রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

কলংকপুর

কলংকপুর
লেখা ঃ প্রে তা ত্তা

রাত ১টার কিছু বেশি বাজে । এই সময় হিমেলের ফোন বেজে উঠে ।

হিমেল ঃ কিরে লুসার ? কি হইলো এতো রাতে ?

দুপুর ঃ দোস্ত কি করিসরে ?

হিমেল ঃ চ্যাটিং করি । ঘুম আসছে না ।

দুপুর ঃ ১টা কাজ কর , পান্থপথ আয় । পুরান ঢাকার বিরিয়ানি খেয়ে আসি ।

হিমেল ঃ তুই ৫মিনিট ওয়েট কর আমি ১০ মিনিটের ভিতর বাইকটা টান দিয়ে আসতেছি ।

এরপর হিমেল দুপুরের কথা মত  বাইক নিয়ে চলে আসে কাজিপারা থেকে পান্থপথ । তারপর ২জন বের হয় পুরান ঢাকার উদ্দেশ্যে । কিন্তু শাহবাগ  বারডেম হাসপাতালের সামনে আসার পরই দুপুর গাড়ী থামিয়ে বলে চল ভিতরে । হাসপাতালের কান্টিনে যায় । সেখানে দুপুর আইসক্রিম খুজে , কিন্তু আজ সেখানে আইসক্রিম নাই । শেষ হয়ে গেছে । হিমেল দুপুর কে বলে

হিমেল ঃ সালা তুই আমাকে এতো রাতে মিথ্যে বলে আইসক্রিম খেতে এসেছিস ?

দুপুর ঃ দূরে গিয়ে মর তুই । তুই ১টা কুফা । তোর জন্ন্য নাই । আর আমি না , পেত্নী(রোদেলা) খেতে চাইছে । তাই এতো রাতে আসছি ।

হিমেল ঃ ছাগল ১টা । চল আমার সাথে ।

দুপুর ঃ কোথায় ?

হিমেল ঃ তোমার শশুরবাড়ী , আইসক্রিম আনতে ।

এরপর দুপুর হেসে হিমেলের পিছে চরে ওরা মিরপুর যায় । সেখানে হিমেলের এক পরিচিত দোকানদারের ঘুম ভাঙ্গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে উত্তরা রওনা দেয় । রোদেলা উত্তরা থাকে । দোতালা বাসার সামনে গিয়ে দুপুর রোদেলা কে ফোন দেয় । রোদেলা নিচে এসে আইসক্রিম নিয়ে যায় আর সান্তনা পুরস্কার হিসেবে দুপুর রোদেলার মিষ্টি ঠোটের ছোয়া পায় । আদান-প্রদান পর্ব শেষ করে বাইকে উঠে। বাইক চলছে ।  হিমেল দুপুর কে

হিমেল ঃ মামা । এয়ারপোর্টের রাস্তাটা না ভালো না ।

দুপুর ঃ রাস্তা ভালো না মানে ? একদম ক্লিয়ার রাস্তা , কোথাও ভাঙ্গাচুরা নাই ।

হিমেল ঃ না মামা । আমি বলতে চাচ্ছি রাস্তাটা ভয়ানক । মাঝে মাঝে ভুতেড়া আক্রমন করে ।

দুপুর ঃ ভিতুর ডীম কোথাকার । আর আমি আছি তো । আমার মত ১টা ভুত বিষেশজ্ঞ থাওতে এতো কিসের টেনশন ?

এর পর গাড়ী চলতে থাকে । এয়ারপোর্ট পার হয়ে কিছুটা সামনে এগিয়ে এসেছে । তখন হিমেল বলে

হিমেল ঃ মামা সামনে দেখ ১টা বিড়াল । কি করবো ?

দুপুর ঃ বিড়াল তো রাস্তায় থাকতেই পারে । পাস কেটে যা ।

হিমেল বিড়ালটাকে পাস কেটে যেতে চায় কিন্তু পারে না বিড়াল টা সামনে এসে যেন বাইকের সামনে এসেই পরে । থেতলে যায় বিড়াল । ভয় পেয়ে যায় দুপুর আর হিমেল । কিছুখন ঐখানে থেমে সিগারেট খেয়ে আবার রওনা হয় । বনানীর কাছাকাছি চলে এসেছে  তখন দুপুরের ফোনে রাব্বির ফোন , ফোন করে সে বলল যে তার গ্রামে ১টা ভুতুরে সমস্য হচ্ছে । ছোটখাট কিছু না , বড় আর  ভয়ানক ব্যাপার । কয়েকজন উধাও আর সাথে কিছু লাশ । দুপুর রাব্বী কে বলে যে তারা তার গ্রাম কলংপুরে যাবে । রাব্বী বলে তাহলে আজই ভোড় ৬টায় যেতে হবে । সে রবিন , আসিফ আর তাহমিনাকে আসতে বলে দিচ্ছে । দুপুর হিমেলকে কথা টা বললে হিমেল ও যেতে রাজি হয় । তার কিছুখন পরই মাহাখালী ফ্লাইওভার ব্রীজের উপর আবার সামনে সেই বিড়াল । এবার তার শরীর বেয় রক্ত ঝরছে , চাদের আলোয় সেটা স্পষ্ট দেখা যাছে । তার চোখ দুটো হিংস্রশিকারির মত দুপুরদের দিকে তাকিয়ে আছে ।

দুপুর ঃ মামা । তুই এই বিড়ালটাকে আবার পিষিয়ে দে । আর গাড়ী থামাবি না ।

হিমেল ঃ ঠীক আছে বন্ধু ।

এবার বিড়ালটা কিন্তু সরে যায় । তারপর হিমেল আর দুপুর হিমেলের বাসায় গিয়ে একটু রেষ্ট নিয়ে বাইক রেখে ৫.৩০ এর দিকে কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ডে আসে । সেখানে আগেই চলে এসেছে রবিন, আসিফ , আর রানা । রানা সব শুনে যেতে চেয়েছে । কিছুখন পর রাব্বি সাথী কে নিয়ে আসে । সাথীর বাড়ীও কলংকপুর । সাথী রাব্বীর প্রেমিকা ।

৬টায় বাস ছারে । রাস্তায় কিছু প্রবলেম হয় তাই পৌছাতে একটু সময় লাগে । বিকেল ৪টার দিক পৌছে । বাস থেকে নেমে ওরা সবাই অবাক হয় । কারন কেমন জানি খুব নীরব নীরব লাগছে । মনে হচ্ছে এটা পৃথিবীর বাইরে কোথাও । এমন কি রাব্বী আর সাথীও যেন চিন্তে পারছে না । ওরা গ্রামের ভিতর ঢুকে । ঢোকা মাত্রই ১টা বিড়াল এসে সামনে পরে চিৎকার করতে থাকে , তারপর আবার উঠে চলে যায় ।

হিমেল ঃ দুপুর , রাতে আমরা এই বিড়ালটাকে দেখলাম না ?

আসিফ ঃ মানে ?

দুপুর ঃ আরে কিছু না । চল সামনে চল ।

এরপর ওরা রাব্বির বাসায় যায় । ছেলে এসেছে দেখে মায়ের খুশি হয়ার কথা , কিন্তু ঘটনা ঘটলো উলটো । রাব্বির মা রাব্বিকে দেখে রেগে গেলেন । বললেন ঢাকা ফিরে যেতে । কারন টা একটু পরেই পরিস্কার হলো ।

এইগ্রামটা বদ প্রেতাত্তারা দখল করেছে । আর তারা গ্রামের যুবক ছেলেদের নিয়ে মেরে ফেলছে মাথা কেটে নিয়ে পূজো দিচ্ছে প্রেতাত্তাদের দেবতার কাছে । এখনও পুরো গ্রাম দখল করতে পারে নি । আরো লাশ চায় তারা । তারপর হয়তো তারা এই গ্রাম দখল করে ফেলবে । তারপর আবার পরের গ্রাম ধরবে । একসময় হয়তো পুরো বিশ্ব দখল করতে চাইবে । বেপার গুলো গ্রামের প্রতিটা মানুষকে দুর্বল করে ফেলেছে । তাই রাব্বীর মা চায় রাব্বী ফিরে যাক । অনেক কষ্টে তাকে আগামিকাল প্রজন্ত রাজি করানো হয় । সন্ধ্যা হওয়ার পর সবাই যার যার ঘরে ঢূকে পরে । দুপুর কোন রকমে রানা আর হিমেল কে নিয়ে বের হয় । প্রথমে তারা মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে ।  নামাজে যাওয়ার আগে কারা যেন ওদের পিছু নিচ্ছিলো , কিন্তু মসজিদে ঢোকার পর থেকে তাদের আর কোন সারা শব্দ নেই । তারমানে মসজিদ সেফজোন । আর হবেই না , এটাতো মহান আল্লাহর ঘর ।

নামাজের পর বাজারে যায় । কিন্তু বাজারের প্রায় সব দোকান বন্ধ । কিছুখন হেটে ফিরে আসার সময় দেখে যে ১টা দোকান খোলা , তবে এখনই বন্ধ করছে । কাছে গিয়ে ওরা তার কাছে সিগারেট চায় । দোকানদার বলে

দোকানদার ঃ আপনারা কি এই গ্রামে নতুন আসছেন ?শুনেন নাই কিছু ?

আসিফ ঃ জি মামা , আমরা নতুন ।

দুপুর ঃ না , আমরা তো কিছু শুনি নাই । বলেন তো ।

দোকানদার ঃ এই গ্রাম দখল করছে প্রেতাত্তারা । এখনই বাসায় জান তা নইলে রক্ষে নাই ।

বলেই দোকানদার জোরে হেটে হেটে চলে যাচ্ছে । আর এমন সময় কোথায় থেকে যেন ১টা বড় ছায়া এসে তার উপর পড়লো আর সে মাটিতে লটিয়ে পরে ।

দুপুর ঃ তারাতারি সিগারেট ধরা , তানাহলে বেচে ফিরতে পারবো না ।

হিমেল সাথে সাথে সিগারেট ধরায় । তার কিছুখন পরই চারপাস থেকে ভয়ংকর চিৎকার আর হাসির শব্দ ভেসে আসে , এই শব্দ শুনেই মানুষ মারা যাবে এমন অবস্থা । দুপুর আসিফ আর হিমেলের হাত ধরে দৌরে পালায় , আর পিছে অদৃশ্য কারা যেনো দৌরাছে । হটাৎ কিছু ১টার সাথে হোচট খায় দুপুর পরে যায় ৩জন , সিগারেটের আগুন নিভে যায় । চেয়ে দেখে সেই কালো বিড়াল । পরক্ষনেই দুপুর দেখে কারা যেন আসিফকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না দুপুর । মাথা খুলে যায় , জোরে জোরে কালেমা পরা শুরু করে । আর প্রেতাত্তা রা আসিফ কে ছেরে দেয় । তারপর হিমেল , আসিফ আর দুপুর ৩জন হাত ধরে কালেমা পরতে পরতে বাসায় ফিরে আসে রাব্বিদের । রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে দুপুর হোয়াইট সার্কেল একে বসে । সে এখন তার প্রেতাত্তাকে ডাকবে ।

সার্কেলের ভিতর ওরা বসেছে । কিছুখন পর হাজির দুপুরের প্রেতাত্তা । দুপুর ছারা কেউ তাদের দেখতে পায় না , তবে তার কথা শুনতে পায় , তাকে প্রশ্ন করতে পারে ।

প্রেতাতা ঃ কেমন আছো দুপুর ? অনেক দিন পর তোমার ডাক পেলাম ।

দুপুর ঃ কেনো ডেকেছি সেটা নিশ্চয় তুমি জানো । এখন বলো কিভাবে মুক্তি পাবে কলংকপুর ?

প্রেতাত্তা ঃ বিষয়টা খুবই জটিল । অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে তোমাকে আর তোমাদের বন্ধুদের ।

দুপুর ঃ প্রেতাত্তা তুমি কিন্তু জানো যে ঝামেলা আমার ছোটবেলার বন্ধু । এইতো কিছুদিন আগে জেলখেটে এলাম , এটা কি কম ঝামেলার ?

প্রেতাত্তা ঃ শোন । সয়ং অন্ধকার জগতের অপদেবতা এইগ্রাম কে তাদের দখলে নেওয়ার জন্ন্য উঠে পরে লেগেছে ।

রানা ঃ সত্ত্যিই কি তাহলে এইগ্রাম অন্ধকার জগতের হয়ে যাবে ? এখানে বাস করবে খারাপ প্রেতাত্তারা ?

প্রেতাত্তা ঃ আগামীপরশুদিন পুর্নিমারাত । ঐদিন কোন এক কুমারীনারী বলী দিয়ে অতৃপ্ত আত্তাদের সাহায্য চেয়ে এই গ্রামকে নিজেদের করে নিবে ।

রাব্বী ঃ তাহলে উপায় ?

দুপুর ঃ এখন আমরা কি করতে পারি ? উপায় টা বলো

প্রেতাত্তা ঃ তোমাদের ঐ মেয়েটাকে বাচিয়ে ওই পূজো বন্ধ করতে হবে ।

আসিফ ঃ মেয়েটা কে ?

প্রেতাত্তা ঃ সেটা যে কোম কুমারী নারী হতে পারে ।

দুপুর ঃ পুজো বন্ধ করবো কিভাবে ?

প্রেতাত্তা ঃ আমি তোমাকে ১টা নক্শা দিব , সেটা থেকে গ্রামে প্রবিত্র যায়গা গুলো বের করে হোয়াইট ম্যাজিকের ভাষায় পার্থনা লিখে রেখে আসতে হবে । আর ১টা জায়গায় আর ১টা কুমারী নারী দিয়ে হোয়াইট সার্কেল একে ধংষ থেকে মুক্তির পার্থনার ব্যাবস্থা করতে হবে । আর এগুলা করার সময় অনেক ঝামেলাই পরতে হবে তোমাদের ।

দুপুর ঃ হুম । আচ্ছা নকশা টা দাও ।

প্রেতাত্তা ঃ এই নাও । আর বাকীটুকূ তোমার মাথা খাটিয়ে কর । শুভ কামনা তোমার জন্ন্য । বিদায় ।

এরপর প্রেতাত্তা চলে যায় । ওরা সবাই মিলে নকশার দিকে তাকিয়ে থাকে । দুপুর ঠীক করে যে ফাহিম কে ফোন দিয়ে আসতে বলবে ।কারন ফাহিম অসম্ভব ভালো আকাআকি করে , সাথে তাহমিনাকে । তাহমিনা আগেই ওদের সাথে আসার কথা থাকলেও আসতে পারে নাই ।

রাতে ওরা সবাই একসাথে ঘুমায় । মাঝরতে একবার খুব ঝড়ো বাতাস শুরু হয় , সাথে মনে হয় কেউ যেন ওদের বাসার চালে ইট-পাটকেলের বৃষ্টি ঝড়াচ্ছে । সবাই খুব ভয় পেয়ে যায় । ওদের চোখের সামনে ভেষে আসে অনেক প্রেতাত্তা যাদের শরির দিয়ে রক্ত ঝরছে , কারো হাত নেই , কারো মাথা নেই , কারো তো আবার আর্ধেক শরিরই নেই । রাব্বিকে টানা হেচরা করতে থাকে নিয়ে যাওয়ার জন্ন্য কিন্তু পারে না । দুপুর তার ব্যাগ থেকে ১টা হাড় বের করে সামনে ধরলে ওরা পালিয়ে যায় । তারপর ঘুমিয়ে পরে আবার ।

সকালে ঘুম থেকে উঠেছে সবাই । ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার সময় ওদের চোখে পরলো যে সাথী মিসিং । সবাই মিলে কোথাও খুজে পেলো না সাথীকে । দুপুরের হটাৎ মনে পরলো তার প্রেতাত্তার কথা , সে বলেছিল যে একজন কুমারী বলি দিয়ে অপদেবতা এই কলংকপুরকে কলংকিত করবে । বিকেলেও কোথায় খুজে পেলো না । সন্ধ্যার একটু আগে ফাহিম আর তাহমিনা চলে আসে । দুপুর ফাহিম আর তাহমিনাকে সব বুঝিয়ে বলে । দুপুর আগে থেকেই জাফরানের কালী নিয়ে এসেছে । ঐটা দিয়ে নকশা গুলো একে ফেলে খুব সুন্দর করে । তারপর গ্রামের সব গুরুত্বপূর্ন স্থানে গেরে রেখে আসে । এই স্থানের আসে পাসে প্রেত্তাত্তা রা কিছু করতে পারবে না ততখন যতক্ষন না তারা গ্রাম টা কে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় বলী দিয়ে । ঐদিন রাতের মত আজ ও খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যাবে । তার আগে দুপুর ১টা হোয়াইট সার্কেল একে সেখানে তাহমিনাকে থাকতে দিল ।

রানা আর দুপুর ছাড়া সবাই ঘুমিয়ে গেলো । বসে গল্প করছে , রানা বললো চল দোস্ত ১টা বিড়ী খেয়ে আসি । দুপুর ও রাজী হয়ে গেল । বাইরে গিয়ে সিগারেট খেয়ে আবার ঘরে ঢূকবে , এমন সময় ২টা পেত্নী আসে । মুখে বিশাল ২টা দাত , চুল গুলো নোংড়া , দুপুরকে আঘাত করে রানা কে নিয়ে যায় । এর পর দুপুর ঘরে এসে দেখে বাকি সবাই ঠীক আছে ।

ভোর হয় । দুপুর , হিমেল আর ফাহিম আলোচনা করে যে আসলে কোথায় অপপ্রেতাত্তারা বলীর পুজা দিতে পারে । কিন্তু কোন কুল কিনারা করতে পারলো না । সারাদিন খুজলো রানাকে , কোথাও পেলো না । সন্ধার পরেই বিষেশ হোয়াইট সার্কেল একে তাহমিনাকে বসিয়ে দিল পার্থনাতে । আর ঐখানে রবিন আর আসিফকে রেখে দুপুর বললো

দুপুর ঃ চল আমরা ওদের পুজো দেখে আসি ।

হিমেল ঃ মানে ? তুই কি জানিস যে কোথায় পূজো হবে ?

দুপুর ঃ ফাহিম তুই কোথায় কোথায় নকশা গুলো পুতে রেখেছিস ?

ফাহিম ঃ প্রায় সব জায়গাটাই কাভার করেছি তুই মূল নকশার  যেখানে যেখানে বলেছিস । কেনো  জিজ্ঞাস করছিস বলতো ?

দুপুর ঃ একটা জায়গা কিন্তু আমরা নকশা দেই নাই । বলতো কোথায় ?

হিমেল ঃ হ্যা । শশানে আমরা কিছু দেই নাই । আর অতৃপ্ত আত্তারা শশানেই থাকে । চল আমরা এখনি যাই ।

দুপুর ঃ হ্যা চল ।

দুপুররা ওইখানে চলে যায় । কিন্তু কিছুই দেখতে পাচ্ছে না । তবে তারা শিউর যে এখানেই হবে । কারন শশানের চারপাশে ৪টা মানুষের কাটা মাথা রাখা আছে আর কিছু পাঠার মাথা । মাথা গুলো থেকে যেন এখনো রক্ত ঝরছে । রাত প্রায় ১১টার পর অপপ্রেতাত্তা আর অপদেবতা এসে হাজির হয় । রানা আর সাথীকে ও নিয়ে এসেছে । অপদেবতা তার মন্ত্র পাঠ সুরু করে । ১২টার দিক বিশাল এক ছুড়ী দিয়ে সাথীর উপর রাখে , কিছুখন পর ঐটা নিয়ে সাথির গলাবরাবর রেখে চালাতে যাবে আর এই সময় দুপুর সচ্ছ জাদুর মন্ত্র পরে ঝাপিয়ে পরে অপদেবতার উপর আর ফাহিম জাফরানের কালী ছিটিয়ে ধংস করে দেয় অপদেবতার সব পরিকল্পনা । এ যাত্রায় সাথী বেচে গেলেও দুপুর আটকে যায় অপপ্রেতাত্তার হাতে , রানাকে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেই , ও গিয়ে পরে ছূরিটার উপর । পায়ে কিছুটা কেটে যায় । আর দুপুরের গলা চেপে ধরে অপদেবতা । ধিরে ধিরে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে থাকে । দূর থেকে মনে হয় তাহমিনার পার্থনার শব্দ ভেসে আসে । অপদেবতা দুর্বল হয়ে পরে । কিন্তু দুপুরের গলা ছারে না । দুপুরের চার পাশ অন্ধকার হয়ে যায় , নিস্তেজ হয়ে পরে যায় দুপুর ।











দুপুরের জ্ঞ্যান ফিরে হাসপাতালে , পাসে তাকিয়ে দেখে যে পাসের বেডে হিমেল । তারমানে সে বেচে আছে , সে কলংকপুর কে রক্ষা করতে পেরেছে । সেই সময় রাব্বী আসে

রাব্বী ঃ দোস্ত কেমন লাগছে এখন ?

দুপুর ঃ হ্যা , ভালো । কিন্তু আমাকে ঢাকা আনলি কখন ?

রাব্বী ঃ কাল রাতে তুই আর হিমেল বনানী ব্রিজে বাইক এক্সিডেন্ট করে পরেছিলি । একজন নিয়ে এসে তোদের হাসপাতলে ভর্তি করে আর তোর ফোনে লাষ্ট আমার  কল ছিল । ঐটা দেখে উনি আমাকে ফোন করে ।

হিমেল ঃ কিন্তু , কিভাবে ? আমরা তো । ( দুপুর ঈশারাতে হিমেল কে থামতে বলে )

রাব্বী ঃ তোরা সম্ভবত ১টা কালো বিড়ালের উপর দিয়ে বাইক উঠাইদিছিলি । ওইখানে ১টা মৃত বিড়াল পরেছিল ।

দুপুর ঃ রাব্বী তুই কাল রাতে ফোন দিয়ে বলছিলি যে তোর গ্রামে ভয়ানক কি ?

রাব্বি ঃ ওহ , হ্যা । কিছুদিন ধরে গ্রামে ভুত-পেতের উৎপাত বেরে গেছিলো । গ্রামটা সারাখন নীরব আর মেঘাচ্ছন্য হয়ে থাকতো । আর ৬/৭ জনের মত যুবককে মেরে ফেলছে । তবে আজ সকাল থেকে নাকি সব আবার আগের মত ঠিক হয়ে গেছে । আচ্ছা এখন এই কথা বাদ দে তো ।

দুপুর আর হিমেল ২জন ২জনের দিকে তাকিয়ে মুচিকি হাসে । কিছুখন পর ফাহিম দুপুর কে বলে দোস্ত তোর জন্ন্য ১টা খারাপ খবর আছে । এই নে তোর ফোন । এস এম এস গুলো চেক কর ।

দুপুর ফোন নিয়ে এস এম এস এ যায় । এস এন এস টা দেখে চোখ দিয়ে পানি পরে , খুব কষ্ট ও পায় তবে কোন পাগলামী করে না । এস এম এস টা রোদেলা দিয়েছে , এস এম এস টা এমন

“”””” dupur tumi amake ar kokhono fon diba na . kal rat e ammu dekhe felche . tara tmk like kore na . tumi jel khatcho . plz tumi amk ar disturb koiro na . ar fon diye amar kono khoti koiro na . parle smking ta chere dio . valo thaiko . bye “”””””””””””””””””””””””””””””

সমাপ্ত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .