রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

অন্ধকার জগৎ

অন্ধকার জগৎ
লেখা .. ঃ প্রে তা ত্তা
মেয়েটির নাম তরন্নীতা , থাকে পুরান ঢাকার এক বারিতে ।বাড়িটিকে মহল্লার সবাই ভুতের বাড়ি বলে জানে ।লোকমুখে শোনা যায় এইবারিতে নাকি বদ ভুত , পেত্নি , জিন আর পরিরা থাকত । আর বাড়ির লোকদের অনেক জালাতন করতো । বারীর কোন উন্নতি হতে দিত না । তরন্নীতা তার বাবার মুখে ও শুনেছে এই কথা । শুনেছে তার মাও নাকি তার মতই সুন্দরি ছিল ।তার মা মারা যাবার পর থেকে এই বাড়িতে এখন প্রজন্ত আর কোন ভুত পেতের ঘটনা ঘটেনি এই বাড়িতে ।১৭ বছর ৩৬৪ দিন আগে এই বাড়িতেই জন্ম হয় তরন্নীতর , আর তাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় তার মা ।কিছুদিন আগে তরন্নীতার বাবাও মারা গেছে ।
আজ তরন্নীতার তার মাহের কথা খুব মনে পরছে । তার খুব কষ্ট হচ্ছে যে তাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা গেছে ।সন্ধার দিকে তরন্নীতা ছাদের এক কোনে একা একা বসে কাদছে ।
কিছুখন পর হটাত একটা ঝোড় হাওয়া বয়ে যায় । তরন্নীতা ভয় পেয়ে যায় । চারিদিক অন্ধকার । সে দোর দিয়ে ছাদের দরজার কাছে গিয়ে দেখে দরজাটা বন্ধ । সে আরো ভয় পেয়ে যায় ।
কে যেন তরন্নীতার পিছন থেকে তার ঘারে হাত দেয় , পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে একজন ছেলে দারিয়ে আছে । দেখে মনে হচ্ছে ছেলেটা কোন রাজপুত্র । কিন্তু এই আধুনিক জুগে রাজপুত্র আসবে কোথা থেকে ।
ছেলেটা বলল আমি সপ্নপুরির রাজকুমার , আমার নাম দুপুর । আমি তোমাকে আজ নিয়ে যাব আমাদের সপ্নপুরিতে ।
তরন্নীতা ঃ হাহাহাহাহাহা …………… আপনি রাজকুমার ? এই আধুনিক যুগে রাজকুমার ?
দুপুর ঃ সপ্নপুরিতে তোমার মা তোমার জন্ন্য অপেক্ষা করছে ।আজ তোমার ১৮ বছর হবে । রাত ১২ টার সময় আমি তোমাকে নিতে আসবো ।
তরন্নীতা ঃ আমার মা ? আমার মা আছে তোমাদের ওইখানে ? প্লিজ আমাকে এখনি নিয়ে চলো ।
দুপুর ঃ না এখন সম্ভব না । অন্ধকার জগতের রানির কালোছায়া তোমার উপরে আছে তাই তোমাকে আমি এখনি নিতে পারছি না । আর হ্যা শোনো , তুমি কিন্তু সাবধানে থাকবে । ওরা যেকোন সময় তোমাকে আক্রমন করতে পারে । অন্ন্য বেশ ধরেও তোমার কাছে এসে তোমাকে নিয়ে যেতে পারে ।
এর পর রাজকুমার দুপুর চলে যায় । তরন্নীতা ও নিচে নেমে এসে ড্রয়ার থেকে তার মায়ের ছবিটা বের করে জরিয়ে ধরে কাদতে থাকে । তবে সে কান্নার মাঝে একটা আনন্দও আছে ।
রাত ১১টার কিছু পর রাজকুমার আসে , রাজকুমার তরন্নীতা কে বলে চলো আমার সাথে ।
তরন্নীতা ঃ তুমি না বলে ছিলে ১২টার সময় আসবে ?
দুপুর ঃ তোমার মা তোমাকে এখনি নিয়ে যেতে বলেছে ।
ওই সময় ওইখানে হাজির হয় ১টা পড়ি আর সে তরন্নিতা কে বলে যে সে রাজকুমার না , সে তোমাকে ধোকা দিয়ে এখান থেকে নিতে এসেছে । তুমি যেও না ।
দুপুর ঃ তরন্নীতা এই বুরিকে অন্ধকার জগত থেকে পাঠানো হয়েছে । তুমি আমার সাথে চলো , আমি তোমাকে তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যেতে এসেছি ।
এর পর তরন্নীতা তার সাথে ১টা কালো ঘোড়া করে ঊরে চলে যায় । কিছুখন পর তরন্নীতা তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।
জ্ঞান ফিরলে সে দেখে যে সে অন্ন্য এক জগতে এসে পরছে , দারিয়ে সামনে গিয়ে দেখে তার চারপাশে গলাকাটা লাশ আর লাশ । দরজার কাছে গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ ।
সে বুঝে গেছে যে সে অন্ধকাররাজ্যের রানির প্রতারনার শিকার হয়েছে । রাজপুত্রের ছদ্দ ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে ।
এদিকে ১২টার কিছু সময় আগে রাজপুত্র দুপুর এসে পড়িটার কাছ থেকে সব শুনে সে সপ্নপূরিতে ফিরে যায় । সেখানে গিয়ে সব খুলে বলে রানির কাছে । তখন রানি বলে
রানি ঃ এটা তো খুবই ভয়ের বিষয় । আজ রাতে তরন্নীতার ১৮ বছর হবে । অন্ধকার জগতের সময় অনুযায়ি আর ৩ ঘন্টা বাকী আছে । এই সময়ের ভিতর তাকে উদ্ধার করতে না পারলে অন্ধকার জগতের রানি তরন্নীতাকে বলি দিয়ে তার রক্ত পান করে সে তার জগত কে অমর করে তুলবে । তারপর চলতে থাকবে থাকবে তার ভয়ংকর লিলা খেলে । এটা হতে দেওয়া যাবে না । যাও এক্ষনি বুড়িমাকে ডেকে নিয়ে এসো ।
তারকিছুখন পরই বুড়িমাকে আনা হয় । আর বুড়িমা বলে
বুড়িমা ঃ আজই সব ফয়সালা করার সময় । আজ তরন্নীতাকে উদ্ধার করতে হবে আর এই সারা জগত থেকে অশুভ অন্ধকার জগত টা কে ধংস করতে হবে । তবে সেটা এতো সহজ বেপার না । আজ ওরা ৩টা টকবকে যুবক নিয়ে তাদের মেরে সেই রক্ত দিয়ে তরন্নীতাকে গোসল করাবে , তারপর তরন্নিতাকে রানি নিজ হাতে বলি দিয়ে তার রক্ত খেয়ে অমর হবে ।এ থেকে বাচার উপায় হলো আমাদের রাজকুমার ছদ্দবেসে ওই ৩ যুবুকের একজন হয়ে যাবে সেখানে । তাকে যখন মারতে আসবে তখন সে ওই জল্লাদকে মেরে দ্রুত অন্ধকারের রানির হাত থেকে তলোয়ার নিয়ে রানির মাথা কেটে ফেলতে হবে এবং সে মাথা সেখান থেকে নিয়ে আসতে হবে । তারপর এখানে এসে মন্ত্র পরে তরন্নীতার হাত কেতে রক্ত এনে তার মাথায় দিয়ে মাথাটা পুরিয়ে ফেললে এই সারাজগত পাবে অন্ধকারজগত থেকে মুক্তি ।
রানি ঃ তাহলে দেরি না করে রাজকুমার রওনা হয়ে যাক ?
বুড়িমা ঃ হ্যা । আর আর রাজকুমার কে জাদুর বালি গুলো নিতে হবে । এই বালি গুলো জল্লাদের মুখে ছুরে দিলে অর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে ।
তারপর রাজকুমার তার পংখিরাজ নিয়ে ছদ্দবেসে যুবকদের ভিতরে ঢুকে চলে আসে অন্ধকার রাজ্যে । তাদের নিয়ে আসা হয় বিশাল এক ঘরের ভিতর সেখানে আগুন জালিয়ে পুজো দিচ্ছে রানি । তার সামনে ১টা তলোয়ার । বেশ কিছু জল্লাদ তার আসে পাসে ঘুরছে । তরন্নীতাকে ১টা কালো শাড়ি পরিয়ে চোখ বেধে বসিয়ে রাখা হয়েছে ।
২ জল্লাদ ১ম যুবককে ধরে তরন্নীতার সামনে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তার রক্ত তরন্নীতার শরিরে ঢেলে দিল । ২ জনকে এনেও একই কাজ করা হলো ।এবার রাজকুমারের পালা । জল্লাদ যখন তাকে ধরে নিয়ে তরন্নীতার সামনে যাচ্ছে তখন সে তার হাতের বাধন প্রায় খুলে ফেলেছে । আর জল্লাদ যখন তার গলায় তলোয়ার বসাবে তখনি রাজকুমার হাত খুলে পকেট থেকে বালি বের করে ফু দিয়ে জল্লাদের চোখে ছিটেয়ে দেয় আর তখন রাজকুমার দোর দিয়ে রানির কাছে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে রানির গলায় ১ঘায়ে রানির মুন্ডুটা আলাদা করে ফেলে । তারপর দোর দিয়ে তরন্নীতার কাছে গিয়ে সে তার চোখের বাধন খুলে বলে তার সাথে যেতে ।
তরন্নিতা ঃ না আমি তোমার সাথে যাব না । আমাকে রাজকুমার নিতে আসবে ।
রাজকুমার ঃ আমি ই তোমার রাজকুমার ।এখানে ছদ্দবেসে এসেছি তোমাকে উদ্ধার করতে । চলো আমার সাথে ।
তরন্নীতা ঃ না । আমার রাজকুমার কে আমি দেখেছি । তুমি আমার রাজকুমার না ।
তরন্নীতা কোনভাবেই রাজকুমারের সাথে যেতে রাজি হয় না । তাই রাজকুমার তরন্নীতার মাথায় আঘাত করে এবং নিয়ে যায় ।
রাজকুমার তরন্নিতা কে সপ্নপুরিতে নিয়ে যায় । জ্ঞান ফিরলে তরন্নীতা তার মাকে তার পাসে দেখতে পায় । সেখানে আরো অনেক মানুষ । রাজকুমার ও আছে । তরন্নীতার মা তরন্নীতাকে সব ঘটনা খুলে বলে । তরন্নীতা আরো অবাক হয় তার বাবাকে দেখে ।
তার মা তাকে বলে ঃ তরন্নীতার জন্মের সময় অন্ধকার জগতের রানি তাকে কালোছায়া ফেলে আর তার মাকে মেরে ফেলতে চায় , তাই তার মাকে সপ্নপুরির রানি সপ্নপুরিতে নিয়ে আসে । আর একই কারনে তার বাবা কেও নিয়ে আসে ।
তরন্নীতা সুস্থ হলে বুরিমা পুজোর আয়োজন করে আর তরন্নীতার হাতকেটে রক্ত নিয়ে অন্ধকার জগতের রানির মুন্ডুতে মাখিয়ে আগুন জালিয়ে শেষ করে অন্ধকার জগতের রাজত্ত । তারপর তরন্নীতাকে রাকুমার দুপুরের সাথে বিয়ে দিয়ে তাদের হাতে রাজত্ত তুলে দেন রানি । এর পর সুখে শান্তিতে কাটতে থাকে তাদের দিন ।
( পুরো গল্পটাই আমার কল্পনা । এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই )
আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন ।
https://www.facebook.com/arshipon15/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .