রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

স্বপ্ন রাজ্যের রাজা আর রানী

স্বপ্ন রাজ্যের রাজা আর রানী
লেখা : প্রে তা ত্তা




প্রতি শুক্রবারের মত এই শুক্রবার ও রবিন্দ্র সরবরে আড্ডা দিতে এসেছে তাহসান, তানিম আর মাহফুজ ।ছুটির দিন গুলো তে প্রায় এরা এখানে একসাথে আড্ডা দেয় । তাহসান মনোযোগ দিয়ে নোটখাতায় কি যেন লিখছিল আর মাহাফুজ আর তানিম ১টা মেয়ে কে নিয়ে কথা বলছে । তানিম তাহসানকে জোর করে মেয়েটাকে দেখালো । মেয়ে টা সত্যি খুব সুন্দর । মাহফুজ আর তানিম সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ২জন মেয়েটাকে প্রোপস করবে । হটাৎ তাহসান সেখান থেকে ঊঠে সামনে ১টা কুকুরের সামনে গিয়ে বসল । কুকুরটি মনে হয় অসুস্থ , বেথ্যায় কাদছে ।তাহসান তার ব্যাগ থেকে সউন্ড রেকরডার বের করে সামনে থেকে সউন্ড নিচ্ছে । এমন সময় পিছন থেকে সেই মেয়েটি ঃ
মেয়ে ঃ সরুন , কি করছেন আপনি , কুকুরটা অসুস্থ দেখতে পাচ্ছেন না?
তাহসান ঃ না মানেনেনে (আমতা আমতা করে), আমি সাউণ্ড ……… আপনি না অনেক অনেক সুন্দর ।
মেয়ে ঃ রাবিশ কোথাকার ।
তাহসান ফিরে আসে তানিম আর মাহফুজেরর কাছে । মাহফুজ প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েটাকে প্রোপস করার জন্য ।
মাহফুজ গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসে , মেয়েটা ওকে একরকম তারিয়ে দেই । এখন তানিম এর পালা ।
তানিম গিয়ে ভালোই জমিয়ে ফেলেছে মেয়েটার সাথে ।তানিম আবার ভালো ভালো কথা জানে, কথা দিয়ে হয়তো পটিয়ে ফেলেছে মেয়েটাকে ।তাহসানের মনটা খারাপ হয়ে গেল । তাহসান তার মনের গভির থেকে মেয়েটার জন্য কি যেন অনুভব করছে । মনে হয় কষ্ট পাচ্ছে সে ।
মাহফুজ তাহসান কে টেনে নিয়ে তানিম আর ওই মেয়ের সামনে গিয়ে ঃ
মাহফুজ ঃ মামা তুই এইখানে ? তরে খুজতেছি পুরো সরবরে
তানিম ঃ দোস্ত পরিচয় হ এটা আমার বন্ধু ঈশাবা ।এখানেই একটূ আগে বন্ধুত্ত হলো ।
মাহফুজ ঃ হাই
ঈশাবা ঃ আপনি একটু আগে এসে আমাকে কি জেন বলে গেলেন না ?
মাহফুজ ঃ না , মানে ।ঐটার জন্য আমি সরি , আমরা তো এখন তো বন্ধু হতে পারি তাই না ?
ঈশাবা ঃ ওকে ঠিক আছে , কিন্তু এই ভুল তো আবার হবে না ?
মাহফুজ ঃ না আর হবে না ।
তানিম ঃ ঈশাবা এটা দুপুর , আমাদের বন্ধু ।
তাহসান ঃ হ্যালো
ঈশাবা কোন উত্তর দেয় না ।সবাই কিছুখন গল্প করে তারপর চলে যায় ।
এভাবে প্রায় ওরা আড্ডা দেয় ।কিন্তু ঈশাবা তাহসানের সাথে কথা বলে না ।তাহসান দুই একবার নিজে থেকে কথা বলতে চেষ্টা করলেও ঈশাবা পাত্তা দেয় নাই ।ঈশাবা তাহসানকে কেন জেন সহ্য করতে পারে না ।
তাহসান মনে মনে ঈশাবাকে নিয়ে ভালোবাসার সপ্ন দেখা সুরু করে দিয়েছে ।তানিমও ঈশাবাকে পছন্দ করে ।
বেশ কিছুদিন পর
আজ ঈশাবার জন্মদিন । ঈশাবা গতকাল ফেসবুকে তাহসানকে কে দাওয়াত দিয়েছে যে সন্ধায় সরবরে ট্রিট দিবে তাই তাহসানকে আসতে বলছে । তার আগে তাহসান অবস্য ঊইস করেছিল ।তাহসান প্রতিদিনই ঈশাবা কে এফবি তে এসএমএস দেই কিন্ত্ রিপ্লে পায় না ।
সন্ধ্য্আয় ওরা সবাই এসেছে । কেক কেটে ঈশাবা মাহফুজ তানিমকে খায়িয়ে দেয় কিন্তু তাহসানকে যেন সে দেখতেই পারছে না । এর পর সবাই যার যার গীফট বের করে দেয় ।সবার গিফট ঈশাবা নিজ হাতে বের করে । তানিম ১টা রিং গিফট করেছে আর মাহফুজ ১টা পারফিউম । সব শেষে তাহসানের টা হাতে নিয়ে ওপরের র‌্যাপিং খুলে ভিতরে হাত দিয়ে ছোট একটা কি জেন বের করে , করার পর হাতে নিয়েই চিৎকার করে ঊঠে ঈশাবা । হতে ১টা ছ্যাঙ্গা পোকা ছিল , ঈশাবা দারুন ভয় পায়
ঈশাবা ঃ তুমি কি মানুষ ?(কাদতে কাদতে)
তাহসান ঃ না মানে আমি বুঝতে পারি নি যে তূমি ঐটা হাত দিয়ে ধরেবে । ভেবেছিলাম দেখে ভয় পেয়ে যাবে ।
ঈশাবা ঃ আমি ভয় পাই তুমি তাই চাও ? চাও আমি যেন ভয় পেয়ে মরে যাই তাই না ।
তাহসান ঃ না সেটা হবে কেন ? আচ্ছা তোমার হাত ফুলে গেছে , মেডিসিন নিতে হবে ।
( বলে তাহসান ঈশাবার হাত ধরতে যায় । আর ঈশাবা তাহসানের গালে ১টা চর মারে )
ঈশাবা ঃ আর কোন দিন তুমি আমার সামনে আসবে না ।
এই বলে ঈশাবা চলে যায় । কিছুখন চুপ থেকে তাহসান , তানিম আর মাহফুজও চলে যায় ।
২দিন পরে
ঠীক ১১.৩০ মিনিট বাজে । প্রতিদিন ঠীক এই সময়ে গত ৩মাস ধরে তাহসান ঈশাবাকে “”””””good night the queen of my dream kingdom …… শুভরাত্রি আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী “””””” আর সকাল ঠীক ৮টার সময় “”””””good morning the queen of my dream kingdom …… শুভসকাল আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী “”””””
কিন্তু আজ তিন দিন হলো তাহসান ঈশাবাকে কোন এসএমএস দেয় না ।ঈশাবার কেমন জেন খারাপ লাগছে ব্যাপারটা । এসএমএস গুলো কে সে যেন মিস করছে । কিন্তু এমনটা তো হবার কথা না , ঈশাবা নিজেই তো ছেলেটাকে অপমান করেছে , তার সামনে আসতে বারন করেছে এমনকি ১টা চর ও মেরেছে । ঈশাবার খারাপ লাগছে । ফোনটা হাতে নিয়ে তাহসানের নাম্বারে ডায়াল করলো , বন্ধ নাম্বারটা । আরো ৩বার ডায়াল করে দেখলো একই অবস্থা । তারপর মাহফুজ কে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে সে বলে যে তাহসানের ফোণ বন্ধ , তার কোন খোজ সে জানে না । মাহফুজের কাছ থেকে ঈশাবা তাহসানের বাসার ঠিকানা নিয়ে নিল ।
পরের দিন সকাল
তাহসান তার বন্ধু দের সাথে ১টা ফ্লাট ভারা করে থাকে । গত ৩দিন সে বাসা থেকে বের হয় নাই , সারাদিন রুমেই ছিল ।
দুপুর প্রায় ১টা । বাসায় তাহসান একা । বাসার কলিংবেল বাযে উঠল ।তাহসান উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে অবাক ঃ
তাহসান ঃ তুমি ? আসো ভিতরে আস ।
ঈশাবা ঃ কিছু কথা ছিল তোমার সাথে ।
তাহসান ঃ আগে ভিতরে এসে বস , নাকি বসতে নিষেধ আছে ?
( ঈশাবা ভিতরে গিয়ে বসে )
তাহসান ঃ কি খাবে ? যদিও চা ছারা তেমন কিছু দিত পারবো না ।চা করে আনবো ?
ঈশাবা ঃ তুমি চা করবে ? আমাকে কিচেন টা দেখিয়ে দাও আমি করে আনি ।
তাহসান ঃ না থাক আমি করে নিয়ে আসি
বলে তাহসান কিচেনে যায় আর ঈশাবা তাহসানের রুমে যায় । ঈশাবা তাহসানের রুমে তার বিছানার উপর ১টা স্ক্রেচবুক দেখে সেটা খুলে দেখে যে , ঈশাবার অনেক গুলো স্কেচ আকা ছবি নিয়ে পুরো এই স্কেচবুক । প্রতিটি স্কেচের নিচে তাহসান তার মনের লুকিয়ে রাখা কথা গুলো লিখে রেখেছে ।
তাহসানের আসার শব্দ পেয়ে ঈশাবা স্কেচবুক রেখে ঊঠে দারায় ।
তাহসান ঃ চা রেডি । বস ঈসাবা ।
চা হাতে দেয় তাহসান ।
তাহসান ঃ ঐদিনের জন্য আমি সরি , আমি বুঝতে পারি নি যে এইরকম হবে । সরি ।
ঈশাবা ঃ আমিই একটূ ওভার রিএক্ট করে ফেলেছি । প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও ( তাহসানের হাত টা ধরে )।প্লিজ আমাকে ১টা চর দিয়ে দাও । আমার খুব কস্ট হচ্ছে ।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও ।
তাহসান ঃ আরে ঠিক আছে আমি কিছু মনে করি নাই ।আমরা কি বন্ধু হতে পারি ?
ঈশাবা ঃ না পারি না । আচ্ছা আমি চলে যাব । উঠি আজ ।
তাহসান চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে , আর ঈশাবা দরজার কাছে গিয়ে ফিরে আসে /
ঈশাবা ঃ আমি কি এই স্কেচবুকটা নিয়ে যেতে পারি ?
বলে উত্তরের জন্য আপেক্ষা না করে স্কেচবুকটা নিয়ে চলে যায় ।
ওইদিন রাত ১১টা বাজে । ঈশাবা তাহসানের এসএমএস এর অপেক্ষায় থাকলেও কোন এসএমএস আসে না । রাত ১২টার দিক ঈশাবা তাহসানকে এসএমএস পাঠায় ।“”””” হটাৎ পাওয়া আমার কল্পনার রাজ্যের রাজাটা কি তার রানিকে ভুলে গেছে ? তার রানি তার জন্য আগামিকাল ২টায় নভোথিয়েটারে ওয়েট করবে , আর ওয়েট করবে “”””””good morning the queen of my dream kingdom …… শুভসকাল আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী “”””””“”””””good night the queen of my dream kingdom …… শুভরাত্রি আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী এই এসএমএস এর জন্যে ।শুভ রাত্রি আমার কল্পনার রাজ্যের রাজা ।
পরের দিন ২.১৫ মিনিট
ঈশাবা ওয়েট করছে তাহসানের জন্য । লেট করতে করতে প্রায় ২.৩০ মিনিটে তাহসান আসলো । এসে টিকিট নিয়ে তারা 5D movie দেখতে ভিতরে ঢুকলো । ৬ মিনিটের ভয়ানোক ১টা short film । ঈশাবা আর তাহসান ২জন পাসাপাসি বসেছে । চসমা পরে বসেছ্রে , ছবি শুরু হয়ে গেছে । হটাৎ ভয়ানক ১টা দৃশ্যের সময় ভয় পেয়ে ঈশাবা তাহসান কে জরিয়ে ধরে । আর কানের কাছে গিয়ে বলে
ঈশাবা ঃ তোমার কল্পনার রানিকে কখনো ছেরে যাবে না তো ?
তাহসান ঃ রানি যদি রাজাকে এভাবে জরিয়ে ধরে থাকে তাহলে কি আর সাধ্য হবে রানি ছেরে চলে যাবার ।
ঈশাবা তাহসানের খোচাখোচা দারিউয়ালা গালে ছোট্ট করে চুমু খায় লজ্জায় লাল হয়ে যায় , তাহসানও ঈশাবার কপালে আলতো করে তার ঠোটের স্পশ্ দেয়।
এভাবেই তাদের সম্পরক গরে উঠে । প্রায় তারা ঘুরতে বের হয় ।
একদিন তানিম তাহসানকে ফোন দিয়ে সরবরে আসে মাহফুজ ও আসে ।
তানিম ঃ তুই নাকি ইদানিং ঈশাবার সাথে বেশি মেলামেশা করতেছিস ?
তাহসান ঃ আমি ওকে ভালোবাসি আর ও আমাকে ভালোবাসে ।
তানিম ঃ কিন্তু আমরা ওকে আগে ভালোবেসেছি ।আর তার ছারা তুই তোর লাইফের সাথে জরিয়ে ঐ মেয়েটার জীবন নষ্ট করবি কেন ? তুই কি ভুলে গেছিস তোর জেলের কথা , মামলার কথা । এখনো সময় আছে তুই তোর এই নষ্ট জিবনটার সাথে ওকে মিলিইয়ে ওর জীবন টা নষ্ট করিস না ।
মাহফুজ ঃ চল এখন তানিম । আসি তাহসান ।
এই বলে চলে যায় ওরা । তাহসান কিছুখন সেখানে নিসচুপ হয়ে বসে থাকে , সিগারেট খায় । মনে মনে ভাবে আসলেই তো সে মেয়েটার জিবনটাও নষ্ট করে ফেলছে ।
পরের দিন সকাল ঈশাবা তাহসানকে ফোন দেয় কিন্তু ফোন টা বন্ধ পায় । ঐদিন সারাখন সে তাহসানকে ফোন দেয় কিন্তু ফোন বন্ধ । পরেরদিন সে তাহসানের বাসায় গিয়ে দেখে সেখানেও সে নাই । ফোণ ও বন্ধ । এভাবে ৭ দিন কেটে যায় কিন্তু তাহসানের কোন খোজ খবর পাওয়া যায় না । তানিম আর মাহফুজ কে ফোন দিলে তারাও বলে ওরা কিছু জানে না ।
মাস হয়ে গেছে তাহসানের খোজ নেই । এখনো ঈশাবা তাহসানকে খুজে ফিরছে । মেয়েটা ওকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে ।
৪ মাস পর
এদিকে ঈশাবা ছেলেটার জন্য প্রায় পাগল হয়ে গেছে । ঈশাবাকে হসপিটালে নেওয়া হয়েছিল । ঈশাবা মানষিক ভাবে একেবারে ভেংগে পরেছে । ডাক্টার বলছে তাকে কিছুদিন কোথাও থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে ,তাই ঈশাবা তার বড়বোন ঈশিকার সাথে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছে ।
বিকেলে ঈশাবা আর ঈশিকা বিচে ঘুরতে এসেছে । তারা সাগরের পার ঘেসে হেটে চলছে । কিছুখন পর হটাৎ ঈশাবা থেমে যায় । সে দেখে তাহসান একটা মেয়ের সাথে সেলফি তুলছে । সেলফি তুলে মেয়েটা একটু দূরে যায় । তখন ঈশাবা তাহসানের সামনে গিয়ে দারায় আর তাহসানকে ১টা চর দিয়ে কেদে কেদে চলে আসে । পরের দিন তারা ঢাকা চলে আসে ।
আরো ৬ মাস পর
ঈশাবার বিয়ে ঠীক হয়ে গেছে । বসুন্ধরায় শপিং করতে এসেছে ঈশাবা তার ফ্যামিলির সাথে । পিছন থেকে কে যেনো ঈশাবা বলে ডেকে উঠে । পিছনে ঘুরে দেখে সেই মেয়েটি , যাকে কক্সবাজার তাহসানের সাথে দেখেছিল , সাথে আর ১টা ছেলে
মালিহা ঃ আমি তাহসানের বন্ধু মালিহা । তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ।
ঈশাবা ঃ আমার আপনার সাথে কোন কথা নাই ।
মালিহা ঃ ঈশাবা এটা আমার হাসবেন্ড জিদান ।
(ঈশাবা ঘুরে দারায়)
মালিহা ঃ কথা গুলো বলা জরুরি ।
ঈশাবা ঃ বলেন ।
( তখন ঈশাবার বোন ঈশিকা এসে পিছনে দারায় )
মালিহা ঃ তাহসান তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে , যেমনটা তুমি ওকে ভালোবাসে ।
ঈশাবা ঃ (কেদে কেদে বলে )হ্যা অনেক ভালোবাসে বলেইতো আমাকে ছেরে চলে গেছে ।
মালিহা ঃ তুমি ভুল বুঝতেছো তাহসান কে , শোন ঈশাবা …………………………………………………
তারপর মালিহা তাহসানের সাথে শেষ তানিম আর মাহফুজের হওয়া কথা বলে । বলে যে তাহসান ওদের কথা মতে তোমার ভালো চেয়ে দূরে সরে গেছে । ও তোমার চেয়ে কষ্টে আছে ।
কথা গুলো শুনে কাদতে কাদতে বসে পরে
মালিহা ঃ তাহসানের ওলাট ডিসনে তে চাকরি হয়ে গেছে । ও চলে যাচ্ছে আজ । রাত ৮ টায় ওর ফ্লাইট ।
ঈশিকা ঃ ঈশাবা এখন ৬ টা বাজে আমাদের এখনি তাহসানের সাথে দেখা করতে যেতে হবে ।
এর পর ঈশিকা তার বাবার কাছে সব খুলে বলে ঈশাবাকে নিয়ে এয়ারপোড়ট যায় ।
সেখানে ওনেক খুজেও পায় না । রাত ৮টা বেজে গেছে । ঈশাবা চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয় ।
হটাৎ ঈশিকা বলে উঠে ঈশাবা তাহসান ।
মাথা উচু করে দেখে তাহসান একটূ দূর দিয়ে হেটে এয়ারপোড়টের ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছে ।
সাথে সাথে ঈশাবা ছুটে গিয়ে তাহসান কে জরিয়ে ধরে কেদে ফেলে । তাহসান ও ঈশাবাকে এতোদিন পর কাছে পেয়ে জরিয়ে ধরে কেদে দেয় ।
পিছন থেকে তাহসানের বাবা মা এসে ঈশাবা কে বলে নাম ঈশাবা । ঈসাবা হ্যা সূচক মাথা নারায় ।
সেখানে ঈশাবার বাবাও এসে পরে । তারপর তারা বাসায় ফিরে যায় ।
পরের সাপ্তাহে ধুম ধাম করে তাহসান আর ঈশাবার বিয়ে দেওয়া হয় । তাহসান আর দেশের বাইরে যায় না । সে ঢাকায়ই ১টা এ্যনিমেশন হাউস দেয় । এখন ওরা খুব সুখি ।তারা আবার তাদের সেই এসএমএস দেয় এখনো “”””””good night the queen of my dream kingdom …… শুভরাত্রি আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী “””””” আর সকাল ঠীক ৮টার সময় “”””””good morning the queen of my dream kingdom …… শুভসকাল আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী “””””” ।এভাবেই হয়তো বাকি জীবন গুলোও কেটে যাবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your participation .