রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা ( ৫ম পর্ব)




#রাজকুমারী_লাইলা

(ভৌতিক কল্পকাহিনী)

পর্বঃ ৫ম (পিশাচ বাড়ী)

লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon

সবাই এক এক করে নিচে নামে। নিচের নেমে জংগলের দিকে হাটতে থাকে। কিছুদুর যাওয়ার পর সামনে চোখে পরে জম্বি। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে, কি কুতিস চেহারা। সবাই উল্টো দিকে দৌড় দেয়।

জংগলের মধ্য দিয়ে সবাই দৌড়াচ্ছে। পিছনের দিকে তাহমিদ, হটাত মাটির নিচ থেকে একটা হাত তাহমিদের পা টেনে ধরে। তাহমিদ পরে যায়।

তাহমিদঃ বাচাও আমাকে। প্লিজ বাচাও।

দুপুর, রনি এসে মাটির নিচের হাত থেকে তাহমদিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সহজের পারছে না। হাতটি তাহমিদকে মাটির ভিতরের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। এজাজ সহ বাকি সবাই এসে তাহমিদকে টেনে ধরে। কিন্তু কেনো জেনো মনে হচ্ছে সকলের শক্তি ঐ একহাতের কাছে কিছুই না।

এজাজ তার পকেট থেকে ফায়ারবক্স বের করে আগুন জ্বালিয়ে ঐহাতের মধ্যে ধরে। হাতটি তাহমিদকে ছেরে মাটিতে ঢুকে যায়। সবাই উঠে আবার দৌড় দেয়।

জংগলের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে। ঝুম কিছু একটার সাথে পা বেজে পরে যায়। মামুন হাত বাড়িয়ে ঝুম কে উঠাচ্ছে আর ঐ সময় ঝুমের চিৎকার। ঝুম একটি লাশের সাথে পা বেজে পরে গিয়েছিলো। আর লাশটার বিদঘুটে অবস্থা। এক চোখ নাই, সেই চোখের অংশ দিয়ে রক্ত ঝরছে, মাথার উপরের অংশও নেই সেখান থেকে রক্ত ঝড়ছে। মামুন এক হাত দিয়ে ঝুমকে উঠানোর চেষ্টা করছিলো আর ঐ বিদঘুটে লাশটি ঝুমের আরেক হাত ধরে টান দেয়। বরাবরের মতই দলের বাকি সবাই চলে এসে ঝুমকে উদ্ধার করে।

হিয়াঃ আমি আর দৌড়াবো না। আর পারছি না।

শিফাঃ না দৌড়ালে মরতে হবে। এখান থেকে বের হতে হবে।

শ্রেয়াসঃ দৌড়াচ্ছিতো অনেকখন। কিন্তু কই কোথাও তো কুল কিনারা পাচ্ছি না।

অদ্রিতাঃ শ্রেয়াস ঠিক বলেছে।

এজাজঃ এখানে তো একটু পরপর বিপদ আসছে।

রনিঃ একটা কাজ করা যায়।

হৃদয়ঃ কি কাজ?

রনিঃ আমরা কালোযাদু জানিনা। কিন্তু কালোযাদু থেকে বাচার জন্য যে টুকু দরকার সেটুকু তো জানি।

দুপুরঃ হুম আমিও কিছুটা জানি।

অর্নবঃ আমিও কিছুটা শিখেছিলাম। কালোযাদুও কিছু জানি। সেটা করেই অরন্তিকে পটিয়েছে।

অধরাঃ পটাপটি থামা স্টুপিড। আচ্ছা রনি এখন কি করা যায়?

রনিঃ আমরা একটা সার্কেল আকি। আর ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত আমরা সেই সার্কেলের মধ্যে বসে থাকি।

সানিন্তাঃ এগুলাতে কি কাজ হবে? ওদের কালোযাদুর কাছে কি তোমার এই সার্কেল টিকবে?

দুপুরঃ অবশ্যই টিকবে।

রনিঃ তোমরা ভয় পেও না। এই মন্ত্রটা আমি ভালোই জানি। তোমরা সবাই হাত ধরে সার্কেল করে বসো। আমি সে সার্কেলের বাইরে একটা সার্কেল তৈরি করবো। তারপর মাঝখানে এসে আমি মন্ত্র শুরু করবো।

নাজমুল ঃ এখান থেকে কিছু শুকনো কাঠ জোগাড় করি। মাঝখানে জ্বালালে ওরা আমাদের কাছেই আসতে পারবে না।

রনিঃ দারুন আইডিয়া। এটা মাথায় আসেনি আমার।

দুপুরঃ আমি কাঠ জোগাড় করছি,

এজাজঃ তুমি একা না। আমিও আসছি।

হৃদয়ঃ আমিও।

দুপুরঃ আচ্ছা এখানেই পাওয়া যাবে সবাই মিলে খুজলেই হবে।

সবাই এদিক ওদিক খুজে বেশকিছু শুকনো কাঠ জোগাড় করে। তারপর অনেক কষ্টের পর সেই কাঠগুলোতে আগুন ধরায়। সবাই সার্কেল করে বসে। রনি সেই সার্কেলের বাইরে একটা কাঠ দিয়ে কি জেনো এক মন্ত্র পরে দাগ দিয়ে সার্কে আকে। এরপর সে ভিতরে এসে বসে।

মাঝখানে আগুন জ্বলছে। রনি আগুনের সামনে বসে। মন্ত্রপরা শুরু করে। কিছুখন পরেই চারদিক থেকে বিভিন্ন শব্দ আসা শুরু করে, বিভিন্ন চিৎকার। ওরা সবাই আসে পাশে ফিরে দেখে ওদের চারপাশে বিভিন্ন জীব যন্তু আর মানুশের মত দেখতে । অহ হ্যা জম্বি। সেই সাথে পিশাচ, প্রেতাত্তারা। মনে হচ্ছে পিশাচ রাজ্যের সব চলে এসেছে তাদের শিকারের উদ্যেশ্যে। কিন্তু রনির এই সার্ক্লের ভিতর ঢুকার চেষ্টা করেও পারছে না।

রনি মন্ত্র থামায়।

অধরাঃ থামলে কেনো?

রনিঃ কিছু কথা।

অদ্রিতাঃ বলো।

রনিঃ যত কিছুই আসুক কেউ ভয় পেয়ে উঠে যাবে না। ওরা এর ভিতরে আসতে পারবে না। আর আসলেও তোমাদের কপালে যতখন রক্তের দাগ আছে ততক্ষন ওরা আমাদের কোন ক্ষতিই করতে পারবে না।

সানিন্তাঃ তুমি মন্ত্র শুরু করো। দেখো কি ঝড়ো বাতাস শুরু হইছে।

রনিঃ হুম। যেটা বলেছি সেটা জেনো মনে থাকে।

রনি আবার মন্ত্র শুরু করে। মন্ত্রের সাথে সাথে বাড়তে থাকে ঝড়ো হাওয়া। আর পিশাচদের চিৎকার, আর্তনাদ, কাকুতি, হুংকার। পিশাচ, প্রেতাত্তারা বিভিন্নভাবে ওদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে । বিভিন্ন রুপে, বিভিন্ন ভাবে।

হিয়া এদের মধ্যে সবচেয়ে চিকন চাকন পাতলা করে। সে নিজের কন্ট্রোল রাখতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। আর সে চোখ মেলেও তাকাতেও ভয় পাচ্ছিলো। কারন যেভাবে পিশাচরা ভয় দেখাচ্ছে তাতে তার পক্ষে চোখ মেলা সম্ভব হচ্ছিলো না। কিন্তু বাতাসের জন্য আর না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে দুপুরের পাশে গিয়ে বসবে। চোখ খুলে। দুপুরকে খুজতে পাশে তাকায়, আর তাকিয়ে দেখতে পায় তারই দাদাকে কয়েকজন পিশাচ পেট কেটে নাড়িভূড়ি টেনে হিচরে খাচ্ছে। হিয়ার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হিয়ার দাদা, আর তাই এই দৃশ্য দেখার পরপরই সব কিছু ভূলে তার দাদাকে বাচানোর চেষ্টায় দৌর দেয়। কিন্তু যেই সে সার্কেলের বাইরে আসে তখনই তার ভূল ভেংগে যায়। তাকে ধোকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে কেউ নেই। পিশাচরা হিয়াকে তারা করে। হিয়া সার্কেলে ফিরে আসতে চাইলে পিছন থেকে একটা জম্বি তারা করে আর সে ফাক দিয়ে জংগলের দিকে দৌড় দেয়। দুপুর ও সার্কেল ভেংগে হিয়ার পিছনে দৌড় দেয়। কিছুদূর গিয়ে আর হিয়াকে দেখত পায় না। দুপুরকেও একটা পিশাচ পিছি নেয়।

এদিকে রনি সার্কেলের অন্য সনাইকে মানুষিক ভাবে শক্তি আর শান্ত করে

রনিঃ প্লিজ তোমরা কেউ সার্কেলের বাইরে যাবে না।

এজাজঃ কিন্তু ওদের কি হবে?

শিফাঃ পিশাচ আর প্রেতাত্তারা তো ওদের মেরে ফেলবে।

অর্নবঃ নাহ কিছুই হবে না। ওদের কপালে সেই মন্ত্র পরা রক্ত আছে।

রনিঃ অতিরিক্ত ভয় পেয়ে উল্টো পাল্টা কিছু না হলেই হয়।

তাহমিদঃ ওরা ঐখানে থাকবে আর আমরা এখানে ? এটা ঠিক না।

রনিঃ আমি ওদের সেভ করতে যাবো। তোমাদের এখানে সার্কেলে রেখে।

এজাজঃ আমিও যাবো তোমার সাথে।

রনিঃ নাহ প্লিজ। আমি অনেক কিছু জানি আমাকে ওরা কিছু করতে পারবে না। আর এছাড়া এখানে শিফা, ঝুম, অধরা, অদ্রিতা ওরা আছে ওদের সেভ করতে হবে । আমি একাই পারবো।

ঝুমঃ রনি তোর কিছু হয়ে গেলে?

রনিঃ কিছু হবে না।

অধরাঃ সাবধানে যেও।

রনি আরো কিছু মন্ত্র পরে সার্কেলের চারপাশে ঘুরে জংগলের দিকে দৌড় দেয় যেখানে হিয়া আর দুপুর যেদিকে গিয়েছে।

দুপুর কিছুদূর দৌড়ে পুকুর পাড়ের কাছে মোটা একটা বটগাছের নিচে আড়াল হয়। লুকিয়ে দেখছে সামনে কিছু জম্বি আর হায়েনারুপি কিছু পিশাচ এই দিকেই আসছে।

শিতল একটা হাত, ফ্রিজের বরফগলা ঠান্ডা একটা হাত পিছন থেকে দুপুরের কাধে হাত রাখে। দুপুর চমকে উঠে। তার হৃদপিন্ড ফ্রিজ হয়ে যায়, নিশ্চই সে পিশাচের হাতে পরেছে, জীবনটা তার এখানেই আজ শেষ। তার সকল স্বপ্নের শেষ এখানেই। সে সামান্য সাহস জমিয়ে পিছনে তাকায়।

পিছনে ফিরে স্বস্তি ফিরে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু পরক্ষনেই আবার রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায় প্রায়।

পিছন থেকে হিয়া তার বুকে জড়িয়ে ধরে।

হিয়াঃ প্লিজ আমাকে বাচাও। আমাকে বাচাও। ওরা মেরে ফেলবে আমাদের।

দুপুরঃ টেনশন কইরো না। আমি আছি।

হিয়াঃ কি করবে এখন ? চারপাশ দিয়েই তো ওরা।

দুপুরঃ দেখি কি করা যায়। এই টুকু মনে রেখো তোমার কিছু হওয়ার আগে আমার মৃত্যু হবে।

(হিয়া দুপুরের মুখ চেপে ধরে, তারপর দুপুরের বুকে নিজের মাথা বুজে দেয়)

হিয়াঃ আই লাভ ইউ।

দুপুরঃ আই লাভ ইউ টু

হিয়াঃ এখন কি করবে ?

দুপুরঃ সেটাই বুঝছি না।

হিয়াঃ একটা উপায় আছে।

দুপুরঃ কি?

হিয়াঃ এই পুকুরের ডুব দিয়ে লুকিয়ে থাকি।

দুপুরঃ পানিতে আর কতখন লুকিয়ে থাকতে পারবো?

হিয়াঃ ঐদিকে কুচুরিপানা আছে সেখানে লুকাবো।

দুপুরঃ আচ্ছা চলো।

দুপুর হিয়ার হাত ধরে পানিতে নামে।

দুপুরঃ ডুব দিয়ে ঐপাড়ে যেতে হবে। ঐপারে কুচুরিপানা।

হিয়াঃ তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে ডুব দিয়ে নিয়ে যাও। আমার ভয় লাগে।

ঠিক আছে।

দুপুর হিয়াকে জড়িয়ে ধরে, ঠোটে আলতো করে একটু চুমু দিয়ে ডুব দেয়।

ডুব দেওয়ার আগে হিয়ার একটা মুচকি হাসি। রহস্য মাখা একটা হাসি।

এক ডুবে গিয়ে ঐপাড়ে উঠে। হিয়া দুপুরের বুকে মাথা গুজে আছে।

দুপুরঃ হিয়া, আমরা এপাড়ে চলে এসেছি।

হিয়া মাথা উঠিয়ে তাকায় দুপুরের দিকে।

দুপুরঃ তুমি? নওমি তুমি এখানে ?

নওমিঃ হাহাহাহাহাহাহাহা। তোমরা মন্ত্র সাধনাও শিখে গেছো? ভেবেছো আমার হাত থেকে বেচে যাবে? সব মেরে ফেলবো তোদের।

দুপুরঃ তুমি হিয়ার রুপ নিয়ে আমাকে ধোকা দিয়ে আমাকে পানিতে ডুব দিয়িয়ে আমার কপালের রক্ত মুছে দিয়েছো?

নওমিঃ হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা। আমি কলংকপুরের মহাপিশাচিনি নওমী, আমি চাইলে সব পারি, সব করি।

দুপুরঃ কলংকপূর শিপনের, শিপন তার স্বপ্নের কলংকপুরকে মুক্ত করবেই।

নওমিঃ হাহাহাহাহাহা।

নওমির আংগুলের নখ গুলো নিমিষে বড় হয়ে উঠে। সেই নক গুলো দুপুরের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। দুপুর ধিরে ধিরে নিস্তেজ হয়ে যায়। তারপর ওকে উপরে উঠিয়ে এনে পেটে কেটে ভিতর থেকে কলিজা আর নাড়িভূড়ি খেয়ে ফেলে। ততক্ষনে। পিছন থেকে অন্যান্য পিশাচরাও চলে আসে।

হিয়া হাপাতে হাপাতে একটা গাছের পিছনে লুকিয়ে পরে। রনি পাশ দিয়েই যাচ্ছিলো, হিয়া রনিকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করে।

রনিঃ হিয়া ঠিক আছো?

হিয়াঃ হ্যা।

রনিঃ চলো ঐখানে চলো।

রনি হিয়াকে নিয়ে ফিরে আসে সার্কেলে।

ঝুম হিয়াকে জড়িয়ে ধরে।

ঝুমঃ হিয়া ঠিক আছো আপু?

হিয়াঃ হুম।

তাহমিদঃ দুপুর কোথায়?

রনিঃ সেটাইতো। ভূলেই গিয়েছিলাম। আচ্ছা আমি আবার যাচ্ছি।

এজাজঃ ভোড় তো হয়ে গেছে। আর পিশাচ প্রেতাত্তাদের ও দেখছি না।

অদ্রিতাঃ আজান দিচ্ছে।

রনিঃ হুম। এখন আর ভয় নেই। সবাই একসাথেই বের হতে পারি।

সবাই বের হয়ে খুজছে দুপুরকে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

৪টি দলে ভাগ হয়ে এখন খুজছে। পুকুরের ঐপার থেকে হটাত শ্রেয়াস এর চিৎকার। চিৎকার শুনে সবাই ঐপাশে গিয়ে থমকে যায়। তাহমিদ সেন্সলেন্স হয়ে পরে। এই দৃশ্য দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না। সবাই হাওমাও করে কেদে উঠে। তাদের সকলের সামনে তাদের ভূত গোয়েন্দার অন্যতম সদস্য দুপুরের ক্ষতবিক্ষত, কুৎসিত, ভয়ংকর লাশ।

লাশ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। জানাজা শেষে দোহারে দাফন করা হয় দুপুরকে।

তাহমিদ হসপিটালে ভর্তি। এখন সুস্থ হয়েছে। তাকে আজ সকলে দেখতে যাবে। সানিন্তাও এসেছে, সেও এখন সুস্থ। সেও তাদের গ্রুপের এখন একজন সদস্য। হসপিটালে তাহমিদ এর সাথে দেখা করতে এসেছে সবাই। হটাত একটা মেয়ে রুমে ঢুকে ব্যাগ দিয়ে তাহমিদকে মারতে থাকে। বাকিরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

শ্রেয়াস অবশেষে থামায় মেয়েটিকে।

তাহমিদঃ অর্ধমৃত মানুষকে কে এইভাবে মারে?

মেয়েটিঃ পুরো মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। আমি বলেছিলাম না আমি না জানিয়ে কোথাও যেতে না। আর ভূত গোয়েন্দা আর শিপনের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলছি না তোমাকে। কথা শুনো না কেন?

তাহমিদঃ এই এই থামো প্লিজ। এরা সবাই ভূত গোয়েন্দার।

মেয়েটি কিঞ্চিত লজ্জা পায়। হিজাব আর বোরখাতে ৫ ফিট ৪ইঞ্চি হাইটের মেয়েটিকে দেখতে অদ্ভুত সুন্দরই লাগছিলো। সাথে আবার চোখে চশমা। চশমা পরা মেয়েগুলান এমনিতেই কিউটের বস্তা হয়।

শিফাঃ তাহমিদ!(ব্যাংগ্যাত্বক ভাবে) কি ব্যাপার ? কে সে?

মামুনঃ আমাদের তাহমিদও তা তাইলে প্রেম করে।

তাহমিদঃ নাহ, প্রেম না।

হৃদয়ঃ তাহলে কি? প্রেম না হলে কেউ এইভাবে এসে মারে?

তাহমিদঃ সে আমার বউ। বিয়ে করা বউ। ওর নাম শিলা, তাহমিনা জাহান শিলা।

ঝুমঃ মানে ? তুমি বিয়ে করছো?

তাহমিদঃ ছোট থেকেই আমরা একজন আরেকজনকে পছন্দ করতাম। বাড়িতেও জানতো। তারপর আর কি

এজাজঃ কি আর? বিয়ে করিয়ে বউ এনে দেয়।

তাহমিদঃ নাহ। কাবিন হয়েছে। উঠিয়ে আনা হয়নি এখনো। সে অনেক ব্যাস্ত তাই আমাকে সময় দিতে পারে না। এই দেখো তোমরাই। আজ ৩দিন হসপিটালে অথচ তিনি আজ আসলেন। কারন সে অনেক ব্যাস্ত।

শিলাঃ তুমি জানো না শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন আমার টিউশনি থাকে। ঐদিন আমি কিভাবে সময় দিবো।

বাকিরা সবাই হেসে উঠে।

অধরাঃ তুমি টিউশনির জন্য নিজের জামাইকে দেখতে আসো নাই?

শিলাঃ সব সময় মায়ের কাছে খোজ নিয়েছি। আসবো কেনো? ও আমার কথা শুনে।

সবাই মিলে এরপর একটু আড্ডায় জমে উঠে। ভূলে যায় দুপুরের কথা। অবশ্য এটাই বাস্তবতা।

অন্যদিকে শিপন আর ওয়ালি আর শিপনের আত্তা।

শিপন এবং ওয়ালী সরু একটা রাস্তা ধরে হেটে ভারত পার হয়ে এখন পাকিস্তান সিমান্তে। উদ্যেশ্য দুইটা। মোমিনা আর তার থেকে সুত্র ধরে কলংকপুর। যদিও সে এখনো কলংকপূরের বর্তমান অবস্থা জানেনা। যাক আগামীকালই না হয়া জানা যাবে পরবর্তি ঘটনা। অপেক্ষায় থাকুন , সাথে থাকুন। মতামত কমেন্টস করে জানান।

চলবে .......................................

আগামীকাল অথবা পরশু রাতে ৬ষ্ঠ পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।

যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ

১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/923688387820451/…

২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924105397778750/…

৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924622764393680/…

৪র্থ পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/925607740961849/…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .