রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

হোমাংকিউলি রহস্য



হোমাংকিউলি রহস্য
লেখা ঃ প্রেতাত্তা ।



সকাল সকাল মাহাদির ফোনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো দুপুরের ।

মাহাদি ঃ মামা কই তুই ?

দুপুর ঃ ঘাস কাটছি কক্সবাজার বিচে ।

মাহাদি ঃ মজা করিস ? কক্সবাজার বিচে কি ঘাস আছে বলদ । আচ্ছা বাদ দে । খবর দেখছিস , বরিশালে ৬ টা লাশ পাওয়া গেছে সাথে আজব টাইপের ১টা প্রানি ও মৃত পাওয়া গেছে ।

দুপুর ঃ তাহলে তো হয়েই গেছে । লাশ আর খুনি এক সাথেই পাওয়া গেছে । ভেজাল শেষ ।

মাহাদি ঃ তুই অফিসে আস । এখানে কথা হবে । বাই

কথা শেষ করে দুপুর আবার ঘুম দেয় । ৯টার দিকে রোদেলা বেডটি নিয়ে দুপুরের ঘুম ভাঙ্গায় । কিছুদিন আগেই দুপুর আর রোদেলা পালিয়ে বিয়ে করে । ১ মাসও হয় নাই ।

রোদেলা ঃ বাবু , এই সোনা বাবু উঠ । উঠ প্লিজ । ( কথা বলে দুপুরের মাথায় চুল নারিয়ে দিবে )

দুপুর ঃ ১টা কিসি দাও তাহলে উঠবো । দাও ।

রোদেলা ঃ চুপ । উঠো , আর হ্যা টিভিতে কি দেখাচ্ছে দেখো । ৬টা লাশ সাথে ১টা  অদ্ভত প্রানি ।

দুপুর ঃ মাহাদি ফোন দিয়ে বলল এই কথা  । আচ্ছা দেখছি ।

এর পর ও কিছুদিন কেটে যায় । একদিন সকালে চা খেতে খেতে টিভি দেখছিল দুপুর । হটৎ ব্রেকিং নিউজ ঃ বরিশালের সরুপকাঠিতে আরো ২ লাশ । এই নিয়ে লাশের সংখা ১৩ । দুপুর হতভম্ভ হয়ে গেল , এতোগু্লো লাশ আর সে এই ব্যাপারে কিছু জানে না । উঠে গিয়ে নজরুল , সাকিল , ইউসুফ , জুয়েল, মাহাদি , আলামিন , আরিফ কে অফিসে আসতে বলে । মাস ৬ হয় ওরা ১টা বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছে । সেখানেই সবাইকে দুপুর ডেকেছে ।

অফিসে গিয়ে সবাই আলোচনা করে জানতে পারে যে ৬ ,১ , ৪ , ২ এই ভাবে ১৩ টা রক্তহিন মৃতদেহ পাওয়া গেছে । দুপুর সিদ্ধান্ত নেয় আগামিকাল তারা সরুপকাঠি যাবে । মনে মনে ভাবে দুপুর গত বার সরুপকাঠিতে ১টা অপারেশনে গিয়েছিল । সাদিয়া তাকে ফোন দিয়ে নিয়েছিল । সেখান থেকে তার সাথে সাদিয়ার প্রেমের সম্পর্ক হয় । তারপর আবার ব্রেকাপ ও হয় । দুপুরের মুচকি হেসে বলে

দুপুর ঃ আমরা বরিশাল জালিসের বাসায় উঠব । রানাকে ফোন দিয়ে বলে দে লঞ্চের টিকিট কিনে রাখতে ।

পরের দিন রাতে লঞ্চে উঠে ভোরে লঞ্চ থেকে নেমে জালিসের বাসায় গিয়ে উঠে । সেখানে বিস্রাম নিয়ে থানায় যায় দুপুর , রানা আর নজরুল ।

থানায় গিয়ে ওসি কে দেখে হতবাক হয়ে যায়

দুপুর ঃ রফিক ভাই আপনি ?

ওসি ঃ আরে দুপুর । তুমি এখানে ?

দুপুর ঃ আপনি তো সেই চাকরি পেয়ে চলে গেলেন মেস ছেরে , আর কোন খোজ খবর নিলেন না ?

ওসি ঃ আর বইলো না । অনেক ব্যাস্ত । আচ্ছা তুমি এখানে কেন ?

দুপুর ঃ এই তো ১টা বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা চালাই আমরা । ১৩ মার্ডারের ব্যাপারে আসছি ।

ওসি ঃ তার মানে তুমি সেই গোয়েন্দাগীরিই শুরু করছো । আচ্ছা সবই তো শুনছো । আমরা কিছুই বুঝতেছি না । প্রথমে ৬টা , তারপর পর্যায়ক্রমে ১ , ৪ , ২ টা । আর ওইখানে কিছু  অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে ।

নজরুল ঃ অস্বাভাবিক ঘটনা মানে ?

ওসি ঃ মানে ওইখানে মাঝে মাঝে এমন একজন ব্যাক্তি কে দেখা যায় যে কিনা মাঝে মঝে অদৃষ্য হয়ে যায় ।

রানা ঃ একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ ।

ওসি ঃ লাশ গুলো ১টা জঙ্গলের আসে পাশে পাওয়া গেছে । আমরা ২দিন আগে ওইখানে গিয়েছিলাম ইনভেষ্টিকেশনের জন্ন্য । জঙ্গলের ভিতর ১টা পুরাতন জমিদার বাড়ী আছে । সেখানে নাকি ভুত পেত থাকে । ঐ বাড়ি তে যাওয়ার সময় আমাদের সামনে কয়েকবার ওই লোকটা সামনে আসে , আবার উধাও হয়ে যায় , এমন করে অনেকগুলা জংলি কুকুর , বিড়াল এমনকি সাপ ও আছে ।

 দুপুর ঃ লোকটা দেখতে কেমন ?

ওসি ঃ দেখতে মানুশের চেয়ে একটু বড় মনে হয় । আসলে মুভির প্রেতাত্তা রা যেমন দেখতে হয় ।

দুপুর ঃ আচ্ছা শুনলাম মর্গে নাকি ১টা লাশ আছে , দেখা যাবে ?

ওসি ঃ চলো দেখি আসি ।

এরপর ওরা মর্গে গিয়ে লাশ দেখে । লাশ গুলোর শরিরে একফোটা রক্তনেই সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । কেউ রক্ত চুষে নিয়েছে মনে হয় । এরপর ওরা চলে যায় ।

বিকেলে ওরা জালিসদের বাসায় সবাই মিলে বসে গল্প করছে । তখন ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছে । আসালে কথা বলতে বলতেই রহস্যের জট খুলবে ।

সাকিল ঃ আচ্ছা দুপুর কি মনে হচ্ছে তোর ?

দুপুর ঃ বুঝে উঠতে পারছি না । ১৩টা লাশ দিয়ে প্রেতাত্তা কি করবে ? কোন রাক্ষস আসছে নাকি ?

ইউসুফ ঃ আজাইরা পেচাল পারবি না ? রাক্ষস ঠাক্কস বলতে কিছু নাই ।

আরিফ ঃ কালো জাদু তো আছে । সেটা তো বিশ্বাস করিস ।

দুপুর ঃ লাশগুলোতে রক্ত নেই , অদৃশ্য মানব সেখানে আছে , আর লাশের সাথে ১টা আজিব প্রানির লাষ পাওয়া গেছে । সব মিলিয়ে পুরো ব্যাপাটা ঘোলাটে । আচ্ছা আমরা তো অই প্রানীটা দেখলাম না ?

রানা ঃ আমি খাতায় নোট করে রাখছি । সকালে আমরা ঐটা আর জঙ্গলটা দেখতে যাব ।

দুপুর ঃ হ্যা । আর এখন আমরা সাদিয়া দের বাসায় যাবো । মনে আছে সাদিয়ার কথা , আমাদের আগের অপারেশনে কিন্তু ও আমাকে ডেকে আনছিল । কিন্তু এবার খোজ খবর ও দিলো না ।

মাহাদি ঃ ওহ তোর এক্সজিফ সাদিয়া তো । চল ।

বিকেলের নাস্তা করে ওরা বের হলো সাদিয়ার বাসার উদ্দেশ্যে । সন্ধার পর পর সাদিয়ার বাসার গেটে নক করলো দুপুর । দরজা খুলে দিল একজন পুরুষ ।

দুপুরঃ তুই এখানে ?

রাব্বি ঃ তুই এখানে কিভাবে ?

দুপুর ঃ আমি ১টা কাজে এসেছি বরিশালে । তাই ভাবলাম সাদিয়ার সাথে দেখা করে যাই । কিন্তু তুই ?

ওপাশ থেকে সাদিয়া কে এসেছে গো বলে কাছে চলে আসে ।

সাদিয়া ঃ দুপুর তুমি ? এরা কারা ?

রাব্বি ঃ সাদিয়া আর আমি মাস ৬ হয় বিয়ে করেছি , এখানেই আছি এর পর থেকে ।

দুপুর ঃ শালা অবশেষে ঘর জামাই হলি । আর হ্যা এরা আমার বন্ধু সাদিয়া ।

রাব্বি ঃ হ্যা , আমি প্রায় অনেকেই চিনি ।

সাদিয়া ঃ ভিতরে আসো ।

ওরা ভিতরে যায় । কেন জানি রাব্বি দুপুর কে দেখার পর থেকে মুখ টা কালো করে রেখেছে । হয়তো সাদিয়ার এক্সবিএফ দুপুর কে তার সহ্য হচ্ছে না । এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক । কিন্তু অন্যকিছু না তো আবার । রাব্বির সাথে লাষ্ট কথা হয়েছিল দুপুরের বছর কিছু আগে । রাব্বি ইন্ডিয়া গিয়েছিল কালোজাদু বিদ্দ্যা শিখতে । দুপুরের খুব জানতে ইচ্ছে করছে যে কি কি শিখেছে রাব্বি । কিন্তু মুখ যেভাবে কালো করে রেখেছে তাতে আর তার সাথে আজ বেশি কথা বলা যাবে বলে মনে হয় না । সাদিয়ার বাসায় বর্ষা নামে ১টা মেয়ে কে দেখলো । মেয়েটা কে দুপুরের খুব ভালো লেগেছে । তবে অন্ন্য কিছু ভাববেন না । সাকিল বিয়ে করবে , তাই ওর জন্ন্য মেয়ে দেখতেছে ওরা সবাই । মেয়েটা খুব সুন্দর । ২০/২১ বছর হবে আর কি ।

সাদিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে বরিশাল শহর টা একটু ঘুরে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে । আলাদা ১টা ৩ রুমের ঘর দেওয়া হয় ওদের থাকার জন্ন্য । খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পরে । সকাল ৭টার দিকে রফিক ভাইয়ের (ওসি) ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙ্গে দুপুরের । আজ ও ১টা লাশ পরে আছে জঙ্গলের পাশের পুকুরে । রফিক ভাই (ওসি) ওদের যেতে বলেছে স্পটে । সাথে সাথেই রেডি হয়ে ওরা রওনা দেয় । পোছতে পোছতে ৮ঃ২০ মিনিঃ বেজে গেছে ।

লাশ টা আগের মত সেম অবস্থা । কোন রক্ত নেই , আবার শরিরে কোন ক্ষতও নেই । সাদা হয়ে আছে বডিটা । লাশটা উঠানো হলো । লাশের পকেটে ১টা চিঠি পাওয়া গেল । সেখানে লেখা

আমি মহাপৃথিবীর কলংকিনি

আমি হবো এই জগতের মহা ক্ষমতার অধিকারি , আমার পিছে লাগলে তোদের ভালো হবে না । আমি কলংকজগতের জাগতিক ক্ষমতার অধিকারি । আমার এখন এই বিশ্বের ক্ষমতা চাই । আমার ক্ষমতার কিছু উধাহরন দেখ । ( পড়াটা শেষ করতে না করতেই চারিদিক কালো হয়ে যায় । শুরু হয় প্রচন্ড রকমের বাতাস । সবাই গড়াগরি খেতে থাকে । চারপাশ থেকে ভয়ংকর হাশির শব্দ ভেষে আসে । একটু পর থেমে যায় । তারপর আবার চিঠির বাকি অংশ ।)

দেখলি তো আমি কি পারি । আমি আরো কিছু লাশ চাই । কিছু যুবতি নারীর লাশ চাই । আমারটা আমি যোগার করে নিব । এই নিয়ে কেউ কোন মাথা ঘামালে তার খবর আছে । বংশ শেষ করে দিব । সাবধান !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

লাশ নিয়ে সবাই চলে যায় । যেটা ঘটলো সেটা দেখে দুপুর সহ বাকিরা যেন টাস্কি খেয়ে গেছে । সত্ত্যিই কি কেউ এই আলোই ভরা জগৎটাকে অন্ধকার জগতে পরিনত করতে চাচ্ছে ? এই পৃথিবী কি তাহলে প্রেত্তারা রাজত্ত্য করবে আর আমরা তাদের দাশ হয়ে বেচে থাকবো ? আমাদের বাচ্চাদের কলিজা দিয়ে ওরা সকালের নাস্তা করবে ? এটা কিভাবে সম্ভভ ? যা দেখলাম তা যদি সত্ত্যি হয় তাহলে তাই তো হবে ।

কিছু ১টা করতে হবে । দুপুর দুপুরের খাবার খেয়ে সবাইকে নিয়ে গেল অদ্ভদ প্রানী টা দেখতে । হাসপাতালের হিমঘরে গিয়ে দেখলো । প্রানীটা মানুশের মত । চোখ ১টা আর শরিরের চামরা টা নেই । তাছারা সব ঠিক ।

দুপুর কিছু ছবি তুলতে চাইলে হটাৎ হাসপাতালের এক উর্ধতন নার্স এসে বাধা দেয় । কিন্তু ততোখনে ছবি ১টা তোলা হয়ে গেছে । দুপুররা বের হয় আর ছবিটা ঢাকা তার একবন্ধু কে সেন্ড করে ।

জুয়েল ঃ কি মনে হচ্ছে দোস্ত ?

নজরুল ঃ এটা কি বুঝতে পারছি না । মানুষ আবার মানুষ না । আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।

রানা ঃ এটা কি দুপুর ?

দুপুর ঃ এটা ১টা হোমাংকিউলি ।

সাকিল ঃ এটা আবার কি ?

দুপুর ঃ পরে বলব । এখন চল আগে জঙ্গলের ভিতর সে ভুতের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি ।

নজরুল ঃ চল ।

এর পর সবাই জঙ্গলের ভিতর যায় । প্রথমে প্রায় সব ঠিকই ছিল  কিছুদুর এগুনোর পর সব যেনো চারপাশে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে , আর বাতাস । এমনিতেই এখানে দিনের বেলা হলেও অন্ধকার । কিছুখন পর কারা যেন দৌড়ে ওদের সামনে এলো । সুধু চোখ গুলো দেখা যাচ্ছে , আর কিছু না । এখন আবার যেন মেঘো ডাকছে । বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । হ্যা বিদ্যুৎএর আলোতে দেখা গেলো তাদের মুখ । পিচাশ পিচাশ করে চিৎকার করে উঠলো আলামিন । পরক্ষনেই আলামিন অজ্ঞ্যান । পিচাশগুলো দেখতে সত্ত্যি এতো বিশ্রি যে দুপুরও বমি করে দিলো । তারপর সে তার পকেট থেকে ১টা ছোট হাড্ডি বের করলো । আর সাথে সাথে সব বন্ধ হয়ে গেল । দুপুর দৌড় দিয়ে আলামিনের কাছে গেল । কোন রকমে আলামিনের জ্ঞ্যান ফিরিয়ে আনা হলো ।

দুপুর ঃ তোরা কি আমার সাথে এই বাড়ির ভিতরে যাবি ? আমার মনে হয় এখানে গেলে অনেকটা রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে ।

জুয়েল ঃ আমি যাব ।

রানা ঃ আমিও যাবো ।

দুপুর ঃ ভিতরে আরো ভয়ানক কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে । ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নে ।

মাহাদি ঃ আমরা সবাই যাব ।

সাকিল ঃ আলামিন তুই কি যাবি ভিতরে ?

আলামিন ঃ কেনো যাবো না ? এইরকম কিছু আগে কখনো দেখি নাই তাই এমনটা হয়েছে ।

নজরুল ঃ এমন আরো অনেক কিছু ভিতরে থাকতে পারে । তোর না যাওয়াই ভালো।

আলামিন ঃ আমি যাবোই ।

এরপর তারা বাড়ীর ভিতরে ঢুকে । ভিতরে তেমন কিছুই দেখতে পায় না । কিছু না পেয়ে ফিরে আসছে এমন সময় জুয়েল বলে এই দেখ পিপড়া গুলো কোথায় যাচ্ছে । দুপুর এগিয়ে গিয়ে দেখে পিপরা গুলো মাটির নিচে যাচ্ছে । মাটিগুলো সরাতেই দেখাযায় ১টা জায়গা ফাকা হয়ে গেছে । দুপুর প্রথমে ধিরে ধিরে ভিতরে ঢুকে , তারপর অন্ন্যরা । সবাই অবাহ এই পরিবেশ দেখে । এই গ্রাম টা অনেকটা আধুনিকতা থেকে পিছিয়ে আর এই বাড়ীটা তো ১০০ বছরের ভিতর কোন কাজ করা হয় নাই মনে হয় । কিন্তু ভিতরের এই পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে যেন খুব আধুনিক ১টা ল্যাব্রেটরি এটা । এক এক করে সব দেখছে ওরা । একটা রুম থেকে রানা ডাক দেই । সেখানে গিয়ে দেখে অনেক গুলো অদ্ভত প্রানী আর প্রতিটিই জিবন্ত । প্রানী গুলো ওদের দেখে হাওমাও করে উঠে । পাসের ১টা রুমে গিয়ে দেখে এখানে ১টা মুর্তি । এখানেই পূজা করে । এই অদ্ভত প্রানী গুলো হলো হোমিংকিউলি । মানে হচ্ছে , মানুষের শরিরের জীন থকে এগুলো বানানো হয় । আর প্রান কোণ এক অপদেবতা দান করে । তবে সর্ত হলো কুমাড়ির রক্ত লাগবে । আর এরা প্রান পেলে অনেক ক্ষমতার অধিকারি হবে । ধংস করে দিবে এই দুনিয়া । মুর্তির উপরে ১টা চামড়ায় রক্তে লেখা মহাউপাসনা ০৭/১১/২০২১ । তারমানে কালকেই সেই কালো অধ্যায় শুরু করতে চায় ওরা ।

এর পর ওরা ওইখান থেকে বের হয়ে যায় । বের হওয়ার সময় আবার সেই বাতাস শুরু হয় । এইবার দুপুর আগেই তার পকেট থেকে হাড্ডী টা বের করে । তাই তেমন কিছু আর হয় না । আচ্ছা বলেন তো দুপুর আর তার বন্ধুরা কি পারবে এই ধরনীকে অপশক্তির গভীর ষড়যন্ত থেকে রক্ষা করতে ??????

পরের দিন সকালে সাদিয়া ফোন দিয়ে দুপুরকে বলে যে তার বোন বর্ষা কে খুজে পাচ্ছে না । দুপুর ফোনটা নিয়ে ফেসবুকে বর্ষার ফেসবুক আইডি তে ঢূকে দেখে যে আজ বর্ষার জন্মদিন । তারমানে বর্ষাই বলির পাঠা হতে চলছে । কিন্তু কে সেই প্রেতসাধক ? খুব দেখতে ইচ্ছে করছে দুপুরের ।

দুপুর সবাইকে ডেকে নিয়ে আসে ।

দুপুর ঃ সাদিয়ার বোন বর্ষাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ।

সাকিল ঃ বলো কি ? কোথায় যেতে পারে ও ?

দুপুর ঃ আজ ওর ২১তম জন্মদিন । আমি শিউর ওকে ওই প্রেতসাধক রা নিয়ে গেছে । রানা তুই আলামিন আর ইউসুফ কে নিয়ে সাদিয়াদের বাসায় যা । ওদের ফলো কর । মাহাদি আর আরিফ তোরা খোজ লাগা বরিশালে কোথা চা বাগান বা এই ধরনের কোন জায়গা আছে কিনা । শাকিল তুই থানার আসে পাসে থাকবি । ফোন দিলে পুলিশ নিয়ে চলে আসবি ।

নজরুল ঃ আমি আর তুই কি করবো ?

দুপুর ঃ তুই আর আমি এখন ভুতের বাড়ী যাবো । আমরাও তো কিছু জানি প্রেতসাধনা ।

তারপর যে যার মত বেড়িয়ে যায় । দুপুর কালোজাদু জানে বরিশালে এমন লোক খুজছে । কিন্তু তেমন কোন তথ্য পেল না । বিকেলে ভুতের বাড়ী যায় ।

দুপুর আর নজরুল হোয়াইট ম্যাজিকের সাহাজ্যে অদৃশ্য হয়ে ভুতের বাড়ীর ভিতরে ঢুকে । ঢূকে দেখে কিছুই নেই । সব সরিয়ে ফেলেছে বদমাইশ গুলো । হতাশা নিয়ে ফিরে আসে ।

বাইরে এসে রানা কে ফোন দিলে রানা বলে যে সাদিয়ার বাসায় তালা ।

দুপুর ঃ যেটা ভাবছি সেটাই । সাদিয়া আর রাব্বি পালিয়েছে ।

নজরুল ঃ মানে কি ?

দুপুর ঃ মানে হলো এই প্রেতসাধকের সাথে রাব্বি জরিত । কারন রাব্বিই এই অত্র এলাকায় এক মাত্র কালো জাদু জানে । আর বেশ কিছুদিন আগে ও আমাকে হোমংকিলির বেপারে জিজ্ঞাস করছিলো ।

নজরুল ঃ তো এখন ?

দুপুর ঃ মাহাদী কে ফোন দে । সন্ধ্যা হয়ে গেল প্রায় ।

নজরুল মাহাদির সাথে কথা বলে , মাহাদিও তেমন কোন আশার আলো দেখাতে পারলো না ।

হটাত ইউসুফ ফোন দিয়ে জানায় যে সাদিয়ার বাসায় ১টা লড়ি এসেছে । দুপুর ইউসুফ কে বলে ঐ লড়ি কে ফলো করতে ।

দুপুর আর নজরুল ইউসুফের ইনফো মতো একজাগায় সবাই এক হয়ে লড়ির পিছনে ফলো করে সুধু সাকিল ছারা । রাত প্রায় ১০টা বেজে গেছে ।

লড়িটা বরিশালের একপ্রান্তে বিশাল এক চকের(ক্ষেত) মাঝখানে আসে । মাঝখানে এক আনারষের খেতে ব্ল্যাক ম্যজিক সার্কেল একে বসে আছে সাদিয়া । তারমানে সাদিয়া আসল প্রেতসাধক আর রাব্বি ওর সহযোগি । এছারাও আর ৯জন আছে ওদের সাথে ।

দুপুর তার বন্ধুদের সবাইকে হোয়াইট ম্যাজিকের মাধ্যমে অদৃশ্য করে দেয় । আর পকেট থেকে ১টা কাগজ বের করে বলে

দুপুর ঃ এটা হলো হোয়াইট সার্কেল । এটা যদি আমরা ১১ঃ৫৯ মিনিটের আগে তৈ্রি করতে পারি তাহলে এই ধরনি অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে । সুতরাং তারাতারি করতে হবে । কথা শেষ করে দুপুর সাকিল কে ফোন দিয়ে বিস্তারিত বলে বলে পুলিশ নিয়ে আসতে হবে ।

সাদিয়া আর রাব্বি মন্ত্র পরছে চিৎকার করে আর আর বাকি গুলা মাথা দুলিয়ে মাঝে মাঝে চিৎকার করে উঠছে । দুপুর রাও জানপ্রান দিয়ে ব্ল্যাক সার্কেলের পাশ দিয়ে হোয়াইট সার্কেল আকছে । রাত ১১ঃ৪০ বেজে গেছে । ২জন লোক তখন বর্ষা কে নিয়ে এসে মুর্তির পায়ের কাছে রাখে সেখানে ১টা কাঠের উপর শুয়িয়ে রাখা হয় , আর রাব্বি বড় ১টা ছূড়ী নিয়ে বর্ষার গলার একটু উপরে ছুরি ধরে মন্ত্র পরতে থাকে ।। এখানে বলি দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছে । এখন সাদিয়ার মন্ত্র পরার স্পিড যেন প্রায় দিগুন বেরে গেছে । ১১ঃ৫৫ বেজে গেছে । হোয়াইট সার্কেল ও শেষের দিকে । কিন্তু সঠিক সময়ে কি পারবে শেষ করতে । ১১ঃ৫৮ বাজে । বুঝতে পারছে না দুপুর শেষ হবে কি না । সে দৌড় দিয়ে ব্ল্যাক সার্কেলের ভিতর থেকে খুব দ্রুত বর্ষা ধাক্কা দিয়ে কাঠ থেকে ফেলে ব্ল্যাক সার্কেলের বাইরে নিয়ে আসে আর তখনই হোয়াইট সার্কেল হয়ে আগুন জেলে উঠে প্রেতসাধক দের আটকিয়ে ফেলে । কিছুখন পর সাকিল পুলিস নিয়ে আসে । ধরা পরে অন্ধকারজগতের প্রতিনিধিরা আর এই ধরনী রক্ষা পায় অপশক্তির করাল গ্রাস থেকে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .