রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রেমের পাগলামী

#প্রেমের_পাগলামী
লেখা ঃ A R Shipon 

সেই দিনটি ছিল আজকের এই দিন, মানে ২৩শে জানুয়ারী। এখনকার মত তখনও লেখালেখির সাথে টুকটাক সম্পর্ক ছিলো। লেখার ভিক্তের সংখ্যাও নেহাত মন্দ ছিল না।একটু পাগল বাচ্চামী স্বভাবের ছিলাম এবং এখনো আছি। তবে বাচ্চামীটা শুধু ভার্চুয়াল জগৎ এই ছিল , বাস্তব জিবনে যথেষ্ট শান্তশিষ্ট।
গল্পটা শুরু করি । তার আগে আমার পরিচয়টা দেই , আমি হৃদয় । বগুরা শহরে আমাদের ছোট্ট ১টা বাড়ি । আমি বগুড়া থেকে ডিপ্লোমা পাশ করে উচ্চ শিক্ষার্জনের জন্য ঢাকায় পারি জমাই । একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে এডমিট হই । শুক্রাবাদে ১টা মেসে ব্যাচেলর জীবন শুরু।
নাহ এইভাবে জমছে না , গল্পের মত করেই বলি ............

হৃদয় ১টা মেসে থাকে । ডিপ্লোমা করলেও ঢাকা এসে প্রেমে পরে এনিমেশনের । চারুকলায় ভর্তি হয় সাথে লেখালেখির বদ অভ্যাস তো আছেই। হৃদয় ভৌতিক গল্প লিখে ব্লগে, ফেসবুকে, মাঝে মাঝে রোমান্টিক গল্পও। ফেসবুকে তার সাথে পরিচয় হয় অনামিকার। অসম্ভব সুন্দরি মেয়েটা। এতো সুন্দর যে মুখের ভাষায় সেটা প্রকাশ করার মত নয় । হৃদয় অন্য সবার সাথে খুব ফ্রিলি কথা বললেও এই মেয়েটার সাথে ঠিক জমিয়ে উঠতে পারে না । মাঝে মাঝে মেয়েটি হৃদয়ের পোষ্টে লাইক দেয় আর তখন সে নিজেকে পৃথিবীর সবচাইতে ভাগ্যবান  মানষদের মধ্যে নিজেকে একজন 
মনে করে। হৃদয় নিজে থেকে মনে করে সে হয়তো মেয়েটির যোগ্য না।

জানুয়ারী ১ তারিখ। 
 হৃদয় মনস্থির করলো যে সে আজ অনামিকাকে উইস করবে।

হৃদয় – ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
অনামিকা কিছুখন পর রিপ্লে দেয় ।
অনামিকা ঃ happy new year 2011 .
হৃদয় আরেকটু সাহস নেয় বিভোরের কাছ থেকে । বিভোর বলে 
- কেমন আছে জিজ্ঞেস কর গাধা ।
হৃদয় ঃ কেমন আছেন আপনি ?
অনামিকা ঃ আপনি কথা বলতে পারেন ?
হৃদয় ঃ জি মানে বুঝলাম না ।
অনামিকা ঃ আজ প্রায় ৬ মাস হলো আপনি আমাকে আপনার ফ্রেণ্ড লিষ্টে এড করেছেন । কিন্তু এই প্রথম আমাকে কিছু বললেন ।
হৃদয় বিভোর কে স্ক্রিনশট দেখায় । হৃদয় বলে আমার ভয় লাগছে আমি আর কথা বলতে পারছি না । 
বিভোর- তুই ১টা গাধা রে, মেয়েটা তোর সাথে কথা বলতে চাইছে আর তুই কি না, দে আমাকে দে তো ফোন টা। 
 হৃদয়ের কাছে থেকে ফোন নিয়ে চ্যাট শুরু করে বিভোর ।

হৃদয় ঃ না আসলে আমি সুন্দরিদের ভয় পাই , বিশেষ করে তোমাকে ।
অনামিকা ঃ আমি কি বাঘ না ভাল্লুক ?
হৃদয় ঃ তুমি জাহান্নামি ।
অনামিকা কোন উত্তর দেই না । হৃদয় বিভোরকে অনেক রাগারাগি করে । 
হৃদয়- তুই এইটা লিখতে গেলি কেনো ? বিভোর- আরে আমি তো অন্য কিছু বলতে চাইছিলাম কিন্তু মেয়েটা তো কোন উত্তর দিল না।

দুইদিন হয়ে গেলো মেয়েটা হৃদয়ের কোন পোষ্টে লাইক দেয় না । আর রিপ্লে তো দুরের কথা ।
রাতে ১টা কবিতা লিখলো হৃদয় ।

"তুই কী জানিস, কেমন করে
এক শালিকের মেঘলা চোখে
শ্রাবণ বিকেল থমকে থাকে,
টিনের চালে ব্যাকুল কিছু
মেঘ ঝরে যায়,
রক্তজবার রং ধুঁয়ে যায় বিকেল শেষে ?"

কবিতাটা পোষ্ট করার পর সবার আগেই লাইক অনামিকার। শুধু তাই না সে ‘অসাধারন’ লিখে কমেন্টও করে ।
হৃদয় মহাখুশি কমেন্টস দেখে । এর কিছুখন পরেই অনামিকার ম্যাসেজ ।
অনামিকা ঃ আমার ফোনে একটূ সমস্যা হয়েছিল তাই ফেসবুকে দুদিন আসতে পারিনি। কেমন আছেন।
হৃদয়ের কিছুটা সাহস এখন হয়ে গিয়েছে ।
হৃদয় ঃ  ঠিক আছে ।
অনামিকা ঃ আচ্ছা আমি জাহান্নামী কেনো ?
হৃদয় হতভম্ব হয়ে যায় । এখন সে কি উত্তর দিবে । বিভোরকে কিছুক্ষন মনে মনে গালাগালি করে নিজেই ১টা সুন্দর উত্তর সাজিয়ে নিল ।

হৃদয় ঃ হ্যা তুমি তো জাহান্নামিই ।
অনামিকা ঃ কেনো ? কি করেছি আমি ?
হৃদয় ঃ একটা মানুষ কেনো এত সুন্দরী হবে? কি প্রয়োজন এতো সুন্দরী হওয়ার। যে মেয়েটার জন্য আমি এতো কষ্ট পাচ্ছি, রাতের ঘুম হাড়িয়ে ফেলেছি, এর জন্য কি তোমার জাহান্নামী হওয়া উচিত না ?
অনামিকা ঃ হাহাহাহাহা । আমি এতোটা সুন্দরী না যতটা আপনি বলছেন ।

এভাবে চলতে থাকে কথা তাদের কথোপকথন। বাইরে দেখা হয় একটা রেস্টুরেন্টে। সে এক আজব ডেট । দুজন দুজনের সামনে প্রায় ১ঘন্টা বসে ছিল কিন্তু কেউ কারোর সাথে কথা বলেনি । আচ্ছা ব্যাপারটা তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে ? অনামিকাও কি আমাকে ভালোবাসে ? হৃদয় নিজেই নিজেকে এভাবে প্রশ্ন করছিল ।

হৃদয় একসময় সিদ্ধান্ত নেয় সে তার মনের কথা অনামিকা কে বলবে । বড় ১টা টেক্সট লিখে অনামিকা কে সেন্ড করে। এরপর ফেসবুক আইডি ভয়ে ডিএকটিভ করে দেয় ।
৩দিন পর ফেসবুকে ফিরে আসে হৃদয়। প্রথমেই অনামিকার আইডিতে ঢুঁ মারে । হৃদয় অবাক হয়ে যায় অনামিকার ১টা পোষ্ট পরে । পোষ্টটা এমন ছিল

“”আমি এক কাপুরুষকে খুব মিস করছি, প্লিজ কাপুরুষ আমার সাথে একবার কথা বলো। তানাহলে হয়তো আমি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবো “”
পোষ্টটি পরে হৃদয় এক স্বর্গীয় ভালোলাগা অনুভব করে । পরক্ষনেই অনামিকার এসএমএস।
অনামিকা ঃ এই কাপুরুষের বাচ্চা প্রপোজ করে পালাই যাস কেন? জানিস আমার কত কষ্ট হচ্ছিল?
হৃদয় ঃ সর।
অনামিকা ঃ আচ্ছা তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
হৃদয় ঃ তুমি আমার হাত ছেরে পালিয়ে না গেলে আমি এই হাত কোনদিন ছাড়বো না।
অনামিকা ঃ আমি পালিয়ে যেতে চাইলেও তুমি যেতে দিবে না, বুঝলে পাগলা।
হৃদয় ঃ খুব বুঝেছি পাগলি ।

এভাবেই সম্পর্ক এগিয়ে যায় । হৃদয়ের আর্থিক অবস্থা খুব ১টা ভালো ছিলো না । অনামিকা কোটিপতির মেয়ে। অনামিকা অনেকভাবে হেল্প করে হৃদয়কে । যেমন  ফোন কিনে দেয় , ক্যামেরা , কম্পিউটার সহ অনেককিছু যা দিয়ে হৃদয় অনেক চেষ্টা করে জিবনে আরেকটু এগিয়ে নিতে , আর একটু বড় হতে । কিন্তু ব্যর্থতা হৃদয় কে মনে হয় অনামিকার চেয়ে বেশি ভালোবাসে তাই হৃদয়কে ছেরে যেতে চায় না। হৃদয়ের ব্যাপারটা ভাল লাগে না এই যে অনামিকার কাছ থেকে হেল্প নিতে। দুই বছর পরের কথা , হৃদয়ের ১টা জব হয়েছে ছোট খাটো ১টা এ্যানিমেশন ফার্মে। চলার মতো আরকি ।

জানুয়ারী ১ ২০২১ ,

ফেসবুকে কথা বলছে দুজন ,
অনামিকা ঃ হৃদয় আমরা বিয়ে করবো কবে ?
হৃদয় ঃ এখনি বিয়ে কেনো ?
অনামিকা ঃ আমাদের রিলেশনশিপের অনেকদিন হয়ে গেছে , আর বড় কথা তুমি আমাকে এখন অনেক এভোইড করো ।
হৃদয় ঃ কি বলছো উল্টা পাল্টা। আমার পক্ষে এখন বিয়ে করা সম্ভব নয় ।
এক কথায় ২ কথায় ২জনের ঝগড়া । একসময় ব্রেকাপ ।
ব্রেকাপের পর অনেক কান্নাকাটি করে মেয়েটি। হৃদয় আর কোন যোগাযোগ করে না অনামিকার সাথে। কয়েকদিন খুব মান খারাপ নিয়ে চলাফেরা করে অনামিকা, বাসায় বিষয়টা নজরে আসে । বিয়ে ঠিক করে অনামিকার । ছেলেটার নাম সজল । অনামিকা আর সজল দেখা করে রেস্টুরেন্টে , সেই রেস্টুরেন্ট যেখানে অনামিকা আর হৃদয় প্রথম দেখা করেছিল ।
সজল ঃ কেমন আছো তুমি ?
অনামিকা ঃ সুস্থ আছি , ভালো আছি।
সজল ঃ ওহ গুড । আচ্ছা তুমি এতো সুন্দরী কেনো ?
অনামিকা ঃ মৃত্যুর পর আল্লাহকে জিজ্ঞেস করবেন কারন তিনি আমাকে বাঁনিয়েছেন। আমি নিজে না।
সজল ঃ হাহাহাহাহা দারুন উত্তর দিলে তো । আচ্ছা কি খাবে বলো ?
অনামিকা ঃ আপনি কিছু অর্ডার করেন।

অনামিকা খুব মিস করে হৃদয়কে। কিন্তু সে বেইমানটাকে ভুলতে চায় । তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে সজলের সাথে কিছু দিন মিশবে আর তারপর যদি ভালো লাগে তাহলে তাকেই বিয়ে করবে ।

অনামিকা আর সজল মাঝে মাঝেই বের হয় বাইরে ঘুরতে । সজলের গাড়ী আছে সেটাতে করেই বের হয় , সজলের রেস্টুরেন্টও আছে । সেও অনামিকাদের মতই কোটিপতি আর ইংল্যান্ড থেকে পাশ করা। কিছুদিন মেলামেশার পর অনামিকা সিদ্ধান্ত নেয় যে সে সজলকে বিয়ে করবে। বাসা থেকে বিয়ের ডেট ফিক্সড করা হয়। সপ্তাহ পরেই অনামিকার বিয়ে, সেটাই জানিয়ে গেল তার বাবা । বিয়ের ডেট শোনার পর থেকে কেমন জানো লাগছে অনামিকার। খুব মিস করছে হৃদয়কে। মিস তো করারই কথা । হৃদয়কেই যে ভালবাসে সে, অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু ছেলেটা বুঝে না মেয়েটার ব্যাথা । অনামিকা ভাবে নিশ্চয় হৃদয় অন্য কোন মেয়ের প্রেমে পরেছে তা না হলে কেন সে তাকে ছেরে যাবে। সে তো কম সুন্দরী না , এতো সুন্দরী মেয়ে সহজে চোখে পরে না। আর অনামিকাও তো এমন কিছু করে নাই যে কারনে রাগ করে দূরে সরে যাবে হৃদয়। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে চোঁখে জল চলে আসে অনামিকার । কেঁদে লাভ নেয়, যে তাকে চায় না তার জন্য আর কাঁন্না নয়, হৃদয়কে ভুলে সজলকে নিয়ে ভাবনার সূচনার সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু সেটা কি এতোটাই সহজ?

আচ্ছা এখন আমরা একট হৃদয়ের খোজ নেই সে কোথায় আর কেমন আছে।

হৃদয় জব টা ছেরে দিয়েছে । বেকার হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে , ইদানীং সে স্মোকিং শুরু করেছে। কারনটা সবার এখনো অজানা । বন্ধুরা খুজে পায় না কেনো সে হটাৎ এমন বদলে গেলো , কেনো স্বপ্নের চাকরিটা ছেরে দিয়ে ভব ঘুরে হয়ে গেলো ।

বিভোর ঃ কি হয়েছে তোর? তুই এমন বদলে গেলি কেনো?
হৃদয় ঃ আমি বদলায় নি । যেমন ছিলাম তেমনি আছি ।
বিভোর ঃ অবশ্যই বদলে গেছিস, সেটা নাহলে জব টা ছেরে দিলি কেনো ? আর অনামিকার খবর কি ?
হৃদয় ঃ অনামিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনলাম।
বিভোর ঃ ওহ বুঝলাম । বদলানোর কারন টা ।

হৃদয় এর চোখে পানি চলে আসে ।

বিভোর ঃ আরে গাধা কাঁদছিস কেনো । আর তুই থাকতে কার সাথে বিয়ে হচ্ছে?
হৃদয় ঃ ওর এক কাজিনের কাছ থেকে শুনলাম সজল নামের এক ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। লাভ ম্যারেজ।

বিভোর ঃ ইম্পসিবল । অনামিকা তোকে অনেক ভালোবাসে। অন্য কারো সাথে রিলেশন ও জিবনেও জরাবে না ।
হৃদয় ঃ করেছে তো । ছেলেটা অনেক বড়লোক আর ওয়েল এডুকেটেড ।
বিভোর ঃ এই কি হয়েছিল সব খুলে বলতো ।
হৃদয় সব খুলে বলে বিভোরকে । বিভোর কিছুক্ষন চুপ করে থাকে ।
বিভোর ঃ দোষটা তোর । তুই কেন ওর সাথে ব্রেকাপ করতে গেলি গাধা ?
হৃদয় ঃ কারন আমি ওকে ভালোবাসি। আমি জানি আমি ওকে বিয়ে করলে ওকে সুখে রাখতে পারবো না।
বিভোর ঃ আরে টাকা পয়সায় শুধু সুখ দেয় না, ভালোবাসার মানুষটা পাশে থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ন ।

হৃদয় মন খারাপ করে রুম থেকে বের হয়ে যায় ।

কিছুদিন পর

আজ অনামিকার গাঁয়ে হলুদ । পুরোবাড়ি সাজানো হয়েছে রঙ বেরঙ এর আলোক স্বজ্জায়। হৃদয় এসেছে অনামিকাদের বাসার সামনে । বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে দেখছে । এমন সময় পিছন থেকে অনামিকার এক বান্ধবী হৃদয়কে দেখে ডাক দেয়।

রিয়া ঃ কেমন আছেন ভাইয়া ?
হৃদয় ঃ ভালো। তুমি ?
রিয়া ঃ আমিও ভাইয়া ভালো। আসেন ভিতরে যাই ।
হৃদয় ঃ নাহ । আমি এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম । তাই একটু দাঁড়ালাম ।
রিয়া ঃ সেটা বললে হবে না , আমার সাথে যেতে হবেই ভিতরে । অনামিকার সাথে দেখা করতেই হবে।

রিয়া জোর করে ধরে নিয়ে যায় ভিতরে হৃদয়কে। ভিতরে ঢুকেই সবার মুখে কানাকানি কথা বলতে শুনে। কিন্তু বিষয়টি বুঝে উঠতে পারে না । ঠিক ওই সময় হৃদয়ের ফোনে কল আসে। বিভোর কল দিয়েছে।

হৃদয় ঃ হ্যা বল বিভোর।
বিভোর ঃ গাধারাম কোথায় তুই ?
হৃদয় ঃ অনামিকা দের বাসায় ।
বিভোর ঃ আরে করেছিস কি তুই পাগলা। তারাতারি পালা ঐখান থেকে।
হৃদয় ঃ কেনো পালাবো আমি?

বিভোরের কাছ থেকে অনামিকা ফোনটা নিয়ে নেয় ।আর হৃদয়ের প্রশ্নের উত্তর দেয় ।

অনামিকাঃ কারন আমি বিয়ে ফেলে পালিয়ে এসেছি । আর আসার সময় চিঠি লিখে এসেছি যে, আমি হৃদয় এর সাথে পালিয়ে গেছি ।

হৃদয়ঃ (মুচকি হাসি দিয়ে) মাইরালছে। এখন আমি পালাবো কিভাবে? আচ্ছা থাকো আমি আসতেছি।

সেই সময় রিয়া এসে হৃদয়কে বলে

রিয়া ঃ ভাইয়া তুমি এখনি পালাও। রিয়া বাসা থেকে পালিয়ে গেছে, আর যাওয়ার আগে চিঠিতে লিখে গেছে যে ও নাকি তোমার সাথে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তুমি তো এইখানে , আল্লাহ জানে অনামিকা কোথায়।
হৃদয় ঃ অনামিকা আমার সুধু আমার ।

হৃদয় সেখান থেকে লুকিয়ে বিভোরদের বাসায় চলে আসে । এসে দেখে তার বাসায় সবাই চলে এসেছে , মানে গ্রাম থেকে বাবা-মা এবং ঢাকার তার সকল আত্মীয়স্বজন । শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে হৃদয়ের। মাথা নিচু করে বিভোরের রুমের দিকে যাচ্ছে। এমন সময় হৃদয়ের মামা বলে...

মামা ঃ শুনো । ঐ রুমে অনামিকা কে সাজানো হচ্ছে । তুমি পাশের রুমে যাও । ওইখানে গিয়ে রেডি হও । অনামিকার বাবা- মা আসছে । আসলেই তোমাদের বিয়ে।
সেই রাতে বিয়ে হয় দুজনের। বাসরঘরে হৃদয় আর অনামিকা । বিছানার উপর বসে আছে অনামিকা । হৃদয় কাছে যায় ।

হৃদয় ঃ এইটা কি হলো ?
অনামিকা ঃ কোনটা ?
হৃদয় ঃ বিয়ে বাড়ি ফেলে আরেক ছেলের কপাল পুরিয়ে এইভাবে চলে আসলে যে, এগুলা কি হ্যা ?

অনামিকা ঃ (হৃদয়কে জরিয়ে ধরে , মাথাটা হৃদয়ের বুকে গুঁজে দিয়ে) এই গুলা পাগলামী , তোমার আমার প্রেমের পাগলামী । তুমি শুরু করেছো, আর আমি শেষ করলাম ।
সমাপ্ত ।
( পুরো গল্পটাই আমার কল্পনা । এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই )
আমার লেখা আরো গল্প পরতে চাইলে আমার পেইজ টি লাইক দিতে পারেন ।
https://www.facebook.com/arshipon15/
সমাপ্ত ……

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .