শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

দুপুরের নীল আকাশ

দুপুরের নীল আকাশ
লেখা : প্রে তা ত্তা

আজ দুপুরের রেজাল্ট দিয়েছে। তাই তার মন খারাপ। সে খুব মেধাবি তবুও বরাবর রেজাল্ট খারাপ হয়।আজ ও তাই হয়েছে। দুপুর দের ঢাকা ছোট ১টা গার্মেন্টস আছে। তার বাবা আর ৩ কাকা মালিক। খুব ভালোই চলছে দিনকাল। ২৬ তারিখ দুপুরের ছোট কাকার বিয়ে, বারিতে লোকজন আসাও শুরু করেছে.
২ দিন পরআজ কাকার গায়ে হলুদ। দুপুর নীল রং্যের একটা পাঞ্জাবি পরেছে। বারির ছাদে হলুদের আয়োজন। ছাদ থেকে দুপুরের মেঝভাই (বড় চাচার ছেলে) ডাক দেই দুপুরকে। শিরি দিয়ে উপরে ঊঠার সময় আচমকা ধাক্কা খায় সে একটা মেয়ের সাথে। মুখ তুলে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এত সুন্দর মেয়ে কোথায় থেকে আসল,
পরিক্ষনেই তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনে নিলা। ভাইয়া তুমি আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন। আমি নিলা। ব্যাথা পাইছো? আরে না,কেমন আছো তুমি নিলা বলে দুপুর। এইভাবে বিয়ে থেকে দুপুর আর নিলার রিলেশন শুরু হয়। এভাবে চলে প্রায় ২ বছর। হটাত একদিন খবর আসে ঢাকায় দুপুরদের গার্মেন্টস এ আগুন লেগেছে। আগুনে সব শেষ হয়ে যায়। জায়গা জমি আর গয়না বিক্রি করে লোন শোধ করার পর একদম পথে বসে যায় তারা।
আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পর আত্তিয়রাও সব জেন দুরে সরে যায়। hsc পাশ করে দুপুর ঢাকা চলে আসে। ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল তার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে but তার মায়ের অচ্ছে পুরন করার জন্ন্য তাকে কমার্স নিয়ে পরতে হয়। ঢাকা এসে সে ১টা কলেজে অনার্স এ ভরতি হয়। আর নিলাও ইদানিং তাকে উপেক্ষা করছে। একটা আইটি ফারমে জব পায় দুপুর। চাকরি করে কোন রকম পরালেখা করে সে। আর টুকটাক লেখালিখি। এভাবে বছর খানেক কাটে। একদিন ফেসবুকে দেখে ফ্রিতে গেম বানানোর একটা ট্রেনিং এর বিজ্ঞাপন। সে সেখানে গিয়ে গেম বানানো শিখে। আর একটা গেমের কাজও শুরু করে তাদের সাথে।
নিলার সাথে চলতে থাকে তার প্রেম। তবে অনেক চেঞ্জ সে এখন। বড়লোকের মেয়ে বলে কথা। যাই হোক দুপুরের কপালে সুখ সয় না। ২০১৪ এর এর কথা দেশের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। একদিন কলেজ থেকে কোন এককারনে দুপুরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ৫ টা মামলা হয়। ২২ দিন জেলে থাকতে হয়। এর ফলে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। দুপুর জেল থেকে সিগারেট খাওয়া শিখে। এখন সে নিয়মিত খায়। জেল থেকে বের হবার পর সবার চোখে দুপুর সন্ত্রসি হয়ে যায়। নিলা বলে আব্বু আম্মুকাক বাসায় তোমাকে নিয়ে কথা বলেছে তোমাকে তারা কখনো মেনে নিবে না। তাই আমাদের রিলেশন এখানেইস্টপ বলে চলে যায়। আর ফিরে আসে নি। আত্তিয় সজন আর কারো সাথে দুপুরের যোগাযোগ নেই তার আর। তবে তার পরিবার আর তার কিছু বন্ধ রা তার সাথে আছে তারা বলে আমরা জানি আমাদের দুপুর কেমন। যদি দুপুরের মা বাবা, কাকা কাক, ভাই বোন, সাকিল মাহাদি নিরব রানা জুয়েল ইউসুফ লিমন বিভোর সিয়াম ইমন বিশাল না থাকতো তাহলে অনেক আগেই সে মারা যেত.
জেল থেকে বের হবার পর বেশকিছু দিন একা ঘরের ভিতর নিজকে লুকিয়ে রাখে। তারপর আবার ঢাকা। অক্লান্ত প্ররিস্রম করে কিছুদিন আগে একটা গেম ডেভেলপিং ফারমে চাকরি হয় তার। পড়া লেখা আপাততবন্ধ তার। সে তার জিবনকে নতুন করে শুরু করতে চায়। এখনো অনেক কষ্ট লুকিয়ে আছে তার ভিতরে। কাপুরুষের মত সিগারেটের ধোয়ায় আরাল করে রাখতে চায় তার কষ্ট গুলো। খুজে ফিরে এমন এক নীলা কেযে কিনা তাকে ভালোবাসবে, ভাগ করে নিবে তার কষ্ট গুলো। যার চোখে খুজে পাবে দুপুর আগামির সপ্ন, তার চুলের মাঝে হারিয়ে ফেলবে অতিতের সব ব্যাথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .