রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা (৭ম পর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ৭ম-সপ্তম(#পিশাচীনি_নওমী)
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon

রাত দুইটা শিলা বারান্দায় বসে আছে। কোন কারনে হয়তো মন খারাপ। নাহ মন খারাপ না, একটু ভয় লাগছে। সে আসলে একটু ভিতু কিন্তু এতোগুলো মানুষের সামনে নিজেকে ভীতু হিসেবে জাহির করে নিজেকে ছোট করতে চায়নি, তাই তাদের সাথে যাবে বলে ফেলেছে।
আগে সে ভূত প্রেত বিশ্বাস করতো না। এখন সে করে, প্ল্যান চ্যাটের পরে থেকে করে এবং তাহমিদের কাছে সিলেটের ঘটনা গুলো প্রথম দিকে মিথ্যে বানোয়াট মনে হলেও এখন বিশ্বাস করে। আর তাই তার ভয়টা একটু বেশিই লাগছে। দুপুরের লাশটি কি বীভৎস ছিলো সেই কথা কোন ভাবেই ভূলতে পারছে। সে মনে মনে বলছে এবার মনে হয় আমার প্রানটা ভূতের হাতেই দিতে হবে। শিলা তাহমিদকে ফোন দেয়। বার বার কল করেও তাহমিদের পাত্তা পাওয়া যায় না। হয়তো ঘুমাচ্ছে। ওর যেই ঘুম। ঘুমালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমার শব্দেও ওর ঘুম ভাঙ্গে না।
শিলা বিরক্ত হয়ে মনে মনে তাহমিদ কে গন্ডার বলে বারান্দা থেকে রুমের ভিতরে আসে। ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যায়।
শিলাঃ তাহমিদ তুমি? তুমি এখানে কেনো? আব্বু আম্মু দেখছে তোমাকে?
তাহমিদঃ নাহ কেউ দেখেনি। লুকিয়ে এসেছি।
শিলাঃ ছিঃ কেউ দেখে ফেললে মান ইজ্জত সব শেষ হয়ে যাবে আমার।
তাহমিদঃ তুমি আমার বিয়ে করা বউ। আমি আমার বউ এর ঘরে যখন খুশি তখন আসতে পারি।
শিলাঃ নাহ পারো না। আমাদের কাবিন হয়েছে কিন্তু এখনো আমি তোমার বাড়িতি উঠিনি। সো কেউ এভাবে দেখে ফেললে
শিলার কথা শেষ হওয়ার আগেই তাহমিদ শিলাকে জরিয়ে ধরে। প্রথমে শিলা একটু অস্বস্তিবোধ করলেও ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেয়ে নিজেকে সপে দেয়।
শিলা তাহমিদের বুকে থেকে মাথা উঠিয়ে তাহমিদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। তাহমিদ ওর ঠোটে চুমু দিতে চায় কিন্তু শিলা তাহমিদকে থামিয়ে দেয়।
শিলাঃ তোমার নিজের বাড়িতে না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত দুষ্টোমি করবে না কথা দিয়েছিলে, কিন্তু এখন এমন করছো কেনো?
তাহমিদঃ প্লিজ একবার
শিলাঃ নাহ।
তাহমিদ শিলাকে কোলে তুলে পাশে সরিয়ে নিয়ে জোর করে চুমু দিতে চায়। তখন তাহমিদের পিছনে থাকা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দেখতে পায় একটা মেয়ে তাকে কোলে নিয়ে আছে। শিলা এক ঝাটকায় তাহমিদ এর কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনে।
শিলাঃ তুমি কে?
তাহমিদঃ আমি কে মানে ? আমি তোমার জামাই
শিলাঃ তুমি তাহমিদ না। তুমি নওমী। ভূত গোয়েন্দা গ্রুপে ছিলে তুমি, আমি দেখেছি তোমাকে। সুইসাইড করে আত্তহত্যা কর। আর এখন তুমি পিশাচিনি।
তাহমিদ(ছদ্মবেশে)ঃ কি বলছো তুমি? আমি জলজ্যান্ত একজন পুরুষ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, আর তুমি বলছো কি নওমি না ফওমি।
শিলাঃ তুমি তোমার পিছনে দিরে দেখো । আয়নায় তোমার আসল রুপ দেখা যাচ্ছে।
তাহমিদ(ছদ্মবেশে)পিছনে ফিরে আয়নার দিকে তাকায়। আয়নায় তার সত্যিকারের রুপ দেখা যাচ্ছে। সাদা একটা ত্রিপিস(আর্জেন্টিনার সমর্থকরা দয়া করে মনে করবেন না যে আপনাদের ব্যাজ্ঞ করছি ত্রিপিস বলে) , সাদা ওরনা, রক্তাক্ত চোখ, বড় বড় আঙ্গুলের নখ, খোলা চুল, শ্যামলা ফ্যাকাসে মুখ, মুখে ব্লেড দিয়ে কাটলে যেমন দাগ হয় তেমন দাগ।
নওমী কিছুখন আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর খিক খিক খিক খিক করে তার কুৎসিত হাসী শুরু করে। হাসির শব্দের সাথে সাথে মৃদ বাতাস তার বেগ বাড়াতে থাকে। সেই বাতাসে #পিশাচীনি_নওমী এর চুল উড়তে থাকে। নওমী আবার শিলার দিকে পিছন ফিরে চায়। শিলা জোরে খুব জোরে চিৎকার করার চেষ্টা করে, কিন্তু মুখ দিয়ে তার কোন শব্দই জেন বের হচ্ছে না।
নওমীঃ আমার কলংকপুর ধংশ করতে চাস তোরা তাই না?
শিলাঃ কলংকপুর শিপন ভাই এর।
নওমীঃ হাহাহহাহাহাহাহা। কলংকপূর পিশাচ, পিশাচীনি আর প্রেতাত্তা দের। শিপন তো মাত্র এক পুচকে লেখক।
শিলাঃ আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে মারতে চাচ্ছো কেনো? আমি তো ওদের সাথে নেই।
নওমীঃ (কুৎসিত হাসী) আমি তোকে মারবো না। তোর শরীরে ভর করে ওদের কাছে যাবো ওদের এক এক করে সব খুন করবো আমি।
শিলাঃ আমি মরে গেলেও তা হতে দিবো না।
নওমী শিলার কাছে আসতে থাকে। শিলা দৌড় দিয়ে বারান্দায় যায়। বারান্দা থেকে ঝাপ দিয়ে নিচে পরতে যাবে তখন নওমি ওকে ধরে ফেলে। উপরে নিয়ে এসে জোর করে শিলার ঠোটে চুমু দেয়। শিলা জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে। তারপর নওমীর আত্তা শীলার দেহে প্রবেশ করে।

শিপন আর ওয়ালী পাকিস্থান আর ইন্ডিয়ার বর্ডারে। অনেক রিস্কি একটা জায়গা। যেকোন মুহুর্তে এই দুদেশের যে কোন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে প্রান হারানোর একটা ভয় আছে। ভয় কি? পসিবিলিটি ৯৯%। কিন্তু ঐ যে ১%, সেই ১% এর সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একটা জায়গায় লুকিয়ে ছিলো। মধ্য রাতের আপেক্ষা।
রাত প্রায় ২টা। হটাত দেখতে পায় ৫/৭ জনের একটা দল একদম বর্ডারের কাছে আসে। তারপর একটা জায়গায় কিছুক্ষন বালি সরিয়ে একটা সুরজ্ঞ পথ বের করে। ৫ জন সেই সুরজ্ঞের ভিতরে ঢুকে যায়। সেই পথ দিয়ে বর্ডারের ঐপারে গিয়ে উঠে। ঐপার থেকে হাতের ইশারা দিলে এ পার থেকে বালি দিয়ে পথ টা ঢেকে দিয়ে দুজন চলে যায়।
শিপনঃ ওয়ালি
ওয়ালিঃ জ্বি ভাইয়া
শিপনঃ কি করতে হবে কিছু বুঝতে পারলে?
ওয়ালিঃ ঐ পথ দিয়েই তো আমাদের যেতে হবে তাই তো?
শিপনঃ হুম। এখনি যেতে হবে। কারন ওরা এসময়ে গেছে তার মানে এর আসেপাশে এখন কোন রক্ষি নেই।
ওয়ালিঃ ভাই তাহলে তারাতারি চলেন প্লিজ।
শিপনঃ চল।
শিপন আর ওয়ালী সুড়ঙ্গ পথে দিয়ে বর্ডার ক্রস করে ভারতে চলে আসে। এখানে এসে কিছুখন দৌড়ে সিমান্ত এলাকা থেকে একটু দুরে এসে নির্জন এলাকায় এসে পাঞ্জাবী খুলে নরমাল শার্ট প্যান্ট পরে নেয়। তারপর রওনা দেয় আবার। ভোর হতে হতেই শহরে চলে আসে। ওয়ালি কি দিয়ে একটা হোটেলে রুম নেয়। ফ্রেস আর বিশ্রামের প্রয়োজন।
ওয়ালিঃ ভাই রুম নিয়েছি, চলেন।
শিপনঃ কোন সমস্যা হয় নাই তো ?
ওয়ালীঃ নাহ।
শিপনঃ তোমাকে আর একটা কাজ করতে হবে ।
ওয়ালীঃ কি ভাই?
শিপনঃ এখানেও একটা সিম কিনবে, তারপর টাকা ভরে নেট ব্রাউজ করে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পাহারের গুগল ম্যাপ দেখে স্ক্রিন শট ও ম্যাপ দেখে যেতে হবে। কিভাবে কি করে যেতে হবে সেগুলা আরো ভালো করে জানতে হবে।
ওয়ালীঃ কেন ভাই তোমার মোমিনার দেওয়া বইতে নাই?
শিপনঃ হাহাহাহা আছে। তবে বইটা ৩০০ বছর আগের। সেই ম্যাপ মত নীলাচল পাহাড়ে যেতে চাইলে আমি বুড়ো হয়ে যাবো বুঝছিস?
ওয়ালীঃ ঠিক আছে সব হবে। আগে রুমে চলো। অবস্থা খারাপ আমার, আগে টয়লেটে যেতে হবে।
ওরা হোটেল রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়। সামান্য রেস্ট নিয়ে বাইরে আসে নাস্তা করতে, নাস্তা শেষে ওয়ালি তার পাসপোর্ট দিয়ে সিম কিনে আবার হোটেলে ফিরে। তারপর ঘুম।

এদিকে ভোরেই ঢাকার ভূত গোয়েন্দারা প্রায় সবাই চলে এসেছে ধানমন্ডী। ৩২ এর সামনে হৃদয় একটি হায়েস গাড়ী নিয়ে এসেছে।
সবাই চলে এসেছে গাড়ীতেও উঠেছে। গাড়ি ছারবে আর তখন তাহমিদ বলে
তাহমিদঃ এই গাড়ী ছাড়ছিস কেনো? শিলা আসবে তো।
ঝুমঃ শিলা টা কে?
অর্নবঃ ভূলে গেছিস? তাহমিদের বউ।
ঝুমঃ ওহ হ্যা। ভূলে গিয়েছিলাম । তো ফোন দাও কোথায় আছে
তাহমিদঃ ফোন তো দিচ্ছি। ধরছে না। রাতে ও বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছিলো আমি ধরিনি। আবার রাগ করে বসে আছে কিনা কে জানে।
হৃদয়ঃ মামা টেনশন নিয়ো না। রাগ ভাংগানোর ব্যাবস্থা করতেছি। চলো ওর বাসায় যাই।
তাহমিদঃ সেটা করলে খারাপ হয় না।
যারাঃ থাক আর যেতে হবে না। আপনার শিলা ঐযে আসছে।
তাহমিদঃ যাক বাবা বাচা গেলো।
জয়ঃ ও কি আমাদের সাথে যাবে না?
রনিঃ কোন ব্যাগ নিয়ে আসে নাই। মনে হয় যাবে না।
শিলা গাড়ির দরজার কাছে চলে আসে। শ্রেয়াস দরজা খুলে দিয়ে
শ্রেয়াসঃ ভাবি কেমন আছেন?
শিলা কোন জবাব না দিয়ে ভিতরে গিয়ে অদ্রিতার পাসে গিয়ে বসে।
অদ্রিতাঃ ভাবি তুমি কি অসুস্থ?
শিলাঃ নাহ।
তাহমিদঃ বাবু তুমি এখানে এসে বসো। আমার পাশে।
শিলা কোন জবাব দেয় না।
এজাজঃ ভাবির এখন মুড অফ, তাহমিদ ভাবি তোর পাশে পরে বসবেনে।
অনুপ্পঃ ভাই এখন আমরা যাই প্লিজ। হৃদয় শুরু কর।
হৃদয়ঃ কোন দিক দিয়ে যাবো?
রনিঃ গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড। সোনারগাও এর উদ্যেশ্যে চলো।
হৃদয় গাড়ী ছাড়ে। গাড়ী ছুটে চলে সোনারগাও এর উদ্যেশ্যে। মাঝে মাঝে রাস্তায় থেমে হালকা নাস্তা , চা সিগারেট যে যেটা ।
অনেক কষ্টে তাহমিদ আর শিলাকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। তাহমিদ শিলার হাত ধরে। শিলা রেগে যায়।
তাহমিদঃ কি হয়েছে তোমার? আর এমন দেখাচ্ছে কেনো?
শিলাঃ আমি এমনি।
তাহমিদঃ তুমি এমন মানে? এইরকম অগোছালো শিলাকে কখনো আমি দেখিনি।
শিফাঃ এই তোরা ঝগড়া থামা। আমরা তো সোনারগা চলে আসছি। এখন?
রনি সামনের বা পাশে গ্রান্ড ট্রাংক রোড। ঐ রোডে এগুতে থাক।
শিফাঃ খুদা লাগছে।
হৃদয়ঃ টেনশেন নিস না। গাড়ীর উপরে চুলা, গ্যাস, চাল, তেল, তাবু সহ সব ব্যাবস্থা আছে। সন্ধ্যার পর কোথাও তাবু গেরে রাতে ঐখানে থাকবো। রান্না হবে আড্ডা হবে।
ঝুমঃ ওয়াও, পিকনিক পিকনিক আমেজ।
শিফাঃ আমার খুদা লাগছে।
এজাজঃ আমার ব্যাগে বিস্কিট আছে, কোন হাতীর বাচ্চার খুদা লাগলে নিয়ে খেতে পারে।
শিফা এজাজ এর কথা মাইন্ড করে। কেদে দেয়। সবাই মিলে ওর রাগ ভাঙ্গায়। এভাবে চলতে চলতে রাত ৮টা বেজে যায়। চিকন একটা রাস্তা ধরে চলছে। এখন কোথায় আছে ভালোমত সেটাও বলতে পারবে না।
গাড়ি থেকে নেমে সবাই রাস্তার পাশে একটা জায়গা ঠিক করে সেখানে তাবু গাড়ে। রান্নার ব্যাবস্থা করে। ফ্রিজিং করে মুরগী নিয়ে এসেছিলো সেটার বারবি কিউ হচ্ছে।
অদ্রিতাঃ তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রে হৃদয়। তুই এতো ক্কিছুর ব্যাবস্থা কখন করলি রে?
হৃদয়ঃ ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে ম্যাম। আই এম হৃদয়।
তাহমিদঃ শিলা তুমি খাবে না?
শিলা ঃ খুদা নেই।
তাহমিদঃ (রেগে গিয়ে) আচ্ছা খেও না। শুনো এতো রাগ ভালো না।
তাহমিদের কথা শুনে শিলা উঠে সেখান থেকে দূরে চলে যায়।
অদৃতাঃ আচ্ছা ভাবি কি কারনে এমন রাগ করছে তোর সাথে?
তাহমিদঃ জানিনা। ও কখনো এমন করে না। রাগ তো ২মিনিট এর বেশি থাকেই না। খুবই লক্ষি মেয়ে।
শিফাঃ মেয়েটা কত ভাগ্যবতি। কত ভালোবাসো মেয়েটাকে তুমি। আর আমি এমন এক গন্ডারকে ভালোবাসি যে কিনা সম\ব সময়
এজাজ উঠে গিয়ে শিফার গালে একটা থাপ্পর দেয়। আর বলে
এজাজঃ আমি গন্ডার?
শিফা কোন কথা না বলে সেখান থেকে চলে যায়। রাস্তা থেকে একটু দূরে গিয়ে একটা পাথরের উপর বসে কাদতে থাকে।
মামুনঃ এজাজ ভাই তুমি এটা কি করলে?
ঝুমঃ কাজটা তুমি মোটেই ঠিক করো নাই।
অনুপঃ মেয়েটা তোমাকে ভালোবাসে বলেই এমন করে।
সবাই মিলে এজাজ কে বুঝায়। আর অন্যদিকে সিপন আর ওয়ালী আসাম এর পথে। রাতে একটা হোটেলে উঠেছে।
শিপনঃ ওয়ালী তুই আমার জন্য মরতে পারবি?
ওয়ালীঃ ভাই সময় আসলেই দেখতে পারবে।
শিপনঃ আমরা যেই যাত্রায় যাচ্ছি তাতে কিন্তু মৃত্যু হতে পারে।
ওয়ালীঃ ভূতের রাজা শিপন থাকতে আমার কোন ভয় নাই।
শিপনঃ হাহাহাহাহা
ওয়ালীঃ ভাইয়া কলংকপুরে গিয়ে কি তুমি রাজকুমারী লাইলাকে বিয়ে করবে?
শিপনঃ হাহাহহাহাহাহা হুম। কেন? সমস্যা তোর?
ওয়ালীঃ আমাকে একটা পেত্নী ধরায় দিয়ো। সিংগেল আর কত দিন থাকবো?
শিপনঃ চুপ করে ঘুমা। সকালে উঠতে হবে। কালই কামারুপ কামাখ্যায় যাবো। আজ ভালো মত ঘুমিয়ে নে।
এরপর চুপ করে ঘুমিয়ে যায় শিপন আর ওয়ালি।

এজাজকে সবাই বুঝিয়ে শান্ত করে রাজি করায় যে শিফার রাহ ভাংগিয়ে ডেকে আনতে।
শ্রেয়াসঃ আচ্ছা শিফা ঐখানে বসা ছিলো, এখন নেই। কোথায় গেলো?
জয়ঃ ঐখানেই তো ছিলো। এজাজ দৌড় দিয়ে সামনে যায়। দেখে নেই। সবাই মিলে আশে পাশে খুজছে। এমন সময় হটাত একটা চিৎকার। আওয়াজ শুনে একটু ভিতরের দিকে দৌড় দিয়ে যায়। কাছে গিয়ে দেখে সাদা কাপর পড়া একটা পেত্নী শিফাকে মেরে ওর পেট থেকে নাড়ি ভূড়ি খাচ্ছে। এজাজ আরো দৌড়ে শিফার কাছে যেতে চাইলে কয়েকটা নেকড়ে এসে শিফার লাশ টেনে নিয়ে দৌড় দেয়। এজাজ ও দৌড় দেয়। এজাজের পিছনে রনি সহ সবাই। কিছুদুর যাওয়ার পর রনি এজাজ কে থামায়
রনিঃ শিফাও শেষ আমাদের মাঝ থেকে । এরা নেকড়ে বা শেয়াল না, এরা পিশাচ। আমাদের শিফাকে নিয়ে গেছে। এখন আমরা সবাই একসাথে না হয়ে আলাদা হলে আমাদের ও মরতে হবে।
বাকি সবাই চলে আসে। ঝুম, অনুপ, অদৃতা, সহ সবাই কাদছে। এমন সময় অনুপ
অনুপঃ শিলা কোথায়? শিলা ছাড়া এখানে সবাই আছি?
তাহমিদ অনুপ এর কথা শুনে সাথে সাথে দৌড় দেয়। সব জায়গায় খুজতে থাকে। গাড়ীর কাছে এসেও পায় না। সবাই একসাথে হয়ে আসে পাশে খুজছে। হটাত চোখ পরে পাশে একটা পুকুর ধারে বসে আছে শিলা। একা, একদম একা, কোন ভয় নেই তার। আর এখানে একটু আগে কি হয়েছে, শিফা কোথায় কিচ্ছু জানে না শিলা।

চলবে .......................................
আগামীকাল অথবা পরশু রাতে সপ্তম পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/923688387820451/…
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924105397778750/…
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924622764393680/…
৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/925607740961849/…
৫ম পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/926690850853538/…
৬ষ্ঠ পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/927244740798149/…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .