রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

অভিশপ্ত গ্রাম । খণ্ড – ৩ । #তকলিমা_বিবি

অভিশপ্ত গ্রাম । খণ্ড – ৩ ।
#তকলিমা_বিবি .
লেখা : প্রে তা ত্তা

অভিশপ্ত গ্রামের আরো ১টি সত্যি ঘটনা । আজকের ঘটনাটি তকলিমা নাম এর এক মহিলা ক নিয়ে । তকলিমা বিবির বাড়ি নবাবগঞ্জ এর পাঞ্জিপহর গ্রামে । পালামগঞ্জ এ তার এক বোন থাকে । তকলিমার স্বামী ছেরে চলে গেছে তাই সে তার মেয়ে বাবলি আর ছেলে মামুন কে বোন এর কাছে রেখে গেছে । তকলিমা মাঝে মাঝেই আসে । একদিন সে সন্ধার দিক হটাত করে আসে । আসলে তাকে তার বোন বসতে বললে সে উঠানে বসে , তার মুখে কি জানো একটা চিন্তার দাগ । রাত ৮টার দিক কারেন্ট চলে গেলে শিপন, তিথি, সিথি, লিমন, খুবায়েব, আতিক, সহ গ্রাম এর প্রায় সব ছেলেরা মেয়েরা হয়হুল্লর করতে শিপন দের বাড়ি এক হয় । খেলার মধ্যে হটাত তকলিমা বিবি এসে লিটনকে আবলতাবল ভাবে মারতে থাকে , শিপনরা সবাই মিলে সেই জাত্রা তে লিটনকে উরধার করে । কিন্তু কানো এমনটা করল কেউ ভুজতে পারল না । রাত ১১টার দিক তকলিমা বিবি শিপন দের বাসায় ঘুমাতে আসে । তকলিমা আর শিপনের দাদু খাটে আর শিপন নিচে ঘুমাবে । রাত প্রায় ১টা বাজে অনেক শীতের দিন কিন্তু আত গরম লাগছে কানো শিপন মনে মনে ভাবছে । কামন জান অসহ্য গরম লাগতেছে । শিপন বিছানা থেকে উঠে অবাক হয়ে দারিয়ে রইল । খাটের উপর তকলিমা আর একজন সাদা কাপর পরা উস্ক-খুস্ক চুল মনে হয় জীবন এ গসল করে নাই , হাতের নখ গুল বিসাল আকার । একজন আর একজন এর দিক তাকিয়ে আছে। শিপন চিৎকার করতে চায়ছে কিন্তু গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না । কিছুখন পর বুদ্ধি করে ফিরি দিয়ে টিন এর ভিতর আঘাত করে , শব্দ পেয়ে শিপন এর আম্মু কে বলে । আর তখন এ কে জান শিপন কে জড়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দায় । আর জাওয়ার সময় শিপন ওই সাদা কাপর পরা মহিলার মুখ দেখতে পাই । মহিলার মুখ এতটা এ কুৎসিত আর ভয়ংকর জে হলিউড এর ভূতের ছবির পেত্নীদের ও হার মানায় । মহিলাটা শিপন কে দেখে হাসি দেই আর হাসি দেখে শিপন অজ্ঞান হয়ে পড়ে । জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার মাঝভাই এর রুমে । শিপন কারো কোন কথার উত্তর দিল না । দিনটা ছিল শুক্রবার । নামায শেষে খেয়েদেয়ে গ্রামের সব ছেলেমেয়েরা শিপন দের বাড়ির সামনে হাজির । তকলিমার ছেলে মামুন ও শিপন দের সাথে আছে । আছর এর আজান দেয়া শেষ হল , তার একটু পর এ শিপনের ছোটদাদু (তকলিমার বোন) শিপন আর লিটন কে ডেকে বলল যে আজিজ মাদবর কে ডেকে আনতে । ওরা বুজলোনা ঘটনা কি । আজিজ মাদবর দাদা শিপন কে খুব আদর করত তাই কিছু না জিজ্ঞাস করে বলল চল যাই । তিনজন হটছে ।ছটদাদু দের ঘোরে ঢুকবে আর এই সময় ভিতর থেকে জানো বাঘের গর্জন এর শব্দ আসছে । খেলা ছেরে সবাই আই ঘোরে কান ? শিপন নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে । আজিজ দাদা আগে আর শিপন ঘরে ঢুকছে এমন সময় তকলিমা বিবি বিকট শব্দ করে ভয়ংকর গলায় চেচিয়ে বলে যে ওই আজিজ তুই এইখান এ আসছস কান ? তুই এখনই যা । শিপন অবাক হল যে তকলিমা তো আজিজ দাদা কে চেনে না তাহলে নাম জানলো কিভাবে ? আর কণ্ঠটা ও তো বদলে গেছে । তকলিমার শক্তি জেনো কয়েকগুন বেরে গেছে আজিজ মাদবর তার সামনে জাবার পর । সে তেরে আসতে চায়ছে আজিজ কে মারার জন্য ,কিন্তু সবাই ধরা ধরি করে শুইয়ে রাখছে । মাদবর তার কমর এর গেছো থেকে ১টা হাড্ডীর মত বের করে তকলিমার মুখের সামনে নিলে সে জেনো পাগল হয়ে যায় বাচার জন্য , এক ঝারা দিয়ে সে সবাই কে ফেলে দিয়ে দরজা দিয়ে পালিয়ে জেতে চায় । তখন মামুন আর লিটন ধরতে গেলে লাথি দিয়ে ফেলে ঘর এর দরজা ভেঙ্গে ফেলে । ঘরের বাইরে থেকে সবাই ধরাধরি করে উঠানে পাতির ভিতর বসায় । মাদবর তার কেনি আঙ্গুল চাপ দিয়ে ধরে , তকলিমা কান্না সুরু করে আর বলে আমাকে ছেরে দে আমি আর আসব না । মাদবর জিজ্ঞাস করে যে তুই কথা থেকে আর কিভাবে আসলি । তখন বলে আমার নাম কালি , আমি পালামগঞ্জ খোকন দের বাড়ির মন্দিরের পাসে সেওরা গাছে থাকি । গত পরশু তকলিমা আমার সামনে দিয়ে চুল খলা রেখে ভাজা খায়তে খায়তে যাচ্ছিলো তখন আমি অর ঘারে চাপি । মাদবর বলে এখন বল কি হয়লে তুই অরে একেবারে ছেরে জাবি ?কালি বলে ১টা পাঠা দিলে যাব । মাদবর বলে না ১টা মুরগি পাবি । অনেক জরাজুরি করার পর ১কেজি মিস্টি আর ১টা মুরগি তে রাজি হয় । আর শর্ত থাকে যে জাবার সময় শিপন দের গাব গাছের ১টা বড় ডাল ভেঙ্গে প্রমান রেখে জেতে হবে যে কালি চলে গেছে । মিস্টি আর মুরগি জথা সময় আযাদ বেপারি রেখে আসে । কিছুখন এর জন্য কালি সান্ত , তারপর কালি(তকলিমা) জড়ে দোর দিয়ে মাটিতে পড়ে যায় আর গাব গাছ এর বিশাল এক ডাল মরমর করে ভেঙ্গে পড়ে । তকলিমা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে । পরের দিন তার জ্ঞান ফিরে ।
ঘটনাটি পুরো সত্য , পালামগঞ্জ এর অধিকাংশ বেক্তি এই ঘটনা জানে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .