ আজ সারাদিন ঘুমাই।
তারপর যে যার বাসাই যাই। বাসায় সব গুছিয়ে আগামীকাল রাতে কলাবাগান ১০টায় সবাই চলে
আসবে। সেখান থেকে রাতে সিলেটের উদ্যেশ্যে রওনা দিবো।
যারাঃ আমাকে বাসা থেকে
এতোদূর যেতে দিবে কিনা সেটা এখনো বলতে পারছি না।
হিয়াঃ দুপুর তুমি একটু
প্লিজ আমার আম্মুকে বলে দিয়ো। তুমি বললে হয়তো যেতে দিবে।
ঝুমঃ ভালোই হবে। আমাকে
দেখতে আসবে। এখন আমার বিয়ে করার ইচ্ছে টিচ্ছে নাই। বাড়িতে না বলেই চলে আসবো, মানে
পালিয়ে যাবো। সবাই আমাকে নিয়ে কত টেনশন করবে। আহ ভাবতেই কি ভালো লাগছে।
মামুনঃ হ্যা পালিয়ে যাও।
চাইলে আমিই তোমাকে নিয়ে.....................
ঝুমঃ চুপ, একদম চুপ বদ
পোলা।
শিফাঃ ঝুম তুই সব সময়
মামুনের সাথে এমন করিস কেন রে? আহ আমাকে যদি এজাজ এভাবে বলতো তাহলে
এজাজঃ তাহলে কি?
শিফাঃ পাখির মত উড়াল দিতাম।
অর্নবঃ আমার অরন্তির কাছ
থেকে অনুমতি নিতে হবে।
হিয়াঃ অনুমতি? ও কি তোর গফ
নাকি অভিভাবক?
অর্নবঃ এমন করে বলিস কেন?
আসলে ও আমাকে অনেক ভালোবাসে, আমাকে নিয়ে টেনশনে থাকে।
আদ্রিতাঃ মোটেও না। ও তোকে
সন্দেহ করে, কারন তুই মেয়ে দেখলেই লুতুপুতু করিস।
দুপুরঃ ভাই তোরা থাম। এখন
ঘুমা।
সবাই একরুমের নিজেদের মত
করে সুয়ে পরে। ঘুম ভাংগে দুপুর ২টার কিছু পরে। এরপর যার যার বাসায় চলে যায়। যে যার
মত পরিবারকে ম্যানেজ করে ব্যাগ গুছিয়ে পরেরদিন রাত ৯টার মধ্যে। এক এক করে যারা,
হিয়া, অদ্রিতা, অনুপ, তাহমিদ, ঝুম, মামুন, এজাজ, শিফা, হৃদয়, রনি, শ্রেয়াস, অর্নব,
নাজমুল, অধরা, দুপুর সবাই চলে আসে। লন্ডন এক্সপ্রেসে রাত ১০ঃ৩৫ এ রওনা দেয়। অনেকটা
পিকনিক আমেজ। পুরো বাস হৈহুল্লোর করে মাতিয়ে রাখে। রাত ২টার সময় সবাই প্রায় ক্লান
হয়ে ঘুমিয়ে পরে। যারার ঘুম আসছিলো না। পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলো।
জোসনা রাত। দুরের খোলা মাঠ আবছা আবছা দেখতে ভালোই লাগছে। হটাত যারা খেয়াল করে একটা
কালো বিড়াল বাসের সাথে গতি মিল রেখে দোড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আর যারা দিকে তাকিয়ে আছে।
যারা ভয়ে চিৎকার করে উঠে।
যারার চিতাকারে যারার পাশের
সিটে বসা আদ্রিতার ঘুম ভেংগে যায়।
আদ্রিতাঃ কিরে কি হয়েছে?
যারাঃ ভূভূভূভূত।
আদ্রিতাঃ বাসে ভূত আসবে
কোথায় থেকে?
যারাঃ বাইরে তাকিয়ে দেখ
আদ্রিতা জানালা দিয়ে বাইরে
তাকায়। দেখে কোথাও কিছু নেই।
আদ্রিতাঃ কই কিছুতো নেই।
যারাঃ একটা বিড়াল বাসের
সাথে দৌড়ে আসছিলো। আমার দিকে রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে ছিলো।
আদ্রিতাঃ ধুর পাগলি। তোর
কল্পনা। পর্দা ফেলে দিয়ে ঘুম দে তো।
আদ্রিতার কথা মত পর্দা ফেলে
দিয়ে চোখ বুজে কিছুখন পর ঘুমিয়ে পরে যারা।
বাসের প্রায় সবাই কম্বলমূড়ি
দিয়ে ঘুম, লাইট বন্ধ। ড্রাইভার নিশ্চুপে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটা একদম ফাকা।
মাঝে মাঝে দুই একটা গাড়ী দেখা যাচ্ছে এছাড়া পুরো রাস্তায় এই একটি মাত্রই গাড়ি।
সবাই গভীর ঘুমে। ড্রাইভারের
হটাত খেয়াল করে তার বাসের সামনে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটিকে বাচাতে
হার্ডব্রেক করে। ব্রেকের ধাক্কায় সবাই প্রায় পরে যায়। চিৎকার করে ড্রাইভারকে
গালিগালাজ করে।
ড্রাইভারঃ ভাই হটাত সামনে
একটা লোক পরে, তাকে বাচাতেই ব্রেক করি গাড়ি। একটু নিচে নেমে দেখেন না যে লোকটার
কিছু হইলো নাকি।
দুইজন লোক নিচে নামে।
চারপাশ ঘুরে দেখে। কিন্তু কোথাও কাউকে পায় না।
ড্রাইভারঃ কিন্তু আমি
স্পষ্ট দেখেছি। দেখেই ব্রেক মারি।
দুপুরঃ হয়তো মনের ভূল। আপনি
নিচে নেমে পানি দিয়ে একটু মুখ ধুয়ে নিন।
ড্রাইভার পানির বোতল নিয়ে
নিচে নামে। বাকি সবাই বাসের ভিতরে। কিছুক্ষন পর ড্রাইভারের চিৎকারের শব্দ। হুরমুর
করে বাসের সবাই নিচে নেমে দেখে ড্রাইভার নিচে পরে আছে। সম্ভবত জ্ঞ্যান হারিয়ে
ফেলেছে।
চলবে
.......................................
আগামীকাল অথবা পরশু রাতে
তৃতীয় পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য
ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন
যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you for your participation .