রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

#অভিশপ্ত_গ্রাম । পার্ট – ১

#অভিশপ্ত_গ্রাম । পার্ট – ১
লেখা ঃ প্রে তা ত্তা


গ্রামটির নাম পালামগঞ্জ । গ্রামটি ঢাকা জেলার দোহার থানার রাইপারা ইউনিয়ন এ অবস্থিত । বহু প্রাচীনকাল থেকে এ এই গ্রাম নিয়ে অনেক ভুতুড়ে গল্প আছে বলে শোনা যায় । যেমন ফাহাদদের বাড়ির সামনের খেজুর গাছ আর মসজিদ এর পিছনের তাল গাছ এ ২ পা দিয়ে দারিয়ে আছে বিশাল আকারএর এক দ্বৈত । যাকে কিনা প্রাই দেখতে পান গ্রাম এর লোকেরা । একদিন শিপন , বিভোর আর লিমন রাতে লিমন দের বাসায় থাকবে বলে ঠিক করে । লিমন দের বাসা ফাহাদ দের বাসার পাসেই । যেই কথা সাই কাজ , সাথে জুটল সুরুজ । ৪জন মিলে তাস খেলছে আর সিগারেট এর টান দিচ্ছে । ভালই চলছিল ওদের খেলা , হটাত বিভোর সবাইকে থামতে বলে । বিভোর শিপন ্কে বলল কাকা তোমরা কি কিছু শুনতে পাচ্ছ । সুরুজ বলে উঠল হা মনে হয় ছাদ এ কোন বাচ্চা কান্নাকাটি করছে । বিভোর বলল চল গিয়ে দেখে আসি । এর মাঝে শিপন বলে উঠল না , এত রাতে কোন কিছু না বুঝে যাওয়া ঠিক হবে না । লিমন শিপন এর কথায় সাই দিল । কিন্তু সুরুজ আর বিভোর এর জোরাজুরি তে তারা আখন যাওয়ার জন্য এগুচ্ছে । শিপন সিগারেট এর পাকেট আর ফাইরবক্স টা নিয়ে নিল । শিরি দিয়ে উঠছে ওরা , বিভোর আর শিপন সবার আগে । ছাদ এ উঠল ওরা কিন্তু কিছু নেই । কান্নার শব্দ টা সড়ে গিয়ে এখন আর একটু সামনে । লিমন সামনের দিক এগুতে যাবে আর আই সময় শিপন লিমন এর হাত টান দিয়ে ধরে, লিমন পিছে তাকালে শিপন অর হাতে ১টা সিগারেট দাই । অর ৩জন সিগারেট টানছে সুধু সুরুজ ছারা ।সুরুজ সিগারেট হাত এ নিয়ে দারিয়ে আছে সে ধুম্পান করে না । ওরা একটু এগিয়ে গেল এখন শব্দ টা পুরো শপ্সট পুকুর এর কাছ থেকে আসছে , ওরা ছাদ এর পাশে এসে পুকুর দিকে তাকিয়ে ওদের চোখ ছানাবড়া । পুকুর এ ৪০ থেকে ৫০ টা উলঙ্গ শিশু খেলা করছে আর তাদের সবার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে । লিমন আর সুরুজ খুব ভয় পেয়ে গেল ওরা রুম এ ফিরে জেতে চাইল । শিপন আর বিভোর ওদের জোর করে বলে যে না । ওরা কি করে আজ দেখব । বিভোর বলে কাকা আস আমরা নিচে জাই , শিপন না করে বর, ক্ষতি হতে পারে ।হটাত ওদের সিগারেট গুল নিভে যায় । এবার শিপন ভয় পেয়ে যায় । লিমন শিপনকে বলে , মামা একটু উপরে তাকা । ওরা সবাই উপরে তাকায় , উপরের জিনিস দেখার জন্য ওরা প্রস্তুত ছিল না । ওরা দেখল সেই দ্বৈতটা , জার কথা ওরা সারাজিবন বড়দর কাছে শুনেছে । দ্বৈতটা ফাহাদ্দের খেজুর গাছের মাথায় আর মসজিদ এর পিছনে তাল গাছের মাথায় পা দিয়ে দারিয়ে আছে , আর তার বিশাল হাত দিয়ে ১টা ১টা করে বাচ্চা পুকুর থেকে উঠিয়ে তার মুখে ভরচে , বাচ্চা গুলো কান্না করছে । বাচ্চা গুলোর কান্না জানো আকাশ বাতাস কাপিয়ে তুলছে । এইসব দেখে ওদের অবস্থা খারাপ । সুরুজ অজ্ঞান হয়ে গেছে ।বাকি ৩জন এর অবস্থা ও খারাপ ।ওরা সুরুজকে ধরে নিয়ে রুম এ আসে , একটু পর এ ফজর এর আজান দায় । সুরুজ এর জ্ঞান ফিরলেও গায়ে অনেক জর । শিপন , লিমন আর বিভোর এর অ খুব জর আসে । প্রায় ৬দিন পর ওদের জর কমে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .