রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজকুমারী লাইলা ( ৪র্থ পর্ব)



#রাজকুমারী_লাইলা
(ভৌতিক কল্পকাহিনী)
পর্বঃ ৪র্থ (পিশাচ বাড়ী)
লেখা ঃ MD Asadur Rahman - Shipon

জয় (শিপনরের আত্তা) ঃ কি বলছো তুমি?
হৃদয়ঃ সত্যি বলছি। তবে ও বিপদে আছে
জয়ঃ কোথায় আছে সানিন্তা?
এজাজঃ মন্দিরের বা পাশের ঘরের ভিতর একটা সুরজ্ঞ পথ আছে। সেটার নিচে মেবি।
রনিঃ চলো যাই।
হিয়াঃ মামুন ভাইদের কোন খোজ আছে?
হৃদয়ঃ নাহ। তাদের কোন খোজ পাইনি।
তাহমিদঃ আগে সানিন্তাকে উদ্ধার করি।
ঝুমঃ কিন্তু কিভাবে?
জয়ঃ আমি জয়ের শরীর থেকে বের হয়ে দেখে আসি।
হিয়াঃ হুম। তুমি তো ভূত। অদৃশ্য হয়ে গিয়ে দেখে আসো।
জয় মাটিতে পরে যায়। অন্যরা ধরাধরি করে ওকে বসানোর চেষ্টা করে। জ্ঞ্যান ফিরে আসে।
জয়ঃ এখানে কেনো আমি?
অধরাঃ তুমিই তো এখানে আসছো।
জয়ঃ আমি এখানে কখন কিভাবে আসলাম?
অর্নবঃ অধরা মুটি থাম। জানিসই তো ও কিছু জানেনা। সুধু সধু ওকে প্যারা দিচ্ছিস কেন?
অধরাঃ মুটি বলিস কেন কুত্তা। আমি মুটি না, স্বাস্থবান আমি।
রনিঃ জয় তুমি আমাদের অফিসে গিয়েছিলে?
জয়ঃ হ্যা। শিপন ভাই এর খোজ খবর পাচ্ছিলাম না, তাই খুজতে গিয়েছিলাম।
রনিঃ ওহ। সেখান থেকে শিপনের আত্তা তোমার ঘারে ভড় করে। আর সে ই তোমাকে এখানে নিয়ে আসে।
জয়ঃ শিপন ভাই এর আত্তা ভর করে মানে? ভাই কি মরে ভূত হয়ে গেছে?
রনিঃ আরে নাহ আমাদের শিপন ভাই না। আচ্ছা তোমাকে সব খুলে বলছি।
রনি জয়কে সব খুলে বলে। প্রায় ভোর হয়ে যাচ্ছে। শিপনের আত্তা জয়ের শরীরে আবার ভর করে।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ তোমাদের সাহায্য প্রয়োজন।
অদ্রিতাঃ কে তুমি? জয় নাকি শিপন?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ আমি শিপন। সানিন্তাকে বাচাতে হবে। আর ঐখানে দুপুর, মামুন আর নাজমুল ও আছে। দ্রুত ঐখানে যেতে না পারলে ওদের কাউকে বাচানো যাবে না।
যারাঃ কি হয়েছে ঐখানে?
জয়ঃ সজল সহ এখানের ত্রান্তিকগন অপদেবতাদের পুজা করে আর এছাড়া এখান থেকে মানুষ খুন করে তাদের রক্ত মাংশ পিশাদদের দেয় আর এসব তথ্য সব দুপুররা জেনে যায়। তাই শয়তানগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদের মের ফেলবে।
অধরাঃ কি ভয়ানক কথা। এখন কি করবো আমরা?
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ চলো ওদের উদ্ধার করি।
এজাজঃ চলো যাই।
সবাই মিলে সাবধানে এগিয়ে যায় ঐঘরটির সামনে । ধিরে ধিরে ভিতরে ঢুকে। ঢোকার পরপরই একজন ত্রান্তিক বসে ছিলো। সে এগিয়ে আসা বাধা দেয়। কিন্তু হৃদয় খুব সহযেই ঐ ত্রান্তিককে কুপোকাত করে ফেলে। এর পর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গিয়ে দেখে দুইজন ত্রান্তিক দুপুর, মামুন, আর নাজমুল কে বেধে রেখেছে। এদের জবাই করার জন্য। আর পাশের একটা চাদরের উপর অজ্ঞ্যান অবস্থায় পরে আছে সানিন্তা।
একজন ত্রান্তিক ( দেখতে অনেকটা জল্লাদের মত) বড় একটি ছুড়ি নিয়ে মামুনের গলায় বসানোর জন্য এগিয়ে যায় আর ঐ সময় ঝুম পিছন থেকে গিয়ে লাথি মারে। ত্রান্তিক পরে যায়। দলের অন্য সবাই গিয়ে দুই ত্রান্তিককে মেরে অজ্ঞ্যান করে ফেলে দুপুর, মামুন আর নাজমুল এর হাত পা খুলে দিয়ে ওদের কাধে করে তুলে উপরে নিয়ে আসে। জয় কাধে করে নিয়ে আসে সানিন্তাকে।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ এই মুহুর্তে এখান থেকে পালাতে হবে। এখানে আর থাকা যাবে না।
এজাজঃ হ্যা। বাকি গুলো চলে আসবে।
হৃদয়ঃ আসুক। কয়টা আসবে? সব গুলারে মেরে রেখে যাবো এখানে
তাহমিদঃ বেশি পন্ডিতি করবি না। ওদের চিকিৎসা প্রয়োজন আর আমাদের সেফটি।
শ্রেয়াসঃ আর তাছাড়া ওরা কতজন আছে সেটাও আমরা জানিনা। আমাদের চেয়ে বেশিও থাকতে পারে।
হিয়াঃ হুম, ঠিক।
জয়(শিপনের আত্তা)ঃ এর চেয়ে ভয়ংকর কথা হচ্ছে। এই ঘটনার কথা পিশাচদের কানে গেলে ওরা অনেক ক্ষেপে যাবে তখন তোমাদের অবস্থা খুব খারাপ হবে।
অধরাঃ আমরা এখান থেকে বরং চলেই যাই।
সবাই রওনা দেয় চা বাগানের মধ্যে দিয়ে। তার হাটছে তো হাটছে। হটাত জয় পরে যায়। সবাই বুঝতে পারে যে শিপনের আত্তা ওর উপর থেকে নেমে গেছে। ওকে সুস্থ করে সব বলে আবার হাটা দেয়। এর মধ্যে সানিন্তার ও জ্ঞ্যান ফিরে আসে। ওদের চিনতে না পেরে আবার ভয় পেয়ে যায়। অদ্রিতা আর ঝুম সানিন্তাকে সব বুঝিয়ে বলে। ওর ভয় কেটে যায়। তারপর আবার সবাই মিলে হাটা দেয়।
শ্রেয়াসঃ আচ্ছা আমরা কতখন হবে হাটছি?
অনুপঃ প্রায় ৩০ মিনিট তো হবে।
শিফাঃ বেশি হবে রে।
শ্রেয়াসঃ কিন্তু রাস্তা তো এতখনের না। ১০/১২ মিনিট হাটলেই তো বাগান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা।
শিফাঃ ভূল রাস্তায় এলাম না তো?
নাজমুলঃ চাবাগানের চার পাশেই রাস্তা। ভূল দিকে গেলেও এতোখনে রাস্তায় উঠে যাওয়ার কথা।
হিয়াঃ দেখো । সামনে যতদূর চোখ যাচ্ছে এই জোসনার আলোতে, সব দিকেই চাবাগান আর চাবাগান।
এজাজঃ আর কিছুক্ষন হাটি।
এরপর আরো কিছুক্ষন হাটে ওরা। কিন্তু কেনো জেনো মনে হচ্ছে রাস্তা এগুচ্ছে না।
যারাঃ তোমরা একবার পিছন ফিরে দেখো।
সবাই পিছনে তাকায়। দেখে ওরা সেই মন্দিরের পাশের ঘড়টির পাশেই আছে। খুব বেশি আগায়নি।
অধরাঃ আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই তো আছি।
ঝুমঃ সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ কদম আগে আসছি।
রনিঃ কারো কাছে ম্যাচ বা গ্যাসলাইট আছে?
দুপুরঃ আমার পকেটে থাকার কথা।
রনিঃ দুপুর ভাইয়া তুমি তো সিগারেট খাও। দেখো তো আছে কিনা।
দুপুরঃ হ্যা, সিগারেট এর প্যাকেট আর ম্যাচ দুটোই আছে।
এজাজঃ আমার কাছেও আছে।
রনিঃ গুডআমার মনে হয় ত্রান্তিকরা ওদের কালোযাদু দিয়ে আমাদের ঘোড়ে ফেলে দিয়েছে। আগুন দিয়ে দেখি কিছু করা যায় কিনা।
অদ্রিতাঃ হ্যা। আমার একটা গল্পে আমি দিয়েছিলাম যে আগুন দেখলে ভূতেরা পালিয়ে যায়।
শ্রেয়াসঃ সুধু তোমার গল্পে না, ভূতের গল্প মানেই আগুন আর ভূত।
এজাজঃ কথা কম বলে আগুন ধরিয়ে আমরা পালাই।
দুপুর আর এজাজ এর কাছ থেকে সিগারেট নিয়ে সবার কাছে একটা করে দেওয়া হয়। এর পর সিগারেটে আগুন ধরিয়ে ওরা দৌড় দেয়। দৌড়ে একটা মাটির রাস্তায় উঠে। হাটা শুরু করে। সামনে গিয়ে দেখে অনেক গুলো সাপ। সাপগুলো ওদের দিকে তেরে আসতে থাকে।
তাহমিদঃ এই দিকে আসো।
আবার দৌড় চিকন একটা মাটির রাস্তা ধরে। হাপিয়ে উঠেছে। আর পারছে না। দাঁড়িয়ে পরে একটা বট গাছের নিচে।
সানিন্তাঃ আমি আর পারছি না। আমি এখানেই থাকি তোমরা যাও।
হিয়াঃ তোমাকে রেখেকি আমরা যাবো।
শিফাঃ আমরা একটু এখানে রেস্ট নেই।
জয়ঃ রেস্ট নিতে গেলে যদি পিছন থেকে এসে আমাদের ধরে ফেলে।
অধরাঃ আর পারছি না তো।
শ্রেয়াসঃ আচ্ছা একটা শব্দ শুনতে পাচ্ছো?
এজাজঃ মনে হচ্ছে অনেক গুলো চার পা ওয়ালা কিছু দৌড়ে আসছে।
হিয়াঃ অনেক গুলো শিয়াল ডাকের শব্দও পাচ্ছি।
অনুপঃ আমরা মনে হয় আমাদের পরিবারের কাছে আর ফিরে যেতে পারবো না। বা দিকে তাকাও।
বা দিকে তাকিয়ে ওদের চোখ চরখ গাছে উঠে যায়। দূরে দেখতে পায় একটা মাঠের মধ্যে দিয়ে অনেক গুলো চোখ। মানে অনেক গুলো চোখ জ্বলজ্বল করছে। তার দৌরে আসছে এইদিকে।
দুপুরঃ এগুলা শিয়াল। রাতে ওদের চোখে আলোর মত জ্বলে।
রনিঃ এগুলা পিশাচ। শিয়ালের বেশ ধরে আসছে। আজ আমরা মনে হয় গেলাম।
অদ্রিতাঃ এই ঐ দেখো একটা ভাংগা পুরানো দিনের বাড়ি। চলো সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেই।
দুপুরঃ ঠিক বলছো। এখন সেখানে যাওয়া ছাড়া কোণ উপায় নেই।
সবাই মিলে দৌড়ে সেই বাড়িতে যায়। ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
নিচ তালায় একটা বড় রুমের ভিতর গিয়ে বসে। সানসেট দিয়ে জোসনার সামান্য আলো পরছে।
অনুপঃ আমার ফোন খুজে পাচ্ছি না। মনে হয় হারিয়ে গেছে। কেউ একটু ফোন দিয়ে আমাদের এখান থেকে এসে উদ্ধার করতে কাউকে বল।
অদ্রিতাঃ আমি ফোন আনিনি।
অর্নবঃ তুমি বলদি ফোন আনবাই না। আমি দিচ্ছি।
অদ্রিতাঃ ভদ্রভাবে কথা বল।
মামুনঃ এতো বড় বিপদের সময়ও তোদের ঝগড়া করতে হবে?
অর্নবঃ কিন্তু কাকে ফোন দিবো। আর নেটওয়ার্কও নাই তো।
দুপুরঃ আমারটাতেও নেটওয়ার্ক নাই।
ঝুমঃ আমার ও।
রনিঃ আমার মনে হয় অন্য কারো ফোনেই নেটওয়ার্ক নাই।
তাহমিদঃ এই কে জেনো আসছে মনে হয়ে এই দিকে।
অধরাঃ ঐ দেখ। এক বৃদ্ধ মহিলা এই দিকে আসছে।
হিয়াঃ মনে হয় এইবাড়িতে থাকে।
বৃদ্ধা আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে ওদের কাছে। হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে।
বৃদ্ধাঃ কে তোমরা? আমার বাড়িতে এতো রাতে ?
দুপুরঃ আসলে আমরা একটা বিপদে পরে এখানে আশ্রয় নিয়েছি। সকাল হলেই চলে যাবো।
বৃদ্ধাঃ কি বিপদঃ
হিয়াঃ ভূ (ভূত বলতে যাবে আর এই সময় দুপুর হিয়ার হাত চেপে ধরে ইশারা দেয় থেমে যাওয়ার জন্য)
দুপুরঃ আমাদের গাড়ী নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আর কি।
বৃদ্ধাঃ ওহ। আমি ভাবলাম আবার ভূত প্রেত।
রনিঃ নাহ নাহ তেমন কিছু না।
বৃদ্ধাঃ আচ্ছা থাকো। সকাল হওয়ার আগে আশে পাশে যেও না। এখান ভুত প্রেত পিশাচ আছে। সাবধান।
অধরাঃ জানি আমরা।
বৃদ্ধাঃ কি জানো?
অধরাঃ নাহ, আসলে রাতে বাইরে ভূত থাকে সেটা তো সবাই জানে।
বৃদ্ধা চলে যায়। ওরা বসে থাকে। সানিন্তা কাপছে। দুপুর ওর কাছে গিয়ে
দুপুরঃ তোমার কি শরীর খুব খারাপ লাগছে?
সানিন্তা ঃ আমার খুব খুদা লেগেছে। দুই দিন কিছু খেতে পারিনি। ওরা কিসব খাবার দিতো।
ঝুমঃ এখানে এখন খাবার পাওয়া যাবে কোথায়?
এজাজ ঃ আচ্ছা ঐ বুড়ির কাছ থেকে কি কোন সাহায্য নেওয়া যায়?
দুপুরঃ ভালো বুদ্ধি দিয়েছো।
হৃদয়ঃ আচ্ছা আমি গিয়ে নিয়ে আসি।
দুপুরঃ নাহ তুমি একা যেও না। অর্নব আর তাহমিদকে সাথে নিয়ে যাও। বাসার কোথায় আছে কে জানে।
অর্নব, হৃদয় আর তাহমিদ যায় বুড়ির খোজে। নিচ তালায় কাউকে দেখতে না পেয়ে দ্বোতালায় যায়। একটা রুমে আলো জ্বলছে দেখে সেখানে যায়। সামনে এগিয়ে দরজার কপাট সরাতেই ওদের চোখ ছানাবড়া। চিৎকার দেয় অর্নব, সাথে সাথে তাহমিদ অর্নবের মুখ চেপে ধরে।
ফ্লোরে একটা বাচ্চা পেট থেকে নাড়ি ভূড়ি কলিজা ছিরে ছিরে খাচ্ছে বূড়ি। এই দেখে ভয় নিচে নেমে আসে হুরমুর করে। নিচে এসে রুমে ঢুকে বমি শুরু করে অর্নব।
অদ্রিতাঃ কি হয়েছে অর্নবের? তোদের এমন দেখাচ্ছে কেনো?
তাহমিদঃ বুড়িটা একটা পিশাচিনি। উপরের রুমে একটা বাচ্চা পেট কেটে নাড়ি ভূড়ি খাচ্ছে।
রনিঃ আর?
হৃদয়ঃ আমরা চলে এসেছি।
শিফাঃ তোদের কি দেখে ফেলেছে?
হৃদয়ঃ হ্যা।
রনিঃ মামুন ভাই প্লিজ দরজাটা বন্ধ কর দাও।
মামুন রুমের দরজা বন্ধ করতে যায়। দেখে যে বৃদ্ধা আসছে রুমের দিকে। মুখে রক্ত লেগে আছে। মামুন তারাতারি করে দরজা লাগিয়ে দেয়।
মামুনঃ বূড়ি তো রুমের কাছে চলে আসছে।
ঝুমঃ এখন কি করা যায়?
অধরাঃ আমরা মনে হয় আর বাচবো না।
রনিঃ আমি মন্ত্র জানি। দেখি সেটা দিয়ে কিছু কাজ করা যায় কিনা।
শ্রেয়াসঃ কি মন্ত্র?
রনিঃ এই মন্ত্র পরে সবার শরিরে পানি ছিটিয়ে দিলে পিশাচিনি কিছুই করতে পারবে না।
সানিন্তাঃ রুমের কোথাও তো পানি নেই।
রনিঃ তাহলে?
দুপুরঃ রক্ত দিয়ে। আমার মানিব্যাগে পলিব্যাগ আছে। বৃষ্টি থেকে বাচার জন্য সব সময় পকেটে রাখি, সেটার মধ্যে রক্ত দিয়ে। রক্ত মন্ত্র পরে সেই রক্ত সবার কপালে মেখে দিলেই তো হবে তাই না?
রনিঃ দুপুর ভাই তুমিও কি ত্রন্ত সাধনার বইটি পরেছিলে?
দুপুরঃ কিছুটা।
রনিঃ ব্লেড লাগবে যে।
দুপুর; আমার কাছে আছে।
রনি বসে পরে আসনে। মন্ত্র পরতে থাকে আর দুপুর ব্লেড দিয়ে হাত কেটে রক্ত বের করে। ঐদিকে বূড়ি এমন ভাবে দরজা ধাক্কাছে মনে হয় কিছুক্ষন পরই দরজা ভেংগে ফেলবে।
রনির মন্ত্র পড়া শেষে সেই রক্ত সকলের কপালে লাগিয়ে দেয়। তারপর আবার মন্ত্র পরা শুরু করে পিশাচিনিকে তারানোর জন্য।
বৃদ্ধা দরজা ভেংগে ফেলে। কাছে আসতে চায় তখন রনি তার মন্ত্রপরার শব্দ বাড়িয়ে দেয়। বৃদ্ধা পিশাচিনী আর এগুতে পারে না। পিছন দিকে যায়। রনি উঠে দারায়। ধিরে ধিরে এগুতে থাকে আর বৃদ্ধা পিছাতে পিছাতে বাড়ির সদর দরজার বাইরে চলে যায়।
রনির পিছনে এক এক করে সবাই আসে। সবাই সদর দরজায় দাঁড়ায়। বাইরে দেখে অনেক গুলো শেয়াল কুকুর শিকারী চোখে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে।
নাজমুলঃ বাইরে তো বিপদ। কি করবো ? কিভাবে এখান থেকে বের হবো।
তাহমিদঃ ছাদে যাই এই দরজা লাগিয়ে। ছাদে গেলে পরিস্থিতিটা বোঝা যাবে। ঐ ডানদিকে সিঁড়ি
রনিঃ হুম চলো,
সবাই মিলে ছাদে যায়। বিশাল ছাদ পুরো ফাকা। চারপাশ ঘুরে দেখে। পিছনের দিক ছাড়া বাকি সব গুলো দিকেই পিশাচ আর প্রেতাত্তা। পিছন দিকটা জংগল এর মত, একটা পুকুরও আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা এই দিকে আলাদা একটি শিড়ি আছে নিচে নামার জন্য।
এজাজঃ এখান দিয়ে নেমে যাই। এখানে কেউ নেই।
রনিঃ হ্যা। তবে কেউ কাউকে ছেড়ে আলাদা হবে না। আর কপালের রক্ত যেন কোন ভাবে মুছে না যায়। মনে রাখবে।
চলবে .......................................
আগামীকাল অথবা পরশু রাতে পঞ্চম পর্ব পোষ্ট করা হবে। ইনস্ট্যান্ট লিখা হচ্ছে তাই পরবর্তি পর্ব পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। আর গল্পের ভূল ত্রুটি, ভালো লাগা খারাপ লাগা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন যদি পরবর্তি পেতে চান। ধন্যবাদ।
যারা আগের পর্বগুলো পাননি তাদের জন্য নিচে লিংক দেওয়া হলোঃ
১ম পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/923688387820451/…
২য় পর্ব ঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924105397778750/…
৩য় পর্বঃ https://www.facebook.com/…/a.923688374487…/924622764393680/…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .