রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

কয়লাখেকো ডাইনি

কয়লাখেকো ডাইনি
লেখা ঃ প্রে তা ত্তা



রাব্বি আর দুপুরের প্রতিদিনের অভ্যাস রাত ১ টার পর ছাদে যাওয়া । প্রতিদিনের মত আজো ছাদে এসেছে , পকেট থেকে সিগারেট বের করে ২জন মিলে টানছে ।ওরা থাকে ঢাকার বসুন্ধুরা শপিংমলের মিছনের গলি তে । খুব সুন্দর জায়গাটা ।সিগারেট খেতে খেতে রাব্বি বলছে
রাব্বি ঃ দুপুর ভাই খেয়াল করছেন ১টা বিষয় ?
দুপুর ঃ কি বিষয় রে ভাই ?
রাব্বি ঃ আমাদের সামনের বিল্ডিং্যে কিন্তু কেউ থাকে না ?
দুপুর ঃ হ্যা , এতো বড় বাড়িতে কেউ থাকে না ।
রাব্বি ঃ কিন্তু মাঝে মাঝে রাতে খেয়াল করে দেইখেন যে ছাদে মাঝে মাঝে ১টা মেয়ে কে দেখা যায় । ভূত টুত নাকি ভাই ?
দুপুর ঃ ধুর পাগলা , ভুত আসবো কই থেকে ?
রাব্বি ঃ ভাই হইতেও তো পারে ।
দুপুর ঃ হাহাহাহাহা । চলো রুমে যাই ।ঘুম আসছে ।
রাব্বি ঃ চলেন যাই ।
দুপুর রা ব্যাচেলর ফ্লাটে থাকে । ছাদের উপর । ছাঁদ দুপুরের খুব ভালো লাগে , বিশেষ করে রাতে । ছাকা খাওয়া প্রত্যেকটা প্রেমিকেরি একাকি অন্ধকার ছাঁদ ভালো লাগে বলে দুপুরের বিশ্বাস । যাই হোক গল্পে ফিরে আসি ।
রাত অনেক হয়েছে ্কিন্ত দুপুরের ঘুম আসছে না । আজ পেত্নিটার কথা খুব মনে পরছে । ওহ পেত্নী হলো রোদেলা । দুপুরের ভালোবাসার মানুশ , বছর খানিকের বেশি হবে রোদেলা দুপুর কে ছেরে চলে গেছে ।
দুপুর পেত্নীর কথা ভাবতে ভাবতে ছাদে গিয়ে হাজির ।পকেট থেকে ১টা সিগারেট বের করে আগুন ধরিয়ে ছাদের এককোনায় গিয়ে বসলো । দুপুরের ঠোট আর সিগারেট আলিঙ্গনের এক মুহুর্তে দুপুর খেয়াল করলো সামনের বাড়ির ছাদে এক তরুনি হেটে বেরাচ্ছে । কালো ১টা জামা পরা , গায়ের রঙ ফর্সা , কোমর প্রজন্ত চুল ।
আচ্ছা মেয়েটা এতো রাতে ছাদে কেনো ? মেয়েটাও কি আমার মত ছ্যাকা খেয়েছে ? তার ও কি অন্ধকার নিরিবিলি ছাঁদ ভালোবাসে ? নিজেই নিজেকে এই সব অবান্তর প্রশ্ন করে উত্তর খুজে ফিরছে দুপুর । দুপুরের মনে পরলো রাব্বির কথা , রাব্বি বলেছিল ভূত হতে পারে । তাই দুপুর আবার ভালো করে মেয়েটির দিক তাকালো , মেয়েটি কি জেনো খাচ্ছে । কালো কালো কিছু ১টা । একসময় মেয়েটি নিচে নেমে আসে । দুপুরও কিছুখন পায়চারি করে নিড়ে ফিরে আসে ।
ঘুমাচ্ছে দুপুর , হটাৎ চিৎকারে দুপুরের ঘুম ভেঙ্গে যায় । উঠে দেখে পাসের ৩/৪টা বাসা পরে ১টা বাসায় আগুন লেগেছে । নিচে নেমে ওই বাসার সামনে যায় । গিয়ে দেখে ১টা ফ্লোর পুরে সম্পুর্ন কয়লা হয়ে গেছে । বেশকিছুদিন যাবত খুব আগুন লাগছে । প্রায় প্রতিদিনই আগুন লাগা খবর পাচ্ছে । এইতো সেইদিন বসুন্ধরা শপিংমলের ৬তালায় আগুনে পুরে কয়লা হয়ে গেছে অনেক গুলা দোকান , তার কিছুদিন আগে কাওরান বাজারের হাসিনা মার্কেটে আগুন। কেউ কেউ বলছে আগুনের দেবতা কোন কারনে এই এলাকার উপর অসন্তুষ্ট তাই এমন হচ্ছে । কথা গুলো শুনে দুপুর খুব মজা পায় , আগুনের দেওবতা রাগ করেছে । দুপুর বাসায় ফিরে আসে । সকালে ঘুম থেকে উঠতেও লেট হয় তাই ওফিসেও লেট ।
সারাদিন অফিস শেষ করে , বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষ করে রাতে বাসায় আসে দুপুর । অলি ভাই বসুন্ধরা গ্রুপে ভালো চাকরি হয়েছে তাই আজ বাসায় খাবারের বিশেষ আয়োজন । হাসের মাংস আর খিচুরি , শাকিলের খুব প্রিয় খাবার ।খাবার খেতে খেতে অনেক রাত হয়ে যায় । খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরে । রাব্বির শরিরটা ভালো না তাই দুপুরকে আজ ছাদে একাই যেতে হলো । প্রতিদিনের মত ছাদে গিয়ে বিড়ি বের করে টানাটানি শুরু করে দিয়েছে দুপুর . বাড়ির সামনের ছাদের দিকে চোখ পরে দুপুরের , সেই মেয়েটি ছাদের উপর হাটাহাটি করছে । দুপুর অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে , মেয়েটি দেখতে সত্ত্যিই অনেক সুন্দর , অপসরি । সুধু ঠোট ২টো কালো । এমন সময় শাকিল এসে হাজির হয়
শাকিল ঃ ভাই কি করছেন ?
দুপুর ঃ শাকিল । কিছু না রে ভাই । ভালো লাগছিল না তাই শুয়ে আছি । আচ্ছা শাকিল দেখো তো মেয়ে টা সুন্দর না ?
শাকিল ঃ কোন মেয়ে ভাই ?
দুপুর ঃ ঐযে সামনের ছাদে হাটছে মেয়েটা ।
শাকিল ঃ ভাই আমি তো কাউওকে দেখতে পাচ্ছি না । রাব্বিও বললো এই ছাদে নাকি ১টা মেয়ে ভূত আছে ।
(হাহাহাহাহাহাহাহ দুজনেই হেসে উঠে )
দুপুর কনফিউশনে পরে যায় । রাব্বি দেখে , সে দেখে কিন্তু শাকিল দেকতে পায় না কেন ? প্রশ্নের উত্তর পায় না সে ।
পরেরদিন দুপুর সেই বাসার সামনে যায় । অনেক ডাকাডাকি আর খোজার পর ১জন বৃ্দ্ধ কেয়ারটেকার বের হয়ে আসে ।
কেয়ারটেকার ঃ এই মিয়া ক চান আফনে ?
দুপুর ঃ না মানে , এই বাসায় কি কেউ থাকে না ?
কেয়ারটেকার ঃ কেউ থাহে না থাহে সেইডা দিয়া আফনে কি করবেন ?
দুপুর ঃ আসলে আমি সামনেই বাসাটাতে থাকি ।এই বাসায় কখোনো কাউওকে দেখতে পায় না । তবে ইদানিং রাতে ১টা মেয়ে কে ছাদে দেখতে পাই । তাই জানতে এলাম ।
কেয়ারটেকার ঃ যান যান সরেন । কাম নাই কোনো । সব আজাইরা পেচাল পারে । যান এইহান থিক্কা এহনি ।
দুপুরকে একরকম বের করে দেয় কেয়ারটেকার , দুপুর কিছুই বুঝতে পারলো না যে কেনো কেয়ারটেকার তার সাথে এমন করলো ।
রাত অনেক হয়ে গেছে । দুপুর মেয়েটাকে দেখার জন্ন্য ছাদের দিকে তাকিয়ে বসে আছে । দুপুর মেয়েটির মায়ায় পরে গেছে , ভয় লাগছে কিছুটা । মায়াটা যেন আবার ভালোবাসায় পরিনত না হয় ।
আচ্ছা মেয়েটি কি আজ ছাদে আসবে না ? খুব দেখতে ইচ্ছে করছে আমার …………… এসব বলে ছাদের উপর পায়চারি করছে দুপুর । এমন সময় তার চোখ যায় ছাদের এককোনায় , মেয়েটি গুটিশুটি মেরে বসে আছে । মনে হচ্ছে কাদছে সে । দুপুরের খুব খারাপ লাগছে , কেনো কাদছে মেয়েটা ? জানতে হলে মেয়েটার কাছে যেতে হবে । কিন্তু কেয়ারটেকার বেটাতো বদের হাড্ডী , যেতে দিবে না । তবু দুপুর নিচে নেমে গেলো রাস্তা খুজছে উপরে যাওয়ার । ঐবাড়ির পিছনের দিকে ১টা আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং । সেটা দিয়ে অনেক কষ্ট করে দুপুর ছাদে উঠে । ধিরে ধিরে মেয়েটির সামনে গিয়ে দারায় । মেয়েটি আচমকা ছেলেটিকে দেখে ভয়ে পিছু চলে যেতে গিয়ে পরে যায় ।
দুপুর ঃ আহ আস্তে পরে যাবেন তো ।
মেয়ে ঃ আপনি কে ? এখানে কিভাবে আসলেন ? কেনো আসলেন ?
দুপুর ঃ আমি দুপুর । সামনের বাসায় থাকি । ( বলতে বলতে দুপুর মেয়েটার দিকে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে , মেয়েটা অপসরি । দুধে আলতা গায়ের রঙ , কিন্তু ঠোট জোড়া কয়লার মত কালো )
মেয়ে ঃ আপনি প্লিজ এখান থেকে চলে যান ।
দুপুর ঃ হ্যা যাব । তবে তার আগে জানতে চাই আপনি কাদছিলেন কেনো ? আর আপনার নাম ?
মেয়ে ঃ আমার নাম জেনে আপনার কি হবে ? আপনি চলে যান ।
দুপুর ঃ কেনো কাদছিলেন ?
মেয়ে ঃ আপনারা মানুষ জাতী খুবই বিরক্তিকর প্রানী । জান আপনি এখান থেকে ।
দুপুর ঃ হাহাহাহাহাহাহাহা , মানুষ জাতী খুবই বিরক্তিকর প্রানী । আপনি কি ভুত জাতীর ?
মেয়ে ঃ আমার নাম রুপকথা । আর আমি একজন ডাইনি ? এখন আপনি এখান থেকে যান ।
দুপুর ঃ ডাইনি দের এত সুন্দর নাম হয় জানতাম না , আর ডাইনি যে দেখতে পড়ির মত ।
রুপকথা ঃ কি বিশ্বাস হচ্ছে না । ( কথাটি বলেই মেয়েটি ১টি শুকনো কাঠে তার হাত ছোয়ায় , আর সাথে সাথে কাঠটিতে আগুন ধরে যায় । কাঠটি আগুনে পুরে কয়লা হয়ে যায় । সেই কয়লা মেয়েটি খেতে শুরু করে । তারপর ছেলেটির সামনে আসে । ছেলেটি হতবাক দৃষ্টিতে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
রুপকথা ঃ দেখলেন তো আমি কে (কেদে কেদে)
দুপুর ঃ কাদছো কেনো আমি কি জানতে পারি ? খুব জানতে ইচ্ছে করছে
রুপকথা ঃ কাদবো না তো কি করবো বলো ? কার ভালো লাগে অন্ন্যের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে খাবার জোগার করে বেচে থাকতে ? মরে যেতে পারলে ভালো হত ।
দুপুর ঃ তারমানে আসে পাসে যে আগুন লাগছে প্রতিদিন , সেটা তুমিই করছো ?
রুপকথা ঃ হ্যা । আমার মানুষদের দেখলে হিংসে হয় । তখন আমি আগুন জ্বালিয়ে খুদা মিটাই । আচ্ছা আমার বাবা মাও তো তোমাদের মত মানুষ ছিল , তাহলে কেনো আমি ডাইনি হলাম ?
দুপুর ঃ আমি কি স্ব্প্ন দেখিছি ? আমাকে শব খুলে বলনা প্লিজ , আমি তোমার বন্ধু হতে চাই ।
রুপকথা ঃ কোন এক অশুভ রাতে আমার বাবা আর মায়ের মিলনের ফল আমি। আমার বাবা মা আমাকে রেখে দেশের বাইরে থাকে , মাঝে মাঝে আসে দেখতে আমাকে । আমার জন্মের পাচ বছর পর থেকে আমি এরকম হয়ে যাই । ধরলে আগুন লেগে যাই ।( মেয়েটা কাদতে শুরু করে )
দুপুর রুপকথার মাথ হাতবুলিয়ে দেই । খুব শিতল মেয়েটির শরির ।
দুপুর ঃ আচ্ছা আমার ২টা ফ্রেন্ড তোমাকে দেখতে পেলো না , কিন্তু আমি আর রাব্বি দেখতে পেলাম ।
রুপকথা ঃ শুধু বৃশ্চিক রাশির মানুশ আমাকে দেখতে পায় । জানো দুপুর আমিও মানুষ হতে পারবো, যদি কোন বৃশ্চিক রাসির ছেলে সেই কয়লার মুর্তিটা ভেংগে সাগরে ডুবিয়ে দিতে পারে ।
দুপুর ঃ সেই মুর্তিটা কোথায় ?
রুপকথা ঃ কোন এক দ্বীপে কয়লা মন্দিরে আছে । অশুভ আত্তারা সেখানে পূজা করে ।
দুপুর ঃ চল তুমি আর আমি মিলে ভেঙ্গে দিয়ে আসি ।
রুপকথা ঃ হাহাহাহাহাহাআমি তো জানিইনা সেটা কোথায় । আর সেখানে অনেক বিপদ , তুমি কেনো আমার জন্ন্যে বিপদে পরতে যাবে । আচ্ছা শুনো আলো চলে আসছে , তুমি আর আমাকে একটু পর দেখতে পাবে না । তুমি চলে যাও ।
দুপুর চলে আসে । রুমে ফিরে ঘুম দেয় । ১১টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই কম্পিউটারের সামন বসে । নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে আর কি জেন ঘাটাঘাটি করে । রাত ৮টার সময় উঠে ফ্রেষ হয়ে নাস্তা করে বের হয় দুপুর । রাত ১২টা বেজে যায় দুপুর বাসায় ফিরে না ।
রুপকথা একা একা ছাদে পায়চারি করছে , এমন সময় দুপুর পিছন থেকে এসে
দুপুর ঃ কেমন আছো ?(আচমকা)
রুপকথা ঃ আহঃ । ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তো ।
দুপুর ঃ ডাইনিরাও কি ভয় পায় নাকি ?
রুপকথা ঃ মজা নাও আমাকে নিয়ে ? আচ্ছা বলো আজ আবার কেনো ? সবই তো বললাম কাল ।
দুপুর ঃ তোমাকে নিতে এসেছি আমি , আমার সাথে নিয়ে যবো আজ তোমাকে আমার শহরে ।
রুপকথা ঃ কি বলছো এইসব ।
দুপুর ঃ চট্ট্রগ্রামের সাংগো দ্বীপে কয়লা মন্দিরে আছে । সেখানে গেলে হয়তো তুমি মুক্তি পেতে পারো । যাবে আমার সাথে ?
রুপকথা ঃ সত্ত্যি বলছো তুমি , আমি মুক্তি পাবো ? তোমাদের মত মানুষ হতে পারবো ?
দুপুর ঃ হ্যা পারবে । আর তুমি এখনো মানুষি আছো , অশুভ আত্তারা তোমাকে তাদের মায়াজালে আটকে রেখেছে ।
রুপকথা দুপুরকে জড়িয়ে ধরে । রুপকথার শীতল শরীরের ছোয়ায় অন্ন্য রকম এক শিহরন অনুভব করে দুপুর । হয়তো এইটাই ভালোবাসা , আর এই ভালোবাসার জন্ন্যি দুপুর জীবন-মরনের ঝুকি নিয়ে যাচ্ছে তার কয়লাখেকো ডাইনি কে মুক্তি দিতে রুপকথার গল্পের মত ।
ভোর হওয়ার আগেই দুপুর রুপকথা কে নিয়ে রওনা দেই চিটাগাঙ্গের উদ্দ্যশে । বিকেলের কিছু আগে গিয়ে পৌছে সেখানে । সেখান থেকে স্প্রীড বোটে করে রওনা দেই সাংগো দ্বীপে । দ্বীপে পোছানোর সময় পরতে হয় ঝামেলা তে । সমুদ্র ভীষন উত্তাল তাই আগেই কেঊ যেতে রাজি হচ্ছিল না । অনেক কষ্টে একজন কে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে । উথাল পাথাল ঢেউ পারি দিয়ে সন্ধ্যার সময় পারি জমায় সাংগো দ্বীপে ।একদম জনশুন্য ১টা দ্বীপ । বেশ কিছুখন ধরে খুজেও ওরা সেই মন্দির খুজে পাচ্ছে না । হাটছে এমন সময় পিছন থেকে ১টা কালো বিরাল এসে আক্রমন করে দুপুরকে । ছোট্ট ১টা বিরালের সাথেও পেরে উঠছিল না দুপুর ।কামরে আচরে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে বিড়ালটা দুপুরকে । এমন সময় রুপকথা পাসে পরে থাকা শুকনো ১টা হাত দিয়ে ধরে সাথে সাথে সেটা তে আগুন ধরে যায় । বিড়ালটার দিকে ছুরে মারে । বিড়ালটা ভয়ে পালিয়ে যায় ।এরপর সামনে হাটা শুরু করে তবে এখন ওদের হাতে আগুন আছে । ওরা বুঝতে পারে যে ওদের পিছনে অশরিরিরা আসছে । রুপকথা একটু থেমে পোরা কাঠ থেকে কয়লা খাও্যা শুরু করে আর দুপুর ব্যাগ থেকে বিস্কিট বের করে খায় । খাওয়া শেষ হলে আবার হাটা ধরে । এবার ওদের সামনে পরে সেই মন্দির মন্দিরের গেটে পা রখা মাত্রই ১টা বড় সাপ ফোস করে উঠে । দুপুর ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে কিছুখন সাপের সাথে যুদ্ধ করে সাপ টা কে পরাজিত করে ।মন্দিরের ভিতরে ঢুকে ২জন , দেখতে পায় সেই কয়লার মুর্তি ।দুপুর মুর্তিটা ধরতে যাবে আর এমন সময় তার হাতে লাঠিদিয়ে বাড়ি দেয় অসম্ভব কুৎসিত এক বুড়ি ।তার বিস্রি হাশিতে কেপে উঠে মন্দির । মাঝে মাঝে অদৃশ্য হয়ে লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত হানে দুপুরের উপর ।আর চারপাসের অশরিরি আত্তার ভয়ংকর আর্তনাদের চিৎকার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে । রুপকথা সুজোগ বুঝে বুড়ির হাত থেকে লাঠিটা কেরে নেয় আর সংগে সংগে লাঠিতে আগুন ধরে যায় । দুপুর রুপকথার হাত থেকে লাঠিটা নিয়ে আবার বুড়ির দিকে ছুরে মারে । লাঠির আগুন বুড়ির দেহে লেগে লুটিয়ে পরে ।
রুপকথা ঃ দুপুর বুড়ি মারা পরেছে । আমাদের হাতে সময় খুব কম । তুমি প্লিজ তারাতারি মুর্তিটা নিয়ে চল ।
দুপুর ঃ হ্যা তাই চলো ।
দুপুর কয়লার মুর্তিটা নিয়ে চলে । বাইরে এসে পাথর দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে মুর্তিটা , আর রুপকথা ধিরে ধিরে নিস্তেজ হয়ে পরে , রুপকথা শরিরে আগুন ধরএ যায় । দুপুর দেরি না করে ভাঙ্গা মুর্তিটাকে সাগরে ভাসিয়ে দেয় । রুপকথার শরির থেকে আগুন নিভে যায় । দুপুর অনেক চেষ্টা করে রুপকথার জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনে । এক কয়লাখেকো ডাইনি রুপান্তরিত হয়ে মানুশে ।
রুপকথা এখন একজ সুস্থ মানুশ । সাংগো দ্বীপ থেকে দুপুর রুপকথা কে তার আগের বাসায় নিয়ে যায় না । সে রুপকথাকে তার গ্রামের বাড়ী নিয়ে যায় , বিয়ে করে । দুপুর এক সুন্দর ছোট্ট একটি সংসার গড়ে তুলে কালো ঠোটের সেই অপুর্ব সুন্দর মেয়েটিকে নিয়ে ।
( পুরো গল্পটাই আমার কল্পনা । এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই )
আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন ।
https://www.facebook.com/arshipon15/ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .